রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

শোয়েব হোসেন

মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল প্রশাসনের নিকট ন্যায় বিচার কামনা

শোয়েব হোসেন প্রকাশিত: বুধবার, ৭ মে, ২০২৫, ৩:২৫ পিএম | 170 বার পড়া হয়েছে
মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল প্রশাসনের নিকট ন্যায় বিচার কামনা

গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বিতর্কিত সাবেক এসপি হারুনের নির্দেশে করা একাধিক মিথ্যা মামলার ছোবল থেকে রেহাই পাননি দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক বোরহান হাওলাদার জসিম স্যার সহ চার সাংবাদিক। উপযুক্ত বিচার- বিশ্লেষণ দ্বারা অব্যাহতির আদেশ দেওয়ার জন্য সুদৃষ্টি কামনা করেছেন বিবাদীগন।

খবরে প্রকাশ,খুনি হাসিনার পালিত পা চাটা গোলাম এসপি হারুন বিগত ২০১৯ সালের (২রা মে) বৃহস্পতিবার হারুনের ব্যাপারে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করেন।পরে উক্ত পত্রিকার সম্পাদক বোরহান হাওলাদার জসিমসহ চার সাংবাদিককে তথ্য প্রদানের মিথ্যা আশ্বাসে ফোন করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ভবনের প্রথম গেটে থাকতে বলেন। পরে ঐ ভবনের গেটের সামনে আনুমানিক দশটার দিকে সম্পাদক বোরহান হাওলাদার জসিমসহ চার সাংবাদিক উপস্থিত হলে হারুনের নির্দেশে আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা কয়েকজন ইউনিফর্ম ছাড়া পুলিশ নাটকীয় কায়দায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুইটি হাইয়েস ও একটি প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জে এসপি হারুনের অফিসে উপস্থিত করার পর হারুনের নির্দেশ মোতাবেক উক্ত পাঁচজনকে ডিবি অফিসের টর্চার সেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর অমানবিক নির্যাতন ও ব্যাপক লাঠিপেটা শুরু করে। এভাবে প্রায় দুই রাত দুইদিন ডিবি অফিসের আয়নাঘরে রেখে নির্যাতন চলে।

দুইদিন পর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে হারুন যোগাযোগ করে বলেন, সাংবাদিক পাঁচজনকে যা প্রয়োজন তার চেয়েও বেশি টর্চার করা হয়েছে। এখন ওদের নামে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করে দিলাম। এমন কথা আটকৃতদের সামনে মুঠোফোনে হারুন আসাদুজ্জামান খান কামালকে বলেন।

এরপর হারুন একটি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে এবং ডিবি অফিসে রেখেই আদালত থেকে দুই দিনের দেওয়া রিমান্ড নিয়ে নানান নাটকীয়তা করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

জানা যায়, কিছুদিন কারাগারে থাকার পর রমজানের ভিতর তাদেরকে আবারো ডিবি অফিস রিমান্ডে আনেন। দুইদিন কাটার পর আদালতে হাজির করে আরেকটি মামলায় পুলিশকে বাদী করে মোট তিনটি মামলা দেন।দীর্ঘদিন কারাভোগের পর ২০২০ সালে ঐ মিথ্যা মামলা গুলোর জামিন পান পত্রিকার সম্পাদক বোরহান হাওলাদার জসিমসহ চার সাংবাদিক।জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর বোরহান হাওলাদার জসিম ও চার সাংবাদিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিপি বরাবরে একাধিকবার দরখাস্ত দিলেও এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের কোন অগ্রগতি হয়নি।
মিথ্যা মামলার আসামিরা হলেন, সম্পাদক বোরহান হাওলাদার জসিম, সাংবাদিক মোঃ সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক নাসির উদ্দিন গাজীপুর জেলা সহকারি আইনজীবী মোঃ আবুল কালাম এবং সাংবাদিক আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।

মামলার ধরণ আসামিদের পক্ষে পৃথক পৃথক ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ২৬৫ (সি) ধারার বিধান মোতাবেক দাখিলী ডিসচার্জের দরখাস্তের বিষয়ে স্বত্ব আইনজীবীর বক্তব্য শ্রবন করলাম। আসামী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষের আইনজীবী বলেন, আসামী কোন চাঁদাবাজ নন। তিনি গাজীপুর জেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলাভূমি পত্রিকার বার্তা সম্পাদক। আসামী তার পত্রিকায় তৎকালীন বিতর্কিত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের দুর্নীতি বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করার কারণে অত্র মামলার এজাহারকারী পুলিশ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই আসামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করেছেন। তাই তিনি আসামী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে অত্র মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ প্রার্থনা করেন।

আসামী নাসির উদ্দিনের পক্ষে বিজ্ঞ আইনজীবী বলেন, এই আসামী নারায়ণগঞ্জের কোন স্থানীয় বাসিন্দা নয়। আসামী ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের ধ্বনি পত্রিকার গাজীপুর জেলার স্টাফ রিপোর্টার। আসামীর ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। আসামী তার পত্রিকায় তৎকালীন পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের দূর্নীতি বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করার কারণে অত্র মামলার এজাহারকারী পুলিশ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই আসামীর বিরুদ্ধে মামলাসহ আরো ২টি মামলা সম্পৃক্ত করা হয়েছে।তাই তিনি এই আসামীকে অত্র মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ প্রার্থনা করেন।

আসামী মোঃ বোরহান হাওলাদার জসিম ও মোঃ সাইফুল ইসলামের পক্ষে বিজ্ঞ আইনজীবী বলেন, আসামী বোরহান হাওলাদার ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় সাপ্তাহিক সময়ের কণ্ঠ ও দৈনিক ভোরের ধ্বনি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। যার পরিচয় ছারপত্র নং ৪৮২ ও দৈনিকের নং ৫০০৬। আসামী সাইফুল ইসলামও জাতীয় সাপ্তাহিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার একজন সাংবাদিক যার পরিচয় নং ৩৩১।
আসামীগণ গাজীপুর রিপোর্টাস ক্লাবের সদস্য। আসামীদ্বয় তাদের পত্রিকায় উর্ধ্বতন একজন পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় এই আসামীদ্বয়কে হয়রানী করার জন্য এমন মিথ্যা চাঁদাবাজীর মামলাসহ আরও দু’টি ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাই বিজ্ঞ আইনজীবী আসামীদ্বয়কে অত্র মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ প্রার্থনা করেন।

আসামী আবুল কালামের পক্ষে বিজ্ঞ আইনজীবী বলেন, আসামী বোরহান হাওলাদার জসিম ও সাইফুল ইসলাম একটি তথ্য লিখবেন বলে এই আসামীকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যান। তারপর উক্ত আসামীদের সাথে এই আসামীকেও সাংবাদিক মনে করে কিছু সাদা পোশাকে অস্ত্রধারী লোক এসে তাদের সাথে নিয়ে যান। আসামী আবুল কালাম প্রতিবাদ করলে, তাকেও এই মামলাগুলোতে আসামী হিসেবে সম্পৃক্ত করা হয়। আসামীকে নিয়ে যাওয়া হলে তার পরিবার থেকে গাজীপুর সদর থানায় জিডি নং ১১০/২০১৯ দায়ের করা হয়। এই আসামী গাজীপুর কোর্টে আইনজীবী সহকারী হিসেবে ১০/১১ বছর যাবৎ কাজ করেন এবং তার সদস্য আইডি কার্ড নং ৪৩৮। ঘটনার তারিখে তিনি গাজীপুরে উপস্থিত ছিলেন। তিনি কোন চাঁদাবাজী করেন নাই। তাই বিজ্ঞ আইনজীবী এই আসামীকে অত্র মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ প্রার্থনা করেন।অপরদিকে রাষ্ট্র পক্ষের বিজ্ঞ অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক সত্যতা প্রতীয়মান হয়েছে। তাই তিনি সংশ্লিষ্ট থাকায় চার্জ গঠনের আদেশ প্রার্থনা করেন।

উভয় পক্ষের বক্তব্য বিস্তারিত শুনানী অন্তে নথি পর্যালোচনা করা হলে উক্ত পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, আসামীগণ কর্তৃক আদালতে জামিনের আবেদনে প্রত্যেক আসামী তাদের স্ব স্ব পেশার সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজাদী দাখিল করেছে যা মামলার রেকর্ডের সাথে সামিল আছে। তাছাড়াও পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে তাদের তথ্য সমৃদ্ধ ও বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদনও নথির সামিলে আছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। আসামীদের সংশ্লিষ্ট পত্রিকাগুলো গাজীপুর থেকে প্রচারিত হয় মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে এবং আসামীগণ কেউই নারায়নগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা নন কিংবা নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রচারিত কোন পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশক কিংবা স্টাফ রিপোর্টার নন মর্মেও আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয়েছে। তাছাড়া আসামীদের একজন গাজীপুর জেলার জজ কোর্টে প্রাকটিসিং একজন বিজ্ঞ আইনজীবী সহকারী মর্মে তার পরিচয়পত্র বয়েছে। আসামী আবুল কালামের পক্ষে দাখিলী কাগজপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ০২/০৫/১৯ তারিখ থেকে আসামী আবুল কালাম নিখোঁজ রয়েছেন মর্মে জানিয়ে আসামীর ভাই ফারুক গাজীপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী এন্ট্রি করেন।যার নম্বর ১১০, তারিখ ০৩/০৫/১৯। তাই আসামী নিখোঁজ থাকার অব্যাহতির পূর্বে ০১/০৫/১৯ তারিখে গাজীপুর জেলা থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলায় এসে। এজাহারকারীর নিকট একলক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করার বিষয়টি আদালতের নিকট বিশ্বাসযোগ্য বলে প্রতীয়মান হয় না। তাছাড়া ০১/০৫/১৯ তারিখের ঘটনায় কথিত চাঁদাবাজী করার অভিযোগ থাকলেও ০৭/০৫/১৯ তারিখে অর্থাৎ ০৬ দিন বিলম্বে এজাহার রুজু করার যৌক্তিক ও বিশ্বাসযোগ্য কোন ব্যাখ্যা এজাহারকারী তার এজাহারে উপস্থাপন করেন নাই।

তাই সার্বিক পর্যালোচনার আলোকে বিজ্ঞ আদালত মনে করে আসামীদের পেশাগত অবস্থান থেকে তাদের পক্ষে এজাহারকারীর নিকট চাঁদা দাবী করার বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য নয়। আসামীগণের প্রত্যেকেই লাইসেন্সধারী সাংবাদিক, রিপোর্টার, প্রকাশক, বার্তা সম্পাদক কিংবা আইনজীবী সহকারী।এমতাবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে অত্র মামলার অভিযোগ পত্রে বর্নিত দন্ডবিধির ৩৮৫/৫০৬/৩২৩ ধারার অপরাধের অভিযোগ গঠন করার মতো প্রাথমিক কোন উপাদান না থাকায়, আসামী পক্ষে দাখিলী ডিসচার্জের আবেদন মঞ্জুর পূর্বক তাদের প্রত্যেককেই অত্র মামলার দায় থেকে অব্যাহতি ও খালাস দেয়া হলো।

এই সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও সকল উপদেষ্টা মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করে বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলের বিতর্কিত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করার কারণে এই মিথ্যা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন দৈনিক সময়ের কন্ঠ ও ভোরের ধ্বনি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক বোরহান হাওলাদার জসিমসহ সংশ্লিষ্ট চার সাংবাদিক।

দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

মো: মেহেদী হাসান ফুয়াদ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম
দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

২ আগষ্ট শনিবার বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর নব নির্বাচিত কার্য্যকরী কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নব- নির্বাচিত সভাপতি- মোঃ আব্দুস সাত্তার, সহ সভাপতি- মোঃ শরিফুল ইসলাম সেলি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক, আবুল কালাম (১), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এনামুল হক, অর্থ সম্পাদক- আবুস সালাম ও কার্র্য্যনির্বাহী পরিষোধের সদস্য মোঃ কমর আলী শেখ ও মোঃ বিশালকে ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুর্যায়ী শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশান দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবিবর রহমান। উল্লেখ্য, বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২ জুলাই ‘২০২৫। নির্বাচনে উপরোক্ত ৮জন প্রার্থী বিজয়ী হন।

দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

বগুড়া থেকে মোঃ হাফিজুর রহমান প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ জানিয়েছেন —
আমাদের দেশ চলে মানুষের ঘাম আর পরিশ্রমের করের টাকায়। প্রতিটি রাস্তা, স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি সেবা ও অবকাঠামো জনগণের টাকায় গড়ে উঠেছে।
কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট শাসন আর আজকের কর্তৃত্ববাদী মনোভাব দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকারকে অবমূল্যায়ন করেছে — মানুষের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হয়েছে, গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতি, লুটপাট আর দুর্নীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিশ্বাস করে—গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট নয়, মানুষের কথা শোনা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
আমাদের আপোষহীন নেত্রী, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় আজও আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বিএনপি জনগণের অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সবসময়ই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি সরকারের সময় দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পথে ছিল, গণতন্ত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার সুরক্ষিত ছিল — যা আজ হরণ হয়েছে।
আগামী নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাই—আপনাদের শক্তি ও অধিকারকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিজয়ের প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিন, আপনার আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করুন।
বিএনপি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পক্ষে। দেশের প্রতিটি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করাই আমাদের অঙ্গীকার। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি।
আমরা বিশ্বাস করি—ধানের শীষে জনগণের এই আস্থা গণতন্ত্র, উন্নয়ন আর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে উঠবে।

মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

Masud Parves প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম
মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

মধ্যবয়সী নারীকে বাইরে থেকে দেখে কেউ বুঝতে পারে না, তার ভেতর কতটা জীবন বয়ে চলে। তার মুখে হয়তো একরাশ শান্তি, চোখে একটুখানি ক্লান্তি—কিন্তু এই চেহারার ভেতরে আছে এক গভীর নদী, যেটা ধীরে ধীরে বয়ে যায়। এই নদী যেন নীরব, তবে থেমে নেই। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা, ভালোবাসা, হারানো-বিলুপ্ত কিছু স্মৃতি—সব মিলে তার কামনা তৈরি হয় এক নতুন রূপে, এক অনন্য ভাষায়।
এই বয়সে সে আর কারো মন জেতার জন্য হাসে না। সে নিজেকে লুকিয়ে রাখে না, সাজিয়ে তোলে না কেবল কারো নজর কাড়ার জন্য। বরং সে নিজেকে ভালোবাসে গভীরভাবে। জানে—তার শরীর ঠিক যেমন, তেমনটাই সুন্দর। তার যৌনতা এখন আর দেহের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে বোঝাপড়ার, সম্মান আর সংবেদনের জায়গা।
তরুণ বয়সের কামনা হঠাৎ জ্বলে ওঠে, হঠাৎ নিভেও যায়। সেখানে থাকে আবেগের ঝড়, না বুঝে ফেলার এক উন্মাদনা। কিন্তু মধ্যবয়সী নারীর কামনা অনেক বেশি ধৈর্যের, অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের। সে জানে, কীভাবে তার শরীরের প্রতিটি প্রতিক্রিয়া বোঝে নিতে হয়। সে জানে, কখন আগলে রাখতে হয় নিজেকে, আর কখন খুলে দিতে হয় সমস্ত দরজা।
এই নারী কাউকে ছুঁতে চায়—কিন্তু ছোঁয়াটার আগে সে বোঝে নেয় সেই মানুষটার ভেতরটা। সে শুধু শরীর খোঁজে না—সে এমন একজন সঙ্গী খোঁজে, যার স্পর্শে থাকে শ্রদ্ধা, যার চোখে থাকে নিরাপত্তা। সে জানে কার পাশে ঘুমালে শান্তি নামে, আর কার পাশে থাকলে ভালোবাসা শুকিয়ে যায়।
তার কামনা আর শিশুর মতো নিষ্পাপ নয়। বরং তাতে এক ধরনের প্রাপ্তবয়স্ক মমতা থাকে, থাকে বোঝাপড়া। সে জানে কখন চাওয়া, কখন না বলা। সে জানে, ‘না’ বলাটাও নিজের প্রতি এক রকম ভালোবাসা। তার ভালোবাসা এখন আর পাগলামি নয়—তা গভীর, সযত্নে বাছাই করা, বোধসম্পন্ন।
সমাজ হয়তো ভাবে এই বয়সের নারী নিঃসাড়, নিঃস্পৃহ। কিন্তু তারা জানে না, তার ভেতরটায় প্রতিদিন ঢেউ খেলে যায়। তার চোখে জমে থাকা পুরনো গল্পের আলো ঝিলমিল করে, তার হাসিতে মিশে থাকে না বলা ভালোবাসার রেশ। এই নারী চাইলেই কারো জীবনে নীরবে ঢুকে যেতে পারে, আবার কাউকে বিদায়ও জানাতে পারে নিঃশব্দে—এক বিন্দু তিক্ততা ছাড়াই।
তার যৌনতা আজ আর কারো কাছ থেকে অনুমতি চায় না। সে নিজের শরীর, নিজের কামনা, নিজের মনের দায়িত্ব নিজেই নেয়। সে জানে—কে তার জলের গভীরে স্নান করার যোগ্য, আর কে কেবল পাথর ছুড়ে জল ঘোলা করতে চায়।
মধ্যবয়স মানে ক্ষয় নয়, সেটি এক নবজন্ম। একজন নারী এই বয়সে এসে হয়তো সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়—যেন সন্ধ্যার আলোয় জ্বলে ওঠা দীপ, যা সারা দিনের ক্লান্তিকে শান্ত করে। তার কামনা আগুন নয়—তা আলো। তা জ্বলিয়ে দেয় না, তা গায়ে মেখে থাকে।
এক নদী, যে জানে কখন কার দিকে পথ খুলে দিতে হয়, আর কখন নিজেকে আগলে রাখতে হয়।
যে জানে, ভালোবাসা মানে কারো হাত ধরা নয়—বরং কারো হাতে নিজের হাত রাখার মতো আত্মবিশ্বাস অর্জন করা।

error: Content is protected !!