শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

পিতার ভালোবাসা

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১:৪৯ পিএম | 328 বার পড়া হয়েছে
পিতার ভালোবাসা

রোজকার মতো সেদিনও রাতের খাবার শেষে বাবার কাছে গিয়েছিলাম। বাবা এখন ছোট ভাইয়ের সঙ্গে থাকেন, তাই আমি প্রতিদিনই তাঁদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কাটাতে যাই। আমরা দুই পিতা-পুত্রের রোজকার আড্ডা হয়।

সেদিনও বাবা তাঁদের ওয়ানপ্লাস স্মার্ট টিভিতে সানি দেওলের ‘নারসিম্মা’ সিনেমা দেখছিলেন। এই টিভিটা আমি জোর করে তাঁদের জন্য CSD ক্যান্টিন থেকে কিনে দিয়েছিলাম। বাবা সানি দেওলের বড় ভক্ত—তাঁর প্রায় সব সিনেমাই দেখেছেন, শুধু ‘মহল্লা ৮০’ বাদে। সেটা ভালো লাগেনি, তাই প্রথম ১৫ মিনিটেই ছেড়ে দিয়েছিলেন।

আমি বললাম, “আজ আপনাকে ‘গদর ২’ দেখাবো।”
আমার OTT সাবস্ক্রিপশনে বাবার টিভিতে ‘গদর ২’ চালিয়ে দিলাম।

বাবা জিজ্ঞেস করলেন, “অফিস কেমন চলছে? স্টাফরা কষ্ট দিচ্ছে না তো?”

আমি হেসে বললাম, “না বাবা, স্টাফদের কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, আর কিভাবে আদর আর শাসনের ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়, সেটা তো আপনার থেকেই শিখেছি।”

এই সময় আমাদের প্রতিদিনকার চায়ের কাপ চলে আসে—একটা ফিকে চা বাবার জন্য (বাবার ডায়াবেটিস আছে), আর একটা আমার জন্য মিষ্টি চা। আমরা প্রতিদিন ঠিক এই সময় একসাথে বসে চা খাই।

চা শেষ করে বাবা বিছানায় শুয়ে পড়লেন আর আমি প্রতিদিনের মতো তাঁর পা কোলের ওপর তুলে নিয়ে মালিশ করতে লাগলাম।

হঠাৎ তিনি বললেন, “কোনো সমস্যা আছে?”

আমি বললাম, “না না, কিছু না।”

তিনি গম্ভীর মুখে বললেন, “আমি তোর বাবা। তোর মন বুঝি। আজ অফিসে অটোতে গেছিস, গাড়ি নি‌য়ে কেন গেলি না?”

আমি একটু হেসে বললাম, “এমনিই…”

তিনি আবার বললেন, “ঠিক করে বল, কি হয়েছে?”

আমি ধীরে ধীরে বললাম, “এইবার মেয়ের MBBS ভর্তি হওয়ার জন্য অনেক খরচ হয়ে গেছে। তাই গাড়ির ইন্স্যুরেন্স করাতে পারিনি। চারদিন পর বেতন পেলেই করাবো।”

“কত টাকা লাগে ইন্স্যুরেন্সে?”

“এই ধরুন, নয় হাজার চারশো টাকার মতো।”

বাবা সঙ্গে সঙ্গে মা’কে ডাকলেন, “সাবিত্রী! আমার ছোট ব্যাগটা এনে দে।”

মা এসে ব্যাগটা দিলেন আর দালানে গিয়ে বসে পড়লেন।

বাবা ব্যাগ খুলে দশ হাজার টাকা বের করে আমার হাতে দিলেন। বললেন,
“তোর বাবা এখনো বেঁচে আছে… তুই একজন অফিসার, অটো করে অফিসে যাবি না… কাল থেকে গাড়ি নিয়ে যাবি।”

আমি বললাম, “থাক বাবা, আর চারদিনের তো কথা।”

বাবা কিছুটা রেগে গিয়ে বললেন, “এত বড় হয়ে গেছিস যে এখন তোর বাবার কথা মানবি না? চুপচাপ রাখ আর পা টিপ।”

আমি আবার পা টিপতে লাগলাম।

একটু পরে বাবা বললেন, “এখন থেমে যা, আমার কাছে এসে শুয়ে পড়।”

বাবা তাঁর হাতের তালু মাথার নিচে রেখে শুয়ে ছিলেন—এটাই ছিল তাঁর ঘুমানোর ভঙ্গি। এতে তাঁর হাত ও কনুই একটা ত্রিভুজাকৃতি বালিশের মতো হয়ে যেত। আমি সবসময় সেই হাতে মাথা রেখে তাঁর পাশে শুয়ে পড়তাম। আজও ঠিক তাই করলাম।

টিভিতে তখন ‘গদর ২’ চলছিল। সেই দৃশ্য—যেখানে তারা সিং (সানি দেওল) তাঁর ছেলেকে একটি বুলেট মোটরবাইক কিনে দেয়। এই দৃশ্য দেখে বাবা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন।

তিনি বললেন, “সঞ্জু! আমারও ইচ্ছা ছিল, যখন তুই কলেজে পড়তি, তখন তোকে একটা বাইক কিনে দিই… কিন্তু পারিনি। পরিস্থিতি এমন ছিল যে তোমাদের শুধু লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়াটাই ছিল বড় সাফল্য… আমি বোধহয় ভালো বাবা হতে পারিনি।”

আমি চোখ ভিজে যেতে যেতে বললাম,
“না বাবা, এমন কথা বলবেন না। আপনি আমাদের সবকিছুই দিয়েছেন। আপনি কখনো ঘুষ খাননি, সৎ উপায়ে আমাদের মানুষ করেছেন। আজ আমরা যা কিছু, সব আপনার কারণেই। বাবা, আমি আপনাকে ভালোবাসি।”

বাবাও আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, “আই লভ ইউ সঞ্জু।”

আমি তাঁকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লাম…

… হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। বুকের কাছে একটা বালিশ চেপে ধরা ছিল।

চোখ খুলতেই মনে পড়ল—বাবা তো ২০১১ তেই আমাদের ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে গেছেন।

রাত তখন চারটা। মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে উঠল… চোখ বেয়ে জল পড়তে লাগল…

বাবাকে খুব মনে পড়ছে। ফোন খুলে বাবার একটা ছবি বের করে বুকের উপর রাখলাম। চোখ বন্ধ করে তাঁকে অনুভব করছি… মনে মনে বারবার শুধু একটা কথাই বলে যাচ্ছি—

“বাবা, আমি আপনাকে ভালোবাসি… বাবা, আমি খুব মিস করি আপনাকে।”

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।