সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

পিতার ভালোবাসা

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১:৪৯ পিএম | 240 বার পড়া হয়েছে
পিতার ভালোবাসা

রোজকার মতো সেদিনও রাতের খাবার শেষে বাবার কাছে গিয়েছিলাম। বাবা এখন ছোট ভাইয়ের সঙ্গে থাকেন, তাই আমি প্রতিদিনই তাঁদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কাটাতে যাই। আমরা দুই পিতা-পুত্রের রোজকার আড্ডা হয়।

সেদিনও বাবা তাঁদের ওয়ানপ্লাস স্মার্ট টিভিতে সানি দেওলের ‘নারসিম্মা’ সিনেমা দেখছিলেন। এই টিভিটা আমি জোর করে তাঁদের জন্য CSD ক্যান্টিন থেকে কিনে দিয়েছিলাম। বাবা সানি দেওলের বড় ভক্ত—তাঁর প্রায় সব সিনেমাই দেখেছেন, শুধু ‘মহল্লা ৮০’ বাদে। সেটা ভালো লাগেনি, তাই প্রথম ১৫ মিনিটেই ছেড়ে দিয়েছিলেন।

আমি বললাম, “আজ আপনাকে ‘গদর ২’ দেখাবো।”
আমার OTT সাবস্ক্রিপশনে বাবার টিভিতে ‘গদর ২’ চালিয়ে দিলাম।

বাবা জিজ্ঞেস করলেন, “অফিস কেমন চলছে? স্টাফরা কষ্ট দিচ্ছে না তো?”

আমি হেসে বললাম, “না বাবা, স্টাফদের কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, আর কিভাবে আদর আর শাসনের ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়, সেটা তো আপনার থেকেই শিখেছি।”

এই সময় আমাদের প্রতিদিনকার চায়ের কাপ চলে আসে—একটা ফিকে চা বাবার জন্য (বাবার ডায়াবেটিস আছে), আর একটা আমার জন্য মিষ্টি চা। আমরা প্রতিদিন ঠিক এই সময় একসাথে বসে চা খাই।

চা শেষ করে বাবা বিছানায় শুয়ে পড়লেন আর আমি প্রতিদিনের মতো তাঁর পা কোলের ওপর তুলে নিয়ে মালিশ করতে লাগলাম।

হঠাৎ তিনি বললেন, “কোনো সমস্যা আছে?”

আমি বললাম, “না না, কিছু না।”

তিনি গম্ভীর মুখে বললেন, “আমি তোর বাবা। তোর মন বুঝি। আজ অফিসে অটোতে গেছিস, গাড়ি নি‌য়ে কেন গেলি না?”

আমি একটু হেসে বললাম, “এমনিই…”

তিনি আবার বললেন, “ঠিক করে বল, কি হয়েছে?”

আমি ধীরে ধীরে বললাম, “এইবার মেয়ের MBBS ভর্তি হওয়ার জন্য অনেক খরচ হয়ে গেছে। তাই গাড়ির ইন্স্যুরেন্স করাতে পারিনি। চারদিন পর বেতন পেলেই করাবো।”

“কত টাকা লাগে ইন্স্যুরেন্সে?”

“এই ধরুন, নয় হাজার চারশো টাকার মতো।”

বাবা সঙ্গে সঙ্গে মা’কে ডাকলেন, “সাবিত্রী! আমার ছোট ব্যাগটা এনে দে।”

মা এসে ব্যাগটা দিলেন আর দালানে গিয়ে বসে পড়লেন।

বাবা ব্যাগ খুলে দশ হাজার টাকা বের করে আমার হাতে দিলেন। বললেন,
“তোর বাবা এখনো বেঁচে আছে… তুই একজন অফিসার, অটো করে অফিসে যাবি না… কাল থেকে গাড়ি নিয়ে যাবি।”

আমি বললাম, “থাক বাবা, আর চারদিনের তো কথা।”

বাবা কিছুটা রেগে গিয়ে বললেন, “এত বড় হয়ে গেছিস যে এখন তোর বাবার কথা মানবি না? চুপচাপ রাখ আর পা টিপ।”

আমি আবার পা টিপতে লাগলাম।

একটু পরে বাবা বললেন, “এখন থেমে যা, আমার কাছে এসে শুয়ে পড়।”

বাবা তাঁর হাতের তালু মাথার নিচে রেখে শুয়ে ছিলেন—এটাই ছিল তাঁর ঘুমানোর ভঙ্গি। এতে তাঁর হাত ও কনুই একটা ত্রিভুজাকৃতি বালিশের মতো হয়ে যেত। আমি সবসময় সেই হাতে মাথা রেখে তাঁর পাশে শুয়ে পড়তাম। আজও ঠিক তাই করলাম।

টিভিতে তখন ‘গদর ২’ চলছিল। সেই দৃশ্য—যেখানে তারা সিং (সানি দেওল) তাঁর ছেলেকে একটি বুলেট মোটরবাইক কিনে দেয়। এই দৃশ্য দেখে বাবা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন।

তিনি বললেন, “সঞ্জু! আমারও ইচ্ছা ছিল, যখন তুই কলেজে পড়তি, তখন তোকে একটা বাইক কিনে দিই… কিন্তু পারিনি। পরিস্থিতি এমন ছিল যে তোমাদের শুধু লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়াটাই ছিল বড় সাফল্য… আমি বোধহয় ভালো বাবা হতে পারিনি।”

আমি চোখ ভিজে যেতে যেতে বললাম,
“না বাবা, এমন কথা বলবেন না। আপনি আমাদের সবকিছুই দিয়েছেন। আপনি কখনো ঘুষ খাননি, সৎ উপায়ে আমাদের মানুষ করেছেন। আজ আমরা যা কিছু, সব আপনার কারণেই। বাবা, আমি আপনাকে ভালোবাসি।”

বাবাও আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, “আই লভ ইউ সঞ্জু।”

আমি তাঁকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লাম…

… হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। বুকের কাছে একটা বালিশ চেপে ধরা ছিল।

চোখ খুলতেই মনে পড়ল—বাবা তো ২০১১ তেই আমাদের ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে গেছেন।

রাত তখন চারটা। মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে উঠল… চোখ বেয়ে জল পড়তে লাগল…

বাবাকে খুব মনে পড়ছে। ফোন খুলে বাবার একটা ছবি বের করে বুকের উপর রাখলাম। চোখ বন্ধ করে তাঁকে অনুভব করছি… মনে মনে বারবার শুধু একটা কথাই বলে যাচ্ছি—

“বাবা, আমি আপনাকে ভালোবাসি… বাবা, আমি খুব মিস করি আপনাকে।”

এম এ সিদ্দিক, খাগড়াছড়ি জেলা

মাটিরাঙ্গা জোন কর্তৃক বিশেষ মানবিক সহায়তা প্রদান

এম এ সিদ্দিক, খাগড়াছড়ি জেলা প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১১:৪৩ এএম
মাটিরাঙ্গা জোন কর্তৃক বিশেষ মানবিক সহায়তা প্রদান

২৩ জুন ২০২৫, সকাল ০৯:৩০ মিনিটে, মাটিরাঙ্গা জোনের আওতাধীন শিশকবাড়ী আর্মি ক্যাম্পের অন্তর্গত থংথংপাড়া এলাকায় একটি বিশেষ মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এই কর্মসূচির আওতায়: রাবার বাগান মন্দির ও ভজেন্দ্রপাড়া মন্দির নির্মাণের জন্য মোট ০৮ বান টিন প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৩০ পরিবারকে রেশন সামগ্রী উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়। শিশকবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।স্থানীয় পাহাড়ি জনগণের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান করা হয়।

চিকিৎসা সেবা প্রদানে দায়িত্ব পালন করেন: ক্যাপ্টেন মোঃ মুঈদ-উল করিম চৌধুরী, আরএমও, মাটিরাঙ্গা জোন
ডাঃ ফারিয়া, মেডিকেল অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

 

স্টাফ রিপোর্টার

জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট’এ সাংবাদিকদের ৫ দিন ব্যাপি নিরাপদ সড়ক বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১১:৪০ এএম
জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট’এ সাংবাদিকদের ৫ দিন ব্যাপি নিরাপদ সড়ক বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন SIBE-NIMC প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক পাঁচদিন ব্যাপি (১৮-২২ জুন) প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২২ জুন) দুপুর ৩টার দিকে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট এ প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুহম্মদ হিরুজ্জামান (এনডিসি), মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিউট।

এর আগে ১৮ জুন ২০২৫, প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মাহবুবা ফারজানা।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মুহম্মদ হিরুজ্জামান বলেন, রাষ্ট্রের ৪র্থ স্থম্ভ হিসাবে গণমাধ্যম নিরাপদ সড়ক পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সাংবাদিকগণ তাদের মেধা, মনন ও পেশাদারিত্ব দিয়ে সড়ক বিষয়ক রিপোর্টিংএ নতুনত্ব নিয়ে আসবেন এবং জনকল্যাণে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করবেন।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের, একসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকবৃন্দ প্রশিক্ষক হিসাবে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন। প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ অনুশীলন রিপোর্টিং করেন ও নিরাপদ সড়ক বিষয়ক গবেষণা রিভিউ করেন। একক ও দলীয় উপস্থাপনা, তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক অনুশীলনের মাধ্যমে শিখন প্রক্রিয়ায় স্বতঃস্ফুর্তভাবে প্রশিক্ষণার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।

রাজনীতিতে থাকতে গেলে চামড়া মোটা করতে হবে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১০:২৫ এএম
রাজনীতিতে থাকতে গেলে চামড়া মোটা করতে হবে

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা সৌরভ দাস রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেওয়া এবং সেখান থেকে সরে আসার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। একই সাথে নিজের অভিনয় জীবনের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেছেন।
২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি বুঝতে পারেন, রাজনীতি তার জন্য নয়। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলে যোগ দিয়েই বুঝে গিয়েছিলাম রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। কিছুই বুঝি না। রাজনীতিতে থাকতে গেলে চামড়া মোটা করতে হবে, সেটা বুঝেছিলাম।’
তিনি আরও জানান, দলে থাকাকালীন তিনি মাত্র তিন থেকে চারবার প্রচারে গিয়েছিলেন এবং এর জন্য কোনো আর্থিক লেনদেন হয়নি।
একসময় ‘সিরিজ কিং’ নামে পরিচিত সৌরভ দাসের সিরিজে উপস্থিতি ইদানীং অনেকটাই কমে গেছে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আসলে যেমন সিরিজ আমার পছন্দ সেই ধরনের বিষয় পাচ্ছি না বা আমায় ডাকা হচ্ছে না। বুঝতে পারছি, সিরিজের গল্পের ধরনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে হয়তো আমাকে মানাচ্ছে না কিংবা আমি মানিয়ে নিতে পারছি না।’
তবে ছোটবেলা থেকেই চলচ্চিত্রে অভিনয় করার স্বপ্ন ছিল তার এবং বর্তমানে সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় তিনি অভিযোগ করার কোনো কারণ দেখছেন না। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলোতে সৌরভের অভিনীত চরিত্রগুলো খুব বেশি আলোচনায় আসছে না। এই প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘হ্যাঁ, সেটা এখনও পর্যন্ত হয়নি। কিন্তু এটা ভাবার কারণ নেই যে ভবিষ্যতে হবে না।’