শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

কলমেঃ রাজিবুল করিম রোমিও

প্রিয় বাবা

কলমেঃ রাজিবুল করিম রোমিও প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০৪ পিএম | 331 বার পড়া হয়েছে
প্রিয় বাবা

প্রিয় বাবা,
কতদিন হয়ে গেলো তোমার স্পর্শ পাই না…

কত দিন দেখি না তোমায়, কত রাত দেখি না তোমায়
সে খোঁজ কি তুমি রাখো?…

প্রতিটা সেকেন্ড, প্রতিটা মিনিট, প্রতিটা দিন, প্রতিটা মুহুর্ত তোমাকে খুব মিস করছি বাবা…

কতদিন হয়ে গেলো তুমি আমার কোন প্রশ্নের কোন উত্তর দাওনা… তাই আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখছি!

জানো বাবা কোনোদিন দুঃ’স্বপনেও ভাবিনি তোমাকে কোনোদিন আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখবো, কিন্তু আজ নিরুপায় হয়ে লিখতে হচ্ছে,

জানি বাবা তুমি খুব ভালো আছো, সৃষ্টিকর্তার নিকট
যে শান্তি চাইতে চাইতে তুমি চলে গেছো, নিশ্চয়ই তুমি সে শান্তিতেই আছো! তাই তুমি একটি বার স্বপ্নেও দেখা দাও না, আর আমার শত শত প্রশ্নের কোন উত্তরও দাও না, কিন্তু! বাবা আমি যে ভালো নেই, তোমাকে ছাড়া খুব ক’ষ্টে আছি।

বাবা, অন্য আর পাঁচজন ছেলে-মেয়ের মতো তোমার মেয়ে হয়ে আমি কখনো বলবো না– “বাবা তুমি থাকতে বুঝিনি, তুমি কি ছিলে জীবনে”, “বাবা নামক বটবৃক্ষ কি হয়”!

তুমি থাকতেই আমি বুঝেছিলাম বাবা নামক বটবৃক্ষের ছায়া কেমন হয়, বাবা শব্দের গভীরতা কতটা, পৃথিবীর সবচেয়ে অমূল্য সম্পদের নাম বাবা, তাই আমি আমার কর্তব্য পালনের চেষ্টা করেছি মাত্র, কতটুকু পেরেছি তা তুমিই ভালো জানো, সেটা আমার জানার দরকার নেই, আমি শুধু জানি আমি ব্য’র্থ সন্তান, কারণ! আমি তোমাকে ধরে রাখতে পারিনি।

সৃষ্টিকর্তার কাছে সব সময় একটাই জিনিস চাইতাম আমার মৃ’ত্যুর আগে যেন তোমাদের কারো কিছু না হয় কিন্তু! সৃষ্টিকর্তা আমার কথা শুনলেন না, তিনি আমার আগেই তোমাকে নিয়ে নিলেন, সৃষ্টিকর্তা দানশীল হতে পারলেন না। বড্ড অসময়ে তোমাকে হারিয়ে ফেললাম।

কেনো এত রা’গ করে আছো বাবা? কেনো কোন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছ না? কোন পূর্বাভাস ছাড়া হুট করে কেনো তুমি ফাঁকি দিলে? তোমার কিসের এত তাড়া ছিলো যে তুমি এত তাড়াতাড়ি আমাদের এতিম করে দিলে?
তুমি তো ছোট বেলা থেকে খুব ভালো করেই জানতে একজন এতিমের ক’ষ্ট কতটা তী’ব্রতর, তবে কেনো আমাদেরও সে ক’ষ্টের ভাগিদার তুমি এত তাড়াতাড়ি করলে? আচ্ছা বাবা আর কটা দিন থাকলে কি এমন ক্ষ’তি হতো শুনি!?

বাবা, বুকের বাম পাশটায় খুব করে লাগে যখন হৃদয়খানি উজাড় করে বাবা বলে তোমায় ডাকতে পারি না, ডাকতে গিয়েই হটাৎ করে এক বি’ষা’দ শূ’ন্য’তা অনুভব করি, ছুঁতে গিয়েও ছুঁতে পারি না, তুমি মিলিয়ে যাও ভোরের তারায়, রাতের তারায়…তুমি কি সে খোঁজ রাখো?

তুমি কি দেখতে পাও? পুরো বাড়ি জুড়ে তোমার সব পোশাক নানান জিনিস পত্র ও ঔষধের বক্সটা আজও স্ব স্ব স্থানে আছে শুধু তুমি নেই বাবা শুধু তুমি নেই….

জানো বাবা বুকের ভেতরটা রোজ ভে’ঙ্গে’চু’রে একাকার হয়, তুমি ছাড়া এ দেহটা যেন পাখি ছাড়া খাঁচা হয়ে গেছে, পৃথিবীতে বেঁ’চে থাকাটাই যে এখন ক’ষ্ট’কর, তবুও বেঁ’চে আছি, জীবন আর ম’র’ণের মাঝামাঝি!

শেষ হয়েও শেষ হলো না কথা, সব কথা লেখা গেলো না চিঠিতে… অনেক কথা রয়ে গেলো বাবা হৃদয়ের অন্তরালে…

তোমার অনুপস্থিতিটা আজও আমি মেনে নিতে পারি না আর ভবিষ্যতেও কোনোদিন পারবো না।….

ইতি
তোমার স্নেহের রোমিও

 

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।