শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

সুস্থ সম্পর্কের মূলমন্ত্র

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:৩১ পিএম | 195 বার পড়া হয়েছে
সুস্থ সম্পর্কের মূলমন্ত্র

ত্যাগ। ত্যাগই সকল সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। শুধুই নিজে কি পেলাম এই ভাবনা মানুষকে ভালো রাখতে পারেনা। এই কথাটি আজকের ব্যস্ত জীবনে যেন আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। স্বার্থপরতা যখন আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে জড়িয়ে আছে, তখন ত্যাগের মতো একটি মহৎ গুণাবলী আমাদেরকে মানবিকতার স্মরণ করিয়ে দেয়।
সম্পর্কে ত্যাগ কী?
ত্যাগ শুধুমাত্র কোনো বস্তু দান করাকে বোঝায় না। এটি হতে পারে নিজের সময়, শক্তি, স্বার্থ, এমনকি কখনো কখনো নিজের স্বপ্নকেও ত্যাগ করা। ত্যাগের মধ্যে নিঃস্বার্থতা, অন্যের প্রতি ভালোবাসা এবং সম্পর্কের প্রতি নিষ্ঠা লুকিয়ে থাকে।
কেন ত্যাগ সম্পর্ককে মজবুত করে?
* বিশ্বাস বাড়ায়: যখন কেউ নিজের স্বার্থকে উপরি থেকে রেখে অন্যের জন্য কিছু করে, তখন সেই সম্পর্কে বিশ্বাসের বন্ধন আরও শক্তিশালী হয়।
* সম্পর্ককে গভীর করে: ত্যাগের মাধ্যমে আমরা অন্যের প্রতি আমাদের ভালোবাসা প্রকাশ করি। এটি সম্পর্কে একটি গভীরতা আনে।
* সুখ বৃদ্ধি করে: অন্যের জন্য কিছু করে সুখ পাওয়ার চেয়ে বড় সুখ আর কিছু হতে পারে না।
* সমাজকে মজবুত করে: যখন আমরা সমাজের জন্য কিছু ত্যাগ করি, তখন সমাজের উন্নতি হয় এবং আমরা সকলেই এর সুফল ভোগ করি।
শুধু নিজের স্বার্থ:
আজকের দিনে অনেকেই শুধু নিজের স্বার্থকেই গুরুত্ব দেন। নিজের সুখ, নিজের লাভ – এটাই যেন তাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। কিন্তু এই ধরনের স্বার্থপরতা কখনোই কোনো সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে পারে না।
আমাদের কেন ত্যাগ করতে হবে?
* মানবিকতার জন্য: আমরা সবাই মানুষ। আমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা এবং সহযোগিতা থাকা উচিত।
* সুখী জীবনের জন্য: ত্যাগের মাধ্যমে আমরা সত্যিকারের সুখ খুঁজে পাই।
* সমাজের উন্নতির জন্য: আমাদের প্রত্যেকেরই সমাজের উন্নতির জন্য কিছু করার দায়িত্ব রয়েছে।
ত্যাগ আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া উচিত। ত্যাগের মাধ্যমে আমরা না শুধুমাত্র নিজের সম্পর্ককে মজবুত করতে পারি, বরং সমাজকেও আরও ভালো করে তুলতে পারি। তাই আজ থেকেই আমরা সবাই মিলে ত্যাগের মহৎ গুণাবলীকে জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টা করি।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।