বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলা, মৃত ২২
বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, লেবাননের রাজধানীতে এপর্যন্ত সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েল। তারা দুইটি আলাদা আবাসিক এলাকায় দুইটি অ্যাপার্টমেন্টকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। একটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। অন্যটির নিচের তলাগুলি ধ্বংস হয়ে গেছে।
হিজবুল্লার আল মানার টিভির দাবি, ইসরায়েল ওয়াফিক সাফাকে টার্গেট করে আক্রমণ চালিয়েছিল। সাফা হিজবুল্লার সমন্বয়কারী ইউনিটের দেখভাল করেন। তারা জানিয়েছে, সাফা কোনো বাড়িতেই ছিলেন না।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ বৈরুত থেকে নিয়ে আসা তিন শিশু-সহ আটজনের পরিবার মারা গেছেন।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী হিজবুল্লার শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত দক্ষিণ বৈরুতে একের পর এক বিমান হামলা করছে। সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এবার খুবই ঘিঞ্জি মধ্য বৈরুত আঘাত হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাকারী মিশন থাকবে
জাাতিসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলা সত্ত্বেও তাদের শান্তিরক্ষাকারী মিশন সরানো হবে না।
লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাকারী মিশনের নাম ইউএনআইএফআইএল। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার নাকাউরাতে তাদের সদরদপ্তরে ইসরায়েলি কামান থেকে আক্রমণ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের এই সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ”গত ১২ মাসে এই ধরনের ভয়ংকর ঘটনা আগে হয়নি। আমরা ওখানে আছি, কারণ, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ওখানে থেকেই কাজ করতে বলেছে।”
এই আক্রমণের ফলে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা দুই শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। কিছু গাড়ি ধ্বংস হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের সেনা ইচ্ছে করে তাদের উপর আক্রমণ করেছে। আক্রমণের আগে তারা এলাকার ক্যামেরাগুলি বন্ধ করে দেয়।
জাতিসংঘের এই মিশনে ৫০টি দেশের ১০ হাজার শান্তিরক্ষী আছেন। তাদের লেবানন ও ইসরায়েলের সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে।
তাদের মূল কাজ হলো, লেবাননের সেনার সাহায্যে দেশের দক্ষিণ অংশে অস্ত্র উদ্ধার ও সশস্ত্র মানুষকে নিরস্ত্র করা। এই দক্ষিণ অংশই হিজবুল্লার নিয়ন্ত্রণে।
হাজার হাজার মানুষ ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে বেশ কিছু বেসামরিক সাধারণ মানুষ লড়াইয়ের মাঝখানে আটকে পড়েছেন। জাতিসংঘ ও কিছু এনজিও তাদের কাছে খাবার ও পানীয় জল পৌঁছে দিচ্ছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে