রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

দুপুরের খাবার আনতে সরকারি ব্যয় ২৮ লক্ষ টাকা

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:০৩ এএম | 169 বার পড়া হয়েছে
দুপুরের খাবার আনতে সরকারি ব্যয় ২৮ লক্ষ টাকা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস অফিস করতেন রাজধানীর ফুলবাড়িয়ার নগর ভবনে। তবে তিনি থাকতেন উত্তর সিটির অভিজাত এলাকা বনানীতে। তার বাসা থেকে নগর ভবনের দূরত্ব প্রায় ১১ কিলোমিটার।

তবে নগর ভবনে বসেই দুপুরে বনানীর বাসায় রান্নায় করা ভাত খেতেন তাপস। সেই ভাত আনার জন্য বরাদ্দ ছিল সরকারি একটা গাড়ি (ঢাকা মেট্রো খ ১২-০৩৯৬-সেডান কার)। গাড়ির চালক ছিলেন সিটি করপোরেশনের পরিবহন বিভাগের এক চালক। বনানী থেকে নগর ভবনে যাওয়া-আসায় গাড়িটি দিনে ২২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিত।

বনানী থেকে ফুলবাড়িয়ায় নগর ভবনে ভাত আনতে সেই গাড়ির জন্য জ্বালানি তেল (অকটেন) বরাদ্দ ছিল ২০ লিটার। এক লিটার অকটেনের দাম ১২৫ টাকা হিসেবে ২০ লিটারের জন্য ব্যয় হতো ২ হাজার ৫০০ টাকা। শুক্র ও শনিবার ছাড়া সেই গাড়ির জন্য মাসে বরাদ্দ ছিল ৪৪০ লিটার অকটেন।

সব মিলিয়ে বনানীর বাসা থেকে তাপসের দুপুরের খাবার আনতে মাসে খরচ হতো ৫৫ হাজার টাকা। যা বছরে গিয়ে দাঁড়ায় ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। তাপস ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন ৫১ মাস। এই সময়ের মধ্যে শুধু তাপসের দুপুরের খাবার আনার জন্য গাড়ির জ্বালানি বাবদ সিটি করপোরেশনের ব্যয় ২৮ লাখ ৫ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রথম আলো। প্রতিবেদনে পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তাদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। তারা বলছেন, প্রতি লিটার তেলে অন্তত ১০ কিলোমিটার চলতে পারে ওই গাড়ি। অথচ প্রতিদিন গাড়িটির জন্য ২০ লিটার করে তেল দেওয়া হতো।

 

পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, গাড়িটির জন্য প্রথম দিকে (২০২০ সালের জুন থেকে) দিনে ২৬ লিটার তেল বরাদ্দ দেওয়া হতো। তবে গত বছরের শুরু থেকে বরাদ্দ ৬ লিটার কমিয়ে ২০ লিটার করা হয়। মেয়রের ভাত আনা ছাড়া গাড়িটি অন্য কাজে ব্যবহার করা হয়নি।

বরাদ্দ করা বাকি জ্বালানি তেল কী করা হতো তা জানতে চাইলে গাড়িচালক নাজিরুল ইসলাম বলেন, মেয়রের দপ্তরের জরুরি কাজে বিভিন্ন স্থানে তাকে যেত হতো। যে কারণে দিনে ২০ লিটার তেলের পুরোটাই ব্যবহৃত হতো বলে দাবি করেন গাড়িচালক।

মো : রাজিকুল ইসলাম, ​সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

সিংড়ায় প্রফেসর সাইদুর রহমানের পক্ষে জামায়াতের উঠান বৈঠক

মো : রাজিকুল ইসলাম, ​সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৮ এএম
সিংড়ায় প্রফেসর সাইদুর রহমানের পক্ষে জামায়াতের উঠান বৈঠক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিংড়া উপজেলার ১২ নং রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের ভোগা গ্রামে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

​১২ নং রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত এই উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রফেসর সাইদুর রহমান। ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং ইউনিয়ন যুব জামায়াতের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভাটি পরিচালিত হয়।
​অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য আফছার আলী, উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আ ব ম আমান উল্লাহ, উপজেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক এনতাজ আলী সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

​সভায় বক্তারা আগামী নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ন্যায় এবং ইনসাফ এর প্রতীক দাঁড়িপাল্লাকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে দুর্নীতি চান্দাবাজ ও বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন সমস্যা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী প্রফেসর সাইদুর রহমানের পক্ষে সাধারণ মানুষের কাছে সমর্থন ও দোয়া কামনা করেন।

প্রকাশকঃ কামরুন নেছা তানিয়া

হ্নীলা নৌবাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও গ্রেনেড উদ্ধার

প্রকাশকঃ কামরুন নেছা তানিয়া প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৫ এএম
হ্নীলা নৌবাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও গ্রেনেড উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক: টেকনাফের হ্নীলায় নৌবাহিনীর বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের উলুচামারি কোনাপাড়া এলাকার শির্ষ সন্ত্রাসী মিজান ওরফে লম্বা মিজানের বাড়ীতে এ অভিযান চালানো হয়।
মিজান ওরফে লম্বা মিজানের বসতবাড়িতে বিপুল অস্ত্র মজুদ রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে নৌবাহিনীর বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াডস এবং নৌবাহিনী কনটিনজেন্ট টেকনাফ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে।
১টি বিদেশি ও ২টি দেশি পিস্তল, ১টি একনলা বন্দুক,১০ টি গ্রেনেড,গোলাবারুদসহ দেশী ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ময়মনসিং জেলা প্রতিনিধি মোঃ আবুল কালাম

মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ

ময়মনসিং জেলা প্রতিনিধি মোঃ আবুল কালাম প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৩ এএম
মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ

ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মুক্তাগাছা পৌর শহরের লক্ষীখোলা এলাকায় জনতার মুখোমুখি হন। নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে ঘিরে তাদের অভাব-অভিযোগ ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা মৌখিকভাবে উন্নয়ন, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, দুর্নীতি, জাতীয় রাজনৈতিক সংকট এবং মুক্তাগাছার দীর্ঘদিনের অবহেলিত সমস্যাগুলো নিয়ে প্রশ্ন করেন। প্রতিটি প্রশ্ন মনোযোগ দিয়ে শোনার পর তিনি তার পরিকল্পনা, প্রতিশ্রুতি ও বাস্তব সমস্যাগুলোর সমাধানে সম্ভাব্য কৌশল তুলে ধরেন।

এড. মতিউর রহমান আকন্দ বলেন—
“মুক্তাগাছার উন্নয়ন থেমে থাকবে না। দীর্ঘদিন ধরে যেসব সমস্যা অবহেলিত আছে, সেগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমাধান করতে চাই। জনগণের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়ই পরিবর্তনের পথ দেখায়।”

মাদক ও দুর্নীতি বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন—
“মাদক একটি পরিবারই নয়, পুরো সমাজকে ধ্বংস করে। এজন্য পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করাই আমার অবস্থান।”

শিক্ষা ও কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন—
“যুব সমাজকে দক্ষ করে তোলা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। মুক্তাগাছায় কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণ ও তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।”

জনতার সঙ্গে এ ধরনের উন্মুক্ত মতবিনিময় স্থানীয়দের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। অনেকেই মনে করছেন, সাধারণ মানুষের সমস্যা ও প্রত্যাশাকে সামনে রেখে নেতার এভাবে সরাসরি কথা বলা রাজনৈতিক আস্থাকে আরও দৃঢ় করবে।