শুক্রবার, ৮ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২
শুক্রবার, ৮ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২

সারাদেশে ৩২ হাজার ৬৬৬টি পূজামণ্ডপে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:০৮ পিএম | 81 বার পড়া হয়েছে
সারাদেশে ৩২ হাজার ৬৬৬টি পূজামণ্ডপে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে সারাদেশের পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এবারের দুর্গাপূজা ঘিরে ব্যাপক তৎপর রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আগামী ৯ অক্টোবর বুধবার মহাষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে দুর্গোৎসব। ১৩ অক্টোবর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পাঁচদিনব্যাপী এই উৎসবের শেষ হবে। সরকারি হিসেবে, সারাদেশে এ বছর ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।

এই উৎসব উপলক্ষে দেশজুড়ে পূজামণ্ডপ গুলোতে থাকবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আসন্ন দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইতোমধ্যে মাঠ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য একগুচ্ছ নির্দেশনাও জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

প্রতিটি মণ্ডপ ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে নিরাপত্তা বলয়। এছাড়া প্রতিটি মণ্ডপে পূজা চলাকালে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, র‌্যাব এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচ্চ পর্যায় থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকে এবার সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থানে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে মাঠপর্যায়ে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি চলছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর। যে কোনো গুজব প্রতিরোধে নজর রাখা হচ্ছে সাইবার স্পেসেও। এরপরও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, র‌্যাবের হেলিকপ্টারসহ স্ট্রাইকিং ফোর্স। গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরগুলোর প্রবেশপথে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। প্রয়োজনে পুরো এলাকা সুইপিং করবে ডগ স্কোয়াড ইউনিট।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রত্যেকটি ইউনিটের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক যে কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এর বাইরে মন্দিরের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবীরাও সার্বক্ষণিক তৎপর থাকবে। যে কোনো অসঙ্গতি দেখলে অবিলম্বে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিতে বলা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, দুর্গোৎসব ঘিরে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি বা হামলার তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তারপরও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন করতে শতভাগ নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছে, শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ পূজারীগণকেও কিছু নিরাপত্তা পরামর্শ প্রদান করেছে।

এসব পরামর্শগুলো হচ্ছে-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন-ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব অথবা ব¬গ ইত্যাদি এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যেন কোনো অপরাধমূলক ঘটনা বা গুজব সৃষ্টি করে কিংবা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক শান্তি বিনষ্ট করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকা। এ ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হলে পুলিশকে অবিলম্বে অবহিত করা।

এছাড়াও পূজামণ্ডপে আগত নারী ও পুরুষ দর্শনার্থীদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান পথের ব্যবস্থা করতে হবে। পূজামণ্ডপে কোনো ব্যাগ, থলে বা পোটলা নিয়ে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র স্থাপন করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে আর্চওয়ে গেইট স্থাপন করতে হবে। পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদেরকে আলাদা পোশাক, দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ও ‘স্বেচ্ছাসেবক’ লিখিত আর্মড ব্যান্ড প্রদান করতে হবে।

এদিকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনমনে আস্থা বৃদ্ধিতে সীমান্তবর্তী পূজামণ্ডপে বিজিবির টহল পরিচালনা করা হচ্ছে।

বিজিবির নীলডুমুর ব্যাটালিয়ন (১৭ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলায় সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত মোট ৩৯টি পূজামণ্ডপ রয়েছে। গত ৩ অক্টোবর এসব পূজাম-পসমূহ ও আশেপাশের এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক শাহ্ খালেদ ইমামের নেতৃত্বে ২টি পিকআপ যোগে ১ প্লাটুন বিজিবি সদস্য সকল পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও রেকি কার্যক্রম সম্পন্ন করে ।

পূজাম-পসমূহের সভাপতি, সনাতন ধর্মাবলম্বী জনসাধারণ ও সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতৃস্থানীয় ও গণ্যমান্য বক্তিবর্গের সাথে প্রয়োজনীয় মতবিনিময় করা হচ্ছে। এছাড়াও রেকিদল পূজাম-পসমূহে স্থাপিত সিসি ক্যামেরা, জেনারেটর, পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক, পূজামণ্ডপসমূহে দুস্কৃতিকারী কর্তৃক আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করছেন এবং বিজিবির বেইজ ক্যাম্প স্থাপনের জন্য স্থান পরিদর্শন করেছেন।

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই লক্ষাধিক আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বাসসকে বলেন, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিক। আইন-শঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আমরাও প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে নিজস্ব নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি। সরকারের পক্ষ থেকে সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও আনসার ইতোমধ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নিরাপত্তা নিয়ে পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী এবারের দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এতে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্ণেল মুনীম ফেরদৌস বাসসকে বলেন,শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিবারের মতো এ বছরও সারাদেশে ৩২ হাজারেরও বেশি পূজামণ্ডপে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে র‌্যাব। এ লক্ষ্যে র‌্যাব দেশব্যাপী চেকপোস্ট, গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল কার্যক্রম বাড়িয়েছে। পূজা উপলক্ষে যে কোনো ধরনের নাশকতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে র‌্যাবের কুইক রেসপন্স টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও নিরাপত্তায় থাকবে ডগস্কোয়াড।

সূত্র: বাসস

বিলাইছড়িতে ২ দিনের সফরে জেলা প্রশাসক– মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ 

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫, ৬:২৩ এএম
বিলাইছড়িতে ২ দিনের সফরে জেলা প্রশাসক– মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ 

বিলাইছড়ি (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি- রাঙ্গামাটির দুর্গম বিলাইছড়ি উপজেলায় শিক্ষা ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শনে ২ দিন সফর করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। প্রশাসক গত ৬ আগস্ট বুধবার ২ দিনের সফরে ফারুয়ার সাইচল ও ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন এবং দুর্গম ফারুয়া বাসীর সঙ্গে মত বিনিময় করেন। এছাড়াও ৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা চত্বরে পুলিশের একটি চৌকস দল প্রশাসককে গার্ড অব অনার করেন। পরে বিলাইছড়ি কলেজে প্রভাষক – অভিভাবক- শিক্ষার্থীদের ত্রিপক্ষীয় সভায় যোগদেন এবং কলেজের সুবিধা -অসুবিধার কথা জানেন। পরে গাছের চারা রোপণ করেন। এছাড়াও সফরে দুপুরে বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে কুশল বিনিময়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ব্যাগ বিতরণ, উপজেলা কর্মকর্তা ও জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় এবং বিকালে মুপ্প্যাচড়া ঝর্ণা পরিদর্শন করেন।

সফরে বিলাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন, কর্মকর্তা- কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা পুষ্পমাল্য দিয়ে প্রশাসককে বরণ করেন। এবং তাদের প্রাণের দাবি,উপজেলায় আবু সাইদ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ, বিলাইছড়ি কলেজটি জাতীয়করণ, দুর্গম বড়থলি ও ফারুয়া ইউনিয়নসহ বিদ্যুৎ বিহীন এলাকাগুলো সোলার প্যানেলে সৌর বিদ্যৎতের সু-ব্যবস্থা এবং মোবাইল নেটওয়ার্কে আওতায় নিয়ে আসা। হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য জনবল বাড়ানো। এছাড়াও বিলাইছড়ি টু ফারুয়া পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ উন্নত করা। গাছকাটা ছড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ এবং বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো এমপিওভূক্তকরণের দাবি তুলে ধরেন।

জবাবে প্রশাসক হাবিব উল্লাহ বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠাপনে উপজেলা সকলের অবদানের কথা স্বীকার করেন।ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রকৌশল থেকে একটি ভবন বরাদ্দ হয়েছে। খুব শ্রীঘ্রই ৩ তলা ১ টি ভবন হবে।পাশাপাশি উন্নয়ন বোর্ড হতে ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।তবে উন্নয়ন বোর্ডের এই ভবনটি হবে হোস্টেল। সেটি কোন দিকে হোস্টেল ও ভবন হবে স্থানীয়দের ঠিক করার দায়িত্ব দেন।তিনি শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্যে বলেন, স্বপ্ন দেখতে হবে, চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। দারিদ্র তোমার দূর্বলতা নয়।দারিদ্র কোনো অপরাধ নয়। “চেষ্টা” তোমাকে সফলতায় পৌঁছাতে পারবে। তিনি আরো বলেন, দারিদ্র বিমোচনের জন্য অন্যান্য পেশা পাশাপাশি ট্যুরিজমের উপর গুরুত্ব দেন এবং সিএইচটি রেগুলেশনের কথা বলেন।পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নে আশ্বাস দেন এবং গণ-অভ্যুত্থানে নিহত আবু সাইদ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণে প্রতিশ্রুতি দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হক, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম ফকির, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সুরজিত দত্ত, উপজেলা কৃষি অফিসার রাজেশ প্রসাদ রায়, থানা অফিসার ইনচার্জ মানস বড়ুয়া,১ নং বিলাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান,উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিরালা কান্তি চাকমা, বিলাইছড়ি কলেজের প্রভাষক ইয়াসমিন সুলতানা মনি, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সুবিনয় চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শান বিজয় চাকমা, কার্বারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুপকুমার চাকমা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম চাকমাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা – কর্মচারী, জন প্রতিনিধি এবং শিক্ষকবৃন্দ ।

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৮৭৮কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ

মো: রাসেল মোল্লা রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫, ৬:২০ এএম
রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৮৭৮কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ নেতা ও রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ৮৭৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল ৭আগস্ট বৃহস্পতিবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ(সিআইডি) বাদী হয়ে গুলশান থানায় এ মামলা দায়ের করেন। একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশে তাদের ১৩টি ব্যাংক হিসাব এবং যমুনা ফিউচার পার্কের ১ লাখ বর্গফুট কমার্শিয়াল স্পেস ক্রোক করা হয়েছে।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, রংধনু বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে জমি ক্রয় বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি গ্রহণ করে তা বিক্রয় করা হয়। রফিকুল ইসলামের ছেলে কাউসার আহমেদ অপু ও মেহেদী হাসান দিপু ২০২২ সালের ৮মার্চ বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুরুখী সমবায় সমিতির কাছে ৭দশমিক ৫৭৫১ একর জমি বিক্রি করেন। পরবর্তীতে ওই জমির মধ্য থেকে ৬ দশমিক ৩৩৭৫ একর জমি ২০২২ সালের ১ জুন বসুন্ধরা গ্রুপের ইস্ট ওয়েস্ট প্রোপার্টি লিমিটেডের কাছে পুনরায় বিক্রি করে ৫৭ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেন।

এছাড়া পুলিশের বহুমুখী সমবায় সমিতিতে বালিভরাটের ভূয়া কার্যাদেশ দেখিয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ২৭০ কোটি এবং ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ২০০ কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করেন। একইভাবে ইসলামী ব্যাংক বারিধারা শাখা থেকেও ভূয়া মূল্যায়ণ কপির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহন করেন।

অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা এসব অর্থ ফেরত না দিয়ে বিদেশে পাচার করেন। এদের একজন ক্যারাবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ অ্যান্টিগা ও বারবুডার নাগরিকত্ব গ্রহণ করে।

অর্থ পাচার, জালিয়াতি ও প্রতারণা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ২(৫)(৬)(১৪) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধে গতকাল ৭আগস্ট বৃহস্পতিবার সিআইডি গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৪।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অর্থ ও সম্পত্তি ক্রোকের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে৷

জাফর আউলিয়া মাদ্রাসার ৪ তলা ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আনোয়ার আলদীন

শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫, ৬:১৬ এএম
জাফর আউলিয়া মাদ্রাসার ৪ তলা ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আনোয়ার আলদীন

বিএনপি শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নে আজীবন কাজ করেছ

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী কপিলমুনি জাফর আউলিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার চার বিশিষ্ট নতুন ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসসের চেয়ারম‍্যান ও দৈনিক ইত্তেফাকের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার আলদীন। আনোয়ার আলদীন মাদ্রাসায় পৌছালে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় শিক্ষার্থীরা। পরে তিনি ফিতা কেটে এবং ফলক উন্মোচন করে মাদ্রাসা ভবনের উদ্বোধন করেন।

পরে আনোয়ার আলদীন বক্তব্য বলেন,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতির সামনে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফায় শিক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে হবে, শিক্ষার মান কীভাবে উন্নয়ন করা হবে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষিত জাতি গড়ার লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষাকে কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে ৩১ দফাতে। সমাজের অসঙ্গতি ও ভুল ফতোয়ার বিরুদ্ধে আলেমদের এগিয়ে আসতে হবে। ইসলামী শিক্ষায় আমি সবসময় আলেমদের সাথে কাজ করেছি এবং আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। শিক্ষার মান উন্নতি হলে শিক্ষিত জাতি গড়ার লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।

আনোয়ার আলদীন বলেন,এই মাদ্রাসাটি যুগ যুগ এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে দ্বীনের শিক্ষার আলো প্রজ্বলিত করে চলেছে।সমাজে মানুষকে ধর্ম ভীরু আদর্শ নীতিবান তাকওয়াবান করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মাদ্রাসা বড় ভূমিকা পালন করে।বিগত ১৫ বছরে মাদরাসাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে করায়ত্ব করে আওয়ামীলীগ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করেছিল।কোন কোন মাদ্রাসাকে তারা লুটপাট অপকর্মের আখড়ায় পরিণত করেছিল।এই মাদ্রাসাটি ছিল তার মধ্যে একটি। গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী এই প্রতিষ্ঠানের প্রধানও পালিয়ে গেছেন।এক্ষনে সময় এসেছে মাদ্রাসা শিক্ষার ঐতিহ্য আদর্শ প্রকৃতির দিকে ফিরে যাওয়ার।ইসলামের তাহজিব-তমুদ্দুন,মৌলিকত্ব অটুট রেখে যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলার।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জামিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,সহকারী কমিশনার(ভূমি) ইফতেখারুল ইসলাম শামীম, বক্তব্য বলেন,শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। বিশেষ অতিথির বক্তব্য পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডাঃ আব্দুল মজিদ(এমবিবিএস) বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিক্ষার প্রসারের জন্য আমারা আপনাদের সাথে সব সময় কাজ করবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক ও মানবধিকার কর্মী পারভেজ মোহাম্মদ,জামাত নেতা আবুল কাশেম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও অভিভাবক সদস্য তৌহিদুজ্জামান মুকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন, সদস্য তুষার কান্তি মন্ডল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ আব্দুল কাদের। শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহচরী বিদ্যা মন্দির স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) সঞ্জয় কুমার মন্ডল, মেহেরুন্নেসা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা আক্তার শম্পা, সহকারী প্রধান শিক্ষক খান মোঃ খলিলুর রহমান। জমি দাতা পরিবারের পক্ষ থেকে শেখ সাহাজূদ্দিন, শেখ ইউনুস আলী, শেখ সেকেন্দার আলী। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মাদ্রাসা ও স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাফর আউলিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আল আমীন মাহমুদ। দোয়া পরিচালনা করেন,সাবেক সিনিয়র সহকারী অধ্যাপক আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আবুল হোসাইন।

error: Content is protected !!