সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

বরেন্দ্র অঞ্চলে গ্রামে ওষুধের দোকানিরাই চিকিৎসকের ভূমিকায়

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ২:৩৩ পিএম | 75 বার পড়া হয়েছে
বরেন্দ্র অঞ্চলে গ্রামে ওষুধের দোকানিরাই চিকিৎসকের ভূমিকায়

রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির একেবারে প্রত্যন্তাঞ্চলের দেওলা গ্রাম। এ গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে এরশাদ আলী। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেই শেষ করেছেন শিক্ষাজীবন। নিজ গ্রাম দেওলা-ভিমপাড়া মোড়ে পাকাঘর তুলে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে করছেন ওষুধের দোকান। নেই দোকানের ড্রাগ লাইসেন্স, নেই কোনো চিকিৎসার প্রশিক্ষণের সনদ। শিশু-কিশোর বৃদ্ধসহ নানা বয়সি রোগীকে নিয়মিত চিকিৎসা দিচ্ছেন নিজেই। ডায়াবেটিস, হাইপ্রেসার, কাটা, ব্যথা, জ্বর-সর্দি হলেই নিয়মিত ব্যথানাশক ও অ্যান্টিবায়োটিক দিচ্ছেন রোগীদের।

একই উপজেলা বাধাইড় ইউপির বদলপুর গ্রামের জহরুল ইসলাম। প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিলেন তিনি। এরপর কৃষি কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন। কৃষি কাজ ভালো না লাগায় গত ৬ বছর আগে গ্রামের মোড়ে টিনের ঢপে করেছেন মুদির দোকান। দোকানে চাল, ডাল তেল লবণসহ চা-পানের ব্যবস্থা আছে। তার দোকান ঘরের সদার মধ্যে এক পাশে রেখে সাজানো অ্যান্টিবায়োটিকসহ নানা রোগের ওষুধ। মুদি দোকানি জহরুল ইসলামের বেশি রোগী এলাকার আদিবাসীসহ শ্রমজীবী মানুষ। রোগের কথা শুনে নিজে দিচ্ছেন ওষুধ।

জীবন রক্ষাকারী ওষুধের ভয়ংকর ব্যবহার ও চিকিৎসার গল্প দুটি শুধু তানোর উপজেলার দেওয়া ও বদলপুর গ্রামের নয়। রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাসহ পুরো বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রতিটি গ্রাম ও মোড়ে এমন হাজারও ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান গড়ে উঠেছে। আর মুদি দোকানে ওষুধ রাখার সংখ্যা আরও বেশি। এসব দোকানে গ্রামের সহজ-সরল মানুষের চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা হচ্ছে, দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক যার বেশিরভাগ নকল ওষুধ।

রাজশাহী জেলা ড্রাগিস্ট অ্যান্ড কেমিস্ট সমিতি আওতায় মুন্ডুমালা বাজারে রুবেল ফার্মেসি মালিক হালিমুজ্জামান রুবেল জানান, দেশের অনেক নামিদামি কোম্পানির নাম ব্যবহার করে এন্টিবায়োটিকসহ অনেক রকম নকল ওষুধ তৈরি করা হয়। এসব নকল ওষুধ কোম্পানির লোকজন লোভ দেখিয়ে গ্রামের ফার্মেসিগুলোকে তাদের ওষুধ বিক্রিতে উৎসাহ দেন। আর বেশি লাভের আশায় দোকানিরা নকল ওষুধ গ্রামের সহজ-সরল মানুষের কাছে উচ্চদামে বিক্রি করেন।

সরেজমিন গত এক সপ্তহ রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল ও নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার গ্রামঞ্চলে ঘুরে দেখা যায়, এমন কোনো গ্রামের মোড় নেই যেখানে একাধিক ওষুধের দোকান গড়ে ওঠেনি। এসব গড়ে ওঠা ওষুধের দোকানিরা নিজেই চিকিৎসকের ভূমিকা নিয়ে নানা ওষুধ দিয়ে থাকেন রোগীকে।

এসব বিষয়ে ড্রাগ লাইন্সেস বিহীন দেওয়া গ্রামে এরশাদ আলী ও বদলপুর মুদি দোকানি জহরুল ইসলামসহ একাধিক দোকানি বলেন, জ্বর-সর্দিতে নাপা ও স্যালাইন, গ্যাসের ওষুধ আমরা বিক্রি করে থাকি। হাতের কাছে ওষুধ পেয়ে গ্রামের মানুষের উপকার হয় বলে দাবি করেন তারা।

বাংলাদেশ ড্রাগিস্ট অ্যান্ড কেমিস্ট সমিতি রাজশাজী জেলা শাখার সহ-সভাপতি শামিম চৌধুরী বলেন, রাজশাহী জেলায় সমিতির আওতায় ৯শ’র বেশি ফার্মেসি রয়েছে। সমিতির ফার্মেসি ব্যবসায়ীরা চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন ছাড়া একটিও অ্যান্টিবায়োটিক রোগীদের দেন না। সমিতির পক্ষ থেকে ড্রাগ লাইন্সেস ছাড়া গ্রামে গড়ে ওঠা ও মুদির দোকানে ওষুধ বিক্রি বিষয়ে গত মাসের ২৪ তারিখে জেলা শহরে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। সে সেমিনারে জেলা সিভিল সার্জন ছাড়াও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থাকবেন। নকল ওষুধ ও গ্রামে যত্রতত্র গড়ে ওঠা ফার্মেসি বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা হবে।মুন্ডুমালা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্ম উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. দুরুল হুদা সকালের সময়কে বলেন, অযথা অ্যান্টাবায়োটিক ও ব্যথানাশক ওষুধ দিলে রোগীর রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা হারাবে। লিভার, কিডনি ড্যামেজ হয়ে পড়বে। পরে জটিল রোগ হলে অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজে লাগবে না। আর নকল ওষুধ সেবন করলে রোগীর আরও ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে।

১০ হাজার টাকা জরিমানা

পাইকগাছায় নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ কারেন্ট জাল জব্দ

শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি:- প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:৩০ পিএম
পাইকগাছায় নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ কারেন্ট জাল জব্দ

রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ও কারেন্ট জাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।পাইকগাছার গদাইপুর ইউনিয়নের মেলেক পুরাইকাটি গ্রামের সাধু পাড়ায় নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ কারেন্ট জাল আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে।এসময় মেলেক পুরাইকাটি গ্রামের প্রণব সাধুর বাড়ি থেকে ৩১৪ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ উদ্ধার করে এবং তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে।একই গ্রামের সত্য সাধুর বাড়ি থেকে ৪২ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল উদ্ধার করে এবং তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে।জব্দকৃত ৩১৪কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ, ৪২কেজি কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। উক্ত নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ও কারেন্ট জালের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় আনুমানিক ১লক্ষ ২০হাজার টাকা।অভিযান পরিচালনাকালে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর উদয় কুমার মন্ডল,পুলিশ উপপরিদর্শক বাবলা দাশ,উপজেলা আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষক মোঃ আলতাফ হোসেন,পেশকার মোঃ ইবরাহীম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন,নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ ও কারেন্ট জাল পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।এগুলো ক্রয় বিক্রয় মজুদ দণ্ডনীয় অপরাধ।উপজেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মুন্সীগঞ্জে মামলার রহস্য উদঘাটনে গোয়েন্দা পুলিশকে স্বীকৃতি প্রদান

মোঃ সুজন বেপারী প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:১০ পিএম
মুন্সীগঞ্জে মামলার রহস্য উদঘাটনে গোয়েন্দা পুলিশকে স্বীকৃতি প্রদান

মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানাধীন পদ্মা সেতুর মহাসড়কের বাইপাস লেন-এ একটি ক্লু-লেস হত্যা মামলা রহস্য উদঘাটন এবং শ্রীনগর থানাধীন মহাসড়ে ক্লু- লেস রোড ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন সহ দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং হত্যা কান্ড ব্যবহৃত বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বিদেশী পিস্তলসহ উদ্ধারসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় মুন্সিগঞ্জ জেলার সুযোগ্য ও মানবিক পুলিশ সুপার জনাব মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার মহোদয় অদ্য ইং ২৩/১২/২০২৪ তারিখ সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় মুন্সিগঞ্জ পুলিশ লাইন্স শহিদ কনস্টবল বোরহান উদ্দিন খান মিলনায়তন-এ মাসিক কল্যাণ সভার সভাপতি মুন্সিগঞ্জ জেলার সুযোগ ও পুলিশ সুপার মহোদয় ক্লু-লেস হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার করায় এবং ক্লু-লেস ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার করায় এবং লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় তদন্তকারী সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মুন্সিগঞ্জ জেলার সুযোগ্য ও মানবিক পুলিশ সুপার মহোদয় আমাকে সম্মাননা স্মারক হিসেবে নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদান করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মোহাম্মদ বদিউজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস্) জনাব মোঃ ফিরোজ কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিএসবি) জনাব কাজী হুমায়ূন রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেল) জনাব মোঃ বিল্লাল হোসেন মহোদয়।

ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতার এবং ক্লু-লেস ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান সহ অভিযানের সাহস এবং অভিযানের বিষয় সার্বিক সহযোগিতা করেন মুন্সিগঞ্জ জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার মহোদয় এবং অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ ইশতিয়াক আহমেদ রাসেল, জেলা গোয়েন্দা শাখা মুন্সিগঞ্জ মহোদয়।

মাধবপুরে মুফতি গিয়াস উদ্দিন ত্বাহেরী নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবী তে মানববন্ধন করছেন

হবিগঞ্জ ( মাধবপুর প্রতিনিধি )ফোরকান উদ্দিন রোমান  প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:১৮ পিএম
মাধবপুরে মুফতি গিয়াস উদ্দিন ত্বাহেরী নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবী তে মানববন্ধন করছেন

আজ( ২১শে ডিসেম্বর ) শনিবার সকাল ১১ টা দিকে মাধবপুর উপজেলা গেইটের সামনে

মুফতি গিয়াস উদ্দিন ত্বাহেরী নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী তে মানববন্ধন পালন করছেন,

মাধবপুর উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠন এবং সকল পীর মাশায়েখগন।

মুফতি দুলাল ইসলাম বীন নুরী বলেন, মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর নামে যে মামলাটি করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমরা তার নামে মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহার চাই,

শেখ তানভীর হোসাইন আরিফ বলেন, মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরি আমাদের গর্ব, উনার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহার করা হোক,

মাধবপুর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনেক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন,