সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

মো: রেজাউল করিম, ঠাকুরগাঁও

পীরগঞ্জে ভারতীয় ইয়াবাসহ বাইসাইকেল আটক

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫:৫১ পিএম | 23 বার পড়া হয়েছে
পীরগঞ্জে ভারতীয় ইয়াবাসহ বাইসাইকেল আটক

বিশেষ অভিযানে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ৪২ বিজিবি কর্তৃক ভারতীয় ইয়াবাসহ বাইসাইকেল আটক।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেশের সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের জানমাল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চোরাচালান, মাদক, মানব ও অস্ত্র পাচারসহ বিভিন্ন আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে বাহিনীটি বরাবরই প্রশংসনীয় সাফল্য প্রদর্শন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ৭টার সময় দিনাজপুর ব্যাটালিয়ন (৪২ বিজিবি) এর অধীনস্থ দানাজপুর বিওপি’র একটি টহল দল অভিযান পরিচালনা করলে ৩৩৯ নং পিলার হতে আনুমানিক ৭০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চন্দ্রাগ্রাম এলাকায় তল্লাশী চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ৪৭ পিস ভারতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ০১টি বাইসাইকেল উদ্ধার করেছে বিজিবি।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং বাইসাইকেল এর বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। একই সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া সংশ্লিষ্ট মাদক ব্যবসায়ীদের শনাক্তকরণ যথাযথ ব্যবস্থা নিতে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

চুদলিং পং কমেন্ট করায় ব্যাপক সংঘর্ষ ১জন গুলিবিদ্ধ

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:০৩ পিএম
চুদলিং পং কমেন্ট করায় ব্যাপক সংঘর্ষ ১জন গুলিবিদ্ধ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার রসুলপুর এলাকায় রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১ টায় ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধসহ মোট ৫ জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন- তারাব পৌরসভার বরাব ছাপরা মসজিদ এলাকার আল ইসলামের ছেলে শহিদুল ওরফে ডাকাত শহিদুল। শহিদুলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারাব পৌরসভার রসুলপুর এলাকার মৃত সুজাত আলীর ছেলে সাকিবুল হাসান রূপগঞ্জ মানবাধিকার সংস্থার সদস্য হন। এ নিয়ে তার নিজস্ব ফেইসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে একই এলাকার আবু দায়েন প্রধানের ছেলে ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রদল উত্তরের সাবেক সভাপতি মাহিম মিরাজ “চুদ লিং পং” লিখে কমেন্ট করেন।
এরই জের ধরে রাত ১১ টার দিকে সাকিবুল হাসান ও মাহিমের বাগবিতণ্ডা হয়, পরে উভয় পক্ষের লোকজন পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় সাকিবের বাড়িঘরসহ আরো কয়েকটি বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। সংঘর্ষে সাবেক যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম ওরফে ডাকাত শহিদুল মাহিমের পক্ষে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে শহিদুল গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাকিবুল ইসলাম জানান, আমি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন রূপগঞ্জ শাখার সদস্য নির্বাচিত হই, এ বিষয়ে আমার নিজস্ব ফেসবুকে পোস্ট করি, সেই পোস্টে উদ্দেশ্যে প্রনোদিতভাবে স্থানীয় যুবদলের সভাপতি রবিউলের ভাগিনা সন্ত্রাসী মাহিম মিরাজ আপত্তিকর কমেন্ট করে, আমি সেই কমেন্টের প্রতিবাদ করলে মাহিম তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়, বাড়িঘর তছনছ করে লুটপাট চালায়, মাহিমদের সাথে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় রূপগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী ডাকাত শহিদুল, শহিদুল তার নিজ পিস্তল দিয়ে গুলি করার সময় নিজ হাতে গুলিবিদ্ধ হন। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৫ জনের মতো আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। দুই পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে

অঞ্জনা চৌধুরী নির্বাহী সম্পাদক উজ্জ্বল বাংলাদেশ

কাজিপুরে আন্তঃশ্রেণি ফুটবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

অঞ্জনা চৌধুরী নির্বাহী সম্পাদক উজ্জ্বল বাংলাদেশ প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:০৩ পিএম
কাজিপুরে আন্তঃশ্রেণি ফুটবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

অঞ্জনা চৌধুরী নির্বাহী সম্পাদক উজ্জ্বল বাংলাদেশ:- সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার আমিনা মনসুর ডিগ্রি কলেজে আন্তঃশ্রেণি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে কলেজ মাঠে ইে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

খেলায় দ্বাদশ শ্রেণি দল একাদশ শ্রেণি দলকে ২-০ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলা শুরুর পূর্বে উভয় দলের খেলোয়াড়দের সাথে কুশল বিনিময় ও খেলা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ কেএম নজরুল ইসলাম।

খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফাইনাল খেলাটি পরিচালনা করেন রেফিারি জহুরুল ইসলাম, বাবু। তাদের সহযোগিতা করেন জাহিদুল ও কোরবান আলী। গোল জাজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারি অধ্যাপক আতাউর রহমান ও প্রদর্শক চান মিয়া।

সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয় দ্বাদশ শ্রেণির সম্রাট।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন খেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যগণ, রেফারিসহ শিক্ষকমন্ডলী ও কর্মচারীগণ।

 

মাধবপুর উপজেলা প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারি অভিযোগে পদত্যাগ দাবি

মাধবপুর উপজেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫:৫৯ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারি অভিযোগে পদত্যাগ দাবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার এমপিওভুক্ত খান্দুরা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম, স্বাক্ষর জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন।

অভিযোগকারীরা এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত তিন বছরে মাদ্রাসার বাজেটভুক্ত কোনো উন্নয়ন বা মেরামত কাজ হয়নি। তহবিল থেকে বড় অঙ্কের টাকা উত্তোলন করা হলেও তার কোনো হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। ভর্তির টাকা, মাঠ সংস্কার ব্যয়, ক্রীড়া সামগ্রী ক্রয়সহ বিভিন্ন খাতে অর্থ লেনদেনে স্বচ্ছতা নেই। নতুন শিক্ষকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া এবং বদলি–নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও তোলা হয়েছে। অভিযোগকারীরা আরো বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ম্যানেজিং কমিটির নাম ব্যবহার করে কোনো বৈধ সভা ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সুপার। স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাৎ এবং ফান্ডের টাকা এককভাবে ব্যয় করাও তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের অংশ।

এ ছাড়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর ও অভিভাবকসহ একাধিক নারীর সঙ্গে সুপারের অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এবং এসব সম্পর্কের কিছু ছবি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। শিক্ষকদের দাবি, এসব কর্মকাণ্ডে প্রতিষ্ঠানের সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। পাশাপাশি সুপারের অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলা, শিক্ষক–কর্মচারীদের মানসিকভাবে নির্যাতন ও অপমান করার অভিযোগও রয়েছে।
অভিযোগকারীরা জানান, এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতার প্রভাব ব্যবহার করে তাঁদের উপর ভীতি ও চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে মাদ্রাসার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হয়েছে এবং শিক্ষক–শিক্ষার্থী উভয়েই উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।

অভিযুক্ত সুপার জহিরুল ইসলাম তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এগুলো এক ধরনের ষড়যন্ত্র। কোনো অভিযোগের প্রমাণ নেই। কারো কোনো সমস্যা থাকলে বসেই সমাধান করে দেব।” তবে নারী কেলেঙ্কারির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অসুস্থতার কথা বলে কোনো মন্তব্য করেননি।

এ বিষয়ে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা নাসরিন বলেন, “তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু অসুস্থতার কথা বলে তিনি আসেননি। অভিযোগগুলো গুরুতর। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঘটনাটি বর্তমানে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের দাবি—যত দ্রুত সম্ভব স্বচ্ছ তদন্ত করে সত্য উদ্ঘাটন এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক।