রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

জামায়াত ও আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা করছে- আজিজুল বারী হেলাল।

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:০১ পিএম | 59 বার পড়া হয়েছে
জামায়াত ও আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা করছে- আজিজুল বারী হেলাল।

 

বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল আজ ১২ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১:৩০ মিনিটে দিঘলিয়ার পথের বাজারে সকল দোকানদারের সাথে সাক্ষাৎ করে দিনের নির্বাচনী কর্মসুচি শুরু করেন, একটি বাড়ী একটি গাছ সবুজায়নের অঙ্গীকার স্লোগান ড়্যালী সহ কয়েকটি ভ্যানে গাছের চাড়া নিয়ে দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রোপন করেন।
পথেরবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে বৃক্ষরোপণ করেন।এরপর বেলা ২ টায় ফাতেমা মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের এবং শিক্ষকদের সাথে নিয়ে বৃক্ষরোপণ শেষে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
২:৪৫ মিনিটে সেনহাটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ছাত্রীদের এবং শিক্ষকদের সাথে বৃক্ষরোপণ করেন।ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে করে বক্তব্য রাখেন এরপর সরোয়ার খান ডিগ্রি কলেজে বৃক্ষরোপণ শেষে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং
বিকাল ৪:৩০ মিনিটে সেনহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়
সমাবেশের সভাপতিত্বে ছিলেন এম সাইফুর রহমান মিন্টু
প্রধান অতিথি আজিজুল বারী হেলাল বলেন দিঘলিয়া উপজেলা একটি শিল্প অঞ্চল কিন্তু আজ মৃত, এখানে স্টার জুট মিল ছিলো সেটাও বন্ধ, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে তবে দেশের অর্থনীতি পরিবর্তন করবো,আমরা বলছি ১ কোটি বেকার এর চাকরির ব্যাবস্থা করবো,ফ্যামিলি কার্ড, রেশন কার্ড, এবং হেলথ কেয়ার ইউনিট গঠন করবো, আমরা যোগাযোগ ব্যাবস্থা উন্নতি সাধন করবো, আমরা দিঘলিয়া, রুপসা, তেরখাদায় নদীর এপার ওপার সংযোগ
ঘটাবো ব্রিজ তৈরি করে।
তিনি আরও বলেন একটি রাজনৈতিক দল তার অপকর্মের জন্য দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, দেশের জনগণ এবং আওয়ামী লীগ চিন্তা করবে তারা নির্বাচন করবে কিনা? আদৌ তারা নির্বাচন করতে পারবে কিনা আল্লাহ ভালো জানেন কিন্তু তারা যে অন্যায় করেছে আদালত তার বিচার করবেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কিনা আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।
বি এন পি বিচার না করে একটি রাজনৈতিক দল হয়ে আরেকটি রাজনৈতিক দলকে নির্বাহী আদেশে বা মুখের কথায় কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিপক্ষে।
জামাত আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি বা সব দলকে বন্ধ করে দিয়ে একা রাজনৈতিক দল হিসেবে থাকতে চায়।জামাত এই প্রথম সবার আগে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়েছে, আপনারা দেখেছেন ডাকসু, জাকসু,রাকসুতে তাদের শিবির জিতে গেছে দেখে তারা ধারণা করেছিলো সংসদ নির্বাচনে তাদের জোয়ার উঠবে কিন্তু যখন বিএনপি দলীয় মনোনয়ন দিলো বিএনপির প্রার্থীরা হাটে বাজারে নেমে গেলো তখনই পরিবেশ পালটে গেলো, জামাত যখন দেখলো বিএনপির সাথে ভোটে জিততে পারবেনা,এখন তারা আবার নির্বাচন পিছাতে চায়।
খুলনা -৪ নির্বাচনী এলাকায় আপনারা বৃক্ষ রোপণ করবেন,আমাদের এই একটি বাড়ী একটি গাছ সবুজায়নের অঙ্গীকার প্রকল্প চলমান থাকবে।
হেলাল আরো বলেন জামাত রাজনৈতিক ক্ষুদ্র স্বার্থে মহান ইসলাম ধর্মকে বিক্রি করছেন।
সভায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খান জুলফিকার আলি জুলু, শেখ আব্দুর রশিদ, এনামুল হক সজল, নাজমুস সাকিব পিন্টু, আরিফুল ইসলাম আরিফ,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আতাউর রহমান রনু,বাবু উজ্জ্বল কুমার সাহা,রকিব মল্লিক,মোজ্জামেল শরিফ, মোল্লা নাজমুল হক,মোল্লা মনিরুজ্জামান, মোল্লা বেল্লাল হোসেন, আবুল কাশেম,রেজাউল ইসলাম,কুদরত-ই-এলাহি স্পিকার, আব্দুল কাদের জনি,মনিরুল গাজী,হিমেল লিটন শেখ,জুয়েল বিশ্বাস, মোসলেম উদ্দিন, শফিউদ্দিন শাফি,মুকিত মীর,নিপু, ফারুক খন্দকার, আলম চৌধুরী, বাদশা গাজি মোহাম্মদ আলী টুটুল, বাবুল, রয়েল, নিজাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রচারণা ফরমাইশখানা মিতালী সংঘ মাঠে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে শেষ হয়।

ভূঞাপুরে দুই মাদক কারবারি আটক: ৫০ পিস ইয়াবা জব্দ

মোঃ মিজানুর সরকার টাঙ্গাইল প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:০১ এএম
ভূঞাপুরে দুই মাদক কারবারি আটক: ৫০ পিস ইয়াবা জব্দ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে উপজেলার ফসলান্দি এলাকার ইব্রাহীম খাঁ সরকারি কলেজের ২নং গেটের পাশের একটি নির্মাণাধীন দোতলা ভবনে মাদক কেনাবেচার সময় শাকের আলী (৩৭) কে আটক করা হয়। সে ফসলান্দি গ্রামের শুকুর হাজীর ছেলে। অপর জন মুন্নাফ (৫২) মাটিকাটা গ্রামের আনছের আলীর ছেলে, তাকে তার নিজ এলাকা মাটিকাটা থেকে আটক করা হয়। দুই জনকে মাদক দ্রব্য আইনে রবিবার ৭ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভূঞাপুর থানা পুলিশের একটি অভিযানিক দল দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে তার দেহ তল্লাশি করা হলে, তার পরিহিত কালো ট্রাউজারের ডান পকেট থেকে একটি সাদা পলিথিনে মোড়ানো ৫০ পিস হালকা কমলা রঙের ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। ডিজিটাল পরিমাপক যন্ত্রে এর ওজন ৫ গ্রাম এবং আনুমানিক বাজার মূল্য ১৫ হাজার টাকা বলে জানা যায়।স্থানীয় দুই সাক্ষী এবং একজন পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে জব্দ তালিকা তৈরি করে আলামত জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শাকের আলী দাবি করে, এই ইয়াবা ট্যাবলেটগুলি সে মুন্নাফের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ মুন্নাফকেও তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। জানা যায়, আটককৃত উভয় আসামীর বিরুদ্ধেই আগে একাধিক মামলা রয়েছে। শাকের আলীর বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা রয়েছে। মুন্নাফের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, দ্রুত বিচার আইন এবং দণ্ডবিধির ধারায় মোট পাঁচটি মামলা বিচারাধীন আছে।

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে, এই দুই জন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং তারা যুবসমাজসহ সাধারণ মানুষকে মাদকের জালে ফেলছে। এ-ই বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিনিময়যোগ্য নয় শিশুপ্রাণ: ভূঞাপুরে মানবিকতার টোলবাজি

মোঃ আব্দুল হান্নান মিলন তালুকদার প্রকাশিত: শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২:৫৭ পিএম
বিনিময়যোগ্য নয় শিশুপ্রাণ: ভূঞাপুরে মানবিকতার টোলবাজি

ভূঞাপুরে যমুনা সেতুর আঞ্চলিক সড়কের জিগাতলা নামক একটি স্থানে সংঘটিত এক করুণ ঘটনা আমাদের জাতীয় বিবেকের মূলে কুঠারাঘাত করেছে। মাত্র দশ বা পাঁচ টাকার জন্য-পথচারীদের, সম্ভবত নিরীহ শিশুদের পর্যন্ত ছুরিকাঘাতের এই চিত্র আমাদের সমাজের এক শ্রেণির মানুষের নৈতিক অবক্ষয়ের যে গভীরতা ও নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়েছে, তা ভাষাহীন করে দেয়। এ কেবল একটি আইনি অপরাধ নয়, এ হল আমাদের সামষ্টিক মনুষ্যত্বের বিপর্যয়ের প্রতীকী অভিব্যক্তি। যেখানে অবকাঠামো উন্নয়ন ও মানবিকতার বিপর্যয় মিলিত হয় এই নির্মমতা যে স্থানে সংঘটিত, তা নিছক কাকতালীয় নয়। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর এলাকা দীর্ঘদিন যাবৎ যোগাযোগ ব্যবস্থার চরম দুরবস্থা ও জনদুর্ভোগের কেন্দ্রস্থল। প্রধান মহাসড়কে যানজট এড়াতে উত্তরবঙ্গ থেকে আগত যানবাহনগুলোকে প্রায়শই ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক সড়কের ২৯ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। এই বর্ধিত পথেও পাথাইলকান্দি, সিরাজকান্দি, ন্যাংড়া বাজার, ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ডের মতো এলাকায় যানজট ও ধীরগতির যন্ত্রণা পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের। এমনকি সাম্প্রতিক সময়েও যমুনা সেতুর আগে ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহন ধীরগতিতে ও থেমে থেমে চলাচল করছে। একদিকে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলেও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা রেল সংযোগ, অন্যদিকে দুর্বল তদারকিতে বারবার দূর্ঘটনাকবলিত সেতু-এসব দৃশ্যপট আমাদের সামনে অবকাঠামোগত সাফল্য ও ব্যবস্থাপনাগত ব্যর্থতার এক দ্বৈত চিত্র উপস্থাপন করে। কিন্তু জিগাতলার ঘটনা আমাদের দেখিয়ে দিল, এই ব্যবস্থাপনাগত ও নৈতিক ব্যর্থতা কখনও কখনও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পথচারীদের হাতে ছুরে ফেলা উরটাকা ধরতে কমল মতি শিশু দের ব্যাবহার করা হচ্ছে। শিশুটি প্রানের যুকি নিয়ে সে-ই টাকা ধরতে ছুটা ছুটি করতে দেখা যায়। শিশু নিরাপত্তা আজ প্রশ্নের মুখে। দশ টাকার লোভে একজন মানুষের জীবন বিপন্ন করার এই মানসিকতা সমগ্র জাতির জন্য এক ভয়াবহ সতর্কবার্তা। বাংলাদেশে

শিশুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট আইন ও নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু আইনের বইয়ের পাতা এবং রাস্তার বাস্তবতার মধ্যে এক দুস্তর পার্থক্য বিদ্যমান। আইন তখনই কার্যকর হয় যখন তা সমাজের প্রতিটি স্তরে মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিক চেতনার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে থাকে। একটি শিশুর জীবনকে দশ টাকার বিনিময়যোগ্য মনে করা যে পতিত মানসিকতার পরিচয় দেয়, তার বিরুদ্ধে কেবল ফৌজদারি বিধিই যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন গোটা সমাজের এক ঐক্যবদ্ধ, সাহসী ও নৈতিক অবস্থান।

জিগাতলার ঘটনার মতো যেকোনো নৃশংসতার বিরুদ্ধে শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সীমিত না থেকে সক্রিয় ও জোরালো সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলা খুবই প্রয়োজন।

আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজের আশেপাশের শিশুদের নিরাপত্তার প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা। পথেঘাটে শিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনা দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষকে জানানো এবং প্রয়োজনে সামাজিকভাবে বাধা দেওয়া। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধ, সহমর্মিতা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধার শিক্ষা জোরদার করা খুবই প্রয়োজন।

এধরণের ঘটনায় দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে একটি উদাহরণ স্থাপিত হয় যে শিশুর প্রতি সহিংসতার কোনো সহ্যযোগিতা নেই।ভূঞাপুরের এই করুণ ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, প্রকৃত উন্নয়ন শুধু সেতু, সড়ক বা রেললাইনে মাপা যায় না। প্রকৃত উন্নয়নের মাপকাঠি হল, একটি শিশু তার বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে কতটা নির্ভয়ে ও নিরাপদে হাঁটতে পারে। আসুন, আমরা সম্মিলিত কণ্ঠে বলি-একটি শিশুর প্রাণ, একটি পরিবারের ভবিষ্যৎ, আমাদের জাতির সম্ভাবনা, কোনোভাবেই দশ কিংবা পাঁচ টাকার বিনিময়যোগ্য নয়। আমাদের সমবেত সচেতনতাই পারে এই নৈতিক টোলবাজি রোধ করতে এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।

টাঙ্গাইলে বিরল দৃষ্টান্ত: বিএনপির মনোনয়ন পেলেন আপন দুই ভাই পিন্টু ও টুকু

মোঃ খন্দকার আউয়াল ভাসানী, টাঙ্গাইল প্রকাশিত: শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:০৮ এএম
টাঙ্গাইলে বিরল দৃষ্টান্ত: বিএনপির মনোনয়ন পেলেন আপন দুই ভাই পিন্টু ও টুকু

টাঙ্গাইলের রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে এক অভূতপূর্ব ঘটনা—একই দলে আপন দুই ভাইয়ের দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে দুই ভাইকে প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে পাঠিয়েছে। টাঙ্গাইল–২ (ভূঞাপুর–গোপালপুর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু। দীর্ঘ ১৬ বছরের কারাবরণ শেষে তিনি ইতোমধ্যে “মজলুম জননেতা” হিসেবে এলাকায় বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছেন। উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও তৃণমূল রাজনীতিতে তার সক্রিয় ভূমিকা মনোনয়নের পর এলাকা জুড়ে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে টাঙ্গাইল–৫ (সদর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন তার ছোট ভাই, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। ছাত্রদল থেকে রাজনীতির দীর্ঘ পথচলায় টুকু বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত মুখ। তার মনোনয়ন প্রাপ্তিতে দলে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের কাছে তিনি যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য নেতা হিসেবে বিবেচিত। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দুই ভাইয়ের একসাথে মনোনয়ন পাওয়া শুধু টাঙ্গাইলেই নয়, সারাদেশেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনাকে বহুজন ‘টাঙ্গাইলের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।

মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই ভূঞাপুর, গোপালপুর ও টাঙ্গাইল শহরে বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যায়। দলীয় কার্যালয়গুলোতে ভিড়, মিষ্টি বিতরণ এবং শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। স্থানীয় নেতাদের আশা—পিন্টু ও টুকুর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, জনপ্রিয়তা ও মাঠ-পর্যায়ের কর্মক্ষমতা দলকে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী করবে এবং টাঙ্গাইলের রাজনৈতিক সমীকরণেও গুরুত্বপূর্ণ বদল আনতে পারে। বিএনপির তৃণমূল মনে করছে, দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবেই দুই ভাইয়ের এ মনোনয়ন দলীয় সংগঠনকে সামনে নতুন প্রাণশক্তি দেবে এবং নির্বাচনী প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।