হাফিজুর রহমান কালীগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
কালীগঞ্জে দুই পেট্রোল পাম্পকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা
পরিমাপের পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল কম দেওয়াসহ ডিজিটাল মিটারে সিল জালিয়াতির ঘটনায় দু,টি পেট্রোল পাম্পের মালিকের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮ টা হতে সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত ঘণ্টা ব্যাপী সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুজা মন্ডলের নেতৃত্বে এবং বি এস টি আই এর পরিদর্শক আবু হাসানকে সাথে নিয়ে কাজী গিয়াস উদ্দিনের মালিকাধীন কালিগঞ্জ ফিলিং স্টেশন এবং আজিজ আহমেদ পুটুর মালিকাধীন ষ্টার ফিলিং স্টেশনে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে এ জরিমানার টাকা আদায় করা হয়। প্রথমে কালিগঞ্জ ফিলিং স্টেশনে গেলে সেখানে ওজনের পরিমাপে কম এবং ডিজিটাল মিটার টেম্পারিংয়ের কারণে ম্যানেজার প্রসাদ ঘোষের নিকট থেকে জরিমানার ২০ হাজার টাকা আদায় করা হয়। ওই সময় বিএসটিআইয়ের পরিদর্শক আবু হাসানকে দেখে ফিলিং স্টেশন মালিক গিয়াস উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন প্রতি মাসে ৪০/৫০ হাজার টাকা মাসোহারা দেওয়ার পরও কেন এই অভিযানের নামে হয়রানি। ঐ সময় সাংবাদিকদের সামনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিব্রতকর অবস্থায় পড়লে পরিমাপের কম এবং ডিজিটাল মিটারে সীল টেম্পারিং য়ের কারণে এ জরিমানার টাকা আদায় করা হয়। এরপর অন্য পৃথক অভিযানে স্টার ফিলিং স্টেশনে অভিযান চালিয়ে সেখানে ওজনের পরিমাপে ঠিক থাকলেও ডিজিটাল মিটারে সীল টেম্পারিংয়ের কারণে ফিলিং স্টেশন মালিক আজিজ আহমেদ পুটুর উপস্থিতিতেই তার ম্যানেজার কৌশিক চ্যাটার্জির নিকট থেকে জরিমানার ২০ হাজার টাকা আদায় করা হয়। সিল টেম্পারিং করে উপজেলা এবং জেলা জুড়ে তেল পাম্প বা ফিলিং স্টেশন গুলোতে দীর্ঘদিন যাবত পরিমাপে কম দিয়ে সাধারণ মানুষদের নিকট থেকে টাকা হাতে নিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। যে কারণে বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তাদের মাসোহারা মোটা অংকের টাকা দিয়ে অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত রাখার পাঁয়তারা চালাইয়া আসছিল বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা। কিন্তু বর্তমানে উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতায় আবারো নতুন মাত্রায় অভিযান শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে এলাকার সাধারণ মানুষের











