শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

মামুনুর রহমান, ঈশ্বরদী, পাবনা

পাবনা জেলার বয়স বেড়ে দাঁড়ালো ১৯৭ বছর

মামুনুর রহমান, ঈশ্বরদী, পাবনা প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১:০৮ পিএম | 90 বার পড়া হয়েছে
পাবনা জেলার বয়স বেড়ে দাঁড়ালো ১৯৭ বছর

আজ ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দেশের অন্যতম প্রাচীনতম ও ইতিহাস সমৃদ্ধ জেলা পাবনার ‘জন্মদিন’। এবার পাবনা জেলার বয়স বেড়ে দাঁড়ালো ১৯৭ বছর। ১৮২৮ সালের ১৬ অক্টোবর পাবনাকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পাবনার জন্মদিন উপলক্ষে ‘পাবনা প্রেসক্লাব’ ‘আজকের প্রজন্ম ফোরাম’ সহ বিভিন্ন একটি সংগঠন বৃহস্পতিবার বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

পাবনা জেলার ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৭৯০ সাল অবধি বর্তমান পাবনার বেশীরভাগ অংশ রাজশাহী জেলার একটি থানা হিসাবে ছিল। জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার ম্যাজিষ্ট্রেট এ ডাব্লিউ মিল্সকে ১৮২৮ সালে পাবনায় জয়েন্ট ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করা হয়।

১৮২৮ সালের ১৬ অক্টোবর পাবনাকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর চার বছর পর ১৮৩২ সালে জয়েন্ট ম্যাজিষ্ট্রেটের পরিবর্তে ডেপুটি কালেক্টর নিয়োগের মাধ্যমে পাবনা পায় পূর্ণাঙ্গ জেলার মর্যাদা পায়। কোম্পানি শাসনের অবসানের পর ১৮৫৮ সালে বৃটিশ সম্রাজ্ঞী রাণি ভিক্টোরিয়ার শাসনাধীনে চলে যায় পাবনা জেলা। এর আগে ১৮৫৫ সালে ময়মনসিংহ জেলা থেকে সিরাজগঞ্জ থানাকে পৃথক করে পাবনা জেলার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

১৮৭৮ সালের ১৯ জানুয়ারি মাসের জেলার ঈশ্বীরদীতে প্রথম রেলপথ স্থাপিত হয়। প্রথম মোটর সার্ভিসের প্রবর্তন করা হয় ১৯২৬ সালে। ১৯৪০ সালের পর পাবনা শহরে রিকশার প্রচলন ঘটে। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ভুট্টা আন্দোলন, খাপড়া ওয়ার্ড আন্দোলন মহান মুক্তিযুদ্ধ, চব্বিশের জুলাই আন্দোলনসহ সবক’টি আন্দোলন সংগ্রামে পাবনা জেলার রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস।

হোসিয়ারি শিল্প, তাঁত, কাঁচি, বেনারসি-কাতানসহ অন্যান্য শিল্প সমৃদ্ধ এই জেলা একসময়ে ছিল দেশের অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্র। ৩৫১ দশমিক ৫০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট পাবনা জেলা ৯টি উপজেলা, দু‘টি থানা ও ৭৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

‘পাবনা’ নামকরণ যেভাবে : রাধারমন সাহা তার ‘পাবনা জেলার ইতিহাস’ গ্রন্থে পদ্মার অববাহিকা ‘পাবনী’ থেকে পাবনা’র নামকরণ হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ফরাসি শব্দ ‘পানবহ’ এর অভিধানিক অর্থ তুলা বা তুলাজাত দ্রব্য। তন্তুবায়ী বা তাঁতীর সংখ্যাধিক্য ছিল এই জেলায় প্রাচীনকাল থেকেই। এই সব তন্তুবায়ীরা তুলা বা তুলাজাত দ্রব্য থেকেই কাগজ তৈরী করত। এই জাতিবাচক শব্দ ‘পানবহ’ থেকে পাবনা শব্দের উৎপত্তি ঘটেছে বলে অনেকে মনে করেন।

ইতিহাস সূত্রে পাওয়া যায়- প্রাচীন জনপদ পুন্ড্রবর্ধনের নামকরণ হয়েছিল ভূতপূর্ব বাঙ্গালা রাজ্যের সামন্ত রাজা পুন্ড্রবর্ধনের নামানুসারে। এর উপরাজ্যে এলাকা পান্ডবভূমি হিসেবে খ্যাত। তার কেন্দ্রস্থল ছিল পুন্ড্রনগর বা মহাস্থানগড়। অনেকে মনে করেন, প্রাচীন জনপদ পুন্ড্রবর্ধন বা পুন্ড্রনগর থেকে পাবনা নামের উৎপত্তি ঘটেছে।

আবার কেউ কেউ বলেন, পুন্ড্রবর্ধনের বংশধর রাজা জয়বর্ধনের আমলে পাবনা শহরের পাঁচ মাথা দুর্গামন্দির (বর্তমানে সোনাপট্রি) স্থানে পান্ডবভূমির একটি সাব-কাচারী বাড়ি ছিল। পান্ডব প্রশাসনের বৈঠকখানা কেন্দ্রিক একটি জনপদ গড়ে উঠলে স্থানটির নামকরণ হয় পান্ডবখানা। উচ্চারণের সুবিধার্থে কালক্রমে দপান্ডবখানাদ শব্দ থেকে ‘ন্ড’ এবং ‘খা’ বর্ণগুলো লোপ পেয়ে কালের বিবর্তনে ‘পাবনা’য় রূপান্তর হয়।

সন্ধ্যাকরনন্দী রচিত ‘রামচিত্র’ গ্রন্থে ‘পদুবম্বা’ নামে একটি সামন্তরাজ্যের উল্লেখ দেখা যায়। রাজ্যটির রাজা সোম সম্ভবত পাল রাজাদের সামন্তরাজা ছিলেন। ‘পদুবম্বা’ নামে প্রাচীন রাজ্যটির প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে ভিন্নমত থাকলেও হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বর্তমান পাবনার এই জনপদটিকেই প্রাচীন ‘পদুবম্বা’ রাজ্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সুতরাং সামন্তরাজ্য ‘পদুবম্বা’ থেকে পাবনা নামের উৎপত্তি ঘটেছে এ মতও অনেকে পোষণ করে থাকেন। কারো কারো মতে, কিংবদন্তীতুল্য দুর্র্ধষ ডাকাত ‘পবন’ এর নামানুসারে ‘পাবনা’ নামকরণ হয়েছে।

জেলা গঠনের ১৯৭ বছর পর ২০০৮ সালে ‘আজকের প্রজন্ম ফোরাম’ নামের সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রথম পাবনা জেলার জন্মদিন উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরবর্তিতে পাবনা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন দিবসটি পালন করে।

এদিকে পাবনা জেলার জন্মদিন উপলক্ষে ‘পাবনা প্রেসক্লাব’ বেলা সাড়ে ১২টায় এবং ‘আজকের প্রজন্ম ফোরাম’ সন্ধ্যায় প্রীতি সম্মিলনি, কেক কাটাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। উভয় অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জানান, দিবসটি পাবনাবাসীর জন্য গর্বের। তাই এই দিবস পালনে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আজকের প্রজন্ম ফোরামের সভাপতি খালেদ হোসেন পরাগ জানান, জেলার জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্জলন, আজকের প্রজন্ম ফোরাম আড্ডা, কেক কাটা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ তৃণমূলে রাজনীতিবিদ শীর্ষে সাবেক ভিপি যুবদলের নেতা: শাহরিয়ার

মোঃ সুজন বেপারী প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ২:৪৬ পিএম
মুন্সিগঞ্জ তৃণমূলে রাজনীতিবিদ শীর্ষে সাবেক ভিপি যুবদলের নেতা: শাহরিয়ার

 

মুন্সিগঞ্জ জেলা শহরের তৃণমূলে সুপরিচিত শীর্ষে রাজনীতিবিদ সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ছাত্র সংসদ সাবেক ভিপি মোস্তফা হাবিবে আলম শাহরিয়া বর্তমান জাতীয়তাবাদী দলের জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি।

রাজধানী নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় শীর্ষে নেতাকর্মীদের কাছেও সুপরিচিত জাতীয়তাবাদী দলের মুন্সিগঞ্জ জেলায় ১৯৯৮ সালে সরকারি হরগঙ্গা কলেজে নির্বাচন করেন কলেজ শাখার ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। এবং একই বছরে আওয়ামী লীগের সরকার থাকাকালীন অবস্থায় হরগঙ্গা কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক পদে জয়ী হন।

হরগঙ্গা কলেজের সাবেক ভিপি মোস্তফা হাবিবে আলম শাহরিয়ার বলেন, তৃণমূলে জাতীয়তাবাদী দলের বিএনপি জেলা সদস্য সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ সাহেবের মনোনয়নপ্রত্যাশী ধানের শীষ প্রতীকের প্রত্যক্ষ তিনি দুঃসময় জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার হিসেবে সংসদ সদস্য ৩১ দফায় এগিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ইনশাআল্লাহ্।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজধানী কেন্দ্রীয় সুপরিচিত শারিয়ারকে ছাত্রদল নির্বাচনের সু-সংঘঠিত সভাপতি পদে দেখতে জোড় দাবি জানিয়েছেন মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রদল নেতা কর্মীরা । তিনি মুন্সিগঞ্জ শহরের পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন ইসলাম পুরের রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ছাত্র সংসদ সাবেক ভিপি মোস্তফা হাবিবে আলম শাহরিয়া বর্তমান জাতীয়তাবাদী দলের জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি।

রাজনৈতিক শীর্ষে শাহরিয়া সাবেক উপমন্ত্রী সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা আব্দুল হাইয়ের ভাই জেলা বিএনপি সদস্য সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ এর অঙ্গ-সংঘঠনের নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন হিসেবে তিনি পরিচিত ঢাকা রাজধানী নয়াপল্টনে।

রামকোল বাহাদুর পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

রাজবাড়ী প্রতিনিধি: প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ২:৩৫ পিএম
রামকোল বাহাদুর পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

 

সরস্বতী রানী বিশ্বাস, প্রধান শিক্ষক,রামকোল বাহাদুর পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অবসরে গেলেন। শিক্ষার্থী,সহকর্মী,অভিভাবকদের ভালোবাসায় তিনি সিক্ত হলেন। বর্ণাঢ্য বিদায় অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাঁর দীর্ঘ কর্মময় জীবনের পরিসমাপ্তি হলো।এই বর্ণাঢ্য বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুন্নাহার, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আলিফ আহমেদ, সাবেক উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অঞ্জলী রানী প্রামাণিক, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, কুমারখালী, কুষ্টিয়া সুপ্রিয়া রানী বিশ্বাস।আরো উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক বিমান বিহারী মালাকার,প্রধান শিক্ষক মোঃ নাজিরুল হক , প্রধান শিক্ষক বিকাশ কুমার দাশ, প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মতিন, প্রধান শিক্ষক মোছাঃ ফিরোজা খাতুন, প্রধান শিক্ষক ফরিদা খাতুন, প্রধান শিক্ষক রাশেদুন্নেছা হাবিবা,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মুক্তার আলী মন্ডল,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জিয়াউর রহমান , সহকারী শিক্ষক সেলিনা খাতুন,স্বপ্না রানী বিশ্বাস,কনিকা রানী কুন্ডু,মোঃ আব্দুর রশিদ সহ মাছপাড়া ও কলিমহর ক্লাষ্টারের সম্মানিত শুভাকাঙ্ক্ষী অন্যান্য প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক বৃন্দ। অনুষ্ঠানে মানপত্র পাঠ করেন সহকারী শিক্ষক আরজু মানারা ফেরদৌসী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সহকারী শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস।
সরস্বতী রানী বিশ্বাস ১৯৮৮ সাল থেকে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।গত

৯/১০/২০২৫ ইং তারিখে তিনি অবসরে যান।দীর্ঘ কর্মময় জীবনে অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী তাঁর স্নেহের পরশে ধন্য হয়েছে। অশ্রুসিক্ত নয়নে সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক অভিভাবক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাঁকে বিদায় জানিয়ে তাঁর প্রতি যে শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন তাতে তিনি আবেগাপ্লুত হয়েছেন। তিনি ছাত্র ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন এবং সকল ছাত্র-ছাত্রী, সহকর্মী শিক্ষকবৃন্দ ও অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।তিনি সকলের দোয়া/ আশির্বাদ চেয়েছেন যেন তাঁর অবসরকালীন সময় ভালো কাটে।পরম করুণাময় সকলের মঙ্গল করুন সকলের জন্য এই প্রার্থনা করেছেন।

নওগাঁয় মাদ্রাসা ছাত্রের মড়দেহ উদ্ধার ।। শিক্ষক আটক

মর্তুজা শাহাদত সাধন, নওগাঁ প্রতিনিধি: প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ২:৩১ পিএম
নওগাঁয় মাদ্রাসা ছাত্রের মড়দেহ উদ্ধার ।। শিক্ষক আটক

 

মর্তুজা শাহাদত সাধন, নওগাঁ প্রতিনিধি:

নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটির ফতেপুরে রওদাতুল কোরআন ফতেপুর আক্কাস আলী হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসা থেকে আব্দুর রহিম বাদশা (১১) নামে এক ছাত্রের মড়দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে মাদ্রাসা থেকে আব্দুর রহিমের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় বলে জানান নওগাঁ সদর থানা সাব ইন্সপেক্টর নূর নয়ন।

মৃত আব্দুর রহিম বাদশা নওগাঁ সদর উপজেলার কানমটকাই গ্রামের সামছুর রহমানের ছেলে। সে ফতেপুর রওদাতুল কোরআন আক্কাস আলী হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল। আটক আব্দুল মাজেদ ওই মাদ্রাসার শিক্ষক।

আটক মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল মাজেদ জানান, রাত আনুমানিক পৌনে চারটার দিকে তাহাজ্জত নামাজ পড়ার জন্য উঠে আব্দুর রহিম বাদশাকে মাদ্রাসার বারান্দার নিচে মাদ্রাসার মাঠে পরে থাকতে দেখে তাকে তুলে নিয়ে রুমে আসি। এবং মাদ্রাসা কমিটির সদস্যদের খবর দিলে তারা এসে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান।

নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, দুবলহাটির ফতেপুরে মাদ্রাসা থেকে আব্দুর রহিম বাদশা (১১) নামে এক ছাত্রের মড়দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রহিমকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিৎ করে বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।২