মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

হিমালয়ের যে নদী মাউন্ট এভারেস্টকে ঠেলে ওপরে তুলে দিচ্ছে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:২১ পিএম | 95 বার পড়া হয়েছে
হিমালয়ের যে নদী মাউন্ট এভারেস্টকে ঠেলে ওপরে তুলে দিচ্ছে

মাউন্ট এভারেস্টের পাদদেশ দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি নদীতে ভূমিক্ষয়ের কারণে বিশ্বের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গটির উচ্চতা ১৫ থেকে ৫০ মিটার পর্যন্ত বেড়ে গেছে বলে নতুন একটি গবেষণাপত্রে জানা গেছে।

ওই নদীতে ভূমিক্ষয় হয়ে যে পাথর ও মাটি সরে যাচ্ছে নদীবক্ষ থেকে, তারই চাপে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে গবেষকরা জানাচ্ছেন।

ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনের বিজ্ঞানীরা বলছেন, এভারেস্ট থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে অরুণ নদী অববাহিকার ভূমি-ক্ষয়ের ফলেই প্রতিবছর মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা দুই মিলিমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

“এটা অনেকটা পণ্যবাহী জাহাজ থেকে মালপত্র ফেলে দেওয়ার মতো ব্যাপার,” বিবিসিকে জানাচ্ছিলেন ওই গবেষণাপত্রের সহ-লেখক অ্যাডাম স্মিথ।

তার ব্যাখ্যা, “জাহাজ থেকে পণ্য ফেলে দেওয়া হলে জাহাজটি কিছুটা ওপরে ভেসে থাকতে পারে, তাই ভূ-ত্বকের ক্ষরণ হলে পর্বতশৃঙ্গটিও কিছুটা ওপরে উঠে যাবে।“

যেভাবে সর্বোচ্চ শৃঙ্গের উচ্চতা বাড়ছে
প্রায় চার থেকে পাঁচ কোটি বছর আগে ভারতীয় প্লেট ও ইউরেশিয়ান প্লেটের মধ্যে ধাক্কার অভিঘাতে হিমালয়ের জন্ম হয়েছিল। দুটি প্লেটের ঘাত-অভিঘাতের কারণে এখনও হিমালয়ের উচ্চতা বেড়ে চলেছে।

তবে ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডন বা ইউসিএলের বিজ্ঞানীরা বলছেন যে দুটি প্লেটের ঘাত-অভিঘাত ছাড়াও মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা বৃদ্ধির বাড়তি আরও একটা কারণ অরুণ নদীতে ঘটে যাওয়া ভূ-বৈজ্ঞানিক পরিবর্তনগুলি।

হিমালয়ের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়ার পথে অরুণ নদী নদীবক্ষ, অর্থাৎ ভূত্বক থেকে পাথর ও মাটি কেটে নিয়ে যায়। এর ফলে ভূত্বকের ঠিক নিচে ম্যান্টেল নামের যে স্তরটি রয়েছে তা ওপরের দিকে ফুলে ওঠে।

এই প্রক্রিয়াটিকে ভূবিজ্ঞানের তত্ত্বে আইসোস্ট্যাটিক রিবাউন্ড বলা হয়ে থাকে।

নেচার জিওসায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে বলা হয়েছে, এই ভূবৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার ফলে এভারেস্ট ও সেটির কাছাকাছি অঞ্চলের অন্যান্য পর্বতশৃঙ্গগুলিকে ওপরের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এভারেস্ট ছাড়াও বিশ্বের চতুর্থ ও পঞ্চম সর্বোচ্চ শৃঙ্গ– যথাক্রমে লোৎসে এবং মাকালুর উচ্চতাও বেড়ে যাচ্ছে।

গবেষণাপত্রটির আরেকজন সহ-লেখক ড. ম্যাথু ফক্স বিবিসিকে ব্যাখ্যা করছিলেন, “ভূমিক্ষয়ের ফলে যে হারে মাউন্ট এভারেস্ট ও কাছাকাছি অন্যান্য শৃঙ্গগুলির উচ্চতা কমছে, তার থেকে বেশি হারে আইসোস্ট্যাটিক রিবাউন্ড শৃঙ্গগুলিকে ঠেলে ওপরের দিকে ঠেলে তুলে দিচ্ছে।”

“আমরা জিপিএস যন্ত্র ব্যবহার করে দেখেছি যে ওই পর্বতশৃঙ্গগুলির উচ্চতা বছরে প্রায় দুই মিলিমিটার করে বাড়ছে। এই উচ্চতাবৃদ্ধির কারণ আমাদের কাছে এখন আগের থেকে অনেক পরিষ্কার,” বলছিলেন ম্যাথু ফক্স।

‘বিশ্বাসযোগ্য তত্ত্ব’
ওই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত নন, এমন কয়েকজন ভূবিজ্ঞানী বলছেন যে, এই তত্ত্বটি বিশ্বাসযোগ্য ঠিকই, কিন্তু নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে।

চীন ও নেপালের সীমান্তে অবস্থিত মাউন্ট এভারেস্ট। শৃঙ্গটির উত্তরভাগ চীনের সীমানায় পড়ে।

অরুণ নদী তিব্বত থেকে নেমে আসে নেপালে। আরও দুটি নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে ওই নদীটির নাম হয় কোশী। কোশী নদী নেপাল থেকে উত্তর ভারতে প্রবেশ করেছে, যা পরে আবার গঙ্গায় মিশেছে।

খাড়া পর্বতমালার মধ্যে দিয়ে অরুণ নদী প্রচণ্ড স্রোতে নেমে আসে, তার ফলে নদীটির পলিমাটি কেটে নিয়ে আসার ক্ষমতাও খুব বেশি। নদীটির যাত্রাপথে তাই প্রচুর পরিমাণে পাথর আর মাটি বয়ে আনে।

চায়না ইউনিভার্সিটি অফ জিওসায়েন্সের গবেষক ড. শু হান ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনের প্রকাশিত গবেষণাপত্রটির মূল লেখক। ইউসিএলে একটি স্কলারশিপে এসে গবেষণাপত্রটির কাজ করেছিলেন তিনি।

তার কথায়, “মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা বৃদ্ধি আরও বেশি করে আমাদের দেখিয়ে দেয় যে ভূত্বক আসলে কতটা গতিশীল একটা ভূবৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া।”

“অরুণ নদীর নদীবক্ষের ক্ষয় আর ভূ-ত্বকের ঠিক নিচে অবস্থিত ম্যান্টেল স্তরটির ওপরের দিকে চাপ দেওয়ার ফলেই মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা যতটা হওয়া উচিত ছিল, তার থেকেও বেড়ে যাচ্ছে,” জানাচ্ছিলেন ড. শু হান।

গবেষণায় অনিশ্চয়তাও আছে
ইউসিএলের গবেষণাপত্রটি জানাচ্ছে যে তিব্বত থেকে বয়ে আসা আরও একটি নদীখাতের সঙ্গে যে সময়ে মিশেছে অরুণ নদী, তখন থেকেই বিপুল পরিমাণে মাটি আর পাথর কেটে নিত নদীবক্ষ থেকে। তার পরিমাণ এবং গতি সম্ভবত আরও বেড়েছে।

ইউনিভার্সিটি অফ এডিনবরার স্কুল অফ জিওসায়েন্সেসের অধ্যাপক হিউ সিনক্লেয়ার ইউসিএলের ওই গবেষণার বিষয়ে বলছেন, যে ইউসিএলের গবেষকরা মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা বৃদ্ধির যে অন্তর্নিহিত কারণ খুঁজে বের করেছেন, তা যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত।

তবে তিনি এটাও বলছেন, যে নদীবক্ষের মাটি আর পাথর কেটে নেওয়ার সঠিক পরিমাণ ও সময়কাল এবং তার ফলশ্রুতিতে আশপাশের শৃঙ্গগুলির উচ্চতা বৃদ্ধির মধ্যে অনেক অনিশ্চয়তা এখনও আছে।

তার কথায়, “প্রথমত, একটি নদীপথ আরেকটি নদীখাতে মিশে যাওয়ার ফলে বিরাট অববাহিকা জুড়ে একটি নদীবক্ষের মাটি ও পাথর কেটে আনার পরিমাণ হিসাব করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।”

এই অনিশ্চয়তার কথা মানছেন গবেষণাপত্রটির লেখকরাও।

অধ্যাপক হিউ সিনক্লেয়ার দ্বিতীয় যে বিষয়টির উল্লেখ করছেন তা হলো, ব্যাপক পরিমাণে ভূ-ক্ষয় নদীবক্ষের যেখান থেকে শুরু হয়েছে, তার থেকে কত দূরত্বে শৃঙ্গগুলির উচ্চতা বৃদ্ধি শুরু হয়েছে, এই হিসাব করা কঠিন।

“এইসব হিসাব নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকলেও মাউন্ট এভারেস্টের ব্যতিক্রমী উচ্চতাবৃদ্ধির সঙ্গে নদীর সংযোগ খুঁজে পাওয়াটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা,” বলছিলেন অধ্যাপক সিনক্লেয়ার।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

টঙ্গী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৪ পিএম
“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

২০১৫ সালে ইতালি পাঠানোর নামে বাংলাদেশ থেকে ৪২ জনের পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম শেখ নামের এক প্রতারক। প্রতারণার সেই অঙ্ক তখনই দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকায়। এরপর থেকেই ইব্রাহিম যেন হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারির ‘প্রতীক’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে হংকং পাড়ি জমান তিনি। হংকংয়ে পৌঁছেই সেখানে গড়ে তোলেন একাধিক প্রতারণার নেটওয়ার্ক। ইউরোপ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, নকল আইফোন ও সোনা বিক্রি, এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্য পাচার—সবই চলতে থাকে একই ছকের ভেতরে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, হংকং-এ অবস্থানকালে ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে করেছেন পরিচয় গোপন করে। তার প্রতিটি প্রতারণার পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত জালিয়াতি।

সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, হংকং থেকে বাংলাদেশে ফিরেও থেমে থাকেননি এই ‘ন্যাশনাল প্রতারক’। আনুমানিক ১২৩ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে লুকিয়ে রেখেছেন একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এমনকি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতারণা, মাদক, চোরাচালান—সবকিছুতে সম্পৃক্ত এই ইব্রাহিম এখন দেশের ভেতরেই অবস্থান করছেন ছদ্মবেশে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরেই তার অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো? প্রতারিত পরিবারগুলো চাইছেন দ্রুত এই চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।

কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো:স্বাধীন খান বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০১ পিএম
কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার কাহালুতে জমির ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কর্নিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। তাঁর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার।

কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

রুহুল আমিন, রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

কুড়িগ্রাম সদরের হরিম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বেতারাঘাতে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ ইং দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেনীর ক্লাসে হাসিনা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা বেতারাঘাত করেন। এ সময় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। এর পর বাড়িতে হাত ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় তার অভিভাবক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাকিব বলেন, হাসিনা আপা বড় বড় তিনটি প্রশ্ন লেখতে বলেন। আমি একটু পড়ে লেখতে চাইলেই বেত দিয়ে আমাকে খুব জোড়ে মারেন।এখন আমার হাতে অনেক ব্যাথা হচ্ছে। রাকিবের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে পড়া-লেখা শিখানোর জন্য স্কুলে দিয়েছি। শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে আসার জন্য নয়। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের বাহিরে ছিলাম। শুনেছি হাসিনা বেত দিয়ে মেরেছে এতেই রাকিব ব্যাথা পায়। হাসিনা বেগম বলেন, আমি তাকে পড়ার জন্য মারিনি,মেরেছি নির্দাশিকা লাঠি দিয়ে দুষ্টুমি করার জন্য। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ্ব বুলবুল হোসেন বলেন,আমি আমার অফিসের এক স্টাফ এর নিকট বিষয়টি শুনলাম। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে পাইনি। কাল ছুটি আছে অফিস খুললেই জেনে ব্যবস্তা নিবো।

error: Content is protected !!