রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২
রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২

ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৩৮ এএম | 115 বার পড়া হয়েছে
ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘বড় ভুল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, এর জন্য ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রায় ১৮০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোয় ইরানের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

হামলার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইরান আজ রাতে একটি বড় ভুল করেছে এবং এর চরম মাশুল দিতে হবে।‘ খবর বিবিসি ও আল জাজিরা।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে দেয়া বক্তৃতায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসরায়েলের শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার ক্ষেত্রে তাঁর দেশের দৃঢ়সংকল্পের বিষয়টি ইরান বুঝতে পারছে না।’

‘তারা (ইরান) বুঝতে পারবে’ মন্তব্য করে নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমরা যে নিয়ম প্রতিষ্ঠা করেছি, সেটাই বলবৎ থাকবে। যে আমাদের ওপর আক্রমণ চালাবে, আমরাও তাদের ওপর পাল্টা আক্রমণ করব।’

মঙ্গলবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে জরুরি অবস্থায় বাংকারে আশ্রয় নেয় ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। সেখানেই বৈঠক করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৈঠক শেষে ইরানকে সতর্ক করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।

আল জাজিরা জানায়, পশ্চিম জেরুজালেমের ভূগর্ভস্থ একটি বাংকারে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক করছিলেন নেতানিয়াহু। সেখান থেকেই হামলার কয়েক ঘণ্টা পর বক্তব্য দেন তিনি।

মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে ১৮০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। এ হামলায় বড় কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ইসরায়েল সরকার।

এদিকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণ জানিয়েছে ইরান। দেশটি বলছে, তারা গাজা ও লেবাননে হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি হামাস, হিজবুল্লাহ এবং আইআরজিসি নেতাদের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

বাংলাদেশ আহলে হাদিস সংগঠনের কেশবপুর শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন

পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর  প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:২৪ পিএম
বাংলাদেশ আহলে হাদিস সংগঠনের কেশবপুর শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে শণিবার (২৭ সেপ্টেম্বর-২৫) বিকেলে কেশবপুর বাজারে জমঈয়ত শুব্বানে আহলে হাদীস বাংলাদেশ যশোর জেলা এবং কেশবপুর-মণিরামপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশ, জাতী, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ, এই সত্যকে মেনে প্রতিটি মানুষের অন্তরে ধর্মীয় শিক্ষা তথা নৈতিকতা ও শিষ্টাচার প্রদানের লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক এ দাবি নিয়ে আজ কেশবপুর উপজেলা শহরে জমঈয়ত শুব্বানে আহলে হাদীস বাংলাদেশ যশোর জেলা এবং কেশবপুর-মণিরামপুর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। সকল ধর্মের জন্যই ধর্মীয় শিক্ষক অতিব প্রয়োজন এটা অবশ্যই সত্য। তাই সেই সত্যকে মেনে সরকারের উচিত এ বিষয়ে দৃষ্টি দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।

 

বগুড়ায় গ্রেফতারের সময় সুরির আঘাতে আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর মিন্টু

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:২১ পিএম
বগুড়ায় গ্রেফতারের সময় সুরির আঘাতে আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর মিন্টু

বগুড়ায় গ্রেফতারের সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর লুৎফর রহমান মিন্টু (৪৩) সুরির আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে শহরের উপকণ্ঠে এ ঘটনা ঘটে। আহত মিন্টুকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

পুলিশ জানায়, মিন্টুর বিরুদ্ধে মোট আটটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি হত্যা মামলা, একটি অস্ত্র মামলা, একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা অন্তর্ভুক্ত। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি পুলিশের খাতায় পলাতক আসামি ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য শনিবার দুপুরে অভিযান চালায় সদর থানা পুলিশ।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাসির জানান, মিন্টুকে আটক করতে গেলে এলাকায় ভিড় জমে যায়। এ সময় সুযোগ বুঝে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্ত হঠাৎ ছুরি নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা মিন্টুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পালিয়ে যায়। বিশেষ করে পশ্চাৎদেশে গভীর ক্ষত তৈরি হয়।

তিনি বলেন, “আমরা তাঁকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করি এবং দ্রুত হাসপাতালে পাঠাই। বর্তমানে চিকিৎসকরা তাঁর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন।”

স্থানীয়রা জানান, হামলার ঘটনাটি আকস্মিকভাবে ঘটে এবং পুলিশ উপস্থিত থাকলেও দুর্বৃত্তরা মুহূর্তের মধ্যে পালিয়ে যায়। তবে হামলাকারীদের পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক পরিচিতি থাকা সত্ত্বেও মিন্টুর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর মামলা থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে তদন্ত চলছে।

কালিগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ: ভার্সিটি পড়ুয়া ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম করলো ২ বড় ভাই

হাফিজুর রহমান কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:১৮ পিএম
কালিগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ: ভার্সিটি পড়ুয়া ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম করলো ২ বড় ভাই

জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় আপন দুই বড় ভাইয়ের হাতে নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন এক ভার্সিটি পড়ুয়া ছোট ভাই। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে উপজেলার পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত তরুণের নাম মনিরুল ইসলাম, যিনি গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং মৃত আলহাজ্ব আব্দুল আজিজ গাজীর পুত্র।

আহত মনিরুল ইসলাম ও তার ভাই জাকিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বাবার মৃত্যুর পর থেকে মনিরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। এই সুযোগে তার বড় ভাই রফিকুল ইসলাম এবং মেজ ভাই শফিকুল ইসলাম (কালিগঞ্জ আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা) জোরপূর্বক তার জমি দখল করে ভোগ-দখল করছিলেন।

গতকাল শনিবার সকালে নিজের প্রাপ্য জমি চাইতে গেলে বড় দুই ভাই ধারালো দা দিয়ে মনিরুলকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। এই হামলায় মনিরুল ইসলাম রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম হন। হামলার পর অভিযুক্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে অভিযুক্ত বড় ভাই রফিকুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেজ ভাই শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্কুলের শিক্ষক নিয়োগে অর্ধ লক্ষ টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে তাকে বহিষ্কারের দাবিতে ছাত্র-অভিভাবকরা দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে সড়ক অবরোধসহ আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকরা ঘরে ফেরেন। এরপর থেকে শফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন।

বর্তমানে মনিরুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।