শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রতিযোগিতা: উৎসবের ভিড় ও আত্মীয়তার লড়াই

মোঃ তুহিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:০৭ পিএম | 66 বার পড়া হয়েছে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রতিযোগিতা: উৎসবের ভিড় ও আত্মীয়তার লড়াই

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড় এখন পুরো এলাকায় আলোচনার বিষয়। দলের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অন্তত ১৪ জন প্রার্থী মাঠে নেমেছেন লিফলেট বিতরণ এবং তৃণমূল জনসংযোগে। এতে পুরো এলাকা যেন নির্বাচনী উৎসবের আমেজে রঙিন হয়ে উঠেছে।

তবে এবারের মনোনয়ন দৌড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে প্রার্থীদের আত্মীয় সম্পর্ক। একই পরিবারের একাধিক সদস্য এমপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন—

আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম ও তার ভাইয়ের স্ত্রী সুচি

আলহাজ্ব মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার ভাই ইঞ্জিনিয়ার ইমদাদুল হক মাসুদ

আসাদুল্লাহ আহমেদ ও তার ভাই এনায়েত করিম তৌকি

অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সেন্টু ও তার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার এম ফেরদৌস ইসলাম

এছাড়াও প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—আব্দুস সালাম তুহিন, আশরাফ হোসেন আলিম, তরিক আহমেদ, সৈয়দা আশরাফী পাপিয়া, ডক্টর এস এ অপু, আতাউর রহমানসহ আরও অনেকে।

ভোটার প্রতিক্রিয়া ও জনমত

স্থানীয় ভোটারদের একাংশ মনে করছেন, বহুদিন পর এই আসনে সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ভোটাররা আশা করছেন সব দলের অংশগ্রহণে এবার তারা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবেন।

তবে অনেকে চিন্তিত—মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে বিএনপি কীভাবে ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে একজনকে চূড়ান্ত করবে। দলীয় প্রতীক কার হাতে উঠবে, সেটিই এখন প্রধান আলোচনার বিষয়। একজন ভোটার মন্তব্য করেছেন, “প্রার্থী যেই হোক, শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রতীকই নির্ধারণ করবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের নতুন এমপি কে হবেন।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ভোটারের সংখ্যা তুলনায় প্রার্থীর এত বেশি হওয়া একটি নজিরবিহীন ঘটনা। দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর এই ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিরল। একদিকে অল্প ভোটে এমপি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে ব্যয়বহুল প্রচারণায় অনেক প্রার্থী আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারেন।

এবার দেখা গুরুত্বপূর্ণ—কেন এত প্রার্থী মাঠে নেমেছেন, কে শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রতীক পাবে এবং জনগণ কার হাতে আস্থা রাখবেন নির্বাচনের I

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।