সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

শিশুর যত্নে হতে হবে কৌশলী

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:১৬ এএম | 82 বার পড়া হয়েছে
শিশুর যত্নে হতে হবে কৌশলী

নতুন শিশু একটি পরিবারে আনে আনন্দের স্রোত। ছোটমনিকে ঘিরে উৎসবের কমতি থাকেনা। ঘুমিয়ে থাকা শিশুর মুখের দিকে তাকিয়ে বাবা-মা হয়তো স্বপ্ন দেখেন ভবিষ্যতের। স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে অবশ্য বহুদূর। শিশুর লালন-পালন যে চাট্টিখানি কথা নয়।

দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর যত্ন কীভাবে নেবেন বা নিতে হবে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নেয়াটা সবার জন্যই উপকারে আসে।

ভাবতে হবে ক্ষুধা-তৃষ্ণা মেটানো নিয়ে
ছয় মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধই যথেষ্ঠ। এক ফোটা পানি দেওয়ারও প্রয়োজন নেই। ক্ষুধা মিটছেনা ভেবে বাজারে পাওয়া কৌটার দুধ (ফর্মুলা মিল্ক) কিংবা গরুর দুধ দেওয়ার মতো ভুল একদম করা যাবেনা। এগুলো শিশুর জন্য ক্ষতিতকর।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন খান জানালেন, ২৪ ঘন্টায় ৮-১০ বার দুধ পান করালে অন্তত ছয়বার শিশু প্রস্রাব করলে, নিয়মিত ওজন বৃদ্ধি পেলে বুঝবেন শিশু পর্যাপ্ত দুধ পাচ্ছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের অধ্যাপক ইফফাত আরা শামসাদ জানালেন, শিশুর বয়স ছয় মাস পুর্ণ হলে বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার দিন। একটু-একটু খাবারের পরিমাণ বাড়ান। শিশুকে সবার সাথে ঘরে তৈরি করা শক্ত (সেমি সলিড) খাবার দিতে পারেন। ভাত, মাছ, ডাল, শাকসবজি সব মাখিয়ে মজা করে খাইয়ে দিন ওকে। মুঠোফোন বা টেলিভিশন দেখিয়ে নয়। শিশুকে খাওয়াতে জোরাজুরি করবেন না। সব কিছু সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিয়ে ওকে বসিয়ে খাওয়ান। চাইলে আলাদা খাবার রান্না করতে পারেন, তবে অতিরিক্ত পাতলা করে নয়।

তিনি আরও জানান, প্রতিদিন একটি ডিম ও একটি ফল শিশুকে খেতে দিন। ডিম অবশ্যই তেলে ভালভাবে ভেজে নিন (রান্না করলে যেন পর্যাপ্ত সময় রান্না করা হয়)। না হলে জীবানু সংক্রমণ হতে পারে। দুই বেলা ভাত বা খিচুড়ি এবং সকালের নাস্তার পাশাপাশি আরও দুই বেলা পুষ্টিকর নাাস্তা দেওয়া ভাল (মোট পাঁচবার খাবার)। ছয় মাস বয়সের পর শিশুকে গ্লাসে করে পানি খেতে দিন, কোন মামপট বা ফিডারে নয়। কোমল পানীয়, চিপস, চানাচুরের অভ্যাস করবেন না।

ভারতে হবে পোষাক নিয়ে, বজায় রাখতে হবে পরিচ্ছন্নতা
শীতকালে শিশুকে পরিচ্ছন্ন শীত পোশাকতো দেবেনই, অবশ্যই মাথা ঢেকে রাখুন। জন্মের অন্তত তিন দিন পার হলে গোসল করান। একদিন অন্তর গোসল করান (শীতের সময়)। বয়স এক মাস পার হলে প্রতিদিন গোসল করান। ফুটানো পানি কুসুম গরম অবস্থায় তা দিয়ে শিশুকে গোসল করাবেন। আর্দ্রতার জন্য গোসলের আগে তেল মালিশ করলে সমস্যা নেই। আর সর্ষের তেল ঝাঁজালো, তাই মুখে ও মাথায় তা দেওয়ার দরকার নেই। যেকোন তেল অতিরিক্তি দেওয়া হলে মাথার ত্বকে প্রলেপ পড়তে পারে। শিশুর ত্বকের উপযোগী কম ক্ষারের সাবান ব্যবহার করতে পারেন প্রতিদিন। সোনামনির চুলের উপযোগী শ্যাম্পু ব্যবহার করুন সপ্তাহে দুইদিনই যথেষ্ট। গোসলের পর বেবি লোশন দিতে পারেন। তবে বয়স ১৫ দিনের আগে তেল, লোশন কিছুই দেওয়ার প্রয়োজন নেই। শীতে ছোট শিশুর চুল না ফেলাই ভালো। নবজাতকের প্রথম চুল ফেলতে দেড়-দুই মাস অপেক্ষা করুন।

নিরাপদ ঘুমের ব্যবস্থা করতে হবে
প্রচলিত নিয়মে বিছানায় নবজাতকের মাথা রাখতে পাগড়ির মতো গোল করে কিছু তৈরি করা হয়, যার কোন প্রয়োজন নেই। নবজাতকের জন্য এক ইঞ্চি উচ্চতার নরম ও পাতলা বালিশ ভালো, খেয়াল রাখুন যেন ঘাড়ে ভাজ না পড়ে। চাইলে শিশুর জন্য চারকোনা কাপড় প্যাচানো ছাড়া ভাঁজ করে এক ইঞ্চি উচ্চতা করে নিতে পারেন। ছয় মাসের পর বয়স অনুযায়ী বালিশের উচ্চতা বাড়ানো যায়। দুই বছর বয়সে এই উচ্চতা দুই ইঞ্চি করতে পারেন। শিশু মায়ের কাছেই ঘুমাবে। তবে খেয়াল রাখুন, কম্বল, কাঁথা, বিছানার চাদর, বালিশ এমনকি মায়ের শরীরের কোন অংশ যেন শিশুর নাক, মুখ চেপে না যায়, কিংবা শিশু বিছানা থেকে পড়ে না যায়।

যত্নবান হতে হবে শিশুর বেড়ে ওঠার বিষয়ে
প্রতিদিন শিশুকে অন্তত ৩০ মিনিট রোদ্দুরে রাখুন। সকাল নয়টার আগে বিকাল চারটার পর রোদে রাখা ভাল। সঙ্গে থাকুন মা-ও। দু’জনের শরীরেই ভিটামিন ডি তৈরি হবে। তিন মাস পর্যন্ত খুবই সাবধানে কোলে নিন, যেন ঘারের পিছনে শক্তভাবে ধরা থাকে। অর্থাৎ কোনভাবেই যেন শিশুর মাথা ঝুলে না পড়ে। হাত ধরে টেনে শিশুকে কোলে নেওয়া উচিৎ নয়, কাঁধের জয়েন্ট বা জোড়া আলগা হয়ে হাত ঝুলে পড়তে পারে। হাঁটা শেখাতে ওয়াকার দেওয়া নিষেধ। প্রাকৃতিক নিয়মে শিশু একেক ধাপে একেক কাজ শেখে। নিয়মের বাইরে গেলে উল্টো ফল হতে পারে (হাঁটা শিখতে দেরি হতে পারে)।

অনেক সময় মায়ের অফিসে শিশুকে নিয়ে দুধপান করিয়ে আনার সুযোগ থাকে, শিশুকে রাখার ব্যবস্থাও থাকে। প্রয়োজনে শিশুকে বাইরে নিতে ক্ষতি নেই। বুকের সামনে শিশুকে ঝুলিয়ে বহন করলেও ক্ষতি নেই। শুধু সে যেন পুরোপুরি ‘সাপোর্ট’ পায়, মানে ওর শরীর যেন পুরোপুরিভাবে সমর্থিত থাকে।

সূত্র: বাসস

নওগাঁ জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
নওগাঁ জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

নওগাঁ জেলা শাখা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।  এবারের নির্বাচন শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক পদে তিনটিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার (৩ আগষ্ট) রাতে তফসিল ঘোষণা করেন নওগাঁ জেলা বিএনপির নির্বাচন প্রধান সমন্বয়ক নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল করিম বাদশা।

নির্বাচনী তফসিলে জানানো হয়, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ৪ আগষ্ট, মনোনয়ন ফরম বিক্রি হবে ৪ আগষ্ট সকাল ১১টা থেকে দুপুর  ১টা।

জমা নেওয়া হবে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৩টা। মনোনয়ন ফরম যাচাই বাছাই হবে ৪ আগষ্ট বিকাল ৩ টা থেকে ৪টায়।

মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৪ আগষ্ট বিকেল ৪টা থেকে বিকাল ৫টা। প্রতীক বরাদ্দ সন্ধ্যা ৬টায়। ভোট গ্রহণের তারিখ ১১ আগষ্ট বেলা ২টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

তফসিলে আরও উল্লেখ করা হয়, একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী একটি পদে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন।

বিষয়টি ঢাকাপ্রকাশকে নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এসএম রেজাউল ইসলাম রেজু। তিনি জানান, কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছেন। তফসিল অনুযায়ী সবকিছু হবে।

প্রায় ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ কাউন্সিল। তাই কাউন্সিলকে ঘিরে রয়েছে ব্যাপক উদ্দীপনা। এরমধ্যে কাউন্সিলকে সফল করতে গঠন করা হয়েছে উপ-কমিটি। কাউন্সিলে ১৪১৪ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন ও বিভিন্ন ইউনিট এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১০০০ ডেলিগেট উপস্থিত থাকবেন।

কাউন্সিলে আমন্ত্রণ জানানো হবে- বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অন্তত ১০০ জন অতিথিকে।

এর আগে, ২০১০ সালে শহরের নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠে  দলের কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন সামসুজ্জোহা খান, সাধারণ সম্পাদক হন জাহিদুল ইসলাম ধলু।

সর্বশেষ ২০২২ সালে আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়। সেখানে আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু ও বায়েজিদ হোসেন পলাশকে সদস্য সচিব হিসেবে ৩১ সদস্য অনুমদিত হয় ।

এবারের কাউন্সিলকে ঘিরে লাখো নেতাকর্মীর সমাগম হবে বলে ধারণা আয়োজকদের।

গাইবান্ধায় ‘নৈতিকতার দেয়াল’ ও ‘ভালো কাজের খাতা’ উদ্বোধন

মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১০:১৯ পিএম
গাইবান্ধায় ‘নৈতিকতার দেয়াল’ ও ‘ভালো কাজের খাতা’ উদ্বোধন

গাইবান্ধা জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা উন্নয়নের মাধ্যমে আগামী দিনের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, গাইবান্ধার উদ্যোগে ‘নীতিবান শিশু, সুখী বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে আজ শনিবার (৩ আগস্ট ২০২৫) গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ‘নৈতিকতার দেয়াল’ স্থাপন এবং ‘ভালো কাজের খাতা’ বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা জেলার মান্যবর জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিশুকালেই নৈতিক শিক্ষা দেওয়া হলে ভবিষ্যতে তারা সৎ, মানবিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। ‘নৈতিকতার দেয়াল’-এ শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভালো কাজের অঙ্গীকার ও চর্চার সুযোগ পাবে, আর ‘ভালো কাজের খাতা’ হবে আত্মমূল্যায়নের একটি কার্যকরী হাতিয়ার।

এই কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ, সম্মান, দায়িত্ববোধ ও মানবিক গুণাবলির চর্চা উৎসাহিত করা হবে। জেলা প্রশাসনের এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে

নওগাঁয় ৩৬০ টাকার কর ৪২ হাজার, বর্ধিত কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ 

উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১০:১০ পিএম
নওগাঁয় ৩৬০ টাকার কর ৪২ হাজার, বর্ধিত কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ 

নওগাঁ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল বাশির। এক বছর আগেও তার বাসাবাড়ির কর ছিল ৯০০ টাকা। এখন পৌরসভা থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার টাকা।

পানির সুবিধার্থে বাসায় বসিয়েছেন সাবমারসিবল পানির পাম্প। তাতে কর দিতে হবে ১৫০০ টাকা। অথচ বাড়েনি কোন নাগরিক সুবিধা, হয়নি তেমন কোন রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন। তাই জানালেন তীব্র প্রতিবাদ।

একইভাবে পৌরসভার বাসিন্দা আকতারুন আগে কর দিতেন ৩৬০ টাকা। হঠাৎ করে ৪২ হাজার ১ টাকা কর নির্ধারণ করে নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাকে । এমন নোটিশ পেয়ে তার চোখ কপালে। মাথার উপর যেন আসমান ভেঙে পড়েছে। আজ কর দিতে এসে তিনিও ক্ষোভ নিয়ে প্রতিবাদ জানালেন।

তাদের মতো একই প্রতিবাদে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন ৩ ওয়ার্ডের রাশেদুজ্জামান ও জলিলুর রহমানসহ আরও অনেকে।

নওগাঁ প্রথম শ্রেনির পৌরসভা হিসেবে নাগরিক সেবার মানোন্নয়ন না করে অযৌতিক ভাবে কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার ৩ আগষ্ট বেলা সাড়ে ১১ টায় শহরের মুক্তির মোড় পৌরভবনের সামনে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচী পালন করা হয়।

মানববন্ধন চলাকালে সেখানে উপস্থিত হয়ে তারা ক্ষোভের সহিত বলেন, আগে যে কর নির্ধারণ করা ছিল, সেগুলো আমরা সঠিক সময়ে পরিশোধ করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে এমন অযৌক্তিক কর বৃদ্ধি করা হয়েছে, যেটা আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব না। যারা দিনমজুর হিসেবে কাজ করে দিন পার করছি, তাদের পক্ষে এমন অযৌক্তিক কর নির্ধারণ মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ। বৈষম্যহীন যে বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন আমরা দেখছি, জানিনা সেই স্বপ্ন কেমন ভাবে পুরণ হবে বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেন। তাই দ্রুত এমন কর নির্ধারণ বাতিল করে সামঞ্জস্য কর নির্ধারণের দাবি জানান তারা।

এসময় নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এস.এম আজাদ হোসেন মুরাদ এর সভাপতিত্বে শিক্ষক জাহিদ রব্বানি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এর সমন্বয়ক জয়নাল আবেদিন মুকুলসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। এসময় এক লাফে অযৌক্তিকভাবে বাড়ানো কর দিতে কষ্ট হবে এমন পৌরবাসীন্দাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন- ১৯৬৩ সালে স্থাপিত নওগাঁ পৌরসভা ১৯৮০ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এবং ১৯৮৯ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। প্রায় ৩৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের পৌরসভাটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় দুই লাখ। শহরের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে প্রধান সড়কের সংখ্যা ২০টি। এরমধ্যে পাকা রাস্তা হয়েছে ১৫০ কিলোমিটার আধা পাকা রয়েছে ৫০ কিলোমিটার এবং কাঁচা রাস্তা ১০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য ও খানাখন্দে ভরা।

তিন দশকেরও বেশি সময় আগে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হলেও বাস্তবে নওগাঁ শহরের চিত্র এখনও যেন মফস্বলেরও নিচে। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, অচল ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও অপ্রতুল নাগরিক সেবার কারণে দুই লাখ জনগণের এই শহরে প্রতিদিনের জীবন এক আতঙ্কের নাম। নাগরিক সেবা বঞ্চিত হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, ৩০ মিনিট বৃষ্টি হলে হাঁটু পানি জমে থাকে। সেই পানি নামতে লাগে ৫-৭ দিন। ভাঙা রাস্তায় চলাচলে জনদূর্ভোগ, সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকা ও সন্ধ্যার পর লাইটিং না থাকায় পৌরবাসীকে দীর্ঘদিন থেকে দূর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে।

নাগরিক সেবা বঞ্চিত হওয়ার পরও উল্টো পৌরবাসীর ওপর করের বোঝা চাপানো হচ্ছে। বর্ধিত কর প্রত্যাহার করে পূর্বের নিয়মে কর আদায়ের দাবী জানানো হয়। অন্যথায় আগামী ৭দিনের মধ্যে কর প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর কর্মসূচী পালন করা হবে বলে জানান বক্তারা।

জানতে চাইলে পৌরসভার প্রশাসক টি.এম.এ. মমিন মুঠোফোনে বলেন, অযৌক্তিক কর নির্ধারণ কথাটি ঠিক না। এটা অতিরিক্ত হতে পারে। আর এটা আমার সিদ্ধান্ত না, সরকারের সিদ্ধান্ত। তবে আমাদের কর নির্ধারণ মূল্যায়ন কমিটি আছে, সেখানে আবেদন করলে তারা পুনবিবেচনা করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, অল্প দিনের মধ্যে ৩০ টি রাস্তার কাজ শুরু হবে। এছাড়া অন্যান্য রাস্তাগুলোরও কাজ করা হবে। আমি আশা করি আগামী তিন বছরের মধ্যে একটি রাস্তাও খারাপ থাকবে না। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রতি সপ্তাহে পরিস্কার করার। সর্বোপরি এইগুলো অনেক পুরাতন সমস্যা, আমাকে সকলে মিলে সহযোগিতা করলে সমাধানের চেষ্টা করবো।

উল্লেখ, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স ও পানির বিল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নওগাঁ পৌরসভার কর্তৃপক্ষ।

error: Content is protected !!