রাজধানীতে তীব্র যানজট
কুড়িলে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ


বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে রাজধানীর কুড়িলে সড়ক অবরোধ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। হঠাৎ এ অবরোধে মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন যাত্রী, অফিসগামী মানুষসহ সাধারণ পথচারীরা। বিকল্প রুট ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় ইউরোজোন ফ্যাশন গার্মেন্টসের প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক একযোগে সড়কে নামেন। তারা অবিলম্বে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন এবং সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
এ সময় গুলশান ট্রাফিক বিভাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে নগরবাসীকে এ ভোগান্তির বিষয়টি জানায় এবং বিকল্প রুট ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়। তাদের জানানো হয়, শ্রমিকরা ইনকামিং ও আউটগোয়িং উভয় লেন বন্ধ করে দেওয়ায় কুড়িল থেকে বাড্ডা এবং বাড্ডা থেকে কুড়িলের মধ্যে কোনো যান চলাচল করতে পারছে না।
বিকল্প রুটের নির্দেশনা: খিলখেত থেকে মহাখালী-বনানীগামী যানবাহনকে ফ্লাইওভারের পরিবর্তে নিচ দিয়ে চলাচলের অনুরোধ করা হয়েছে। রামপুরা থেকে আসা যানবাহনগুলোকে বাড্ডা লিংক রোড হয়ে গুলশান-১ ও ২ হয়ে উত্তরার দিকে যেতে বলা হয়েছে। নতুন বাজার হয়ে গুলশান-২ দিয়েও যানবাহন উত্তরার দিকে যেতে পারবে।
রামপুরামুখী যানবাহনগুলোকে কুড়াতলী-মহাখালী হয়ে কাকলী, আমতলী অথবা তেজগাঁও রুট ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গুলশান ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জিয়াউর রহমান দুপুর ১টার দিকে জানান, শ্রমিকরা এখনও সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এর ফলে উত্তরা-বাড্ডা-রামপুরা রুটে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের টিম ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। শ্রমিক এবং গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।”
এদিকে, হঠাৎ সড়ক অবরোধের কারণে কর্মস্থলগামী অসংখ্য মানুষ বিপাকে পড়েছেন। অনেককে বিকল্প রুটে ঘুরে যেতে হচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘ যানজটে আটকে থেকে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে অফিসগামী ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রমিকরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বেন না বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তবে পুলিশ তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
অবরোধের কারণে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ কুড়িল-বাড্ডা-রামপুরা সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জনভোগান্তি অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।