এটা কি খুনীদের দেশ?


রাস্তায় নির্মম হামলার দৃশ্যে একজন গণতন্ত্রকামী তৃণমূল বিএনপি-কর্মী হিসেবে উদ্বেগ প্রকাশ ও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি চিত্র দেশজুড়ে ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের প্রশ্নে চরম উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। নির্মম ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েক ব্যক্তি রাস্তায় লুটিয়ে পড়া নিরস্ত্র আরেকজনের ওপর পাথরের মত ভারী কিছু দিয়ে বারবার পাষন্ডের মত আঘাত হানছে, যখন আশপাশের মানুষ নির্বিকারভাবে হেঁটে যাচ্ছে। এই নির্মম দৃশ্য অনেকের চোখে ১৭ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে।
শয়তান যেমন ১১ মাস বিরামহীনভাবে বিপথগামী করার কারণে মানুষের রমজান মাসে বিপথগামী হতে শয়তানের আর কোন প্রয়োজন হয় না। তেমনি আমরা ১৭ বছর আওয়ামী ফ্যাসীবাদের অপকর্ম দেখে দেখে বা কিছুটা অংশীদার হয়ে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এখন ফ্যাসীবাদের শিক্ষায় এতটাই প্রভাবিত হয়েছি যে, ফ্যাসীবাদের অবর্তমানেও আমরা তাদের কর্ম অব্যহত রেখেছি। জুলাই বিপ্লব থেকে কি শিক্ষা নিতে হবে আর কি শিক্ষা নিচ্ছি। আফসোস! এখনো সময় আছে শিক্ষা নেওয়ার। নইলে জনগণ আমাদের ক্ষমা করবে না।
বিএনপি’র তৃণমূল পর্যায়ের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ আঘাত জুলাই বিপ্লবের চেতনা ও প্রত্যাশার সম্পুর্ণ বিরুদ্ধে। এটি স্বাধীনতার মূল চেতনা, ন্যায়বিচার এবং নাগরিক নিরাপত্তাকে লঙ্ঘন করেছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা এর দায় এড়াতে পারি না। সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজ যে দলেরই হোক, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের আওয়াজ সবসময় সোচ্চার থাকবে ইনশাআল্লাহ।
এই ঘটনাটি আবারও মনে করিয়ে দেয়, দমনপীড়ন, সহিংসতা ও চাঁদাবাজি কোনো দলেরই আদর্শ হতে পারে না। তাই তারা কোন দলের না। দেশে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক চর্চা পুনরুদ্ধারে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাহসিকতা ও গণমানুষের ঐক্য আজ সময়ের দাবি।
অতএব, রাজনৈতিক বিভাজন নয়, আইনের শাসন এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মানই হোক জাতির অঙ্গীকার। ইতিহাস নিশ্চয়ই এ ঘটনার বিচার করবে।