বাংলার ভাগ্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা


‘বাংলার ভাগ্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা, তার শ্যামল প্রান্তরে আজ রক্তের আলপনা, জাতির সৌভাগ্য-সূর্য আজ অস্তাচলগামী; শুধু সুপ্ত সন্তান—শিয়রে রোরুদ্যমানা জননী নিশাবসানের অপেক্ষায় প্রহর গণনায় রত। কে তাঁকে আশা দেবে? কে তাঁকে ভরসা দেবে? কে শোনাবে জীবন দিয়েও রোধ করব মরণের অভিযান?’
স্বাধীন বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলা আবেগভরা সেই কথাগুলো কেন জানি আজ খুব প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেছে।সত্যিই, বাংলার ভাগ্যাকাশে আজ ভয়ানক দুর্যোগের ঘনঘটা।
বিগত ১১ /১২ মাস ধরে যে মব ভায়োলেন্স, তাণ্ডব-সন্ত্রাস- ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছে, তা ছিল নজিরবিহীন। অসহিষ্ণুতা, ধৈর্যহীনতা, শ্রদ্ধাহীনতা, যুক্তিহীনতা, হিংস্রতা ও উগ্রবাদিতার এক ভয়াবহ সময় অতিক্রম করছি আমরা।কোথাও কোনো নিরাপত্তা নেই,আদালত চত্বরেও না।
দেশ এখন অনেক মৃত্যু-অশ্রু-বেদনা ও কতিপয় সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব-ধ্বংসলীলা পেরিয়ে পুরোদস্তুর এক রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে উপনীত হয়েছে।
একটা সাজানো গোছানো দেশ অনেক পিছিয়ে গেলো। অনেক অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে, অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে গেছে।জিডিপি কমেছে।
অস্থিতিশীল এই পরিবেশে কেউ বিনিয়োগ করতে সাহস পাচ্ছেনা।লক্ষ লক্ষ লোক বেকার হয়েছে,২৭ লক্ষ লোক নতূন করে দরিদ্র হয়েছে।
আমি জানি এই সত্য কথাগুলো লেখাও রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ! হয়তো এই লিখার জন্য -নানা অশ্লীল, অশোভন, অবমাননাকর মন্তব্য শুনতে হবে।
আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নই।অতীতেও ছিলাম না।তবুও বিবেকের তাগিদে, দেশেপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের জন্য লিখি। অন্যথা আমি নিজেও নিজেকে ক্ষমা করতে পারবোনা।