রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

কলাবাগান থানায় সাবেক ওসির বিরুদ্ধে মামলা: সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

রুবিনা শেখ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম | 53 বার পড়া হয়েছে
কলাবাগান থানায় সাবেক ওসির বিরুদ্ধে মামলা: সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

গতকাল (২-৭-২০২৫) কলাবাগান থানার সাবেক ওসির বিরুদ্ধে ঢাকার সি এম এম আদালতে দায়ের করা নালিশী মামলার আদেশ হয়। ৮নং আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সিফাত উল্লাহ মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে মামলার শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজর (অবঃ) এম সরোয়ার হোসেন। দুইদিন মামলার শুনানি করা হয়। ৩০ তারিখ সর্বশেষ শুনানির ৪৮ ঘন্টা পর আদেশ পাওয়া গেল।

গত ২৩ জুন কলাবাগান থানার সাবেক ওসি মোক্তারুজ্জামান এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ফিকামলি তত্ত্বের জনক, শিক্ষাবিদ,কলামিস্ট ড. আব্দুল ওয়াদুদ।

মামলা নং সি আর ২৫৫/ ২০২৫, ধারা ৪৪৭/৪৪৮/৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭/৩৯৩/১৪৯/১০৯/৩৪ দঃ বিঃ

মামলার অন্যান্য আসামী কলাবাগান থানার সাবেক এস আই বেলাল হোসেন ও পুলিশ পরিচয়দানকারী কলাবাগান থানা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ,সন্ত্রাসী আব্দুল মান্নান ভূইয়া।

মামলার প্রধান কৌশলী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনকে সহায়তা করেন এডভোকেট সৈয়দ আহমেদ গাজী, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম মল্লিক নিয়ামত, এডভোকেট ওমর ফারুক ও এডভোকেট সোহেল আহমেদ।

আদেশ পাওয়ার পর ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ড. আব্দুল ওয়াদুদ একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তার পিতা ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। তিনি নিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ এমএ ডিগ্রিধারী, বিদেশ থেকে পিএইচডি করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। তার লেখা অনেকগুলো বই রয়েছে। নিয়মিত পত্রিকায় কলাম লেখেন। একজন প্রকৃতিপ্রেমী ও ওয়াইল্ড লাইফ বিশেষজ্ঞ। তিনি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও পাখি নিয়ে গবেষণা করেন। ড. আবদুল ওয়াদুদ বাংলাদেশে একমাত্র ব্যক্তি যাকে সরকার বাঘের বাচ্চা লালন পালনের অনুমতি দিয়েছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া ও তাপমাত্রায় বিদেশি পাখির সফল ব্রিডিং কার্যক্রম নিয়ে তিনি গবেষণা করছেন দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে। তার গবেষণালব্ধ ফলাফল কাজে লাগিয়ে এদেশের অনেক বেকার যুবক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। তিনি একজন দানবীর, সমাজ হিতৈষী, পরোপোকারী ব্যক্তি।

গত ২৯ এপ্রিল ২০২৫ গভীর রাতে কলাবাগান থানার পুলিশের সহযোগিতায় একদল সন্ত্রাসী ড. আব্দুল ওয়াদুদ এর বাড়িতে জোরপূর্বক ঢুকে পড়ে। পুলিশ ও সন্ত্রাসীরা তার কাছে ০১ (এক) কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে ও ২ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। বাদবাকি টাকা দিতে না পারলে দশটি মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।

সন্ত্রাসীরা পুলিশের সহযোগিতায় বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। বিশেষ করে গবেষণার জন্য সংগ্রহ করা ২০ জোড়া দুর্লভ পাখি নিয়ে যায়, যার আনুমানিক মুল্য ২.৫ কোটি টাকা। হরিণ ধরার চেষ্টা করলে ১টি গর্ভবতী হরিণ মারা যায়।

এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে কলাবাগান থানার তৎকালীন ওসি মোক্তারুজ্জামান, এস আই বেলাল হোসেন ও এস আই আবু হোরায়রা জিহান বরখাস্ত হয়। গত ৬ মে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছে।

ব্যারিস্টার সারোয়ার সাংবাদিকদের আরও বলেন, কোন মামলা-মোকদ্দমা না থাকা সত্ত্বেও, কোন ওয়ারেন্ট,অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও গভীর রাতে যেকোনো নাগরিকের কাছে গিয়ে পুলিশের চাঁদা দাবি ও চাঁদা আদায় কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ কেন সন্ত্রাসীদের নিয়ে একটি বাড়িতে ঢুকবে? পুলিশ জনগণের জান মালের রক্ষক। অসাধু কিছু সদস্য রক্ষক না হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে যা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারী পুলিশ সদস্যদের কারণে মানুষের জান মাল বর্তমানে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ছে। ২৯ এপ্রিল ২০২৫ কলাবাগান থানার তৎকালীন ওসি ও কিছু সদস্য তাদের দায়িত্বের অংশ হিসেবে জান, মাল ও সম্পত্তি রক্ষা না করে ডাকাতদের সহযোগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।

ব্যারিস্টার সরোয়ার আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ড. আবদুল ওয়াদুদ এর বাসায় বেশ কয়েকবার হামলা,ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। সে সময় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ছিল প্রায় ৫ কোটি টাকা। তখন থানায় পুলিশ ছিল না। পুলিশ জান নিয়ে পালিয়েছে। কিন্তু ১০ মাস পর কেন এমনটি হবে। কিছু সংখ্যক অসাধু পুলিশ সদস্যের অপেশাদারী আচরণ জনগণের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে।

ব্যারিস্টার সরোয়ার আরও বলেন আমি মেজর (অব:) সিনহা হত্যা মামলায় লড়েছি। টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপের ফাঁসি হয়েছে। আমি এ মামলায় শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো। কলাবাগান থানার অসাধু পুলিশ সদস্য ও দুষ্কৃতকারীদের অবশ্যই শাস্তি হইতে হবে। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।

দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

মো: মেহেদী হাসান ফুয়াদ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম
দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

২ আগষ্ট শনিবার বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর নব নির্বাচিত কার্য্যকরী কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নব- নির্বাচিত সভাপতি- মোঃ আব্দুস সাত্তার, সহ সভাপতি- মোঃ শরিফুল ইসলাম সেলি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক, আবুল কালাম (১), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এনামুল হক, অর্থ সম্পাদক- আবুস সালাম ও কার্র্য্যনির্বাহী পরিষোধের সদস্য মোঃ কমর আলী শেখ ও মোঃ বিশালকে ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুর্যায়ী শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশান দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবিবর রহমান। উল্লেখ্য, বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২ জুলাই ‘২০২৫। নির্বাচনে উপরোক্ত ৮জন প্রার্থী বিজয়ী হন।

দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

বগুড়া থেকে মোঃ হাফিজুর রহমান প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ জানিয়েছেন —
আমাদের দেশ চলে মানুষের ঘাম আর পরিশ্রমের করের টাকায়। প্রতিটি রাস্তা, স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি সেবা ও অবকাঠামো জনগণের টাকায় গড়ে উঠেছে।
কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট শাসন আর আজকের কর্তৃত্ববাদী মনোভাব দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকারকে অবমূল্যায়ন করেছে — মানুষের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হয়েছে, গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতি, লুটপাট আর দুর্নীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিশ্বাস করে—গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট নয়, মানুষের কথা শোনা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
আমাদের আপোষহীন নেত্রী, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় আজও আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বিএনপি জনগণের অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সবসময়ই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি সরকারের সময় দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পথে ছিল, গণতন্ত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার সুরক্ষিত ছিল — যা আজ হরণ হয়েছে।
আগামী নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাই—আপনাদের শক্তি ও অধিকারকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিজয়ের প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিন, আপনার আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করুন।
বিএনপি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পক্ষে। দেশের প্রতিটি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করাই আমাদের অঙ্গীকার। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি।
আমরা বিশ্বাস করি—ধানের শীষে জনগণের এই আস্থা গণতন্ত্র, উন্নয়ন আর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে উঠবে।

মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

Masud Parves প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম
মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

মধ্যবয়সী নারীকে বাইরে থেকে দেখে কেউ বুঝতে পারে না, তার ভেতর কতটা জীবন বয়ে চলে। তার মুখে হয়তো একরাশ শান্তি, চোখে একটুখানি ক্লান্তি—কিন্তু এই চেহারার ভেতরে আছে এক গভীর নদী, যেটা ধীরে ধীরে বয়ে যায়। এই নদী যেন নীরব, তবে থেমে নেই। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা, ভালোবাসা, হারানো-বিলুপ্ত কিছু স্মৃতি—সব মিলে তার কামনা তৈরি হয় এক নতুন রূপে, এক অনন্য ভাষায়।
এই বয়সে সে আর কারো মন জেতার জন্য হাসে না। সে নিজেকে লুকিয়ে রাখে না, সাজিয়ে তোলে না কেবল কারো নজর কাড়ার জন্য। বরং সে নিজেকে ভালোবাসে গভীরভাবে। জানে—তার শরীর ঠিক যেমন, তেমনটাই সুন্দর। তার যৌনতা এখন আর দেহের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে বোঝাপড়ার, সম্মান আর সংবেদনের জায়গা।
তরুণ বয়সের কামনা হঠাৎ জ্বলে ওঠে, হঠাৎ নিভেও যায়। সেখানে থাকে আবেগের ঝড়, না বুঝে ফেলার এক উন্মাদনা। কিন্তু মধ্যবয়সী নারীর কামনা অনেক বেশি ধৈর্যের, অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের। সে জানে, কীভাবে তার শরীরের প্রতিটি প্রতিক্রিয়া বোঝে নিতে হয়। সে জানে, কখন আগলে রাখতে হয় নিজেকে, আর কখন খুলে দিতে হয় সমস্ত দরজা।
এই নারী কাউকে ছুঁতে চায়—কিন্তু ছোঁয়াটার আগে সে বোঝে নেয় সেই মানুষটার ভেতরটা। সে শুধু শরীর খোঁজে না—সে এমন একজন সঙ্গী খোঁজে, যার স্পর্শে থাকে শ্রদ্ধা, যার চোখে থাকে নিরাপত্তা। সে জানে কার পাশে ঘুমালে শান্তি নামে, আর কার পাশে থাকলে ভালোবাসা শুকিয়ে যায়।
তার কামনা আর শিশুর মতো নিষ্পাপ নয়। বরং তাতে এক ধরনের প্রাপ্তবয়স্ক মমতা থাকে, থাকে বোঝাপড়া। সে জানে কখন চাওয়া, কখন না বলা। সে জানে, ‘না’ বলাটাও নিজের প্রতি এক রকম ভালোবাসা। তার ভালোবাসা এখন আর পাগলামি নয়—তা গভীর, সযত্নে বাছাই করা, বোধসম্পন্ন।
সমাজ হয়তো ভাবে এই বয়সের নারী নিঃসাড়, নিঃস্পৃহ। কিন্তু তারা জানে না, তার ভেতরটায় প্রতিদিন ঢেউ খেলে যায়। তার চোখে জমে থাকা পুরনো গল্পের আলো ঝিলমিল করে, তার হাসিতে মিশে থাকে না বলা ভালোবাসার রেশ। এই নারী চাইলেই কারো জীবনে নীরবে ঢুকে যেতে পারে, আবার কাউকে বিদায়ও জানাতে পারে নিঃশব্দে—এক বিন্দু তিক্ততা ছাড়াই।
তার যৌনতা আজ আর কারো কাছ থেকে অনুমতি চায় না। সে নিজের শরীর, নিজের কামনা, নিজের মনের দায়িত্ব নিজেই নেয়। সে জানে—কে তার জলের গভীরে স্নান করার যোগ্য, আর কে কেবল পাথর ছুড়ে জল ঘোলা করতে চায়।
মধ্যবয়স মানে ক্ষয় নয়, সেটি এক নবজন্ম। একজন নারী এই বয়সে এসে হয়তো সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়—যেন সন্ধ্যার আলোয় জ্বলে ওঠা দীপ, যা সারা দিনের ক্লান্তিকে শান্ত করে। তার কামনা আগুন নয়—তা আলো। তা জ্বলিয়ে দেয় না, তা গায়ে মেখে থাকে।
এক নদী, যে জানে কখন কার দিকে পথ খুলে দিতে হয়, আর কখন নিজেকে আগলে রাখতে হয়।
যে জানে, ভালোবাসা মানে কারো হাত ধরা নয়—বরং কারো হাতে নিজের হাত রাখার মতো আত্মবিশ্বাস অর্জন করা।

error: Content is protected !!