শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

মিয়ানমারকে হারিয়ে এশিয়ান কাপের কাছে বাংলাদেশ

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ১০:১২ এএম | 67 বার পড়া হয়েছে
মিয়ানমারকে হারিয়ে এশিয়ান কাপের কাছে বাংলাদেশ

কোচ পিটার বাটলার আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, একই সঙ্গে মানতে বললেন বাস্তবতাও। বাংলাদেশ নিয়ে খুব কম লোকই তাই আশাবাদী ছিলেন। কারণ, নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে দুই পরাশক্তি বাহরাইন ও মিয়ানমার র‍্যাঙ্কিংয়ে ঢের এগিয়ে। সেই ভুল ভাঙিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলার আরও কাছে চলে গেলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। বাহরাইনকে উড়িয়ে দেওয়ার পর আজ স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়েছে ২-১ গোলে। দুটো গোলই এসেছে ঋতুপর্ণা চাকমার পা থেকে।
এশিয়ান কাপের টিকিট পেতে বাংলাদেশকে চোখ রাখতে হবে আজকের বাহরাইন-তুর্কমেনিস্তান লড়াইয়ে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি ড্র কিংবা বাহরাইন জিতলেই ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ।
ইয়াঙ্গুনের থুউনা স্টেডিয়ামে প্রথম মিনিটেই বিপদের মুখে পড়তে হয়েছিল। ডান প্রান্ত থেকে ইউন ওয়াদি লাইংয়ের ক্রসে শ্বে ই তুনের ভলি অল্পের জন্য বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ষষ্ঠ মিনিটে মনিকার শট সহজে তালুবন্দী করেন মিয়ানমারের গোলরক্ষক মিয়া নিয়েন।
১৮ মিনিটে বক্সের কিছুটা বাইরে ফাউলের শিকার হন শামসুন্নাহার জুনিয়র। ঋতুপর্ণা চাকমার নেওয়া ফ্রি-কিক মানবদেয়ালে আটকে গেলেও বল চলে আসে তাঁর কাছে। এবার আর কোনো ভুল করেননি তিনি। বাম পায়ের কোনাকুনি শটে খুঁজে নেন জালের ঠিকানা। এগিয়ে দেন বাংলাদেশকে।
২৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ ছিল শামসুন্নাহার জুনিয়রের কাছে। ঋতুপর্ণার ক্রসে তিনি পা ছোঁয়ালেও বল পোস্ট ঘেঁষে চলে যায় বাইরে। ৩৬ মিনিটে ই তুনের গোলে সমতায় ফিরেছিল মিয়ানমার। কিন্তু অফসাইডে বাতিল হয় সেই গোল। ৪২ মিনিটে ইউপার খাইনের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তবে ফিরতি শটে বাংলাদেশ গোলরক্ষক রুপনা চাকমাকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি নও রাই। বিরতির আগে সমতায় ফিরতে আরও কয়েকবার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয় স্বাগতিকেরা।
বিরতির পর আরও মরিয়া হয়ে ওঠে মিয়ানমার। ৫৮ মিনিটে কর্নার থেকে মে লুর হেড ঠেকিয়ে দেন রুপনা। বাংলাদেশের আক্রমণে ফিরতে অবশ্য কিছুটা সময় লাগে। ৬৯ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে ঋতুপর্ণার ক্রস মনিকা ঠিকমতো প্লেসমেন্ট করতে পারেননি। বল চলে যায় বারের ওপর দিয়ে।
৭১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। গোলদাতা আবারও সেই ঋতুপর্ণা। মিয়ানমারের ডিফেন্ডার থানদার তুনের ভুল পাসে বল পেয়ে যান তিনি। বাম প্রান্ত ধরে খানিকটা এগিয়ে যাওয়ার পর বক্সের বাইরে থেকে তাঁর নেওয়া শট গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে আশ্রয় নেয় জালে।
৭৫ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করার সুযোগ এসেছিল সুলতানার সামনে। বক্সের বাইরে গোলরক্ষককে কাটিয়ে ফাঁকা গোলপোস্ট পেয়ে যান তিনি। কিন্তু তাঁর শটের নিশানা ঠিক ছিল না। ৭৭ মিনিটে আবার বাংলাদেশকে রক্ষা করেন রুপনা। মাটিতে পড়ে রুখে দেন মিয়ানমারের ফরোয়ার্ড নোয়ে খিনকে। ৭৯ মিনিটে দুই ফুটবলারকে কাটিয়ে মুনকি আক্তারের দেওয়া পাস কাজে লাগাতে পারেননি সুলতানা। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর শট চলে যায় অনেকটা ওপর দিয়ে।
৮৯ মিনিটে মিয়ানমারের হয়ে একটি গোল শোধ করেন উইন উইন। কিন্তু দিনশেষে হতাশায় ভুগতে হয় র‍্যাঙ্কিংয়ের ৫৫ নম্বরে থাকা স্বাগতিকদের। ৭৩ ধাপ পিছিয়ে ১২৮-এ থাকা বাংলাদেশ মাঠ ছেড়েছে আনন্দ নিয়ে। ৭ বছর আগে এই স্টেডিয়ামে মিয়ানমারের বিপক্ষে ৫-০ গোলে হারের দুঃস্মৃতি পেয়েছিল বাংলাদেশ। আজকের জয়টা তাই প্রতিশোধেরও!
বাংলাদেশ একাদশ: রুপনা চাকমা, আফঈদা খন্দকার, শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার সিনিয়র, কোহাতি কিসকু, স্বপ্না রানী, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দা, শামসুন্নাহার জুনিয়র, তহুরা খাতুন ও ঋতুপর্ণা চাকমা।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।