রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

মিয়ানমারকে হারিয়ে এশিয়ান কাপের কাছে বাংলাদেশ

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ১০:১২ এএম | 50 বার পড়া হয়েছে
মিয়ানমারকে হারিয়ে এশিয়ান কাপের কাছে বাংলাদেশ

কোচ পিটার বাটলার আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, একই সঙ্গে মানতে বললেন বাস্তবতাও। বাংলাদেশ নিয়ে খুব কম লোকই তাই আশাবাদী ছিলেন। কারণ, নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে দুই পরাশক্তি বাহরাইন ও মিয়ানমার র‍্যাঙ্কিংয়ে ঢের এগিয়ে। সেই ভুল ভাঙিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলার আরও কাছে চলে গেলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। বাহরাইনকে উড়িয়ে দেওয়ার পর আজ স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়েছে ২-১ গোলে। দুটো গোলই এসেছে ঋতুপর্ণা চাকমার পা থেকে।
এশিয়ান কাপের টিকিট পেতে বাংলাদেশকে চোখ রাখতে হবে আজকের বাহরাইন-তুর্কমেনিস্তান লড়াইয়ে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি ড্র কিংবা বাহরাইন জিতলেই ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ।
ইয়াঙ্গুনের থুউনা স্টেডিয়ামে প্রথম মিনিটেই বিপদের মুখে পড়তে হয়েছিল। ডান প্রান্ত থেকে ইউন ওয়াদি লাইংয়ের ক্রসে শ্বে ই তুনের ভলি অল্পের জন্য বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ষষ্ঠ মিনিটে মনিকার শট সহজে তালুবন্দী করেন মিয়ানমারের গোলরক্ষক মিয়া নিয়েন।
১৮ মিনিটে বক্সের কিছুটা বাইরে ফাউলের শিকার হন শামসুন্নাহার জুনিয়র। ঋতুপর্ণা চাকমার নেওয়া ফ্রি-কিক মানবদেয়ালে আটকে গেলেও বল চলে আসে তাঁর কাছে। এবার আর কোনো ভুল করেননি তিনি। বাম পায়ের কোনাকুনি শটে খুঁজে নেন জালের ঠিকানা। এগিয়ে দেন বাংলাদেশকে।
২৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ ছিল শামসুন্নাহার জুনিয়রের কাছে। ঋতুপর্ণার ক্রসে তিনি পা ছোঁয়ালেও বল পোস্ট ঘেঁষে চলে যায় বাইরে। ৩৬ মিনিটে ই তুনের গোলে সমতায় ফিরেছিল মিয়ানমার। কিন্তু অফসাইডে বাতিল হয় সেই গোল। ৪২ মিনিটে ইউপার খাইনের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তবে ফিরতি শটে বাংলাদেশ গোলরক্ষক রুপনা চাকমাকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি নও রাই। বিরতির আগে সমতায় ফিরতে আরও কয়েকবার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয় স্বাগতিকেরা।
বিরতির পর আরও মরিয়া হয়ে ওঠে মিয়ানমার। ৫৮ মিনিটে কর্নার থেকে মে লুর হেড ঠেকিয়ে দেন রুপনা। বাংলাদেশের আক্রমণে ফিরতে অবশ্য কিছুটা সময় লাগে। ৬৯ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে ঋতুপর্ণার ক্রস মনিকা ঠিকমতো প্লেসমেন্ট করতে পারেননি। বল চলে যায় বারের ওপর দিয়ে।
৭১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। গোলদাতা আবারও সেই ঋতুপর্ণা। মিয়ানমারের ডিফেন্ডার থানদার তুনের ভুল পাসে বল পেয়ে যান তিনি। বাম প্রান্ত ধরে খানিকটা এগিয়ে যাওয়ার পর বক্সের বাইরে থেকে তাঁর নেওয়া শট গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে আশ্রয় নেয় জালে।
৭৫ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করার সুযোগ এসেছিল সুলতানার সামনে। বক্সের বাইরে গোলরক্ষককে কাটিয়ে ফাঁকা গোলপোস্ট পেয়ে যান তিনি। কিন্তু তাঁর শটের নিশানা ঠিক ছিল না। ৭৭ মিনিটে আবার বাংলাদেশকে রক্ষা করেন রুপনা। মাটিতে পড়ে রুখে দেন মিয়ানমারের ফরোয়ার্ড নোয়ে খিনকে। ৭৯ মিনিটে দুই ফুটবলারকে কাটিয়ে মুনকি আক্তারের দেওয়া পাস কাজে লাগাতে পারেননি সুলতানা। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর শট চলে যায় অনেকটা ওপর দিয়ে।
৮৯ মিনিটে মিয়ানমারের হয়ে একটি গোল শোধ করেন উইন উইন। কিন্তু দিনশেষে হতাশায় ভুগতে হয় র‍্যাঙ্কিংয়ের ৫৫ নম্বরে থাকা স্বাগতিকদের। ৭৩ ধাপ পিছিয়ে ১২৮-এ থাকা বাংলাদেশ মাঠ ছেড়েছে আনন্দ নিয়ে। ৭ বছর আগে এই স্টেডিয়ামে মিয়ানমারের বিপক্ষে ৫-০ গোলে হারের দুঃস্মৃতি পেয়েছিল বাংলাদেশ। আজকের জয়টা তাই প্রতিশোধেরও!
বাংলাদেশ একাদশ: রুপনা চাকমা, আফঈদা খন্দকার, শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার সিনিয়র, কোহাতি কিসকু, স্বপ্না রানী, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দা, শামসুন্নাহার জুনিয়র, তহুরা খাতুন ও ঋতুপর্ণা চাকমা।

দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

মো: মেহেদী হাসান ফুয়াদ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম
দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

২ আগষ্ট শনিবার বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর নব নির্বাচিত কার্য্যকরী কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নব- নির্বাচিত সভাপতি- মোঃ আব্দুস সাত্তার, সহ সভাপতি- মোঃ শরিফুল ইসলাম সেলি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক, আবুল কালাম (১), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এনামুল হক, অর্থ সম্পাদক- আবুস সালাম ও কার্র্য্যনির্বাহী পরিষোধের সদস্য মোঃ কমর আলী শেখ ও মোঃ বিশালকে ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুর্যায়ী শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশান দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবিবর রহমান। উল্লেখ্য, বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২ জুলাই ‘২০২৫। নির্বাচনে উপরোক্ত ৮জন প্রার্থী বিজয়ী হন।

দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

বগুড়া থেকে মোঃ হাফিজুর রহমান প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ জানিয়েছেন —
আমাদের দেশ চলে মানুষের ঘাম আর পরিশ্রমের করের টাকায়। প্রতিটি রাস্তা, স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি সেবা ও অবকাঠামো জনগণের টাকায় গড়ে উঠেছে।
কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট শাসন আর আজকের কর্তৃত্ববাদী মনোভাব দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকারকে অবমূল্যায়ন করেছে — মানুষের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হয়েছে, গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতি, লুটপাট আর দুর্নীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিশ্বাস করে—গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট নয়, মানুষের কথা শোনা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
আমাদের আপোষহীন নেত্রী, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় আজও আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বিএনপি জনগণের অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সবসময়ই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি সরকারের সময় দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পথে ছিল, গণতন্ত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার সুরক্ষিত ছিল — যা আজ হরণ হয়েছে।
আগামী নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাই—আপনাদের শক্তি ও অধিকারকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিজয়ের প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিন, আপনার আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করুন।
বিএনপি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পক্ষে। দেশের প্রতিটি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করাই আমাদের অঙ্গীকার। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি।
আমরা বিশ্বাস করি—ধানের শীষে জনগণের এই আস্থা গণতন্ত্র, উন্নয়ন আর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে উঠবে।

মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

Masud Parves প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম
মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

মধ্যবয়সী নারীকে বাইরে থেকে দেখে কেউ বুঝতে পারে না, তার ভেতর কতটা জীবন বয়ে চলে। তার মুখে হয়তো একরাশ শান্তি, চোখে একটুখানি ক্লান্তি—কিন্তু এই চেহারার ভেতরে আছে এক গভীর নদী, যেটা ধীরে ধীরে বয়ে যায়। এই নদী যেন নীরব, তবে থেমে নেই। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা, ভালোবাসা, হারানো-বিলুপ্ত কিছু স্মৃতি—সব মিলে তার কামনা তৈরি হয় এক নতুন রূপে, এক অনন্য ভাষায়।
এই বয়সে সে আর কারো মন জেতার জন্য হাসে না। সে নিজেকে লুকিয়ে রাখে না, সাজিয়ে তোলে না কেবল কারো নজর কাড়ার জন্য। বরং সে নিজেকে ভালোবাসে গভীরভাবে। জানে—তার শরীর ঠিক যেমন, তেমনটাই সুন্দর। তার যৌনতা এখন আর দেহের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে বোঝাপড়ার, সম্মান আর সংবেদনের জায়গা।
তরুণ বয়সের কামনা হঠাৎ জ্বলে ওঠে, হঠাৎ নিভেও যায়। সেখানে থাকে আবেগের ঝড়, না বুঝে ফেলার এক উন্মাদনা। কিন্তু মধ্যবয়সী নারীর কামনা অনেক বেশি ধৈর্যের, অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের। সে জানে, কীভাবে তার শরীরের প্রতিটি প্রতিক্রিয়া বোঝে নিতে হয়। সে জানে, কখন আগলে রাখতে হয় নিজেকে, আর কখন খুলে দিতে হয় সমস্ত দরজা।
এই নারী কাউকে ছুঁতে চায়—কিন্তু ছোঁয়াটার আগে সে বোঝে নেয় সেই মানুষটার ভেতরটা। সে শুধু শরীর খোঁজে না—সে এমন একজন সঙ্গী খোঁজে, যার স্পর্শে থাকে শ্রদ্ধা, যার চোখে থাকে নিরাপত্তা। সে জানে কার পাশে ঘুমালে শান্তি নামে, আর কার পাশে থাকলে ভালোবাসা শুকিয়ে যায়।
তার কামনা আর শিশুর মতো নিষ্পাপ নয়। বরং তাতে এক ধরনের প্রাপ্তবয়স্ক মমতা থাকে, থাকে বোঝাপড়া। সে জানে কখন চাওয়া, কখন না বলা। সে জানে, ‘না’ বলাটাও নিজের প্রতি এক রকম ভালোবাসা। তার ভালোবাসা এখন আর পাগলামি নয়—তা গভীর, সযত্নে বাছাই করা, বোধসম্পন্ন।
সমাজ হয়তো ভাবে এই বয়সের নারী নিঃসাড়, নিঃস্পৃহ। কিন্তু তারা জানে না, তার ভেতরটায় প্রতিদিন ঢেউ খেলে যায়। তার চোখে জমে থাকা পুরনো গল্পের আলো ঝিলমিল করে, তার হাসিতে মিশে থাকে না বলা ভালোবাসার রেশ। এই নারী চাইলেই কারো জীবনে নীরবে ঢুকে যেতে পারে, আবার কাউকে বিদায়ও জানাতে পারে নিঃশব্দে—এক বিন্দু তিক্ততা ছাড়াই।
তার যৌনতা আজ আর কারো কাছ থেকে অনুমতি চায় না। সে নিজের শরীর, নিজের কামনা, নিজের মনের দায়িত্ব নিজেই নেয়। সে জানে—কে তার জলের গভীরে স্নান করার যোগ্য, আর কে কেবল পাথর ছুড়ে জল ঘোলা করতে চায়।
মধ্যবয়স মানে ক্ষয় নয়, সেটি এক নবজন্ম। একজন নারী এই বয়সে এসে হয়তো সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়—যেন সন্ধ্যার আলোয় জ্বলে ওঠা দীপ, যা সারা দিনের ক্লান্তিকে শান্ত করে। তার কামনা আগুন নয়—তা আলো। তা জ্বলিয়ে দেয় না, তা গায়ে মেখে থাকে।
এক নদী, যে জানে কখন কার দিকে পথ খুলে দিতে হয়, আর কখন নিজেকে আগলে রাখতে হয়।
যে জানে, ভালোবাসা মানে কারো হাত ধরা নয়—বরং কারো হাতে নিজের হাত রাখার মতো আত্মবিশ্বাস অর্জন করা।

error: Content is protected !!