বিপিএলের দল বাছাই আগস্টে: ড্রাফট অক্টোবরে


২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আয়োজনের তোড়জোড় এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সব ঠিকঠাক থাকলে ১২তম বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট হবে অক্টোবরে। তার আগে আগস্টে হবে দল বাছাই।
বিসিবি কার্যালয়ে আজ ২০২৬ বিপিএল নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম। বিকেলে গ্রাউন্ডস বিভাগের কিউরেটরদের নিয়ে তিনদিনের কর্মশালা শেষে মাহবুব আনাম বলেন, ‘আমি মনে করি, বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট অক্টোবরের আগে হবে না। যদি আমরা স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে আয়োজন-ব্যবস্থাপনার কাজ আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে শেষ করতে পারি, তবে আগস্টের শেষ নাগাদ ফ্র্যাঞ্চাইজি বাছাইয়ে যেতে পারব। এরপর যদি সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়, তাহলে আমরা অক্টোবরে ড্রাফট আয়োজনের অবস্থানে থাকব।’
১১তম আসরের পর পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে বিসিবির চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে বলে জানান মাহবুব আনাম। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখন নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে বোর্ড। এই মুহূর্তে আমরা প্রোডাকশন, পৃষ্ঠপোষক কিংবা কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ নই। সবকিছু শুরু করছি একেবারে শূন্য থেকে। আগ্রহী পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিরাও আবেদন করতে পারবে, যদি তারা কোনোভাবে ডিফল্টার না হয়ে থাকে।’
প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এবারের বিপিএলে দল কিনতে পারেন বলে জানিয়েছেন মাহবুব। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বিদেশে বসবাসকারী কিছু আগ্রহী বিনিয়োগকারীর নাম আমাদের কানে এসেছে। যেমন ইংল্যান্ড কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশি মালিকানার কথাও শুনেছি। আগস্টে যখন আমরা চূড়ান্ত বাছাইয়ে যাব, তখনই জানাতে পারব কাদের হাতে যাবে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির দায়িত্ব।’
ড্রাফট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ছাড়াও বড় চিন্তা এখন মাঠ নির্বাচন নিয়ে। বিপিএল আয়োজনের জন্য আইসিসির নির্ধারিত কিছু শর্ত পূরণ করতে হয় বিশেষ করে প্রোডাকশন সুবিধা, আবাসন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এজন্য আগামী সপ্তাহেই আমরা সম্ভাব্য মাঠগুলোর অবস্থা নিরীক্ষণ করবে বলে জানিয়েছেন মাহবুব। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের প্রধান বলেন, ‘চার মাসের মধ্যে ভেন্যুগুলোর প্রস্তুতি শেষ করা গেলে তবেই বোঝা যাবে কয়টি মাঠে বিপিএল আয়োজন সম্ভব হবে। আমরা চাচ্ছি প্রয়োজনমতো মাঠের সংখ্যা বাড়াতে, তবে সেটা নির্ভর করছে প্রস্তুতির গতির ওপর। খুলনা ও বগুড়ায় আগে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন হয়েছে। বরিশালে সংস্কার কাজ চলছে। যদি বরিশালের কাজ সময়মতো শেষ হয়, তাহলে আমরা হয়তো তিনটি নয়, চার বা পাঁচটি ভেন্যুতেই বিপিএল আয়োজন করতে পারব।’