মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

চিকিৎসা সেবায় পাল্টে গেছে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

জেলা প্রতিনিধি রংপুরঃ প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪:০৪ এএম | 122 বার পড়া হয়েছে
চিকিৎসা সেবায় পাল্টে গেছে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

জেলা প্রতিনিধি রংপুরঃ গ্রামীণ জনপদে সেবার এক অনন্য রংপুরের পীরগাছায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ উপজেলার বেশিরভাগ সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

সার্বিক অবকাঠামোর সৌন্দর্য বৃদ্ধি, নিয়ম শৃঙ্খলার উন্নতি ও সেবার মানে ইতোমধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে হাসপাতালটির সেবা নিয়েও এলাকার মানুষ সন্তুষ্ট।

জানা গেছে, ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে মোট -১৮ জন চিকিৎসকের মধ্যে ০৪ জন কনসালটেন্ট ও ২৫ জন নার্স নিয়মিত সেবা দিচ্ছেন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রতিদিন ৫০০-৬০০ জন রোগী সেবা নিচ্ছেন। জরুরী বিভাগে প্রতিদিন ১০০-১৫০ জন রোগী সেবা নিয়ে থাকে।

প্রতিমাসে প্রায় ০১-০৮ জন গর্ভবতী মায়ের নরমাল ডেলিভারি করা হয়। সিজারিয়ান ডেলিভারি করা হয় ০১-০৩ জনকে।

এ ছাড়াও জরুরী প্রয়োজন বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ডেলিভারী ব্যবস্থা চালু রয়েছে।

নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে সিসি ক্যামেরা দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়।

স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা একাধিক রোগী জানান, হাসপাতালটিতে সেবার দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছেন বর্তমান স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিশ্বেশ্বর চন্দ্র বর্মন।

তিনি যোগদানের পর থেকে হাসপাতালের খাবার মান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সুবিধা-অসুবিধা, ফুল-ফলাদির বাগানসহ সার্বিক বিষয়ে নানা মুখী সৃজনশীল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। উপজেলার কিসামত ঝিনিয়া এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা শাহাদুল ইসলাম বলেন, এক সময় নিয়মিত চিকিৎসক ও ওষুধ পাওয়া যেত না । এখন পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসক রয়েছেন, আমরাও উন্নত মানের সেবা পাচ্ছি। বিনামূল্যে ওষুধ দিচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক ডা.আজিজ নাদিম বলেন, প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসা বিভিন্ন ধরনের রোগীকে আমরা যত্নসহকারে চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী জানান, কিভাবে আরো সহজে প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়েও প্রতিনিয়ত সভা-সমাবেশের মাধ্যমে দিক-নির্দেশনা দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সৃজনশীল ভাবনা, শৃঙ্খলা ও যুগান্তকারী উদ্যোগের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এদিকে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আউটডোরে ৯৬ হাজার ৯২৪ জন ও হাসপাতালে ভর্তি ১০ হাজার ৫০০ জনকে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মোট ৩১২ জনকে ডেলিভারী করা হয়েছে। এর মধ্যে নরমাল ৩০০ জন ও সিজারিয়ান ডেলিভারী ১২ জন।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাকিবুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে কনসালটেন্ট ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য সেবার মান আরো উন্নত করতে আমাদের এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে ।

এ ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.বিশ্বেশ্বর চন্দ্র বর্মন বলেন, রোগীদের উন্নত সেবা প্রদানের জন্য চিকিৎসক-নার্স সকলেই নিরলস ভাবে কাজ করছি,বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে জেনারেটর চালু রাখতে হচ্ছে। তবে সরকারি ভাবে জেনারেটরের তেল বরাদ্দ না থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আশা করি, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।

টাঙ্গাইলে ডাকাতি চেষ্টা: অস্ত্রসহ ৬ জন আটক

মোহাম্মদ সোহেল (বিশেষ) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:০২ পিএম
টাঙ্গাইলে ডাকাতি চেষ্টা: অস্ত্রসহ ৬ জন আটক

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ ছয় সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার ভোর রাতে কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। যমুনা সেতু পূর্ব থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে পাবনাগামী পামওয়েল বোঝাই একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-১৪-৭৫৭৯) হাতিয়া এলাকায় পৌঁছালে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ-৪৩-৫৪৮৬) ও একটি পাজেরো গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ঘ-২১-৭৬৯৯) ট্রাকটির গতিরোধ করে। এসময় টহলরত পুলিশের নজরে পড়ে। পুলিশের পুলিশের তল্লাশিতে ১টি লাইসেন্সকৃত শর্টগান, ৬টি সিসা কার্তুজ, ১টি লেজার লাইট, ২টি সিগন্যাল লাইট, ৪টি শর্ট ওয়াকি-টকি

২টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।

আটককৃত ছয় সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে যমুনা সেতু পূর্ব থানার একজন কর্মকর্তা বলেন, “ডাকাতির প্রস্তুতিমূলক সকল উপকরণসহ সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি আরও তদন্ত চলছে।

আমিনপুরে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাক্তি গ্রেফতার

মোঃ ওমর ফারুক (সানি), স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৪১ পিএম
আমিনপুরে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাক্তি গ্রেফতার

পাবনার আমিনপুর থানার বুলন্দর চর এলাকায় ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ৭৫ বছর বয়সী তাকাই প্রামানিক নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় শিশুটির বাবা আমিনপুর থানায় মামলাটি করেন। ধর্ষণের শিকার শিশুটি বর্তমানে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রেফতার বৃদ্ধ একই গ্রামের মৃত ছবেদ প্রামানিকের ছেলে।

লিখিত এজাহার থেকে জানা গেছে, শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে শিশুটি চাচার বাড়ির সামনে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। এ সময় বৃদ্ধ তাকাই প্রামানিক তাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে পাশের একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে টাকা দেওয়ার প্রলোভন ও হত্যার হুমকি দিয়ে শিশুটিকে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে। সন্ধ্যায় শিশুটির রক্তপাত শুরু হয়ে অসুস্থ হলে পরিবার বিষয়টি বুঝতে পারে।

শিশুটির ভাইয়ের স্ত্রী লাবনী খাতুন জানান, তিনি তাকাই প্রামানিককে ওই ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেন এবং কিছুক্ষণ পর শিশুটিকেও সেখান থেকে বের হতে দেখেন। পরিবারের জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি ধর্ষণের কথা জানায়।

আমিনপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই রেজাউল করিম বৃদ্ধকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামি থানায় রয়েছে।

জেলার এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুজানগর ও আমিনপুর সার্কেল) নাম না প্রকাশ করে জানান, আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে।

মো: রাজিবুল করিম রোমিও

এমন ভাবে লিখব তোমার গল্প 💔😭

মো: রাজিবুল করিম রোমিও প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৩৮ পিএম
এমন ভাবে লিখব তোমার গল্প 💔😭

এমন ভাবে লিখব তোমার গল্প, যে পড়বে, সে বুকের ভেতর অজানা একটা ব্যথা অনুভব করবে, চোখের পাপড়িতে জমে উঠবে হালকা কুয়াশার মতো জল, মনে হবে-এই ভালোবাসাটা বুঝি কোথাও গিয়ে থেমে গেছে, ঠিক শেষ পাতার আগেই ভেঙে গেছে এক সুন্দর স্বপ্নের অধ্যায়…!
তারা ছটফট করবে তোমাকে এক নজর দেখার জন্য, আর বলবে -কে সেই ভাগ্যবান। যে এমন গভীর ভালোবাসা পেয়েও তার হয়ে থাকতে পারলো না!
যে ভালোবাসার কদর বুঝতে পারেনি, যে হারিয়ে ফেলেছে এমন একজনকে, যে তাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতো প্রাণ দিয়ে…
তোমার গল্পটা যেন এক নীরব আর্তনাদ, যেখানে শব্দ নেই, কিন্তু অনুভূতিতে আছে ঝড়-অপেক্ষার, না-পাওয়ার, আর না-বলা হাজারো কথার।
তুমি ছিলে কারো জীবনের স্বপ্ন, আর সেই স্বপ্নটা আজ শুধু ভাঙা টুকরো হয়ে ছড়িয়ে আছে স্মৃতির গহীনে…
হয়তো একদিন কেউ এই গল্পটা পড়ে নিঃশব্দে চোখ মুছবে, আর বলবে-“ভালোবাসা এমনও হয়..!!💔😭

মো: রাজিবুল করিম রোমিও