বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

মুন্সিগঞ্জে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও

স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ১২:২৭ পিএম | 57 বার পড়া হয়েছে
মুন্সিগঞ্জে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও

স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে মুন্সীগঞ্জে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরাও ছাত্রলীগ নেতাদের হাত থেকে নিরাপদ ছিলেন না। তারা নানা অত্যাচার, জুলুম, মিথ্যা মামলা, হামলা এবং অস্ত্র প্রদর্শন করে অনেককে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, মুন্সীগঞ্জ জেলা এবং সদর উপজেলার কিছু ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আসলে সাবেক এমপি হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী হিসেবে পরিচিত ছিল। ফয়সাল বিপ্লব এই সময়ে টানা তিনবার পৌর মেয়র ছিলেন এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের তত্ত্বাবধান করতেন।

জেলা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের আস্তানা ছিল মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার নিচতলায়। এই পৌরসভাটি ১৬ বছর ধরে স্থানীয় এমপি, পৌর মেয়র এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে ডেকে এনে নানা অত্যাচার করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিত। তারা দিনে রাতে অস্ত্র প্রদর্শন করে মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করত।

সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লবের অধীনে এই ছাত্রলীগের সংঘবদ্ধ চক্রটি ১৬ বছরের শাসনামলে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে অর্থসম্পদ অর্জন করেছে। তাদের কর্মকাণ্ডে পুলিশ প্রশাসন নিশ্চুপ ছিল বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা। মুন্সীগঞ্জ জেলা ও সদর উপজেলার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জমি দখল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, সরকারি প্রকল্প থেকে লুটপাট, নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন, কৃষকদের উপর সিন্ডিকেট প্রতিষ্ঠা, এমনকি সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা স্থাপন করার মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। তাদের হাত ধরে তারা কোটিপতি হয়েছেন এবং দেশ ও বিদেশে প্রচুর অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ফয়সাল মৃধা, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ পাভেল, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি নছিবুল ইসলাম নোবেল, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সাগর, সরকারি হরগঙ্গা কলেজ শাখার সভাপতি নছিবুল নিবির আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বেপারী, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: সুরুজ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক লাকুম রাঢ়িসহ অনেকে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকে এখনো পলাতক এবং কিছু নেতা বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ফয়সাল মৃধা দীর্ঘ ১৫ বছরে পদ বাণিজ্য, সরকারি খাল দখল এবং নিরীহ কৃষকদের জমিতে মাছ চাষ, চাঁদাবাজি ইত্যাদির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার দখলে আছে অনেক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মুন্সীগঞ্জ শহরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা মামলার আসামি ফয়সাল মৃধা বর্তমানে পলাতক।

অভিযোগ আছে, ফয়সাল মৃধা বিদেশে প্রচুর অর্থ পাচার করেছেন এবং তার অনেক সহযোগীও বিদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহম্মেদ পাভেলের বিরুদ্ধেও রয়েছে মাদক, চাঁদাবাজি এবং জমি দখলের একাধিক মামলা। তার মাদক ব্যবসার সঙ্গীয় সহযোগী ল্যাংড়া খসরু র‍্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর তিনি এলাকার ‘মাদক সম্রাট’ হিসেবে পরিচিতি পান। পঞ্চসার ইউনিয়ন এবং রামপাল এলাকায় তার বিশাল মাদকের সাম্রাজ্য রয়েছে। বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া পাভেল বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

শহর ছাত্রলীগের সভাপতি নছিবুল ইসলাম নোবেল অস্ত্র প্রদর্শন এবং গুলি চালানোতে পারদর্শী। গত ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় ছাত্র জনতার ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে এই নেতা কয়েকজনকে আহত করেন। বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকে তিনি প্রচুর অর্থসম্পদ অর্জন করেছেন এবং বর্তমানে তিনি পলাতক আছেন।

শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাত হোসেন সাগর একসময় সাধারণ ছাত্র ছিলেন কিন্তু কিছু অপরাধমূলক কার্যকলাপের পর ক্ষমতাসীন দলের নজরে আসেন এবং প্রধান সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিতি পান। জমি দখল, চাঁদাবাজি, এবং মাদক ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি।

সরকারি হরগঙ্গা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নিবির আহম্মেদ এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর বেপারীর বিরুদ্ধেও অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। নিবির দীর্ঘদিন জেল খেটেও পদে বহাল ছিলেন। আলমগীর বেপারী ১০ বছর ধরে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সুরুজ মিয়া বিএনপি সরকারের সময় একজন ব্যাংকের দালাল ছিলেন, পরবর্তীতে ছাত্রলীগে যুক্ত হয়ে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি এবং অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্য থেকে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি পলাতক।

ছাত্রলীগের আরও কিছু নেতাকর্মী যেমন মোঃ মাহমুদুল হাসান লাকুম রাঢ়ি, শাকিল আহম্মেদ এবং বাবু কাজী ছাত্রলীগের সহিংসতার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। বাবু কাজীকে স্থানীয়ভাবে শুটার বাবু হিসেবে পরিচিত।

সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লবের সহযোগিতায় এসব নেতাকর্মীরা বহুবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। ভুক্তভোগীরা এসব সন্ত্রাসী নেতাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

স্থানীয়দের দাবি, দুর্নীতি দমন কমিশন যদি তদন্ত চালায় তবে ছাত্রলীগের এই নেতাদের সম্পদের প্রকৃত অবস্থা উন্মোচিত হবে।

নরসিংদীর রায়পুরা মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজ নুরুল ইসলাম, হারুন, হান্নানের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

তালাত মাহামুদ বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
নরসিংদীর রায়পুরা মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজ নুরুল ইসলাম, হারুন, হান্নানের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে , প্রতিবাদ ,মানববন্ধন, কর্মসূচি পালন করেন কিশোরগঞ্জের ভৈরবে । নৌপথে চলাচলকারী ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের উদ্যোগে এ মানববন্ধনে , অংশ নেন ভৈরব ও রায়পুরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মির্জাচরের আওয়ামী লীগের দোসর রসুনের ছেলে নুরুল ইসলাম, বাশগাড়ির যুবলীগ নেতা হারুন ও নিলক্কার হান্নান দীর্ঘদিন ধরে স্পোর্টস বোট ও ট্রলারে করে মেঘনা নদীতে , সশস্ত্র তাণ্ডব চালাচ্ছে। গরু ব্যবসায়ী ও মোদি ব্যবসায়ীদের মালামাল ছিনতাই, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি ,ও জনসাধারণের উপর গুলি চালানোর মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা।

এছাড়া ও নদীর চরাঞ্চলে অবৈধভাবে চুম্বুক , ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলনের অভিযোগ ইতিপূর্বে একাধিকবার করা হয়েছে। নদীপথে চলাচল কারী কার্গো ট্রলার থেকে চাঁদা আদায়ের মতো ঘটনা , প্রতিনিয়ত চালিয়েছে বলে জানায় বিশ্বস্ত সূত্র।

এ ব্যাপারে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে , বিএনপির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, বলেন“এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আমাদের দলের কেউ নয়।” রায়পুরা উপজেলার বিএনপির , সাধারণ সম্পাদক ,আব্দুর রহমান খোকন ,বলেন “নুরুল ইসলাম, হান্নান ও হারুন আওয়ামী লীগের দোসর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করছি, তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করুন।” সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিএনপি দলে কোন স্থান নেই । এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় । ইতি পর্বে নুরুল ইসলাম গং মির্জাচরে মানববন্ধনে গুলি বর্ষন করেন এবং গ্রামবাসীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রায়পুরা থানায় আছে । তৎকালীন সময়ের বহু ঘটনা জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সহ নরসিংদী জেলার বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় একাধিক নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে

এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।

সৌরভ চত্বরের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

  তৌহিদুর রহমান শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:০৪ পিএম
সৌরভ চত্বরের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ‘সৌরভ চত্বর’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিতর্কিত এক ব্যক্তির উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা দেখা দিয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

৫ আগস্ট, মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইগাতী থানা মোড়ে শহীদ ছাত্রনেতা সৌরভের নামে নির্মিত ‘সৌরভ চত্বর’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন, ইউএনও মো. আশরাফুল আলম রাসেল। এ সময় শহীদ সৌরভের পিতা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

তবে অনুষ্ঠান শেষে ফটোসেশনে ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামি সারোয়ার হোসেনের ছবি ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই অভিযোগ করেন, জনপ্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের পুনর্বাসনের কৌশল হিসেবে এমন আয়োজন করছেন।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হলে উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতায় ও পুলিশের বিশেষ উদ্যোগে বিতর্কিত ব্যক্তি সারোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিয়ে ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “আমি সারোয়ার হোসেন নামে কাউকে চিনি না, তাকে আমন্ত্রণ জানানো তো দূরের কথা। শহীদ সৌরভের বাবা তাঁকে আত্মীয় হিসেবে নিজেই সঙ্গে এনেছেন। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিংবা মামলার আসামি, এসব তথ্য আমার জানা ছিল না। আমি এই ভিত্তিহীন অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “স্মৃতিচারণমূলক এ অনুষ্ঠানটি ছিল সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং একটি শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর নিঃস্বার্থ প্রয়াস। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি উপস্থিত থাকলে সেটিকে প্রশাসনের অভিপ্রায় হিসেবে ব্যাখ্যা করা অনুচিত।”

সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইউএনও বলেন, “সত্যতা যাচাই না করে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও গুজব ছড়ানো সামাজিক দায়িত্বের পরিপন্থী। একজন শহীদের নামের সাথে জড়িত অনুষ্ঠানে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করাও অত্যন্ত দুঃখজনক।”

দশঘর মাদরাসা কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর নাসির সভাপতি হওয়ার পায়তারা:এলাকায় ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:০১ পিএম
দশঘর মাদরাসা কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর নাসির সভাপতি হওয়ার পায়তারা:এলাকায় ক্ষোভ

ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের রাজ্জাকীয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা,দশঘরের ম্যানেজিং কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর এমপি মানিকের ঘনিষ্টজন দশঘর গ্রামের মাষ্টার নাসির উদ্দীন সভাপতি হওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এতে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে প্রতিষ্টানের প্রধান উলামালীগের সদস্য মাও:মুশাহিদ আলী তাঁর বিগত দিনের নিজের অপকর্ম যাতে প্রকাশ না পায় এজন্য এই আওয়ামী ডেবিলকে সভাপতি করতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।

মাদরসার অভিভাবকদের বক্তব্য হচ্ছে ,আওয়ামীলীগের এই দোসরকে সভাপতি করলে মাদরাসা উন্নয়ন কাজ থেকে বঞ্চিত হবে।সরকারের নির্দেশনা রয়েছে।

বর্তমানে কোন শিক্ষা প্রতিষ্টানের কমিটিতে যেন নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের কোন দোসর সভাপতি হতে না পারে।মাষ্টার নাসির উদ্দিন যে আওয়ামীলীগের নেতা ও এমপি মানিকের একনিষ্ট সহযোগী ছিল, তা ছাতকের রাজনৈতিক মহলে সবার জানা।তাই নাসির উদ্দনীন সভাপতি হলে আগামী নির্বাচনে যারাই অত্র আসনে এমপি বা উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন স্বাভাবিক ভাবে এ কারণে অত্র মাদরাসা উন্নয়ন কাজে আগ্রহী হবেন না বলে আশংকা করা হচ্ছে।

তাই,দশঘর মাদরাসায় যাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের কোন ডেভিল সভাপতি হতে না পারে এজন্য এলাকাবাসী ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

error: Content is protected !!