রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

নিজেকে সম্মান করার উপায়

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫, ৩:০২ পিএম | 261 বার পড়া হয়েছে
নিজেকে সম্মান করার উপায়

এই পৃথিবীতে সবাই ব্যস্ত। যদি আপনি নিজেকে মূল্য দিতে না শেখেন, তাহলে কেউ আপনাকে গুরুত্ব দেবে না। তাই নিজেকে ভালোবাসতে ও শ্রদ্ধা করতে শিখুন। নিজের আত্মসম্মান বজায় রাখুন এবং শক্তিশালী হয়ে জীবনযাপন করুন।
নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট দেওয়া হলো, যা আপনাকে শেখাবে কীভাবে নিজের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে হয় এবং অন্যদেরও আপনার মূল্য বোঝাতে হয়।
১. যে আপনাকে খোঁজে না, তাকে খুঁজবেন না।
যে মানুষ আপনার গুরুত্ব বোঝে না, তার পেছনে ছুটে নিজের মূল্য কমাবেন না।
২. অহেতুক আশা করা বন্ধ করুন।
এটা শুধু অর্থের ব্যাপারে নয়, দয়া, ভালোবাসা বা স্বীকৃতির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। নিজের আত্মসম্মান বজায় রাখুন।
৩. অপ্রয়োজনীয় কথা বলা বন্ধ করুন।
প্রত্যেক কথার মূল্য আছে। অযথা কথা বলে নিজের গুরুত্ব কমাবেন না।
৪. যখন কেউ আপনাকে অসম্মান করে, সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করুন।
চুপ করে থাকলে তারা আরও অসম্মান করবে। আত্মমর্যাদার সঙ্গে বাঁচুন।
৫. অন্যের খাবার বারবার খাবেন না, যদি তারা আপনারটা না খায়।
সম্পর্কে ভারসাম্য থাকা জরুরি। কেবল গ্রহণ করলে সম্পর্ক একপাক্ষিক হয়ে যায়।
৬. কিছু মানুষের কাছে কম যান, বিশেষ করে যদি তারা আপনাকে একইভাবে মূল্যায়ন না করে।
যে সম্পর্ক পারস্পরিক নয়, সেটাকে জোর করে টেনে নেওয়ার মানে নেই।
৭. নিজের মধ্যে বিনিয়োগ করুন, নিজেকে সুখী করুন।
নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের উন্নতির দিকে মনোযোগ দিন।
৮. গসিপ শোনা ও করা থেকে বিরত থাকুন।
আপনার চারপাশের পরিবেশ আপনার ব্যক্তিত্বের প্রতিচ্ছবি। গসিপে জড়িয়ে নিজের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না।
৯. কথা বলার আগে ভাবুন।
৮০% মানুষ আপনাকে আপনার কথাবার্তা দিয়েই বিচার করে, তাই চিন্তাভাবনা করেই বলুন।
১০. সব সময় নিজেকে সেরা দেখানোর চেষ্টা করুন।
যেমন পোশাক পরবেন, মানুষ তেমনভাবেই আপনাকে দেখবে। সঠিকভাবে নিজেকে উপস্থাপন করুন।
১১. সফল হন, নিজের লক্ষ্যে মনোযোগী থাকুন।
ব্যস্ত থাকুন, আপনার অর্জনই আপনাকে সম্মান এনে দেবে।
১২. নিজের সময়ের মূল্য বুঝুন।
যারা আপনার সময়কে গুরুত্ব দেয় না, তাদের জন্য নিজের সময় নষ্ট করবেন না।
১৩. যেখানে আপনি সম্মানিত ও মূল্যায়িত হন না, সেই সম্পর্ক ছেড়ে দিন।
অসম্মানজনক সম্পর্কে থাকা মানে নিজের আত্মসম্মানকে ছোট করা।
১৪. নিজের জন্য টাকা খরচ করতে শিখুন।
নিজের উন্নতির জন্য বিনিয়োগ করুন, কারণ আপনি যদি নিজেকে মূল্য দেন, অন্যরাও আপনাকে মূল্য দেবে।
১৫. মাঝে মাঝে নিজেকে কম উপলব্ধি করান।
সব সময় সহজলভ্য হলে আপনার মূল্য কমে যায়। মাঝে মাঝে অন্তরালে থাকুন।
১৬. নেওয়ার চেয়ে দেওয়ার অভ্যাস করুন।
পরোপকারী হন, কারণ দানশীল মানুষকে সবাই সম্মান করে।
১৭. যেখানে নিমন্ত্রণ পাননি, সেখানে যাবেন না।
আর যেখানে আমন্ত্রণ পান, সেখানে বেশি সময় ধরে থাকবেন না।
১৮. মানুষকে তাদের প্রাপ্য মতো আচরণ করুন।
অযথা কারও প্রতি বেশি দয়া দেখিয়ে নিজের মূল্য কমিয়ে ফেলবেন না।
১৯. যদি কেউ আপনার ঋণী না হয়, তাহলে দুইবারের বেশি কল করবেন না।
যদি তারা আপনাকে গুরুত্ব দেয়, তারা নিজে থেকেই যোগাযোগ করবে।
২০. আপনি যা করেন, তাতে সেরা হন।
নিজের কাজে দক্ষ হন, সফলতা আপনাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্মান এনে দেবে।
শেষ কথা
নিজেকে ভালোবাসুন, সম্মান করুন, আর দেখবেন বিশ্বও আপনাকে সম্মান করবে!

দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

মো: মেহেদী হাসান ফুয়াদ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম
দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

২ আগষ্ট শনিবার বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর নব নির্বাচিত কার্য্যকরী কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নব- নির্বাচিত সভাপতি- মোঃ আব্দুস সাত্তার, সহ সভাপতি- মোঃ শরিফুল ইসলাম সেলি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক, আবুল কালাম (১), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এনামুল হক, অর্থ সম্পাদক- আবুস সালাম ও কার্র্য্যনির্বাহী পরিষোধের সদস্য মোঃ কমর আলী শেখ ও মোঃ বিশালকে ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুর্যায়ী শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশান দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবিবর রহমান। উল্লেখ্য, বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২ জুলাই ‘২০২৫। নির্বাচনে উপরোক্ত ৮জন প্রার্থী বিজয়ী হন।

দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

বগুড়া থেকে মোঃ হাফিজুর রহমান প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ জানিয়েছেন —
আমাদের দেশ চলে মানুষের ঘাম আর পরিশ্রমের করের টাকায়। প্রতিটি রাস্তা, স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি সেবা ও অবকাঠামো জনগণের টাকায় গড়ে উঠেছে।
কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট শাসন আর আজকের কর্তৃত্ববাদী মনোভাব দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকারকে অবমূল্যায়ন করেছে — মানুষের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হয়েছে, গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতি, লুটপাট আর দুর্নীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিশ্বাস করে—গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট নয়, মানুষের কথা শোনা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
আমাদের আপোষহীন নেত্রী, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় আজও আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বিএনপি জনগণের অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সবসময়ই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি সরকারের সময় দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পথে ছিল, গণতন্ত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার সুরক্ষিত ছিল — যা আজ হরণ হয়েছে।
আগামী নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাই—আপনাদের শক্তি ও অধিকারকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিজয়ের প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিন, আপনার আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করুন।
বিএনপি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পক্ষে। দেশের প্রতিটি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করাই আমাদের অঙ্গীকার। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি।
আমরা বিশ্বাস করি—ধানের শীষে জনগণের এই আস্থা গণতন্ত্র, উন্নয়ন আর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে উঠবে।

মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

Masud Parves প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম
মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

মধ্যবয়সী নারীকে বাইরে থেকে দেখে কেউ বুঝতে পারে না, তার ভেতর কতটা জীবন বয়ে চলে। তার মুখে হয়তো একরাশ শান্তি, চোখে একটুখানি ক্লান্তি—কিন্তু এই চেহারার ভেতরে আছে এক গভীর নদী, যেটা ধীরে ধীরে বয়ে যায়। এই নদী যেন নীরব, তবে থেমে নেই। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা, ভালোবাসা, হারানো-বিলুপ্ত কিছু স্মৃতি—সব মিলে তার কামনা তৈরি হয় এক নতুন রূপে, এক অনন্য ভাষায়।
এই বয়সে সে আর কারো মন জেতার জন্য হাসে না। সে নিজেকে লুকিয়ে রাখে না, সাজিয়ে তোলে না কেবল কারো নজর কাড়ার জন্য। বরং সে নিজেকে ভালোবাসে গভীরভাবে। জানে—তার শরীর ঠিক যেমন, তেমনটাই সুন্দর। তার যৌনতা এখন আর দেহের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে বোঝাপড়ার, সম্মান আর সংবেদনের জায়গা।
তরুণ বয়সের কামনা হঠাৎ জ্বলে ওঠে, হঠাৎ নিভেও যায়। সেখানে থাকে আবেগের ঝড়, না বুঝে ফেলার এক উন্মাদনা। কিন্তু মধ্যবয়সী নারীর কামনা অনেক বেশি ধৈর্যের, অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের। সে জানে, কীভাবে তার শরীরের প্রতিটি প্রতিক্রিয়া বোঝে নিতে হয়। সে জানে, কখন আগলে রাখতে হয় নিজেকে, আর কখন খুলে দিতে হয় সমস্ত দরজা।
এই নারী কাউকে ছুঁতে চায়—কিন্তু ছোঁয়াটার আগে সে বোঝে নেয় সেই মানুষটার ভেতরটা। সে শুধু শরীর খোঁজে না—সে এমন একজন সঙ্গী খোঁজে, যার স্পর্শে থাকে শ্রদ্ধা, যার চোখে থাকে নিরাপত্তা। সে জানে কার পাশে ঘুমালে শান্তি নামে, আর কার পাশে থাকলে ভালোবাসা শুকিয়ে যায়।
তার কামনা আর শিশুর মতো নিষ্পাপ নয়। বরং তাতে এক ধরনের প্রাপ্তবয়স্ক মমতা থাকে, থাকে বোঝাপড়া। সে জানে কখন চাওয়া, কখন না বলা। সে জানে, ‘না’ বলাটাও নিজের প্রতি এক রকম ভালোবাসা। তার ভালোবাসা এখন আর পাগলামি নয়—তা গভীর, সযত্নে বাছাই করা, বোধসম্পন্ন।
সমাজ হয়তো ভাবে এই বয়সের নারী নিঃসাড়, নিঃস্পৃহ। কিন্তু তারা জানে না, তার ভেতরটায় প্রতিদিন ঢেউ খেলে যায়। তার চোখে জমে থাকা পুরনো গল্পের আলো ঝিলমিল করে, তার হাসিতে মিশে থাকে না বলা ভালোবাসার রেশ। এই নারী চাইলেই কারো জীবনে নীরবে ঢুকে যেতে পারে, আবার কাউকে বিদায়ও জানাতে পারে নিঃশব্দে—এক বিন্দু তিক্ততা ছাড়াই।
তার যৌনতা আজ আর কারো কাছ থেকে অনুমতি চায় না। সে নিজের শরীর, নিজের কামনা, নিজের মনের দায়িত্ব নিজেই নেয়। সে জানে—কে তার জলের গভীরে স্নান করার যোগ্য, আর কে কেবল পাথর ছুড়ে জল ঘোলা করতে চায়।
মধ্যবয়স মানে ক্ষয় নয়, সেটি এক নবজন্ম। একজন নারী এই বয়সে এসে হয়তো সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়—যেন সন্ধ্যার আলোয় জ্বলে ওঠা দীপ, যা সারা দিনের ক্লান্তিকে শান্ত করে। তার কামনা আগুন নয়—তা আলো। তা জ্বলিয়ে দেয় না, তা গায়ে মেখে থাকে।
এক নদী, যে জানে কখন কার দিকে পথ খুলে দিতে হয়, আর কখন নিজেকে আগলে রাখতে হয়।
যে জানে, ভালোবাসা মানে কারো হাত ধরা নয়—বরং কারো হাতে নিজের হাত রাখার মতো আত্মবিশ্বাস অর্জন করা।

error: Content is protected !!