বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

সিরাজগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ইমন হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক প্রধান আসামি গ্রেফতার

মোঃ জিপরুল হোসাইন চলনবিল প্রতিনিধি: প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১০:১১ পিএম | 171 বার পড়া হয়েছে
সিরাজগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ইমন হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক প্রধান আসামি গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার চাঞ্চল্যকর ইমন হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান পলাতক আসামী মাসুদ রানা কে গ্রেফতার করেছে সিরাজগঞ্জ র‌্যাব-১২ ও র‌্যাব-৪ এর সদস্যরা। প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ‌্যমে বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন, র‌্যাব-১২ এর অধিনায়ক, পিপিএম অতিরিক্ত ডিআইজি, মোঃ আতিকুর রহমান মিয়া।শুক্রবার (১৬ মে) প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ‌্যমে র‌্যাব-১২ এর অধিনায়ক, পিপিএম অতিরিক্ত ডিআইজি, মোঃ আতিকুর রহমান মিয়া জানান, র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানি, সিরাজগঞ্জ এবং র‌্যাব-৪, সিপিএসসি, মিরপুর-১, ঢাকা এর যৌথ অভিযানে ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকা হতে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী হ‌লো, মাসুদ রানা (২৩), পিতা-আশরাফুল ইসলাম, সাং-দৌলতপুর, থানা-বেলকুচি, জেলা-সিরাজগঞ্জ।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানা যায় যে, গত ১৪/০৪/২০২৫ তারিখ সময় অনুমান ০২.৩০ ঘটিকায় আসাামী মাসুদ রানা তার বন্ধু আলামিন ও অজ্ঞাত একজন সহ হোসনা মার্কেটে চা খেয়ে বাজারের পাশের রাস্তায় আড্ডা দেওয়ার সময় ভিকটিম ইমনকে একটি অল্প বয়স্ক মেয়ের সাথে দৃষ্টিকটু অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের নিকটে গিয়ে ইমনের কাছে মেয়েটির পরিচয় জানতে চায়। মেয়েটি ইমনের ছোট বোন বলে পরিচয় দিলে আসামী মাসুদ রানা তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে সেখান থেকে চলে যায়। ভিকটিম ইমনও মেয়েটিকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। তার চার দিন পর গত ১৮/০৪/২০২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ০৪.০০ ঘটিকায় আসামী মাসুদ রানা দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে বসে ক্রিকেট খেলা দেখাকালীন একজন অজ্ঞাত ছেলে মাসুদ রানাকে পেছন থেকে ডেকে কথা বলার জন্য অত্র কলেজের শহীদ মিনারের দিকে নিয়ে যায়। আসামী মাসুদ রানা শহীদ মিনারের নিকটে গিয়ে ইমনসহ আরও ৫-৬ জনকে সেখানে দেখতে পায়। ভিকটিম ইমন এগিয়ে এসে ঐদিন মেয়েটিকে দেখে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসার কারণ জানতে চায় এবং ইমনের সাথে থাকা তার বন্ধুদের মধ্য হতে দুই জন মাসুদ রানাকে চড় থাপ্পর মারতে থাকে এবং মাসুদ রানার প্যান্টের পকেট হতে ৩৫০০/- টাকা বের করে নেয়। তারপর তারা মাসুদ রানাকে আলামিনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মাসুদ রানা কোনো কিছু না জানালে ইমনসহ তার বন্ধুরা মাসুদরানাকে জোরপূর্বক টেনে হিচড়ে আলামিনের সন্ধানে বের হয়। মাসুদ রানার বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মাসুদ রানা কৌশলে তাদের হাত থেকে ছুটে দৌড়ে নিজ বাড়িতে চলে যায় এবং ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দেয়। ভিকটিম ইমন ও তার সাথের বন্ধুরা সেখান থেকে চলে গেলে আসামী মাসুদ রানা তার বন্ধু স্বাধীন ও সাকিবসহ আরও কয়েকজনকে ফোন দিয়ে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তাদেরকে দ্রুত আসতে বললে তারা সকলেই মাসুদ রানার বাড়িতে চলে আসে এবং সকলে মিলে ইমন ও তার বন্ধুদের খুজতে বের হয়। কিছুদুর যাওয়ার পর ইমনকে দেখতে পেয়ে আসামী মাসুদ রানা ও তার বন্ধুরা দৌড়ে গিয়ে বেহাপাড়া গ্রামের কাছে ইমনকে ধরে ফেলে এবং মাসুদ রানা তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ভিকটিম ইমনের মাথায় সজোরে আঘাত করে। এরপর স্থানীয় লোকজন সেখানে হাজির হয়ে আসামী মাসুদ রানা সহ তার বন্ধু সাকিবকে আটক করে একটি ঘরে বন্দী করে রাখে এবং ভিকটিম ইমনকে চিকিৎসার জন্য খাজা ইউনুস আলী হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য ভিকটিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে ভিকটিমের আত্বীয় স্বজন ভিকটিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখানে চিকিৎসা শেষে গত ২৩/০৪/২৫ তারিখ ভিকটিম তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর গত ২৫/০৪/২৫ তারিখ ভোর অনুমান ০৫.৩০ ঘটিকায় ভিকটিমের শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসার জন্য পুনরায় এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল ০৭.৩০ ঘটিকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম ইমন মৃত্যুবরণ করেন। ইমন হোসেন মৃত্যুবরণ করার পর হতেই আসামী মাসুদ রানা সহ অন্যান্য অজ্ঞাতনামা আসামীরা অজ্ঞাতস্থানে পালিয়ে যায়।উক্ত ঘটনায় সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার মামলা নং ১৭, তারিখ ২৭/০৪/২০২৫, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। এর প্রেক্ষিতে অদ্য ১৬/০৫/২০২৫ তারিখ রাত ০০.৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানি, সিরাজগঞ্জ এবং র‌্যাব-৪, মিরপুর-১, ঢাকা এর যৌথ আভিযানিক দল আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ‘‘ডিএমপির ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন পশ্চিম মানিকদি এলাকায়’’ অভিযান পরিচালনা করে অত্র মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামী ১। মোঃ মাসুদ রানা (২৩), পিতা- আশরাফুল ইসলাম, সাং- দৌলতপুর, থানা- বেলকুচি, জেলা- সিরাজগঞ্জকে গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য যে, অত্র মামলার ২নং আসামী মোঃ সাকিব (২০) কে গত ০৯/০৫/২০২৫ ইং তারিখ রাত ২১.৪০ ঘটিকায় র‌্যাব-১, ব্যাটালিয়ান সদর এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানি, সিরাজগঞ্জ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানায় হস্তান্তর করা হয়।

নরসিংদীর রায়পুরা মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজ নুরুল ইসলাম, হারুন, হান্নানের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

তালাত মাহামুদ বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
নরসিংদীর রায়পুরা মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজ নুরুল ইসলাম, হারুন, হান্নানের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে , প্রতিবাদ ,মানববন্ধন, কর্মসূচি পালন করেন কিশোরগঞ্জের ভৈরবে । নৌপথে চলাচলকারী ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের উদ্যোগে এ মানববন্ধনে , অংশ নেন ভৈরব ও রায়পুরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মির্জাচরের আওয়ামী লীগের দোসর রসুনের ছেলে নুরুল ইসলাম, বাশগাড়ির যুবলীগ নেতা হারুন ও নিলক্কার হান্নান দীর্ঘদিন ধরে স্পোর্টস বোট ও ট্রলারে করে মেঘনা নদীতে , সশস্ত্র তাণ্ডব চালাচ্ছে। গরু ব্যবসায়ী ও মোদি ব্যবসায়ীদের মালামাল ছিনতাই, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি ,ও জনসাধারণের উপর গুলি চালানোর মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা।

এছাড়া ও নদীর চরাঞ্চলে অবৈধভাবে চুম্বুক , ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলনের অভিযোগ ইতিপূর্বে একাধিকবার করা হয়েছে। নদীপথে চলাচল কারী কার্গো ট্রলার থেকে চাঁদা আদায়ের মতো ঘটনা , প্রতিনিয়ত চালিয়েছে বলে জানায় বিশ্বস্ত সূত্র।

এ ব্যাপারে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে , বিএনপির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, বলেন“এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আমাদের দলের কেউ নয়।” রায়পুরা উপজেলার বিএনপির , সাধারণ সম্পাদক ,আব্দুর রহমান খোকন ,বলেন “নুরুল ইসলাম, হান্নান ও হারুন আওয়ামী লীগের দোসর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করছি, তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করুন।” সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিএনপি দলে কোন স্থান নেই । এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় । ইতি পর্বে নুরুল ইসলাম গং মির্জাচরে মানববন্ধনে গুলি বর্ষন করেন এবং গ্রামবাসীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রায়পুরা থানায় আছে । তৎকালীন সময়ের বহু ঘটনা জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সহ নরসিংদী জেলার বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় একাধিক নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে

এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।

সৌরভ চত্বরের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

  তৌহিদুর রহমান শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:০৪ পিএম
সৌরভ চত্বরের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ‘সৌরভ চত্বর’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিতর্কিত এক ব্যক্তির উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা দেখা দিয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

৫ আগস্ট, মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইগাতী থানা মোড়ে শহীদ ছাত্রনেতা সৌরভের নামে নির্মিত ‘সৌরভ চত্বর’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন, ইউএনও মো. আশরাফুল আলম রাসেল। এ সময় শহীদ সৌরভের পিতা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

তবে অনুষ্ঠান শেষে ফটোসেশনে ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামি সারোয়ার হোসেনের ছবি ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই অভিযোগ করেন, জনপ্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের পুনর্বাসনের কৌশল হিসেবে এমন আয়োজন করছেন।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হলে উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতায় ও পুলিশের বিশেষ উদ্যোগে বিতর্কিত ব্যক্তি সারোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিয়ে ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “আমি সারোয়ার হোসেন নামে কাউকে চিনি না, তাকে আমন্ত্রণ জানানো তো দূরের কথা। শহীদ সৌরভের বাবা তাঁকে আত্মীয় হিসেবে নিজেই সঙ্গে এনেছেন। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিংবা মামলার আসামি, এসব তথ্য আমার জানা ছিল না। আমি এই ভিত্তিহীন অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “স্মৃতিচারণমূলক এ অনুষ্ঠানটি ছিল সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং একটি শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর নিঃস্বার্থ প্রয়াস। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি উপস্থিত থাকলে সেটিকে প্রশাসনের অভিপ্রায় হিসেবে ব্যাখ্যা করা অনুচিত।”

সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইউএনও বলেন, “সত্যতা যাচাই না করে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও গুজব ছড়ানো সামাজিক দায়িত্বের পরিপন্থী। একজন শহীদের নামের সাথে জড়িত অনুষ্ঠানে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করাও অত্যন্ত দুঃখজনক।”

দশঘর মাদরাসা কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর নাসির সভাপতি হওয়ার পায়তারা:এলাকায় ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:০১ পিএম
দশঘর মাদরাসা কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর নাসির সভাপতি হওয়ার পায়তারা:এলাকায় ক্ষোভ

ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের রাজ্জাকীয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা,দশঘরের ম্যানেজিং কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর এমপি মানিকের ঘনিষ্টজন দশঘর গ্রামের মাষ্টার নাসির উদ্দীন সভাপতি হওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এতে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে প্রতিষ্টানের প্রধান উলামালীগের সদস্য মাও:মুশাহিদ আলী তাঁর বিগত দিনের নিজের অপকর্ম যাতে প্রকাশ না পায় এজন্য এই আওয়ামী ডেবিলকে সভাপতি করতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।

মাদরসার অভিভাবকদের বক্তব্য হচ্ছে ,আওয়ামীলীগের এই দোসরকে সভাপতি করলে মাদরাসা উন্নয়ন কাজ থেকে বঞ্চিত হবে।সরকারের নির্দেশনা রয়েছে।

বর্তমানে কোন শিক্ষা প্রতিষ্টানের কমিটিতে যেন নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের কোন দোসর সভাপতি হতে না পারে।মাষ্টার নাসির উদ্দিন যে আওয়ামীলীগের নেতা ও এমপি মানিকের একনিষ্ট সহযোগী ছিল, তা ছাতকের রাজনৈতিক মহলে সবার জানা।তাই নাসির উদ্দনীন সভাপতি হলে আগামী নির্বাচনে যারাই অত্র আসনে এমপি বা উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন স্বাভাবিক ভাবে এ কারণে অত্র মাদরাসা উন্নয়ন কাজে আগ্রহী হবেন না বলে আশংকা করা হচ্ছে।

তাই,দশঘর মাদরাসায় যাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের কোন ডেভিল সভাপতি হতে না পারে এজন্য এলাকাবাসী ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

error: Content is protected !!