শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

যত্ন যত মধুর হবে সম্পর্ক তত বঁধুর হবে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম | 189 বার পড়া হয়েছে
যত্ন যত মধুর হবে সম্পর্ক তত বঁধুর হবে

যে মানুষটি একান্তভাবে আপনার নিজস্ব মানুষ, যে মানুষটির সম্মান ও সুখ-দুঃখ আপনার আচরণ-বিশ্বাসের সাথে জড়িয়ে থাকে, তাকে মন ও মগজ দিয়ে বোঝার চেষ্টা করা উচিত। তার অপছন্দের ইশারা, মান-অভিমানের ভাষা এবং চাওয়া-পাওয়ার গভীরতা না বুঝলে তো সারাজীবন পস্তাতেই হবে। রাজ্যের সকল মানুষের মুখে হাসি ফোটানো আপনার জন্য মুখ্য নয়, যদি প্রিয়জন গোমড়ামুখে দুঃখের নাটাইয়ে ক্ষোভের সুতা কাটে!

সারাজীবন বিশ্বাস অটুট রাখলে, আমানতের খেয়ানত না করলে এবং প্রতিশ্রুতি না ভুললে সে জীবন গোলাপের পাপড়ির মতো সৌন্দর্যে শোভিত হবে। আকাশের তারাদের মতো জ্বলজ্বল করবে। দুই পাঁচজন মানুষ সেই সম্পর্ক দেখে ঈর্ষায় জড়াবে।

জীবনকে সুন্দর করতে বিপুলা অর্থ-বিত্তের প্রাচুর্যে থাকতে হয় না বরং সুন্দর মন-মানসিকতা পুষতে হয়। নিজের পছন্দের বাইরেও যে অন্যের পছন্দ-অপছন্দ থাকতে পারে— সে মতের প্রাধান্য দিতে হয়। ভরা জোছনা দেখার ইচ্ছা মরে গেলে, পূর্ণিমায় চাঁদের দিকে তাকাতে কৃপণতা করলে, হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির স্পর্শে অলসতা দেখালে, সুন্দর সুন্দর জায়গায় ঘুরতে বের না হলে কিংবা দুজনের একান্ত আলাপনে ইচ্ছা-অনিচ্ছা, স্বপ্ন-আশা এবং পছন্দ-অপছন্দের গল্প না জমলে ভালোবাসাবাসির আসর জমে না।

যে জীবন ক্ষণিকের সেখানে অভিমানে দমবন্ধ রাখলে, ক্রোধ-অহংকারে নিজেকে মনের আড়াল করলে সে শোক পরাবাস্তব জগৎ অবধি নাড়া দেয়! জীবন উপভোগ্য করে নানান আয়োজনের সমাহার হোক। বিস্মিত বিছানায় এক বালিশে এক ফালি চাঁদের কথা হোক!

সম্পর্কে প্রশংসা এবং মুগ্ধতার দৃঢ়তা শক্ত গাঁথুনির ভূমিকা নেয়। যে সম্পর্কে সম্মান থাকে না, অভিযোগে পাহাড় উঁচু হয় এবং জিম্মি দশায় স্বার্থ হাসিলের স্বার্থপরতা মাথাচাড়া দেয়, সে সম্পর্ক অবশেষে মরে যায়। সম্পর্কে যত্ন না থাকলে, বিশ্বাস বাঁচিয়ে না রাখলে মনের সাথে মনের যে দূরত্ব হয় তা বঙ্গোপসাগরের প্রশস্ততা দিয়েও মাপা যায় না।

দুজনার মধ্যে অবহেলা এবং অবিশ্বাসের দেয়াল মজবুত হলে দুজন দুই পারের অচেনা মানুষে বদলে যায়। তখন কণ্ঠ কর্কশ শোনায়, আচরণ বাঁকা দেখায় এবং ছায়াতেও বিষ ছড়ায়। দুজনের এক পৃথিবীতে অশুভের বহু পর্যায় এসে ভর করে। তখন ক্ষতির গতি উপকারের রেখা ছাপিয়ে যায়।

যখন সময়কে খুন করতে ইচ্ছা করে, তখন সে সম্পর্কের দাফন হয়ে গেছে। প্রচণ্ড ভালোবাসার মানুষটি একদিনে ব্যাপক অপছন্দে নিশ্চয়ই বদলে যায় না। সেখানে বিশ্বাসঘাতকতার বহু চিহ্ন থাকে, অবহেলার পুরু গল্প জমে কিংবা ইচ্ছা মূল্যায়নের মানসিকতায় ব্যাপক বৈপরীত্য আঁকে।

মনের যত্ন ছাড়া, ভরসার বাহু ছাড়া কিংবা বিশ্বাসের গভীরতা ছাড়া প্রিয়জনকে আগলে রাখা যায় না। অসংখ্য বৈপরীত্য সামলে নিয়েও, পছন্দের পার্থক্য সত্ত্বেও মিলেমিশে থাকা যায়। তবে অযত্ন আর অসত্যে মাখামাখিতে সে সম্পর্ক বেশিদিন টেকে না; বরং ছিঁড়ে গেলেই দুজনেই বেঁচে যায়! দুজন দুদিকে হারিয়ে যায়।

যত্ন যত মধুর হবে সম্পর্ক তত বঁধুর হবে! যে মানুষটি সারাজীবন আপনাকে কেন্দ্র করে থাকবে, আপনাকে ভরসা করে বাঁচবে, তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে কেবল একটি সম্পর্কের যবনিকাপাত ঘটে না বরং একটি গোটা মানুষ মানসিকভাবে মৃত্যুবরণ করে। তখন দুঃস্বপ্ন ডালপালার গল্প হয়ে রটে।

সে মানুষ আর নতুন করে বাঁচার আশা পায় না। সমাজ তাকে অশুভ হাত ও ইশারায় ঝাপটে ধরে। কাউকে দ্বিতীয়বার বিশ্বাসের ভরসা হয় না। কারো সরল বিশ্বাস ভাঙার ক্ষতি তাকে খুন করার ক্ষতির চেয়েও অধিক।

মন যদি মরে যায়, ইচ্ছা যদি পুড়ে যায় কিংবা আশা যদি ফুরিয়ে যায়, তার বাঁচা-মরা সমান কথা! বুকের বাম পাশের ওজন আর কোনোদিন কমে না। বিশ্বাস হারিয়ে বেঁচে থাকে—কোনো এক জিন্দা লাশ!

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।