মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

“তিন হাজার সাহসী মুসলমান ইতিহাস বদলে দিয়েছিল, আমরাও পারব”— মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম

আব্দুল মাবুদ মোহাম্মদ ইউসুফ, মনোহরদী (নরসিংদী) প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ১০:৫১ এএম | 103 বার পড়া হয়েছে
“তিন হাজার সাহসী মুসলমান ইতিহাস বদলে দিয়েছিল, আমরাও পারব”— মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম

নরসিংদীর মনোহরদীতে গতকাল (১০মে) শনিবার মনোহরদী উপজেলা দক্ষিণ জামায়াতের ওয়ার্ড পর্যায়ের শতাধিক সভাপতি -সেক্রেটারি’র উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় ওয়ার্ড সভাপতি সেক্রেটারি সম্মেলন।

সম্মেলনের প্রধান অতিথি, নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, মনোহরদী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম বলেন:

“মুতার যুদ্ধ ছিল তিন হাজার ঈমানদার মুসলমানের এক মহাকাব্যিক প্রতিরোধ—আমরাও সেই ঐতিহ্যের ধারক। আজ সংখ্যায় বড় না হলেও আমাদের হাতে আছে বিশ্বাস, আদর্শ আর ত্যাগের শক্তি। আমরা ভয় পাই না, পিছু হটিও না। সামনে আগুন থাকুক, পেছনে পাহাড়—আমরা এগিয়ে যাব!”

তিনি বলেন, “হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.)-এর মত সাহসী নেতৃত্বই ছিল মুতার যুদ্ধের বিজয়ের চাবিকাঠি। আজকের বাংলাদেশেও সেই ধরনের নেতৃত্ব ও আদর্শিক অবস্থানই সময়ের দাবি। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সংগ্রাম করে, তাদের পরাজয় নেই—কেবল পরীক্ষা আছে।”

জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, “এই যুগে রাজনৈতিক সফলতা কেবল ভোটে মাপা যায় না—জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে হয়। আমাদের আন্দোলন, সংগ্রাম, ত্যাগ এবং আদর্শিক অবস্থানই একদিন আলোর নিশান হয়ে উঠবে।”

তিনি কর্মীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আদর্শে যারা দুর্বল, তারা পদ পায় কিন্তু নেতৃত্ব দেয় না। নেতৃত্ব তাদেরই প্রাপ্য, যারা ঝড়ের মুখে দাঁড়িয়ে আল্লাহর দিকে তাকিয়ে বলে, ‘আমরা প্রস্তুত!’”

সম্মেলনে উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাঁর বক্তব্যে উজ্জীবিত হন। চোখে মুখে ছিল স্পষ্ট প্রত্যয়—সংগ্রাম হবে, আদর্শ থাকবে, নেতৃত্ব গড়ে উঠবেই।

“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

টঙ্গী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৪ পিএম
“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

২০১৫ সালে ইতালি পাঠানোর নামে বাংলাদেশ থেকে ৪২ জনের পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম শেখ নামের এক প্রতারক। প্রতারণার সেই অঙ্ক তখনই দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকায়। এরপর থেকেই ইব্রাহিম যেন হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারির ‘প্রতীক’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে হংকং পাড়ি জমান তিনি। হংকংয়ে পৌঁছেই সেখানে গড়ে তোলেন একাধিক প্রতারণার নেটওয়ার্ক। ইউরোপ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, নকল আইফোন ও সোনা বিক্রি, এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্য পাচার—সবই চলতে থাকে একই ছকের ভেতরে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, হংকং-এ অবস্থানকালে ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে করেছেন পরিচয় গোপন করে। তার প্রতিটি প্রতারণার পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত জালিয়াতি।

সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, হংকং থেকে বাংলাদেশে ফিরেও থেমে থাকেননি এই ‘ন্যাশনাল প্রতারক’। আনুমানিক ১২৩ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে লুকিয়ে রেখেছেন একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এমনকি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতারণা, মাদক, চোরাচালান—সবকিছুতে সম্পৃক্ত এই ইব্রাহিম এখন দেশের ভেতরেই অবস্থান করছেন ছদ্মবেশে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরেই তার অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো? প্রতারিত পরিবারগুলো চাইছেন দ্রুত এই চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।

কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো:স্বাধীন খান বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০১ পিএম
কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার কাহালুতে জমির ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কর্নিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। তাঁর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার।

কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

রুহুল আমিন, রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

কুড়িগ্রাম সদরের হরিম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বেতারাঘাতে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ ইং দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেনীর ক্লাসে হাসিনা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা বেতারাঘাত করেন। এ সময় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। এর পর বাড়িতে হাত ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় তার অভিভাবক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাকিব বলেন, হাসিনা আপা বড় বড় তিনটি প্রশ্ন লেখতে বলেন। আমি একটু পড়ে লেখতে চাইলেই বেত দিয়ে আমাকে খুব জোড়ে মারেন।এখন আমার হাতে অনেক ব্যাথা হচ্ছে। রাকিবের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে পড়া-লেখা শিখানোর জন্য স্কুলে দিয়েছি। শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে আসার জন্য নয়। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের বাহিরে ছিলাম। শুনেছি হাসিনা বেত দিয়ে মেরেছে এতেই রাকিব ব্যাথা পায়। হাসিনা বেগম বলেন, আমি তাকে পড়ার জন্য মারিনি,মেরেছি নির্দাশিকা লাঠি দিয়ে দুষ্টুমি করার জন্য। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ্ব বুলবুল হোসেন বলেন,আমি আমার অফিসের এক স্টাফ এর নিকট বিষয়টি শুনলাম। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে পাইনি। কাল ছুটি আছে অফিস খুললেই জেনে ব্যবস্তা নিবো।

error: Content is protected !!