শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২
শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

টিকটকের সময়সীমা আরও বাড়াবে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫, ৪:৪৪ পিএম | 85 বার পড়া হয়েছে
টিকটকের সময়সীমা আরও বাড়াবে

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে চীন সরকারের অনুমতির ওপর। চীন যদি রাজি হয় তবে একটি নতুন মার্কিন মালিকানাধীন কোম্পানি টিকটক পরিচালনা করবে। ১৯ জুনের মধ্যে চীনা মালিকানাধীন অ্যাপটির মার্কিন অংশ বিক্রি না হলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে জনপ্রিয় এই ভিডিও প্ল্যাটফর্মটি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি আবারও সময়সীমা বাড়াতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে মার্কিন কংগ্রেস ২০২৪ সালের শুরুতে একটি আইন পাস করে, যেখানে বলা হয়—চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র শাখা বিক্রি করতে হবে। সময়সীমা না মানলে অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হবে। তবে ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমে এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ান এবং পরে তা ১৯ জুন পর্যন্ত সম্প্রসারিত করেন। এবার আবারও সময়সীমা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন তিনি। প্রয়োজনে তিনি আবারও সময়সীমা বাড়াতে পারেন।

আমেরিকান সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেওয়া রোববার (৪ মে) প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, আমি চাই এই চুক্তিটা হয়ে যাক। আমার হৃদয়ে টিকটকের জন্য একটু মিষ্টি জায়গা রয়েছে। টিকটকের জন্য আমার হৃদয়ে একটু উষ্ণ জায়গাও রয়েছে। কারণ আপনারা জানেন, তরুণদের মধ্যে ৩৬ পয়েন্ট ব্যবধানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েছি আমি। সেটা অনেক বড় ব্যাপার। টিকটক একটি আকর্ষণীয় অ্যাপ, তরুণদের মধ্যে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমরা চাই এটি নিরাপদ থাকুক। আমি চাই চুক্তিটা সম্পন্ন হোক।

ট্রাম্প তার প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই এক নির্বাহী আদেশে সই করেন, যার মধ্যে ৭৫ দিনের জন্য টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত হয় এবং চার এপ্রিল আরও ৭৫ দিনের জন্য এই সময়কাল বাড়িয়েছেন ট্রাম্প।

এদিকে, ট্রাম্পের নতুন রাজস্ব নীতির জবাবে চীন বলেছে, চীনের ওপর ওই নীতি প্রয়োগ করলে টিকটক বিক্রির অনুমোদন মিলবে না।

রয়টার্স লিখেছে, টিকটকের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে চীন সরকারের অনুমতির ওপর। চীন যদি রাজি হয় তবে একটি নতুন মার্কিন মালিকানাধীন কোম্পানি টিকটক পরিচালনা করবে। যদি না হয় তবে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হতে পারে অ্যাপটি।

তবে সমস্যা তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চলমান শুল্কবিষয়ক উত্তেজনা নিয়ে। ট্রাম্পের নেতৃত্বে চীনা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করার পর বেইজিং টিকটক চুক্তিতে সম্মতি দিতে গড়িমসি করছে। এতে করে পুরো বিষয়টি আটকে গেছে।

টিকটকের মালিকানা হস্তান্তরের বিষয়ে একটি মার্কিন মালিকানাধীন কোম্পানি গঠনের পরিকল্পনা চললেও এখনো তা চূড়ান্ত হয়নি। ডেমোক্রেটিক সিনেটররা বলছেন, ট্রাম্পের এই সময়সীমা বাড়ানোর কোনও আইনি অধিকার নেই এবং পূর্ববর্তী চুক্তির খসড়াও আইনগত শর্ত পূরণ করেনি।

তবে বাইটড্যান্সের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, আলোচনা এখনো চলছে এবং সমঝোতা সম্ভব, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুল্কবিষয়ক বিরোধ নিরসন হয়।

টিকটকের ভবিষ্যৎ এখনো ঝুলে আছে একটি চুক্তির দড়িতে। ট্রাম্প সময়সীমা বাড়ালেও রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক টানাপোড়েনের কারণে চুক্তির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। এ অবস্থায় মার্কিন ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় অ্যাপটির ভবিষ্যৎ কি হবে, তা জানতে তাকিয়ে থাকতে হবে আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত।

দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

মো: মেহেদী হাসান ফুয়াদ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম
দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

২ আগষ্ট শনিবার বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর নব নির্বাচিত কার্য্যকরী কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নব- নির্বাচিত সভাপতি- মোঃ আব্দুস সাত্তার, সহ সভাপতি- মোঃ শরিফুল ইসলাম সেলি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক, আবুল কালাম (১), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এনামুল হক, অর্থ সম্পাদক- আবুস সালাম ও কার্র্য্যনির্বাহী পরিষোধের সদস্য মোঃ কমর আলী শেখ ও মোঃ বিশালকে ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুর্যায়ী শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশান দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবিবর রহমান। উল্লেখ্য, বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২ জুলাই ‘২০২৫। নির্বাচনে উপরোক্ত ৮জন প্রার্থী বিজয়ী হন।

দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

বগুড়া থেকে মোঃ হাফিজুর রহমান প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ জানিয়েছেন —
আমাদের দেশ চলে মানুষের ঘাম আর পরিশ্রমের করের টাকায়। প্রতিটি রাস্তা, স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি সেবা ও অবকাঠামো জনগণের টাকায় গড়ে উঠেছে।
কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট শাসন আর আজকের কর্তৃত্ববাদী মনোভাব দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকারকে অবমূল্যায়ন করেছে — মানুষের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হয়েছে, গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতি, লুটপাট আর দুর্নীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিশ্বাস করে—গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট নয়, মানুষের কথা শোনা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
আমাদের আপোষহীন নেত্রী, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় আজও আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বিএনপি জনগণের অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সবসময়ই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি সরকারের সময় দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পথে ছিল, গণতন্ত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার সুরক্ষিত ছিল — যা আজ হরণ হয়েছে।
আগামী নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাই—আপনাদের শক্তি ও অধিকারকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিজয়ের প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিন, আপনার আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করুন।
বিএনপি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পক্ষে। দেশের প্রতিটি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করাই আমাদের অঙ্গীকার। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি।
আমরা বিশ্বাস করি—ধানের শীষে জনগণের এই আস্থা গণতন্ত্র, উন্নয়ন আর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে উঠবে।

মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

Masud Parves প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম
মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

মধ্যবয়সী নারীকে বাইরে থেকে দেখে কেউ বুঝতে পারে না, তার ভেতর কতটা জীবন বয়ে চলে। তার মুখে হয়তো একরাশ শান্তি, চোখে একটুখানি ক্লান্তি—কিন্তু এই চেহারার ভেতরে আছে এক গভীর নদী, যেটা ধীরে ধীরে বয়ে যায়। এই নদী যেন নীরব, তবে থেমে নেই। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা, ভালোবাসা, হারানো-বিলুপ্ত কিছু স্মৃতি—সব মিলে তার কামনা তৈরি হয় এক নতুন রূপে, এক অনন্য ভাষায়।
এই বয়সে সে আর কারো মন জেতার জন্য হাসে না। সে নিজেকে লুকিয়ে রাখে না, সাজিয়ে তোলে না কেবল কারো নজর কাড়ার জন্য। বরং সে নিজেকে ভালোবাসে গভীরভাবে। জানে—তার শরীর ঠিক যেমন, তেমনটাই সুন্দর। তার যৌনতা এখন আর দেহের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে বোঝাপড়ার, সম্মান আর সংবেদনের জায়গা।
তরুণ বয়সের কামনা হঠাৎ জ্বলে ওঠে, হঠাৎ নিভেও যায়। সেখানে থাকে আবেগের ঝড়, না বুঝে ফেলার এক উন্মাদনা। কিন্তু মধ্যবয়সী নারীর কামনা অনেক বেশি ধৈর্যের, অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের। সে জানে, কীভাবে তার শরীরের প্রতিটি প্রতিক্রিয়া বোঝে নিতে হয়। সে জানে, কখন আগলে রাখতে হয় নিজেকে, আর কখন খুলে দিতে হয় সমস্ত দরজা।
এই নারী কাউকে ছুঁতে চায়—কিন্তু ছোঁয়াটার আগে সে বোঝে নেয় সেই মানুষটার ভেতরটা। সে শুধু শরীর খোঁজে না—সে এমন একজন সঙ্গী খোঁজে, যার স্পর্শে থাকে শ্রদ্ধা, যার চোখে থাকে নিরাপত্তা। সে জানে কার পাশে ঘুমালে শান্তি নামে, আর কার পাশে থাকলে ভালোবাসা শুকিয়ে যায়।
তার কামনা আর শিশুর মতো নিষ্পাপ নয়। বরং তাতে এক ধরনের প্রাপ্তবয়স্ক মমতা থাকে, থাকে বোঝাপড়া। সে জানে কখন চাওয়া, কখন না বলা। সে জানে, ‘না’ বলাটাও নিজের প্রতি এক রকম ভালোবাসা। তার ভালোবাসা এখন আর পাগলামি নয়—তা গভীর, সযত্নে বাছাই করা, বোধসম্পন্ন।
সমাজ হয়তো ভাবে এই বয়সের নারী নিঃসাড়, নিঃস্পৃহ। কিন্তু তারা জানে না, তার ভেতরটায় প্রতিদিন ঢেউ খেলে যায়। তার চোখে জমে থাকা পুরনো গল্পের আলো ঝিলমিল করে, তার হাসিতে মিশে থাকে না বলা ভালোবাসার রেশ। এই নারী চাইলেই কারো জীবনে নীরবে ঢুকে যেতে পারে, আবার কাউকে বিদায়ও জানাতে পারে নিঃশব্দে—এক বিন্দু তিক্ততা ছাড়াই।
তার যৌনতা আজ আর কারো কাছ থেকে অনুমতি চায় না। সে নিজের শরীর, নিজের কামনা, নিজের মনের দায়িত্ব নিজেই নেয়। সে জানে—কে তার জলের গভীরে স্নান করার যোগ্য, আর কে কেবল পাথর ছুড়ে জল ঘোলা করতে চায়।
মধ্যবয়স মানে ক্ষয় নয়, সেটি এক নবজন্ম। একজন নারী এই বয়সে এসে হয়তো সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়—যেন সন্ধ্যার আলোয় জ্বলে ওঠা দীপ, যা সারা দিনের ক্লান্তিকে শান্ত করে। তার কামনা আগুন নয়—তা আলো। তা জ্বলিয়ে দেয় না, তা গায়ে মেখে থাকে।
এক নদী, যে জানে কখন কার দিকে পথ খুলে দিতে হয়, আর কখন নিজেকে আগলে রাখতে হয়।
যে জানে, ভালোবাসা মানে কারো হাত ধরা নয়—বরং কারো হাতে নিজের হাত রাখার মতো আত্মবিশ্বাস অর্জন করা।

error: Content is protected !!