সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

বাবা

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১:৫০ পিএম | 276 বার পড়া হয়েছে
বাবা

পৃথিবীতে সবচেয়ে নিরব, সবচেয়ে শক্ত অথচ সবচেয়ে ভাঙা মানুষটির নাম “বাবা”। তিনি কান্না লুকিয়ে রাখেন, দুঃখ গিলে ফেলেন, ক্লান্তি চেপে রাখেন। বাবারা কাঁদেন না—এটা সমাজ শেখায়। কিন্তু প্রতিটি বাবার মনেও লুকানো থাকে এক সমুদ্র গোপন ক*ষ্ট।

একজন বাবা সারাজীবন পরিশ্রম করেন পরিবারের জন্য, বিশেষ করে সন্তানের জন্য। তার নিজের কোনো চাওয়া থাকে না, থাকলেও তা মুখ ফুটে বলেন না। শখের জামা কেনেন না, প্রিয় খাবার খেতে পারেন না, কখনো ক্লান্ত হলেও অফিসে যান সময়মতো—শুধু যেন সন্তানের মুখে হাসি থাকে। বাবার জীবনটা যেন একটা ছায়ার মতো। দিনের আলোয় দেখা যায় না, কিন্তু সূর্য ডোবার পর যখন অন্ধকার নামে, তখন টের পাওয়া যায় সেই ছায়া কতটা আপন ছিল।

একটা সময় আসে, যখন সন্তানেরা বড় হয়, নিজ নিজ জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তখন অনেক বাবা চুপচাপ হয়ে যান। তারা ফোন করে না, শুধু অপেক্ষা করেন একটুখানি খবরে। রাতে খাবার টেবিলে বসে বলেন না, “তোমার কথা খুব মনে পড়ে”—শুধু চুপচাপ চেয়ে থাকেন খালি চেয়ারের দিকে।
এই সমাজে মায়ের অনুভূতি নিয়ে অনেক কথা হয়, গল্প হয়, কবিতা লেখা হয়। কিন্তু বাবারা যেন চিরকাল উপেক্ষিত এক নায়ক। অথচ তিনিই তো পরিবার নামক নাট্যমঞ্চের সবচেয়ে বড় চরিত্র।

বাবাদের ক*ষ্ট প্রকাশহীন, ভাষাহীন, কিন্তু তীব্র। তাঁরা বলেন না—“আমার শরীরটা ভালো না”, বলেন—“তুই ভালো থাক, আমি ঠিক আছি।” তাঁরা বলেন না—“আমি আজ খুব একা”, বলেন—“তোর মা আছে তো, আমি ঠিক আছি।” এই “ঠিক আছি” শব্দের আড়ালেই লুকিয়ে থাকে বাবাদের সব না-বলা কান্না, সব গোপন ক*ষ্ট।

তাদের জন্য বেশি কিছু হয়তো করা যায় না, কিন্তু একটিবার ফোন করে বলা যায়—“বাবা, আমি তোমাকে ভালোবাসি।” এই ছোট্ট কথাটাই হয়তো হয়ে উঠতে পারে তার সমস্ত ক*ষ্টের বিদায়।

 

এম এ সিদ্দিক, খাগড়াছড়ি জেলা

মাটিরাঙ্গা জোন কর্তৃক বিশেষ মানবিক সহায়তা প্রদান

এম এ সিদ্দিক, খাগড়াছড়ি জেলা প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১১:৪৩ এএম
মাটিরাঙ্গা জোন কর্তৃক বিশেষ মানবিক সহায়তা প্রদান

২৩ জুন ২০২৫, সকাল ০৯:৩০ মিনিটে, মাটিরাঙ্গা জোনের আওতাধীন শিশকবাড়ী আর্মি ক্যাম্পের অন্তর্গত থংথংপাড়া এলাকায় একটি বিশেষ মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এই কর্মসূচির আওতায়: রাবার বাগান মন্দির ও ভজেন্দ্রপাড়া মন্দির নির্মাণের জন্য মোট ০৮ বান টিন প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৩০ পরিবারকে রেশন সামগ্রী উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়। শিশকবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।স্থানীয় পাহাড়ি জনগণের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান করা হয়।

চিকিৎসা সেবা প্রদানে দায়িত্ব পালন করেন: ক্যাপ্টেন মোঃ মুঈদ-উল করিম চৌধুরী, আরএমও, মাটিরাঙ্গা জোন
ডাঃ ফারিয়া, মেডিকেল অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

 

স্টাফ রিপোর্টার

জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট’এ সাংবাদিকদের ৫ দিন ব্যাপি নিরাপদ সড়ক বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১১:৪০ এএম
জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট’এ সাংবাদিকদের ৫ দিন ব্যাপি নিরাপদ সড়ক বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন SIBE-NIMC প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক পাঁচদিন ব্যাপি (১৮-২২ জুন) প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২২ জুন) দুপুর ৩টার দিকে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট এ প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুহম্মদ হিরুজ্জামান (এনডিসি), মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিউট।

এর আগে ১৮ জুন ২০২৫, প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মাহবুবা ফারজানা।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মুহম্মদ হিরুজ্জামান বলেন, রাষ্ট্রের ৪র্থ স্থম্ভ হিসাবে গণমাধ্যম নিরাপদ সড়ক পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সাংবাদিকগণ তাদের মেধা, মনন ও পেশাদারিত্ব দিয়ে সড়ক বিষয়ক রিপোর্টিংএ নতুনত্ব নিয়ে আসবেন এবং জনকল্যাণে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করবেন।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের, একসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকবৃন্দ প্রশিক্ষক হিসাবে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন। প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ অনুশীলন রিপোর্টিং করেন ও নিরাপদ সড়ক বিষয়ক গবেষণা রিভিউ করেন। একক ও দলীয় উপস্থাপনা, তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক অনুশীলনের মাধ্যমে শিখন প্রক্রিয়ায় স্বতঃস্ফুর্তভাবে প্রশিক্ষণার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।

রাজনীতিতে থাকতে গেলে চামড়া মোটা করতে হবে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১০:২৫ এএম
রাজনীতিতে থাকতে গেলে চামড়া মোটা করতে হবে

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা সৌরভ দাস রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেওয়া এবং সেখান থেকে সরে আসার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। একই সাথে নিজের অভিনয় জীবনের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেছেন।
২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি বুঝতে পারেন, রাজনীতি তার জন্য নয়। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলে যোগ দিয়েই বুঝে গিয়েছিলাম রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। কিছুই বুঝি না। রাজনীতিতে থাকতে গেলে চামড়া মোটা করতে হবে, সেটা বুঝেছিলাম।’
তিনি আরও জানান, দলে থাকাকালীন তিনি মাত্র তিন থেকে চারবার প্রচারে গিয়েছিলেন এবং এর জন্য কোনো আর্থিক লেনদেন হয়নি।
একসময় ‘সিরিজ কিং’ নামে পরিচিত সৌরভ দাসের সিরিজে উপস্থিতি ইদানীং অনেকটাই কমে গেছে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আসলে যেমন সিরিজ আমার পছন্দ সেই ধরনের বিষয় পাচ্ছি না বা আমায় ডাকা হচ্ছে না। বুঝতে পারছি, সিরিজের গল্পের ধরনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে হয়তো আমাকে মানাচ্ছে না কিংবা আমি মানিয়ে নিতে পারছি না।’
তবে ছোটবেলা থেকেই চলচ্চিত্রে অভিনয় করার স্বপ্ন ছিল তার এবং বর্তমানে সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় তিনি অভিযোগ করার কোনো কারণ দেখছেন না। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলোতে সৌরভের অভিনীত চরিত্রগুলো খুব বেশি আলোচনায় আসছে না। এই প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘হ্যাঁ, সেটা এখনও পর্যন্ত হয়নি। কিন্তু এটা ভাবার কারণ নেই যে ভবিষ্যতে হবে না।’