আমতলীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত


আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : ‘জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত’ এই শ্লোগান নিয়ে আমতলীতে সোমবার সকালে বিশ্ব সাস্থ্য দিবস পালিত হয়েছে। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড, ওয়ার্ল্ড ভিশন আমতলী এপি ও এনএসএস দিবসটি পালনে সহযোগিতা করে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে সকাল ১১ টায় হাসপাতাল চত্ত্বর থেকে একটি বর্নঢ্য র্যালি শহর প্রদক্ষিন করে। র্যালী শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মো. জাকির হোসেন, সেনিটারি ইন্সপেক্ট ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সাবেরা পারভীন, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) লাভলী ইয়াসমিন, এনএসএসএর প্রোগ্রাম ম্যানেজার হারেজ আল মামুন, ওয়ার্ল্ড ভিশনের স্পন্সারসিপ অফিসার লিটন হিউবাট কোরাইয়া, মনোজ দাস ও জ্যাকলিন টুম্পা মন্ডল প্রমুখ।
সাইদুর ও পলি দম্পতির ছেলে আসাদুর রহমান জানান, শুক্রবার রাতে মায়ের হাতে অস্ত্রোপচার হয়েছে। সেখানে নিতে দেরি হওয়ায় হাতটি সংযোজন করা যায়নি। ঘটনার ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যে নিয়ে যেতে পারলে হাতটি জোড়া লাগানো যেত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তিনি বলেন, আমার বাবা একজন মানষিক ভারসাম্যহীন রোগী যে কারণে তিনি মাকে এভাবে কুপিয়ে কব্জি বিচ্ছিন্ন করেছেন।
সাইদুর রহমানের ছেলেসাইদুল ইসলাম জানান, তার বাবা নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। শুক্রবার বিকেলে মা পলি বেগমের নিকট নিকট মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে প্রায়ই স্ত্রী পলি বেগমের ওপর নির্যাতন চালাতেন। গতকাল বিকেলে পলির কাছে মাদকদ্রব্য কেনার জন্য টাকা দাবি করেন তিনি। কিন্তু স্ত্রী টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে তঁাকে গুরুতর জখম করেন সাইদুর। এতে পলির ডান হাত কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্বজনেরা তঁাকে উদ্ধার করে পাশের পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে থেকে তঁাকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তঁাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
সাইদুর রহমানের চাচাতো ভাই ও মাদ্রাসার শিক্ষক জসিম মৃধা বলেন, সাইদুর ২০ বছর ধরে মাদক সেবন করে আসছেন। মাদকের টাকা না পেলে স্ত্রীর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালাতেন। এই নেশার কারণে তঁাকে অনেক স্থানে জরিমানা দিতে হয়েছে।
সাইদুর ও পলি দম্পতির ছেলে আসাদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতেই নিটোরে মায়ের অস্ত্রোপচার হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সেখানে নিতে দেরি হওয়ায় হাতটি সংযোজন করা যায়নি। ঘটনার ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যে নিয়ে যেতে পারলে হাতটি জোড়া লাগানো যেত বলে যেত বলে জানান। তিনি আরো বলেন, আমার বাবা একজন মানষিক ভারসাম্যহীন রোগী। যে কারনে তিনি মাকে কুপিয়ে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করেছেন এবং কুপিয়ে জখম করেছেন।
এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম।