শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

স্বামী-স্ত্রী উভয় পরিবারের সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়

স্বামী এবং বয়ফ্রেন্ডের মধ্যে পার্থক্য কি?

Khadija Akter Rowja প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫, ২:০৭ এএম | 172 বার পড়া হয়েছে
স্বামী এবং বয়ফ্রেন্ডের মধ্যে পার্থক্য কি?

Khadija Akter Rowja 

আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে বলছি কতটা প্রাধান্য পাবে আমার জানা নেই ! তবে স্বামী এবং বয়ফ্রেন্ডের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে, যা আইনি, সামাজিক এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্পষ্ট। স্বামী: বিবাহ একটি আইনি চুক্তি, যা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আইনি অধিকার এবং দায়িত্ব তৈরি করে। এটি সম্পত্তির অধিকার, উত্তরাধিকার এবং অন্যান্য আইনি বিষয় গুলোর সাথে জড়িত। বয়ফ্রেন্ড: বয়ফ্রেন্ডের সাথে সম্পর্ক আইনি ভাবে স্বীকৃত নয়। তাই, এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো আইনি অধিকার বা দায়িত্ব থাকে না। স্বামী: সমাজে বিবাহিত সম্পর্কের একটি বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এটি সামাজিক ও পারিবারিকভাবে স্বীকৃত। বয়ফ্রেন্ড: বয়ফ্রেন্ডের সম্পর্ক সাধারণত ব্যক্তিগত এবং এটি সমাজে সেভাবে স্বীকৃত নয়। স্বামী: বিবাহ একটি দীর্ঘ মেয়াদী প্রতিশ্রুতি, যেখানে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি দায়বদ্ধ থাকেন। এটি অর্থনৈতিক, মানসিক এবং শারীরিক সহায়তার সাথে জড়িত।বয়ফ্রেন্ড: বয়ফ্রেন্ডের সম্পর্ক তুলনামূলকভাবে কম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এটি যেকোনো সময় শেষ হতে পারে। স্বামী: বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রী সাধারণত এক সাথে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেন, যার মধ্যে সন্তানধারণ, বাড়ি কেনা এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। বয়ফ্রেন্ড: বয়ফ্রেন্ডের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সাধারণত কম থাকে এবং এটি বর্তমানের উপর বেশি গুরুত্ব দেয়। স্বামী: বিবাহের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী উভয় পরিবারের সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়।বয়ফ্রেন্ড: বয়ফ্রেন্ডের সম্পর্ক সাধারণত শুধু দুজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, এখানে দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।সংক্ষেপে, স্বামী এবং বয়ফ্রেন্ডের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো আইনি, সামাজিক এবং প্রতিশ্রুতি বদ্ধতার ক্ষেত্রে।

যেভাবে স্ত্রীকে আদরে ভরিয়ে তুলবেন

ভালোবাসায় গড়া এক স্বর্গীয় সম্পর্ক

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ১০:৪৮ এএম
ভালোবাসায় গড়া এক স্বর্গীয় সম্পর্ক

একটি নারীর জীবনে ভালোবাসা মানে শুধুই উপহার, ফুল বা চকোলেট নয়। তার কাছে ভালোবাসা মানে—কারও মনোযোগ, কারও অপেক্ষা, কারও মমতা। প্রতিদিনের হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও কেউ একজন তার জন্য ভাবছে, তাকে অনুভব করছে—এই বিশ্বাসটাই তার বুকভরা প্রশান্তি। আর সেই মানুষটি যদি হয় তার স্বামী, তাহলে সে নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবতী নারী ভাবতে শুরু করে।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথম যেই শব্দটা সে শুনতে চায়, সেটা যেন হয় আপনার মুখ থেকে তার প্রিয় একটি ডাকনাম—“রূপসী”, “কলিজা”, “পাগলী”, “সোহাগিনী” কিংবা “জীবন”। এই একটি নামেই তার দিনটা বদলে যেতে পারে। কেবল একটা শব্দ, কিন্তু যদি সেটা হয় ভালোবাসায় ভরা, তাহলে তা হয়ে ওঠে তার হৃদয়ের সবচেয়ে প্রিয় সঙ্গীত।
নারীরা ভুল করতেই পারে, তারা তো মানুষ। কিন্তু তার প্রতিটা ভুলের পেছনে একটা না বলা কাহিনি লুকিয়ে থাকে। রাগারাগি বা উপেক্ষা নয়, তাকে কাছে টেনে নিয়ে চোখে চোখ রেখে নরম গলায় বলুন, “আমি জানি, তুমি আমার ভালো চাও, চল একসাথে শেখা শুরু করি।” বিশ্বাস করুন, আপনার এই কোমলতা, এই সহনশীলতা তার চোখে আপনাকে আরও মহান করে তুলবে। নারী কখনো শক্তিতে নয়, ভালোবাসায় জয়ী হয়।
রান্নাঘরে যখন সে দাঁড়িয়ে থাকে—ঘামের ফোঁটা মিশে যায় কপালের ছোট্ট চুলে—তখন পেছন থেকে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরুন। একটা নরম চুমু রাখুন কাঁধে। বলুন, “তোমার হাতের মিষ্টি গন্ধেই আমি বাঁচি।” একটু পেঁয়াজ কেটে দিন, কিংবা চা বানিয়ে দিন তার জন্য। এই ছোট্ট সহানুভূতি তাকে বিশাল এক ভালোবাসার ছায়ায় আগলে রাখবে।
তার সঙ্গে গল্প করুন। আপনি ব্যস্ত, তা সে বোঝে। কিন্তু তার মনটাও এক একটা ছোট নদীর মতো, যা শুধু অপেক্ষা করে—কখন কেউ এসে তার বুকে ডুব দেবে। তার কথা শোনার সময় শুধু কান নয়, মনও দিন। মাঝেমধ্যে হেসে বলুন, “তুমি না আমার জীবনের সবচেয়ে মজার গল্প!” দেখবেন, সে শিশু হয়ে যাবে, আপনার কাঁধে মাথা রাখবে, এবং নিঃশব্দে বলবে—“এই জীবনটাই তো চেয়েছিলাম আমি।”
বিশেষ কোনো রাতে, যখন আকাশে পূর্ণিমার আলো, ছাঁদে উঠে তার চুলে একটা ছোট্ট ফুল গুঁজে দিন। তাকে শাড়ি পরাতে সাহায্য করুন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলুন, “আলো চাঁদের গায়েও পড়ে, কিন্তু তুমি তো নিজেই আলো।” পাশে বসে এক কাপ চা দিন, আর তার ঠোঁটের ছোঁয়া যেখানে, সেখানেই নিজের ঠোঁট ছুঁইয়ে নিন—এই এক মুগ্ধতার অনুভব তাকে জীবনের শেষ পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখবে।
প্রার্থনার সময় যখন আপনি নিজের রবের কাছে হাত তোলেন, তখন প্রিয়তমার কপালে একটি নরম চুমু দিয়ে বলুন, “তোমার জন্যই তো আমার সব চাওয়া।” এই ছোট্ট স্পর্শের মধ্যে লুকিয়ে থাকে এমন ভালোবাসা, যা শুধু শরীর নয়—আত্মাকেও জড়িয়ে রাখে। সে বুঝে নেয়, আপনি তাকে শুধু এই দুনিয়ার নয়, পরকাল পর্যন্ত চাইছেন।
ভালোবাসা মানে শুধু শারীরিক উপস্থিতি নয়, বরং এমন এক আত্মিক বন্ধন, যেখানে একজন আরেকজনকে অনুভব করে হৃদয়ের গভীর থেকে। আপনি যদি সত্যিই চান, স্ত্রী আপনার একমাত্র প্রেমে আবদ্ধ থাকুক, তাহলে তাকে এমন ভালোবাসুন যেন সে পৃথিবীর কারো কাছেই কোনো ঘাটতি অনুভব না করে। আপনার ছায়ায় সে যেন সবথেকে নিরাপদ, সবচেয়ে প্রিয়, আর সবচেয়ে দামী হয়ে উঠতে পারে।
এইরকম ভালোবাসার সংসারে কখনো পরকীয়া ঢুকতে পারে না। কারণ এখানে প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্তে দুজন মানুষের হৃদয় একে অপরের জন্য দোলা দেয়। ইনশাআল্লাহ, এমন একটি ঘর হবে জান্নাতের প্রতিচ্ছবি।

রুবিনা

নয়নের জল

রুবিনা প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ১০:৩৯ এএম
নয়নের জল

ভুলে গিয়েছো হয়তো আজ এই দিনটির কথা
বছর দশেক আগে গোধূলির শেষ লগ্নে সেই মেঠোপথের বাকে এসেছিলে ওহে অঝোর ধারা বৃষ্টি
আমার মনের দুঃখ গুলতোমার বুকের চাদরে ঢাকতে
আমার চোখের স্বপ্ন নিয়ে তোমার দু’চোখে আকতে
আমার হৃদয়ের সুবাস নিয়ে তোমার শরীরে মাখতে
মনে কি পড়ে সে দিনের কথা ভাবিয়া ভাবিয়া হইতে দিশেহারা
এই ফুল নয় ঐ ফুল নয় কোন ফুলে গাঁথা মালা পড়াবে খোপাতে,

পরুক বৃষ্টির জল অঝোর ধারায় পরুক তুমি কিন্তু কান পেতে তা শুনুনা যদি পারো সব বিলিয়ে দিও
কি পেয়েছো হিসেব রেখনা
আজও খোলা জানালায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টির জল ছুঁয়ে
নয়নের জল নীরবে মুছি আর ভাবি
প্রেম কখনোই হায় আসেনি নীরবে আমার ই দুয়ার প্রান্তে।

পরকীয়া এবং জীবনসঙ্গীর সৌন্দর্যের কোনো সম্পর্ক নেই!

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫, ৫:১১ পিএম
পরকীয়া এবং জীবনসঙ্গীর সৌন্দর্যের কোনো সম্পর্ক নেই!

আমি পুনরায় বলছি — পরকীয়ার সঙ্গে জীবনসঙ্গী সুন্দর বা অসুন্দর হওয়ার কোনো যোগ নেই।
আপনি যদি ভাবেন “আমি সুন্দর, তাই আমার সঙ্গী আমাকে কখনো CHEAT করবে না,” এটা একেবারেই ভুল ধারণা। চরিত্র খারাপ হলে মন তো সহজেই অন্যদিকে যায়, সেটা সে সুন্দরী স্ত্রী হলেও হবে, সঙ্গী যতই মোহনীয় হোক না কেন!
যেমন কথায় আছে — “Once a cheater, always a cheater.”
সৌন্দর্য দিয়ে যদি শুধু পুরুষদের মন জয় করা যেতো, তাহলে প্রিন্সেস ডায়ানা কেন প্রতারিত হতেন?
সত্যিকারের ভালোবাসা গায়ের রঙ, ঐশ্বর্য বা সৌন্দর্য দিয়ে বিচার করে না। যারা প্রকৃত ভালোবাসতে জানে, তারা চরিত্র, মন ও বিশ্বাসকে প্রাধান্য দেয়।
কিন্তু মানুষ, সৃষ্টির অদ্ভুত নিয়মে, যখন গাছ থেকে নিচের পাতা তুলে নিতে চায়, তখন ভালোবাসা তো দূরের কথা!
একজন বন্ধুকে আমি চিনি, সে এখনও তার এক্স-পার্টনারকে ভালোবাসে, প্রথম দিনের মতোই, যদিও সব সত্য উন্মোচিত হয়েছে। তার বিশ্বাস ছিল ভালোবাসার ক্ষমতা অপরিসীম। কিন্তু আধুনিক যুগে ভালোবাসার সেই শক্তি প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। জল্পনা-কল্পনা সব মূল্যহীন প্রমাণিত হয়েছে। তারা একসাথে থাকতে পারল না, ভালোবাসা টিকে উঠল না।
সত্যিকারের ভালোবাসা কখনোই কাউকে বেহায়া বানায় না, বরং মানুষকে মর্যাদা দেয়। আজকের যুগে ‘চিটার’ এর অবস্থান মানুষের মস্তিষ্কে এখনও অমলিন। তারা বিশ্বাস করে, একদিন পার্টনার ভুল বুঝবে — এটাকে বলে ‘আশায় বাঁচে চাষা’।
যে একবার বাইরের দিকে নজর দিল, সে সহজে ফিরে আসে না। ফিরে এলেও সেটি এক বিরল মিরাকল। সেই মিরাকল শুধু ঘটে যাঁদের প্রতি স্রষ্টার বিশেষ দয়া ও পছন্দ থাকে।
এক ভয়ংকর আয়াত মনে রাখবেন —
“তুমি চাইলেই তোমার পছন্দের মানুষকে সৎ পথে নিয়ে আসতে পারবে না, কারণ স্রষ্টা যাকে ইচ্ছা, তাকেই সৎ পথে পরিচালিত করেন।”
অতএব, আপনার পার্টনারের প্রতি অন্ধবিশ্বাস নয়, বরং ‘ত্রিনেত্র’ সজাগতা রাখুন। সতর্ক থাকুন, মনোযোগী থাকুন। তাহলে দিনশেষে ঠকলেও নিজেকে সামলাতে পারবেন, নিজের মর্যাদা বজায় রাখতে পারবেন।
নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও পরামর্শ:
বিশ্বাস এবং কমিউনিকেশন: পার্টনারের সাথে খোলামেলা কথা বলুন, একে অপরের ভাবনা বোঝার চেষ্টা করুন।
নিজের মূল্যবোধ ও মানসিক দৃঢ়তা বাড়ান: নিজেকে সম্মান দিন, মনের শান্তি বজায় রাখুন।
সঠিক সীমানা নির্ধারণ করুন: সম্পর্কের মধ্যে লালসা, বিশ্বাসঘাতকতা কিংবা অন্যায় আচরণের জন্য স্পষ্ট সীমানা টানুন।
নিজেকে উন্নত করুন: নিজেকে মানসিক, শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে সজাগ ও শক্তিশালী রাখুন।
প্রয়োজনে সাহায্য নিন: সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যা হলে কাউন্সেলিং বা থেরাপির সাহায্য নিতে পারেন।
সত্যিকারের ভালোবাসা যেখানে থাকে, সেখানে বিশ্বাস আর শ্রদ্ধা থাকে। আর এই মূল্যবোধ বজায় রেখে চলতে পারলে, জীবনে সুখ ও শান্তি বজায় রাখা সহজ হয়। 🌿✨