রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

মাদারীপুরে এক রাতে ২ কোটি টাকার ইলিশ বিক্রি

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪, ১:৫৭ এএম | 93 বার পড়া হয়েছে
মাদারীপুরে এক রাতে ২ কোটি টাকার ইলিশ বিক্রি

মাদারীপুরের বিভিন্ন জায়গায় গেল রাতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে প্রায় দুই কোটি টাকার ইলিশ মাছ বেচা-কেনা হয়েছে। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরুর পূর্ব মুহূর্তে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন ইলিশ বাজারে।

জেলা শহরের পুরানবাজার মাছের আড়ত, মস্তফাপুর মৎস্য ভান্ডার সহ রাজৈর, কালকিনি, শিবচর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ইলিশ বেচা-কেনার এ মহোৎসব শুরু হয় শনিবার বিকাল হতে। যা চলে রাত ১২টা পর্যন্ত।

আগামী ২২ দিন ইলিশ কেনা-বেচা ও বাজারজাত বন্ধ থাকায় এমন বেচা-বিক্রি হয়েছে বলে দাবি মাছ ব্যবসায়ীদের। অন্যদিকে এক রাতে এমন ইলিশের মেলায় পুরো মাদারীপুরই যেন মুখরিত হয়ে উঠে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় এসব মাছের আড়তে ইলিশ কেনার ধুম পড়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার বিকাল থেকেই মাদারীপুর পৌর শহরের পুরানবাজার মাছের আড়তে ইলিশ মাছ নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। সময় গাড়ানোর সঙ্গে ক্রেতারাও আসতে শুরু করেন ছোট-বড় আকারের ইলিশ কিনতে।

এদিন, পুরুষের পাশাপাশি নারী ক্রেতাদেরও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সবমিলিয়ে রাত গভীর হলে পুরো মাছের আড়তে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। এ যেন রীতিমতো মাছ আর মানুষের মিলন মেলায় রূপ নেয়।

এ কারণে স্থানীয়রাও এটিকে ইলিশের মেলা বলেই আখ্যায়িত করেছেন। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর ইলিশের দাম বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

মাছ কিনতে আসা রাজিব হোসেন বলেন, ‘২২ দিন ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে না। তাই এখন মাছ কিনতে আসছি। তবে গতবার এক কেজি সাইজের ইলিশ ছিল ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, এবার সেই ইলিশ ১৮০০ টাকার উপরে। যে কারণে মাত্র ৩ কেজি ইলিশ কিনছি। না হলে আরও বেশি কিনতাম।’

রনি আহমেদ নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘আগে জানলে এ রাতের জন্য দেরি করতাম না। এখন যে দামে ইলিশ কিনলাম, তা আগের চেয়ে আরও বেশি। মানুষ হুজুকে মাছ কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। আমিও আসছি, এখন দাম দেখে আর কিনলাম না।’

এ বছর ইলিশের সরবরাহও তুলনামূলক কম ছিল। যে কারণে বেশি দাম হাঁকিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে পুরো জেলা জুড়ে। সব জায়গায় শত শত মন ইলিশ বিক্রি হয়েছে। তবে দাম নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

অন্যদিকে, এ বছর ইলিশের মেলায় পুরো জেলায় দুই কোটি টাকা উপরে বিক্রি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। ইলিশ ব্যবসায়ী সালাম মিয়া বলেন, ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শনিবার রাত ১২টা থেকে বাস্তবায়ন করা হবে। তাই যত ইলিশ সংগ্রহে ছিল সবই বিক্রি করে দিচ্ছি। কারণ, মাছ মজুতও রাখা যাবে না। ক্রেতারাও আসছে, আমরাও বিক্রি করছি। তবে দাম গতবারের চেয়ে এবার একটু বেশি। যে কারণে ক্রেতারা কম কিনছে।’

এ ব্যাপারে মাদারীপুর পুরানবাজার মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোছলেম উদ্দিন বলেন, ‘প্রতি বছর নিষিদ্ধ সময়ের আগের রাতে ইলিশ মাছ বিক্রির ধুম পড়ে। সব মাছ ব্যবসায়ীরা সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টার আগ পর্যন্ত ইলিশ বিক্রি করে। এ আড়তে প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকার ইলিশ বিক্রি হয়। আর জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় এক কোটি টাকা ইলিশ বিক্রি হয়। আমরা সংরক্ষিত সময়ে কোনো ইলিশ কেনা-বেচা করি না।’

সার্বিক বিষয়ে মাদারীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ হাদিউজ্জামান বলেন, “এ বছর ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। তাই সারাদেশের মতো মাদারীপুরেও এই সময়ে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় বন্ধ থাকবে। যদি কেউ এই আইন অমান্য করে তাহলে জেল-জরিমানা করার বিধান রয়েছে।”

মো : রাজিকুল ইসলাম, ​সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

সিংড়ায় প্রফেসর সাইদুর রহমানের পক্ষে জামায়াতের উঠান বৈঠক

মো : রাজিকুল ইসলাম, ​সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৮ এএম
সিংড়ায় প্রফেসর সাইদুর রহমানের পক্ষে জামায়াতের উঠান বৈঠক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিংড়া উপজেলার ১২ নং রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের ভোগা গ্রামে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

​১২ নং রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত এই উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রফেসর সাইদুর রহমান। ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং ইউনিয়ন যুব জামায়াতের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভাটি পরিচালিত হয়।
​অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য আফছার আলী, উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আ ব ম আমান উল্লাহ, উপজেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক এনতাজ আলী সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

​সভায় বক্তারা আগামী নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ন্যায় এবং ইনসাফ এর প্রতীক দাঁড়িপাল্লাকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে দুর্নীতি চান্দাবাজ ও বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন সমস্যা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী প্রফেসর সাইদুর রহমানের পক্ষে সাধারণ মানুষের কাছে সমর্থন ও দোয়া কামনা করেন।

প্রকাশকঃ কামরুন নেছা তানিয়া

হ্নীলা নৌবাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও গ্রেনেড উদ্ধার

প্রকাশকঃ কামরুন নেছা তানিয়া প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৫ এএম
হ্নীলা নৌবাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও গ্রেনেড উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক: টেকনাফের হ্নীলায় নৌবাহিনীর বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের উলুচামারি কোনাপাড়া এলাকার শির্ষ সন্ত্রাসী মিজান ওরফে লম্বা মিজানের বাড়ীতে এ অভিযান চালানো হয়।
মিজান ওরফে লম্বা মিজানের বসতবাড়িতে বিপুল অস্ত্র মজুদ রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে নৌবাহিনীর বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াডস এবং নৌবাহিনী কনটিনজেন্ট টেকনাফ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে।
১টি বিদেশি ও ২টি দেশি পিস্তল, ১টি একনলা বন্দুক,১০ টি গ্রেনেড,গোলাবারুদসহ দেশী ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ময়মনসিং জেলা প্রতিনিধি মোঃ আবুল কালাম

মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ

ময়মনসিং জেলা প্রতিনিধি মোঃ আবুল কালাম প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৩ এএম
মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ

ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মুক্তাগাছা পৌর শহরের লক্ষীখোলা এলাকায় জনতার মুখোমুখি হন। নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে ঘিরে তাদের অভাব-অভিযোগ ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা মৌখিকভাবে উন্নয়ন, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, দুর্নীতি, জাতীয় রাজনৈতিক সংকট এবং মুক্তাগাছার দীর্ঘদিনের অবহেলিত সমস্যাগুলো নিয়ে প্রশ্ন করেন। প্রতিটি প্রশ্ন মনোযোগ দিয়ে শোনার পর তিনি তার পরিকল্পনা, প্রতিশ্রুতি ও বাস্তব সমস্যাগুলোর সমাধানে সম্ভাব্য কৌশল তুলে ধরেন।

এড. মতিউর রহমান আকন্দ বলেন—
“মুক্তাগাছার উন্নয়ন থেমে থাকবে না। দীর্ঘদিন ধরে যেসব সমস্যা অবহেলিত আছে, সেগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমাধান করতে চাই। জনগণের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়ই পরিবর্তনের পথ দেখায়।”

মাদক ও দুর্নীতি বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন—
“মাদক একটি পরিবারই নয়, পুরো সমাজকে ধ্বংস করে। এজন্য পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করাই আমার অবস্থান।”

শিক্ষা ও কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন—
“যুব সমাজকে দক্ষ করে তোলা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। মুক্তাগাছায় কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণ ও তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।”

জনতার সঙ্গে এ ধরনের উন্মুক্ত মতবিনিময় স্থানীয়দের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। অনেকেই মনে করছেন, সাধারণ মানুষের সমস্যা ও প্রত্যাশাকে সামনে রেখে নেতার এভাবে সরাসরি কথা বলা রাজনৈতিক আস্থাকে আরও দৃঢ় করবে।