রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

চিকিৎসা প্রতারণা

কালীগঞ্জে ‘হযরত আলী ক্লিনিকে’ ১ লক্ষ টাকা জরিমানা

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৫১ পিএম | 101 বার পড়া হয়েছে
কালীগঞ্জে ‘হযরত আলী ক্লিনিকে’ ১ লক্ষ টাকা জরিমানা

ফজলুর রহমান নামে এক রুগীর সঙ্গে চিকিৎসা প্রতারণার অভিযোগে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ডাঃ হযরত আলী ডিজিটাল ল্যাব এন্ড হাসপাতালের মালিক কথিত ডাঃ সিরাজুল ইসলামের নিকট থেকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত ৭ টা থেকে সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডলের নেতৃত্বে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ বুলবুল কবিরকে সাথে নিয়ে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভিযান শেষে হাসপাতালের নানান অসংগতি, প্রতারণা ও ভোক্তা অধিকার ২০০৯ এর আইনবলে এ জরিমানার টাকা আদায় করা হয়। এ সময় ক্লিনিক মালিক চিকিৎসা প্রতারণা ও হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স না থাকা সহ বিভিন্ন অসংগতির বিষয়ে ভুল স্বীকার করলে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনুজা মন্ডল ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের জেল ঘোষণা করেন। ঐ সময় ক্লিনিক মালিক নগদ ১ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে এ যাত্রায় রেহাই পায়। গত ১৯ অক্টোবর রবিবার “কালীগঞ্জে হযরত আলী ক্লিনিকের বিরুদ্ধে রোগীর ভুয়া রিপোর্টের অভিযোগ” এবং ২০ অক্টোবর সোমবার “কালিগঞ্জ উপজেলা জুড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো মানহীন ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ছড়াছড়ি” দু,টি শিরোনামের খবর” বিভিন্ন দৈনিক”পত্রিকা এবং অনলাইন পোর্টালে প্রকাশ পায়। উক্ত সংবাদ প্রকাশের ফলে জেলা, উপজেলা প্রশাসনের টনক নড়ে। যার প্রেক্ষিতে গত সোমবার রাত থেকে উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার প্রথম দিনেই হযরত আলী ক্লিনিক ডিজিটাল ল্যাব এন্ড হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর পর হতে ধারাবাহিক অভিযান চলবে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডল সাংবাদিকদের জানান। রতনপুর ইউনিয়নের গডুই মহল গ্রামের ফজলুর রহমান নামে গরীব অসহায় রোগী পেট ব্যথা নিয়ে ডাঃ হযরত আলী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাবে ভর্তি হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ডাঃ আকছেদুর রহমানকে ডেকে এনে অ্যাপেন্ডিসাইড অপারেশন করায়। অপারেশনের পরেও ঐ রোগী পেট ব্যথায় ছটফট করতে থাকলে তাকে পুনরায় মোটা অংকের টাকা নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করায়। ঐ আল্ট্রাসোনোগ্রাম রিপোর্টে ডাঃ গোলাম মোস্তফা নামে একজন এমবিবিএস ডাক্তারের স্বাক্ষর থাকলেও আদতে ওই হাসপাতালে কোন ওই নামে ডাক্তার ছিল না। ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগী রোগী বিষয়টি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তবে অভিযান পরিচালনার সময় কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ গোলাম মোস্তফা সেখানে উপস্থিত থাকলেও তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন এ ধরনের রিপোর্টে তার স্বাক্ষর জাল বলে বলে জানান । এর আগে গত ২৫ নভেম্বর বেলা আড়াইটার দিকে তারালি ইউনিয়নের গোলখালী গ্রামের সঙ্গীতা মন্ডল নামে এক প্রসূতিকে প্রসব বেদনা নিয়ে ৪০ হাজার টাকা চুক্তিতে ডাঃ হযরত আলী ডিজিটাল ল্যাব এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করে। ঐ সময় ডাঃ তানিয়াকে ডেকে নিয়ে এসে অপারেশন করালে ভুল অপারেশন ও রক্তশূন্যতায় অপারেশন টেবিলে ঐ প্রসূতি মারা যায়। খবর ছড়িয়ে পড়লে শতশত জনগণ ক্লিনিক ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলাকালীন অবস্থায় জীবন বাঁচাতে ক্লিনিক মালিক কথিত ডাঃ সিরাজুল ইসলাম এবং ডাঃ তানিয়া পিছনের প্রাচীর টপকে পালিয়ে সে যাত্রায় রেহাই পায়। এর পরও থামেনি হযরত আলী ডিজিটাল ল্যাব এন্ড হাসপাতালের দৌরাত্ম্য। পরিবেশ অধিদপ্তর এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদনবিহীন ডাঃ হযরত আলী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হর হামেশা চলছে এই অপ চিকিৎসার নামে হত্যাযজ্ঞ। শুধু ডাঃ হযরত আলী ক্লিনিক না উপজেলা জুড়ে অনুমোদনবিহীন ১৯ টি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার চললেও টনক নড়েনা স্বাস্থ্য বিভাগের। এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বললে উনি জেলা প্রশাসকের উপর দায় চাপিয়ে নিজে দায়মুক্ত হওয়া জন্য মাসোহারার পাঁয়তারায় ব্যস্ত থাকেন।

নির্বাহী সম্পাদকঃ অঞ্জনা চৌধুরী

কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে

নির্বাহী সম্পাদকঃ অঞ্জনা চৌধুরী প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:০২ পিএম
কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে, যা মনসুরনগর চরের শিক্ষার্থীদেরসহ স্থানীয়দের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করছে; বিশেষ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে ও স্কুলে যেতে তাদের ডুবোচরের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে, যা একটি বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
মূল সমস্যা: শুষ্ক মৌসুমে জেগে ওঠা অসংখ্য ডুবোচর যাতায়াতে বাধা দিচ্ছে।
প্রভাব: ছাত্রছাত্রী, রোগীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
উদাহরণ: মনসুরনগর চরের লোকজন কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৫০ এএম
কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস। এ দিবস পালন উপলক্ষ্যে সকালে হানাদার মুক্ত দিবসের বিজয় মিছিল,পুস্প্যমাল্য অর্পন ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত হয়। এই দিন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল চাপের মুখে পাকিস্তানি সেনারা পরাজয় মেনে নিয়ে কুড়িগ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস। কোম্পানি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই সরকার বীর প্রতীকের নেতৃত্বে কুড়িগ্রাম ওভারহেড পানির টাংকির উপর প্রথম স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এই দিবসের শুরুতে সকাল ৯ টায় একটি বিজয় মিছিল কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হতে বেড় হয়ে শহর পদক্ষিন করে। পরে কলেজ মোড় স্বাধীনতার বিজয় স্থম্ভে পুস্প্য মাল্য অর্পণ করে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সদর কমান্ডের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল বাতেন সরকারের সঞ্চালনায় এক স্মৃতি চারণ মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে বক্তব্য রাখেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা,কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন,এনডিসি এবিএম মেজবাহ উদ্দিন,সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুল্যা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই সরকার (বীর প্রতীক), বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর আব্দুস সালাম(অবঃ), বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ,প্রবীন সাংবাদিক সফি খান,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি মাহবুবুর রশীদ তালুকদার স্বপন,সহ সভাপতি নব কুমার সরখেল ববি,সাধারণ সম্পাদক আমানুর রহমান খোকন,উদীচী শিল্পিগোষ্ঠির অনিরুদ্ধ প্রণয় প্রান্তিক,১৯ সংগঠনের রাজ্য জ্যোতি,জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম সদস্য সচিব হেলাল আহমেদ,প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব আব্দুল মুমিন বাবু প্রমুখ ।

জাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি-সম্পাদক তাড়াশের মাসুদ ও মোন্নাফ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
জাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি-সম্পাদক তাড়াশের মাসুদ ও মোন্নাফ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধ্যয়নরত সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সদ্য গঠিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম আবর্তনের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের কৃতী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আব্দুল মোন্নাফ। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী, তাড়াশের নাদোসৈয়দপুর গ্রামের মাসুদ রানা।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। দায়িত্বগ্রহণের পর খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে বলে জানান নবনির্বাচিত সভাপতি ও সম্পাদক।

সংগঠনের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সভাপতি শাহরিয়ার আব্দুল মোন্নাফ বলেন, “প্রতিবারের মতো এবারও সিরাজগঞ্জ থেকে আগত শিক্ষার্থী ও ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইনশাআল্লাহ, সংগঠনের কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করে আমরা আরও নতুনত্বের প্রকাশ ঘটাবো।”

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, “সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য এক বিশেষ সম্মান। এই বিশ্বাস ও ভালোবাসাকে শক্তি হিসেবে নিয়ে আমরা সমিতিকে আরও সংগঠিত, কার্যকর ও শিক্ষার্থীবান্ধব একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলব। আগামী দিনে সিরাজগঞ্জের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা, মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের ক্যাম্পাসের সম্পর্ক জোরদার করাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাব।”

নতুন কমিটি ঘোষণায় জাবির সিরাজগঞ্জের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।