শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার শ্রেষ্ঠ সাব ইন্সপেক্টর নিরস্ত্র হিসেবে পুরস্কৃত হলেন সাদ্দাম মোল্লা

মোঃ সুজন বেপারী প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৬ পিএম | 73 বার পড়া হয়েছে
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার শ্রেষ্ঠ সাব ইন্সপেক্টর নিরস্ত্র হিসেবে পুরস্কৃত হলেন সাদ্দাম মোল্লা

মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্সে মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ সভা অনুষ্ঠানে সদর থানার শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে পুরস্কৃত হলেন পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর নিরস্ত্র জনাব সাদ্দাম মোল্লা।

আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর ২০২৫) জেলা পুলিশ লাইন্সে মাসিক ও অপরাধ পর্যালোচনা সভায় জেলা পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার (পিপিএম বার) মহোদয় এর সভাপতিত্বে পুরস্কার ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন সাব ইন্সপেক্টর নিরস্ত্র এসআই সাদ্দাম মোল্লা কে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্ট আসামি গ্রেফতারের বিশেষ সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি এই পুরস্কার অর্জন করেন।

এছাড়াও জেলা পুলিশ লাইন্সে শহীদ কনস্টেবল বোরহান উদ্দিন মিলনায়তনে সম্মানিত জেলা পুলিশ সুপার জনাব মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার মহোদয়ের সভাপতিত্বে মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত কল্যাণ সভায় জেলার সকল থানা, ফাঁড়ি, ক্যাম্প, ট্রাফিক পুলিশ, কোর্ট পুলিশ ও পুলিশ লাইনস্ হতে আগত ইনচার্জগণসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন। কল্যাণ সভায় সেপ্টেম্বর-২০২৫ মাসে জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনকারী পুলিশ সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। পুলিশ সুপার মহোদয় তার সমাপনী বক্তব্যে পুলিশের করণীয় বর্জনীয় বিষয়সমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালনের লক্ষ্যে বিভিন্ন মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং সকলকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।এরপর বেলা ১২.৩০ ঘটিকায় পুলিশ অফিস সম্মেলন কক্ষে মাসিক অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অপরাধ সভায় সেপ্টেম্বর-২০২৫ মাসে রুজুকৃত মামলাসহ তদন্তাধীন মামলাসমূহের তদন্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মোহাম্মদ কাজী হুমায়ূন রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জনাব মো. ফিরোজ কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব বিল্লাল হোসেন পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) জনাব মো. আনিসুর রহমান মহোদয়সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।

“ময়মনসিংহে পুলিশের দুর্ধর্ষ অভিযান, ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার”

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
“ময়মনসিংহে পুলিশের দুর্ধর্ষ অভিযান, ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার”

 

আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহ শহরে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে ১০৫ পিস ইয়াবাসহ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। বুধবার (১৬ অক্টোবর ২০২৫) দুপুর ৩টা ৩০ মিনিট থেকে ৪টা পর্যন্ত বলাশপুর পালপাড়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি বিশেষ রেইডিং টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন এসআই মোঃ আল মাসুদ। তার সঙ্গে ছিলেন এএসআই মাইন উদ্দিন ও সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা—সিপাই রাজু মিয়া, আশরাফুল, আলম পাপ্পু, সারোয়ার হোসেন নোমান এবং সালমান ফার্সি।

অভিযান চলাকালে পুলিশ সদস্যরা একটি ভাড়াকৃত গাড়িতে করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজল রানী সরকারের বাড়ির পূর্ব পাশের গলিপথে এক সন্দেহজনক যুবককে চিহ্নিত করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালানোর চেষ্টা করলে দ্রুত ঘেরাও করে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তার দেহ তল্লাশি করে পরিহিত ট্রাউজারের পকেট থেকে একটি নীল পলিথিনে মোড়ানো ব্যাগে ১০৫ পিস কমলা রঙের ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

আটক যুবকের নাম মোঃ স্বপন মিয়া (২৭), পিতা মৃত নুর ইসলাম মাস্টার, মাতা কুলসুম বেগম, ঠিকানা—ভাটিকাশর, ময়মনসিংহ কোতোয়ালী। উদ্ধার করা ইয়াবার মোট ওজন ১০ গ্রাম এবং আনুমানিক বাজারমূল্য ৩১ হাজার ৫০০ টাকা।

পুলিশ জানায়, আটককৃত স্বপনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৯(১)(খ) ধারা অনুযায়ী মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে, যা আইনটির ৩৬(১) ধারার ১০(ক) অনুযায়ী বিচারযোগ্য অপরাধ।

অভিযান শেষে এসআই মোঃ আল মাসুদ বলেন, “মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি। আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী। সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে এই ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।”

তিনি আরও জানান, পুলিশের এই অভিযান মাদকবিরোধী চলমান কার্যক্রমের একটি অংশ মাত্র। ময়মনসিংহ শহর ও আশপাশের এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পুলিশের পক্ষ থেকে স্থানীয় জনগণকে মাদক নির্মূলে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা বলেন, “আপনার এলাকায় মাদক সংক্রান্ত কোনো তথ্য থাকলে নিকটস্থ থানায় জানান। সবাই মিলে এগিয়ে এলে মাদকমুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব।”

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, পুলিশের এই সাহসী পদক্ষেপ সমাজে মাদকের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর অংশগ্রহণ — “এই মুহূর্ত শুধু একজন ব্যক্তির নয়, আমাদের প্রজন্মেরও গর্বের প্রতীক”

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর অংশগ্রহণ — “এই মুহূর্ত শুধু একজন ব্যক্তির নয়, আমাদের প্রজন্মেরও গর্বের প্রতীক”

 

মো. শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় এক অধ্যায় যোগ হতে যাচ্ছে আজ, ১৭ অক্টোবর ২০২৫। বিকেল চারটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান—যা রাষ্ট্রীয় ঐক্য, গণতান্ত্রিক চেতনা ও নাগরিক অঙ্গীকারের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এই ঐতিহাসিক আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ধান্যদৌল গ্রামের কৃতী সন্তান ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী, যিনি প্রখ্যাত সমাজসেবক আবদুর রাজ্জাক খান চৌধুরীর পুত্র।

ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারা নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি লিখেছেন—“এই মুহূর্ত শুধু একজন ব্যক্তির নয়, আমাদের প্রজন্মেরও গর্বের প্রতীক। জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের অংশ হতে পারা আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন।”

তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি জনাব মাহমুদুর রহমান মান্না-এর প্রতি, যার অনুপ্রেরণা ও সহায়তায় এই মহতি আয়োজনের অংশ হতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা আজকের এই ঐতিহাসিক আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, যিনি জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন, সুশাসন ও ঐক্যের নতুন অঙ্গীকার ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।

ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর এই অংশগ্রহণ শুধু তার ব্যক্তিগত গৌরব নয়—এটি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া তথা সমগ্র অঞ্চলের মানুষের জন্যও এক গর্বের বিষয়। স্থানীয়রা মনে করেন, দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক অধ্যায়ে তাদের এলাকার একজন তরুণ আইনজীবীর উপস্থিতি নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।

জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে ঘিরে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ইতোমধ্যেই উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। রাষ্ট্রীয় সংগীত, পতাকা উত্তোলন, এবং সম্মিলিত নাগরিক অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ক্ষুধার্ত পথশিশুদের একবেলার আহার সমাজের বিবেকে প্রশ্নচিহ্ন

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪৬ এএম
ক্ষুধার্ত পথশিশুদের একবেলার আহার সমাজের বিবেকে প্রশ্নচিহ্ন

রুবিনা শেখঃ

রাজধানীর ব্যস্ত এক মোড়ে ফুটপাতের পাশে বসে কয়েকজন ক্ষুদে শিশু এক থালা ভাত ভাগাভাগি করে খাচ্ছে। কারও গায়ে মলিন জামা, কারও শরীর প্রায় উলঙ্গ, কেউবা কাগজের গ্লাসে পানি খাচ্ছে— কিন্তু সবার মুখে একটাই অনুভূতি, ক্ষুধা মিটিয়ে বেঁচে থাকার আনন্দ।
তাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো ব্যস্ত, কেউ তাকায় না। যেন এই দৃশ্যটা এখন খুব স্বাভাবিক হয়ে গেছে শহরের প্রতিটি অলিতে গলিতে।
এই শিশুরা কারও সন্তান নয়— অথচ সবাই কারও না কারও সমাজের অংশ।
এক প্লেট খাবারের জন্য যেভাবে তারা একত্রে বসে খাচ্ছে, তা শুধু দারিদ্র্যের ছবি নয়, আমাদের বিবেকের এক নীরব প্রশ্নচিহ্ন।
বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের পথে— বলা হয় আমরা মধ্যম আয়ের দেশে। শহরে উঁচু অট্টালিকা, শপিংমল, বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ বাড়ছে প্রতিদিন।
তবু এই ক্ষুদে মুখগুলো কেন আজও ফুটপাতে ভাত খায়, এই প্রশ্নের উত্তর কেউ দেয় না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীতে এখন হাজার হাজার পথশিশু প্রতিদিন ক্ষুধার সঙ্গে যুদ্ধ করছে।
সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র, বেসরকারি সংস্থার তৎপরতা— সবকিছুর পরও বাস্তবতা হচ্ছে, রাস্তায় এদের সংখ্যা কমছে না; বরং প্রতিদিন বাড়ছে।
সমাজের বিত্তবান শ্রেণি প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে আরাম-আয়েশে।
কিন্তু তাদের একটুখানি দয়া, একবেলার খাবারের দান, বা একটি আশ্রয় দিলে হয়তো এই শিশুরাও নতুন ভবিষ্যৎ পেতে পারত।
এই ছবিটি তাই শুধু এক মুহূর্তের দৃশ্য নয়, এটি আমাদের সমাজের আয়নায় এক নগ্ন প্রতিচ্ছবি—
যেখানে উন্নয়নের রঙিন আলোয় লুকিয়ে আছে ক্ষুধার্ত মুখের নীরব কান্না।
ছবির ক্যাপশন:
রাজধানীর এক গলিতে এক থালা ভাত ভাগাভাগি করে খাচ্ছে ক্ষুধার্ত পথশিশুরা। পাশে কেউ নেই আছে শুধু ক্ষুধা আর টিকে থাকার লড়াই।