শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

আগ্রাসনই যার শেষ কথা

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:৩৯ পিএম | 44 বার পড়া হয়েছে
আগ্রাসনই যার শেষ কথা

ক্রিকেটে ‘বল’ নামক চর্মগোলকটার সৃষ্টি কেন জানেন? এক কথায় উত্তর, পেটানোর জন্য। না, আমার কথা নয় এটি। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম নামক দোর্দন্ড প্রতাপে, নির্দয়-কঠিন ভাবে বল-পেটানো এক ব্যাটসম্যানের কথা। কি ভাবছেন, ম্যাককালামের সাথে আমার আবার দেখা হলো কখন! কথা হলো কখন?
আরে ভাই, এই কথার উত্তর জানার জন্য তাঁর সাথে আমার দেখা করার দরকার আছে, না আমার নিউজিল্যান্ড যাওয়ার দরকার আছে? বলটাকে যে ধরণের দয়া মায়াহীন ভাবে পিটিয়ে ছাঁতু করেন, তাতে বলের যদি কথা বলার শক্তি থাকত তাহলে সে নির্ঘাত ম্যাককালাম কে লাখ-খানেক অভিশাপ অবধারিতভাবেই দিয়ে ফেলত এতদিনে! কী, দিত না?
পুরো নাম ব্রেন্ডন ব্যারি ম্যাককালাম। ত্রিশের আশেপাশে ওয়ানডে গড় ও আটত্রিশের টেস্ট গড় দেখে আপনি যদি ম্যাককালাম-কে বিচার করতে যান, তাহলে আপনি ভয়ংকর ভুল করবেন। ম্যাককালাম-কে বিচার করতে হলে আপনাকে দেখতে হবে গোটা একটি যুগের বোলারদের নিদ্রাহরণকারী একজন ব্যাটসম্যানকে। শন টেইটের দেড়শো কিমির গোলাকেও যিনি অনায়াসে স্কুপ করেছিলেন। বোলারদের সমস্ত দর্প-চূর্ণ করে যিনি শুধু জানতেন, বলটাকে তাঁর সীমানা ছাড়া করতে হবে। পিচ, কন্ডিশন, ঘূর্ণন, সুইং, বাঁক, গতি, পঞ্চম দিন কি প্রথম দিন ম্যাককালামের জন্য এসবের কোন কিছুই মাথাব্যাথার কারণ নয়। তাঁর কেবল ও কেবলমাত্র চিন্তা হলো, বলটাকে পিটিয়ে কিভাবে সীমানা দড়ির ওপারে নেয়া যায়!
যুগ-আনন্দ সঞ্চারী বলতে যা বোঝায়, ম্যাককালাম ছিলেন তা-ই। গত এক যুগ ধরে আনন্দ-ই সঞ্চারণ করে গিয়েছেন কেবল। ব্যাটিং ব্যকরণের সমস্ত শিক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন বারংবার। পেশী শক্তি ব্যবহারেরও যে একটা নান্দনিক ভঙ্গি আছে, ম্যাককালামের ব্যাটিং তা আপনাকে ভালভাবেই বুঝিয়ে ছাড়বে। আঁটসাঁটও ফিল্ডিংকে এক ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে, হাঁসফাঁস অবস্থা কে এক মূহুর্তে বিলীন করে দিয়ে ম্যাককালাম আপনাকে দেবে চার-ছক্কার নিখাঁদ বিনোদন। ম্যাককালাম কি করতে পারবেন বোঝা না-গেলেও, কি করবেন তা ছিল যথেষ্ট অনুমেয়। চোখের সামনে এসে পড়ার অপরাধে বলটাকে তেড়েফুঁড়ে করবেন আক্রমণ!
শুধুই কি ব্যাটসম্যান ম্যাককালাম এত বিনোদন দিয়েছেন? তাহলে আপনার ম্যাককালাম কে দেখা হয়নি এখনো পুরোটা! ক্যাপ্টেন ম্যাককালাম যে ছিলেন আরও আগ্রাসী আরও বিধ্বংসী! প্রচলিত ধরা বাঁধা নিয়মকে ভেঙ্গে তছনছ করে, গুড়িয়ে দেয়াতেই যেন তাঁর তৃপ্তি। তাঁর আনন্দ।
স্ট্রাইক বোলারকে একটানা দশ ওভার বোলিং করাতেও তিনি যেমন পিছপা হন না, তেমনি ওয়ানডেতেও টানা স্লিপ বসিয়ে রাখতে যেন তাঁর কোন ক্লান্তি নেই! ব্যাটিংয়ে নেমেই যেমন বিপক্ষ দলের এ টু জেড যত প্ল্যান সব ভেস্তে দিতে তিনি সিদ্ধহস্ত, ঠিক তেমনি অধিনায়ক হিসেবেও দেন না এতটুকু ছাড়! তাঁর ক্যাপ্টেন্সিতে আর কিছু থাক না-থাক, আগ্রাসন যেন থাকবেই।
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম কে আপনি ‘এক্স ফ্যাক্টর’ বললেও খুব বেশী বাড়িয়ে বলা হয় না। রাগবির দেশ নিউজিল্যান্ডেও তিনি যে, ক্রিকেট-রোমাঞ্চ ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন তা তো ঐ ‘এক্স ফ্যাক্টর’ বলেই। পূর্বসূরি হ্যাডলি, ফ্লেমিং, ভেট্টরীরা যা পারেননি, তিনি তা পেরেছেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে তো তুলেছেন-ই, তার চেয়েও বড় ব্যাপার নিউজিল্যান্ডের কিশোর প্রজন্মের মাঝে তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন ক্রিকেটের অমৃত সুধার বীজ! তাই ফ্লেমিং, ভেট্টোরি, হ্যাডলিরা পরিসংখ্যানে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও, ‘এক্স ফ্যাক্টর’ বিবেচনায় পেছনে পড়ে যান অনেকটা ব্যবধানেই। সাইমন ডৌল, ড্যানি মরিসনদের আবেগঘন গলা বারবার কেঁপে উঠেছে, ম্যাককালামের কথা বলতে গিয়ে। কারণ, ঐ ‘এক্স ফ্যাক্টর’ হয়তো!
মানুষ ম্যাককালাম কে একটু চিনবেন না? যিনি মরুর শারজায় তুলেছিলেন ভয়ংকর ঝড়! যে ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল সে বছর মধ্যপ্রাচ্যে দুর্দান্ত দাপট দেখানো পাকিস্তানও। শারজা টেস্টে করেছিলেন, ডাবল সেঞ্চুরি। এ তো সেই ব্যাটসম্যান ম্যাককালামই হয়ে গেল! না, হয়নি।
কারণ, এই ঝড় তোলার পেছনের কাজ করেছিল, ‘ফিলিপ হিউজ’ নামক এক তরুণের মৃত্যুশোক! হিউজের প্রতি নিবেদন দেখাতে গিয়ে ম্যাককালাম সেদিন পাকিস্তানি বোলারদের উপর কি চড়াও-ই না হয়েছিলেন! আগ্রাসনের পুরোটা ক্রিকেট মাঠে রেখে এসে, আপাদমস্তক ভদ্রলোকটি আপনাকে জানাবে মানুষ ম্যাককালাম কেমন!
তিনি জীবনের শেষ টেস্টেও করেছিলেন, ৭৯ বলে ১৪৫! টেস্ট ক্রিকেটে মাত্র ৫৪ বলে সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড! যাওয়ার আগে আরও একবার দেখিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর ‘মাসল’ পাওয়ার, তাঁর ব্যাটিং সক্ষমতা। ২৭ ওভারে ৭৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলটাই পরের ১৮ ওভারে তুলেছিল ১৭৯! যাতে ম্যাককালামেরই ছিল ৭৯ বলে ১৪৫!
তাঁর অবসর-কালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর ধারে-কাছে ছিল না, কেউই। ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটের ‘কিংবদন্তী’-ই বলা চলে তাকে! তবু তিনি ক্রিকেট-রোমাঞ্চিকদের মনে থাকবেন হয়তো, তাঁর বাঁধনহারা আগ্রাসনের জন্যই। তাঁর ক্যাপ্টেন্সির জন্যই। ইমরান-স্টিভ-রানাতুঙ্গাদের পর তিনি যে ক্রিকেটে আবার ফিরিয়ে এনেছিলেন সেই ‘ক্যাপ্টেনস গেম’ কথাটা!
নান্দনিক আগ্রাসনের চূড়ান্ত মাত্রা স্পর্শ করে, ক্রিকেটকে দিয়েছিলেন অদ্ভুত এক সৌন্দর্য্য! সব নিয়মের থোড়াই কেয়ার করে, তাঁর মত করেই গেয়েছেন আগ্রাসনের জয়গান। তাই ম্যাককালাম মানেই যেন আগ্রাসন! সে ব্যাটিং-ই হোক, কিংবা ক্যাপ্টেন্সি! আগ্রাসন, আগ্রাসন এবং আগ্রাসন, এ-ই ছিল তাঁর দর্শন।
১৯৮১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ডানেডিনে জন্মেছিলেন তিনি। ২০১৬-এর শুরুর দিকে স্বদেশে অস্ট্রলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে টেনেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সমাপ্তি। চাইলে হয়তো আরও বছরখানেক খেলে যেতে পারতেন। হয়তো বল নামক চর্মগোলকটিকে একটু তাড়াতাড়ি রেহাই দিতে চেয়েছিলেন, তাই তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে শেষ বলে দিয়েছিলেন মধ্য-পঁয়ত্রিশেই।

বাংলাদেশ আহলে হাদিস সংগঠনের কেশবপুর শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন

পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর  প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:২৪ পিএম
বাংলাদেশ আহলে হাদিস সংগঠনের কেশবপুর শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে শণিবার (২৭ সেপ্টেম্বর-২৫) বিকেলে কেশবপুর বাজারে জমঈয়ত শুব্বানে আহলে হাদীস বাংলাদেশ যশোর জেলা এবং কেশবপুর-মণিরামপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশ, জাতী, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ, এই সত্যকে মেনে প্রতিটি মানুষের অন্তরে ধর্মীয় শিক্ষা তথা নৈতিকতা ও শিষ্টাচার প্রদানের লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক এ দাবি নিয়ে আজ কেশবপুর উপজেলা শহরে জমঈয়ত শুব্বানে আহলে হাদীস বাংলাদেশ যশোর জেলা এবং কেশবপুর-মণিরামপুর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। সকল ধর্মের জন্যই ধর্মীয় শিক্ষক অতিব প্রয়োজন এটা অবশ্যই সত্য। তাই সেই সত্যকে মেনে সরকারের উচিত এ বিষয়ে দৃষ্টি দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।

 

বগুড়ায় গ্রেফতারের সময় সুরির আঘাতে আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর মিন্টু

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:২১ পিএম
বগুড়ায় গ্রেফতারের সময় সুরির আঘাতে আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর মিন্টু

বগুড়ায় গ্রেফতারের সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর লুৎফর রহমান মিন্টু (৪৩) সুরির আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে শহরের উপকণ্ঠে এ ঘটনা ঘটে। আহত মিন্টুকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

পুলিশ জানায়, মিন্টুর বিরুদ্ধে মোট আটটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি হত্যা মামলা, একটি অস্ত্র মামলা, একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা অন্তর্ভুক্ত। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি পুলিশের খাতায় পলাতক আসামি ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য শনিবার দুপুরে অভিযান চালায় সদর থানা পুলিশ।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাসির জানান, মিন্টুকে আটক করতে গেলে এলাকায় ভিড় জমে যায়। এ সময় সুযোগ বুঝে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্ত হঠাৎ ছুরি নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা মিন্টুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পালিয়ে যায়। বিশেষ করে পশ্চাৎদেশে গভীর ক্ষত তৈরি হয়।

তিনি বলেন, “আমরা তাঁকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করি এবং দ্রুত হাসপাতালে পাঠাই। বর্তমানে চিকিৎসকরা তাঁর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন।”

স্থানীয়রা জানান, হামলার ঘটনাটি আকস্মিকভাবে ঘটে এবং পুলিশ উপস্থিত থাকলেও দুর্বৃত্তরা মুহূর্তের মধ্যে পালিয়ে যায়। তবে হামলাকারীদের পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক পরিচিতি থাকা সত্ত্বেও মিন্টুর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর মামলা থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে তদন্ত চলছে।

কালিগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ: ভার্সিটি পড়ুয়া ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম করলো ২ বড় ভাই

হাফিজুর রহমান কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:১৮ পিএম
কালিগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ: ভার্সিটি পড়ুয়া ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম করলো ২ বড় ভাই

জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় আপন দুই বড় ভাইয়ের হাতে নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন এক ভার্সিটি পড়ুয়া ছোট ভাই। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে উপজেলার পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত তরুণের নাম মনিরুল ইসলাম, যিনি গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং মৃত আলহাজ্ব আব্দুল আজিজ গাজীর পুত্র।

আহত মনিরুল ইসলাম ও তার ভাই জাকিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বাবার মৃত্যুর পর থেকে মনিরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। এই সুযোগে তার বড় ভাই রফিকুল ইসলাম এবং মেজ ভাই শফিকুল ইসলাম (কালিগঞ্জ আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা) জোরপূর্বক তার জমি দখল করে ভোগ-দখল করছিলেন।

গতকাল শনিবার সকালে নিজের প্রাপ্য জমি চাইতে গেলে বড় দুই ভাই ধারালো দা দিয়ে মনিরুলকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। এই হামলায় মনিরুল ইসলাম রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম হন। হামলার পর অভিযুক্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে অভিযুক্ত বড় ভাই রফিকুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেজ ভাই শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্কুলের শিক্ষক নিয়োগে অর্ধ লক্ষ টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে তাকে বহিষ্কারের দাবিতে ছাত্র-অভিভাবকরা দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে সড়ক অবরোধসহ আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকরা ঘরে ফেরেন। এরপর থেকে শফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন।

বর্তমানে মনিরুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।