কলারোয়ায় মিশ্রিত জাতীয় এ সি আই কোম্পানীর ধানী গোল্ড ধান চাষ করে :হতাশ কৃষক


কলারোয়ায় এ, সি, আই কোম্পানীর ধানী গোল্ড নামক বীজ ধান কেজি প্রতি ৫০০ টাকা দামের ধানী গোল্ড ধানের বীজ ক্রয় করে বোরো মৌসুমে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। কলারোয়ার বোয়ালিয়া মাঠে বোরো মৌসুমের ধান ক্ষেতে ধানী গোল্ড ধানের বীজে মিশ্রিত জাতীয় ধান থাকায় আশানুরূপ ফলন পাচ্ছেন না কৃষকেরা। নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হাঁস মিন্টু সাংবাদিকদের বলেন – আমাদের বোয়ালিয়া মাঠে প্রায় কৃষকের ক্ষেতে এসি আই কোম্পানির ধানী গোল্ড ধানের চারা রোপন করেছে। তার মধ্যে আমার পাঁচ বিঘায় ধান রয়েছে। ধানী গোল্ড ধানের সাথে মিশ্রিত জাতীয় ধান থাকায় ধানের গোছাতে গোছাতে ৪০% অগ্রীম ধানের শীষ এসেছে।
মুল ধানের শীষ আসতে আসতে মিশ্রিত এই ধান আগাম পেকে নষ্ট হয়ে যাবে। যেখানে বিঘা প্রতি বিশ মন ধানের জায়গায় ১২/১৩ মন ধান পাবো। বিঘা প্রতি ৫/৬ মন ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষি সমৃদ্ধি দেশে আমাদের মতো কৃষকেরা ধানে লস /মার খাচ্ছি তাহলে এই ঘাটতি কেমন করে পোষাবো।
তিনি আরও বলেন ঘরোয়া বীজ ধানে এতোটা পরিমান মিশ্রিত থাকেনা। আমি এসিআই কোম্পানির জেলা ম্যানেজারের সাথে কথা বললে তিনি বলেছেন আমাদের ধানে ২০% মিশ্রিত থাকবে। ভাইরাল হাঁস মিন্টু এসিআই কোম্পানির জেলা ম্যানেজারের প্রনোত্তরের মন্তব্য করে বলেছেন যে কোম্পানি নিজেই বলছেন ২০% মিশ্রিত তাহলে সরকার কেনো এই ধান বিক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছেন। এ ছাড়া আরো একজন কৃষক ইয়ার আলী জানান এই ধান চাষ করে গত বছর আমি নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি একটি গরু বিক্রয় করে এখনো দিনা পরিশোধ করতে পারিনি।
এ,সি আই কোম্পানীর এম ও ইব্রাহীম হোসেন বলেন কোম্পানী দিয়েছে আমরা বাজারজাত করছি,কিন্তুু এমন কোন অভিযোগ পায়নি।
এ বিষয় কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ এনামুল ইসলাম বলেন এ বিষয়ে কোন কৃষক আমা কে অভিযোগ দেয় নাই এখন বিষয়টি জানলাম তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তিনি আরো বলেন যদি সত্যতা পায় তাহলে ওই কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কৃষকের।