বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া

আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়ায় দাঁড়িপাল্লার বিজয়ের ডাক

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ৫:৫০ পিএম | 49 বার পড়া হয়েছে
আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়ায় দাঁড়িপাল্লার বিজয়ের ডাক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দুপচাঁচিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে এক বিশাল গণসমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ দেশের চলমান সংকট ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইসলামী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীককে বিজয়ী করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দুপচাঁচিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা ওমর আলী। সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা সেক্রেটারি কে এম হেলালুল ইসলাম ও সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।

গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা জামায়াতের আমীর ও সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হক সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মিজানুর রহমান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও মাওলানা হাফেজ নুর খন্দকার।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-৩ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী নূর মোহাম্মদ আবু তাহের, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল গনি মন্ডল, সাবেক থানা আমীর মোঃ মনসুর আলী, উপজেলা নায়েবে আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দুপচাঁচিয়া উপজেলা দক্ষিণ শাখার সভাপতি আবু সাঈদ এবং জুলাই যোদ্ধা হাবিবুল বাশার।

বক্তারা বলেন, “দেশ আজ অন্ধকারে নিমজ্জিত, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বিচারহীনতা ও দুঃশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট সাধারণ মানুষ। এই অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব ইসলামী নেতৃত্বের মাধ্যমে।”
তারা জনগণকে ইসলামী মূল্যবোধ, ইনসাফ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “দাঁড়িপাল্লা” প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।

গণমিছিলটি উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একটি সংক্ষিপ্ত পথসভায় পরিণত হয়, যেখানে বিপুল সংখ্যক সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।

সতর্ক করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

ভুরুঙ্গামারী ইউএনও’র পরিচয়ে প্রতারণা

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৩ পিএম
ভুরুঙ্গামারী ইউএনও’র পরিচয়ে প্রতারণা

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বা তাঁর স্ত্রীর পরিচয়ে ফোন করে টাকা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন ইউএনও।

বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে ইউএনও তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে লিখেন, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ইউএনও অথবা ইউএনও’র সহধর্মিণীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন নম্বর থেকে কল করে অর্থ চাওয়া হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ প্রতারণা। ইউএনও বা তাঁর স্ত্রী কখনোই কারো কাছে টাকা চাইবেন না। কেউ এ ধরনের ফোন পেলে কোনো অবস্থাতেই কাউকে টাকা দেবেন না। সবাইকে এই বিষয়ে সচেতন থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে কেউ ব্যক্তিগতভাবে অর্থ দাবি করলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন বা থানাকে অবহিত করতে হবে। এই ধরনের প্রতারণা রোধে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

রুবিনা শেখ

সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দাবি

রুবিনা শেখ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩০ পিএম
সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দাবি

৭ কর্মদিবসের মধ্যে( BUAMC) কাউন্সিল গঠনের স্টেকহোল্ডারদের সাথে পর্যালোচনা সভা করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে ( BUAMC) কাউন্সিলের ব্যাপারে স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মিটিং এর তারিখ দেওয়ার লক্ষ্যে সকাল ১০ ঘটিকায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আল্টিমেটাম ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।

স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দাবিতে সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষার্থীরা টানা ৩৮ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই ন্যায্য দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন দেশের সকল ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী সংগঠনসমূহ। আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করায় মিরপুর-১৩ নম্বরে অবস্থিত সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসটিতে গত ৩৮ দিন ধরে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার ৭ আগস্ট, রাজধানীর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী—সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ, রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিক্যাল কলেজ, লক্ষ্মীপুর, এবং হামদর্দ ইউনানি মেডিক্যাল কলেজ, বগুড়া।

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আলাদা কাউন্সিল ছাড়া এ চিকিৎসা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। বারবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অথচ ১৯৯৬ সালের নীতিমালায় স্পষ্টভাবে ইগউঈ-এর আদলে একটি পৃথক কাউন্সিল গঠনের কথা বলা হয়েছিল।

গত ৩১ জুলাই, স্বাস্থ্য সচিব স্যারের সভাপতিত্বে কাউন্সিল নিয়ে মিটিংটা সম্পূর্ণ হয়, বাকি প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে এই সিস্টেমকে যেন অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থা থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়, তার স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার দাবিতে আজ সকল শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা হয়।

এইসময় শেষ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, “১৯৯৬ সালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নীতিমালায় বলা হয়, অস্থায়ীভাবে রেজিস্ট্রেশন প্রদানের পাশাপাশি একটি স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠন করা হবে। কিন্তু ২৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে চিকিৎসকদের আইনি জটিলতা, উচ্চশিক্ষায় বাধা, নিয়োগ-সংক্রান্ত সমস্যা ও পেশাগত নিরাপত্তার ঘাটতির মতো গুরুতর সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।”

এদিকে, সরকারিভাবে ৩৬ তম ব্যাচে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হলেও আন্দোলনের কারণে ১৩ জুলাই পর্যন্ত কেউ ভর্তি হতে পারেনি। উল্লেখ্য, প্রতি বছর ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক বিভাগে যথাক্রমে ২৫ জন করে মোট ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। কিন্তু চলমান অচলাবস্থার কারণে এই বছর ভর্তি কার্যক্রম প্রায় ব্যর্থ হতে চলেছে। শিক্ষার মৌলিক অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।

গত ১৩ জুলাই শেষ দিন হলেও আন্দোলনের প্রেক্ষিতে হয়তো এবারও কেউ ভর্তি হতে পারবে না।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠন না হওয়া পর্যন্ত তারা কাউকে ভর্তির সুযোগ দিতে প্রস্তুত নন। তাদের দাবি—বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চিকিৎসক-শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য এই কাউন্সিল জরুরি। তাই প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।

পরিশেষে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট করে জানান-যদি নতুন ভর্তি সময়সূচি ঘোষণা করা হয়, তবুও তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান করে তা প্রতিহত করার কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।

তৌহিদুর রহমান শেরপুর

ঝিনাইগাতীতে পুকুরে উল্টে গেল বাস: আহত ২০, নিখোঁজ ১

তৌহিদুর রহমান শেরপুর প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৪:২৬ পিএম
ঝিনাইগাতীতে পুকুরে উল্টে গেল বাস: আহত ২০, নিখোঁজ ১

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে উল্টে পড়ে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন এবং এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার খৈলকুড়া এলাকায় শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার সময় ‘আকাশ বিকাশ’ পরিবহনের ওই বাসটিতে প্রায় ৩০-৩৫ জন যাত্রী ছিল। চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি রাস্তার পাশে একটি বড় পুকুরে পড়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন মাস্টার আব্দুল মান্নান। তারা উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করেন।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

error: Content is protected !!