শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২
শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

নারায়ণগঞ্জ ১ (রূপগঞ্জ) আসনে দিপু ভূঁইয়া বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ক্লিন ইমেজের প্রার্থী রোকন মিয়া

রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৬:১২ পিএম | 41 বার পড়া হয়েছে
নারায়ণগঞ্জ ১ (রূপগঞ্জ) আসনে দিপু ভূঁইয়া বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ক্লিন ইমেজের প্রার্থী রোকন মিয়া

কাঞ্চন পৌর যুবদলের সফল যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক সফল কাউন্সিলর মোঃ রোকন মিয়া বলেন আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ ১( রূপগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ক্লিন ইমেজের প্রার্থী বাংলাদেশ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এলাকার মানুষের কাছেও তিনি একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে সু-পরিচিত।

দলীয় সূত্রে জানা যায়,আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্লিন ইমেজধারী প্রার্থীদের প্রাধান্য দেবে বিএনপি। অপকর্মে জড়িত বা বিতর্কিত কাউকে মনোনয়ন দেবে না দলটি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এটা নিয়ে আসনভিত্তিক কাজ শুরু করেছেন। অতীতে আন্দোলন-সংগ্রামে সম্পৃক্ত ত্যাগী ও ক্লিন ইমেজধারীদের দিয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার খসড়া তৈরি করা হবে।
তবে বিএনপি এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে ‘ গ্রিন সিগন্যাল না দিলেও দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বসে নেই।আছেন গণসংযোগের মধ্যে। দলের নির্দেশনা মেনে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের এসব কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে দলের হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ ১ রূপগঞ্জ আসনে ক্লিন ইমেজ প্রার্থী হিসেবে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত আদর্শে বিশ্বাসী রাজ পথ থেকে বেডে ওঠা মেধাবী নেতৃত্ব,বিগত ১৭ বছর বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত থেকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী, সরাসরি সহযোগিতার মাধ্যমে দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া রাজপথের লড়াকু সৈনিক মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু।

রূপগঞ্জ ১ আসনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এবং পাড়া-মহল্লায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে ও তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়ে গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভাসহ বিভিন্ন কৌশলে আগাম প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন দিপু ভূইয়া। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন সার্বক্ষণিক।দিপু দলের সকল কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কর্মসূচী পালনে অংশ গ্রহণ করেন।তার সুযোগ্য নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের কঠোর শাসনামলেও রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপিকে সু-সংগঠিত ও শক্তিশালী করে রেখেছিলেন।

রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নিবেদিত এক নেতা জানান ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে সারাদেশের ন্যায় রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা নির্যাতন ও নিপীড়নমূলক মামলা হয়েছে। এসময় নেতা-কর্মীদের মামলার সকল প্রকার তদারকি সহ নেতাকর্মীরা জেল হাজতে থাকাকালীন সময়ে তাদের পরিবারের সার্বিক দেখভাল করেছেন দিপু ভূইয়া। আমরা এমন নেতাই চাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে। তাকে যদি দল দলীয় মনোনয়ন দেয় তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।
বিএনপির একাধিক নেতাকর্মিদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ ১ রূপগঞ্জ আসনটিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসাবে ক্লিন ইমেজের স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ দিপু ভূইয়া কেই দেখতে চান দলের নেতাকর্মিরা। তিনি তার কার্যক্রম দিয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় ও একজন নির্ভরযোগ্য প্রার্থী হিসেবে আস্থা অর্জন করেছেন। এছাড়াও নির্বাচনী আসনের বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়নমূলক সামাজিক কর্মকাণ্ড, অসহায় দুঃস্থদের সহযোগিতা, জেলা ও উপজেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন। তাকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হলে এ আসনে কেউ তার বিজয় ঠেকাতে পারবে না।

স্হানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বলেন,নারায়ণগঞ্জ ১ রূপগঞ্জ আসনে বিএনপি দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সকল সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি। যার কোন দুর্নীতি , চাঁদাবাজি , টেন্ডারবাজি ,ভূমি দখল, অবৈধ পুকুর খননের কোন প্রকারের অভিযোগ নেই। এমনকি তার নাম ভাঙ্গিয়ে কোন অন্যায় কাজ কেউ করেনি, তিনি একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। বিএনপির আস্থা ও ভরসার প্রতীক তিনি।

তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ ১ আসনে যদি দল (বিএনপি) আমাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে তাহলে সকলকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে এই আসনে বিএনপির বিজয় সু-নিশ্চিত করব এবং দেশ গড়তে তারুণ্যের অহংকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ্।

দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

মো: মেহেদী হাসান ফুয়াদ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম
দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

২ আগষ্ট শনিবার বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর নব নির্বাচিত কার্য্যকরী কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নব- নির্বাচিত সভাপতি- মোঃ আব্দুস সাত্তার, সহ সভাপতি- মোঃ শরিফুল ইসলাম সেলি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক, আবুল কালাম (১), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এনামুল হক, অর্থ সম্পাদক- আবুস সালাম ও কার্র্য্যনির্বাহী পরিষোধের সদস্য মোঃ কমর আলী শেখ ও মোঃ বিশালকে ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুর্যায়ী শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশান দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবিবর রহমান। উল্লেখ্য, বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২ জুলাই ‘২০২৫। নির্বাচনে উপরোক্ত ৮জন প্রার্থী বিজয়ী হন।

দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

বগুড়া থেকে মোঃ হাফিজুর রহমান প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ জানিয়েছেন —
আমাদের দেশ চলে মানুষের ঘাম আর পরিশ্রমের করের টাকায়। প্রতিটি রাস্তা, স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি সেবা ও অবকাঠামো জনগণের টাকায় গড়ে উঠেছে।
কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট শাসন আর আজকের কর্তৃত্ববাদী মনোভাব দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকারকে অবমূল্যায়ন করেছে — মানুষের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হয়েছে, গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতি, লুটপাট আর দুর্নীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিশ্বাস করে—গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট নয়, মানুষের কথা শোনা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
আমাদের আপোষহীন নেত্রী, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় আজও আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বিএনপি জনগণের অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সবসময়ই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি সরকারের সময় দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পথে ছিল, গণতন্ত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার সুরক্ষিত ছিল — যা আজ হরণ হয়েছে।
আগামী নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাই—আপনাদের শক্তি ও অধিকারকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিজয়ের প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিন, আপনার আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করুন।
বিএনপি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পক্ষে। দেশের প্রতিটি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করাই আমাদের অঙ্গীকার। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি।
আমরা বিশ্বাস করি—ধানের শীষে জনগণের এই আস্থা গণতন্ত্র, উন্নয়ন আর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে উঠবে।

মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

Masud Parves প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম
মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

মধ্যবয়সী নারীকে বাইরে থেকে দেখে কেউ বুঝতে পারে না, তার ভেতর কতটা জীবন বয়ে চলে। তার মুখে হয়তো একরাশ শান্তি, চোখে একটুখানি ক্লান্তি—কিন্তু এই চেহারার ভেতরে আছে এক গভীর নদী, যেটা ধীরে ধীরে বয়ে যায়। এই নদী যেন নীরব, তবে থেমে নেই। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা, ভালোবাসা, হারানো-বিলুপ্ত কিছু স্মৃতি—সব মিলে তার কামনা তৈরি হয় এক নতুন রূপে, এক অনন্য ভাষায়।
এই বয়সে সে আর কারো মন জেতার জন্য হাসে না। সে নিজেকে লুকিয়ে রাখে না, সাজিয়ে তোলে না কেবল কারো নজর কাড়ার জন্য। বরং সে নিজেকে ভালোবাসে গভীরভাবে। জানে—তার শরীর ঠিক যেমন, তেমনটাই সুন্দর। তার যৌনতা এখন আর দেহের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে বোঝাপড়ার, সম্মান আর সংবেদনের জায়গা।
তরুণ বয়সের কামনা হঠাৎ জ্বলে ওঠে, হঠাৎ নিভেও যায়। সেখানে থাকে আবেগের ঝড়, না বুঝে ফেলার এক উন্মাদনা। কিন্তু মধ্যবয়সী নারীর কামনা অনেক বেশি ধৈর্যের, অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের। সে জানে, কীভাবে তার শরীরের প্রতিটি প্রতিক্রিয়া বোঝে নিতে হয়। সে জানে, কখন আগলে রাখতে হয় নিজেকে, আর কখন খুলে দিতে হয় সমস্ত দরজা।
এই নারী কাউকে ছুঁতে চায়—কিন্তু ছোঁয়াটার আগে সে বোঝে নেয় সেই মানুষটার ভেতরটা। সে শুধু শরীর খোঁজে না—সে এমন একজন সঙ্গী খোঁজে, যার স্পর্শে থাকে শ্রদ্ধা, যার চোখে থাকে নিরাপত্তা। সে জানে কার পাশে ঘুমালে শান্তি নামে, আর কার পাশে থাকলে ভালোবাসা শুকিয়ে যায়।
তার কামনা আর শিশুর মতো নিষ্পাপ নয়। বরং তাতে এক ধরনের প্রাপ্তবয়স্ক মমতা থাকে, থাকে বোঝাপড়া। সে জানে কখন চাওয়া, কখন না বলা। সে জানে, ‘না’ বলাটাও নিজের প্রতি এক রকম ভালোবাসা। তার ভালোবাসা এখন আর পাগলামি নয়—তা গভীর, সযত্নে বাছাই করা, বোধসম্পন্ন।
সমাজ হয়তো ভাবে এই বয়সের নারী নিঃসাড়, নিঃস্পৃহ। কিন্তু তারা জানে না, তার ভেতরটায় প্রতিদিন ঢেউ খেলে যায়। তার চোখে জমে থাকা পুরনো গল্পের আলো ঝিলমিল করে, তার হাসিতে মিশে থাকে না বলা ভালোবাসার রেশ। এই নারী চাইলেই কারো জীবনে নীরবে ঢুকে যেতে পারে, আবার কাউকে বিদায়ও জানাতে পারে নিঃশব্দে—এক বিন্দু তিক্ততা ছাড়াই।
তার যৌনতা আজ আর কারো কাছ থেকে অনুমতি চায় না। সে নিজের শরীর, নিজের কামনা, নিজের মনের দায়িত্ব নিজেই নেয়। সে জানে—কে তার জলের গভীরে স্নান করার যোগ্য, আর কে কেবল পাথর ছুড়ে জল ঘোলা করতে চায়।
মধ্যবয়স মানে ক্ষয় নয়, সেটি এক নবজন্ম। একজন নারী এই বয়সে এসে হয়তো সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়—যেন সন্ধ্যার আলোয় জ্বলে ওঠা দীপ, যা সারা দিনের ক্লান্তিকে শান্ত করে। তার কামনা আগুন নয়—তা আলো। তা জ্বলিয়ে দেয় না, তা গায়ে মেখে থাকে।
এক নদী, যে জানে কখন কার দিকে পথ খুলে দিতে হয়, আর কখন নিজেকে আগলে রাখতে হয়।
যে জানে, ভালোবাসা মানে কারো হাত ধরা নয়—বরং কারো হাতে নিজের হাত রাখার মতো আত্মবিশ্বাস অর্জন করা।

error: Content is protected !!