সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

নারায়ণগঞ্জ ১ রূপগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী “ক্লিন ইমেজে”র প্রার্থী দুলাল হোসেন

রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ৪:৫২ পিএম | 80 বার পড়া হয়েছে
নারায়ণগঞ্জ ১ রূপগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী “ক্লিন ইমেজে”র প্রার্থী দুলাল হোসেন

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ ১ রূপগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ক্লিন ইমেজের প্রার্থী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ দুলাল হোসেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এলাকার মানুষের কাছেও তিনি একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে সু-পরিচিত।
দলীয় সূত্রে জানা যায়,আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ক্লিন ইমেজ’ধারী প্রার্থীদের প্রাধান্য দেবে বিএনপি। অপকর্মে জড়িত বা বিতর্কিত কাউকে মনোনয়ন দেবে না দলটি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এটা নিয়ে আসনভিত্তিক কাজ শুরু করেছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত, বিশেষ করে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর-পরবর্তী আন্দোলন-সংগ্রামে সম্পৃক্ত ত্যাগী ও ক্লিন ইমেজধারীদের দিয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার খসড়া তৈরি করা হবে। আগামী-আগস্টের মধ্যে এই খসড়া তালিকা তৈরির কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।
তবে বিএনপি এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ না দিলেও দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বসে নেই। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই নির্বাচনী এলাকায় যোগাযোগ বাড়িয়েছেন তারা,আছেন গণসংযোগের মধ্যে। দলের নির্দেশনা মেনে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের এসব কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে দলের হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ ১ রূপগঞ্জ আসনে ক্লিন ইমেজ প্রার্থী হিসেবে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত আদর্শে বিশ্বাসী রাজ পথ থেকে বেডে ওঠা মেধাবী নেতৃত্ব, বিগত ১৭ বছর বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত থেকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী, সরাসরি সহযোগিতার মাধ্যমে দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া রাজপথের লড়াকু সৈনিক মোঃ দুলাল হোসেন।
রূপগঞ্জ ১ আসনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এবং পাড়া-মহল্লায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে ও তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়ে গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভাসহ বিভিন্ন কৌশলে আগাম প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন মোঃ দুলাল হোসেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন সার্বক্ষণিক।দুলাল হোসেন দলের সকল কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কর্মসূচী পালনে অংশ গ্রহণ করেন। দলের ভেতর একাধিক গ্রুপিং থাকলেও তিনি তা উপেক্ষা করে দলীয় কর্মসূচি গুলোতে অংশগ্রহণ করেন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে আ.লীগের কঠোর শাসনামলেও রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’কে সু-সংগঠিত ও শক্তিশালী করে রেখেছিলেন।

রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নিবেদিত এক নেতা জানান , ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে সারাদেশের ন্যায় রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা নির্যাতন ও নিপীড়নমূলক মামলা হয়েছে। এসময় নেতা-কর্মীদের মামলার সকল প্রকার তদারকি সহ নেতাকর্মীরা জেল হাজতে থাকাকালীন সময়ে তাদের পরিবারের সার্বিক দেখভাল করেছেন দুলাল হোসেন। আমরা এমন নেতাই চাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে। তাকে যদি দল দলীয় মনোনয়ন দেয় তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।
বিএনপির একাধিক নেতাকর্মিদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ ১ রূপগঞ্জ আসনটিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসাবে ক্লিন ইমেজের স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ দুলাল হোসেন কেই দেখতে চান দলের নেতাকর্মিরা। তিনি তার কার্যক্রম দিয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় ও একজন নির্ভরযোগ্য প্রার্থী হিসেবে আস্থা অর্জন করেছেন। এছাড়াও নির্বাচনী আসনের বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়নমূলক সামাজিক কর্মকাণ্ড, অসহায় দুঃস্থদের সহযোগিতা, জেলা ও উপজেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন। তাকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হলে এ আসনে কেউ তার বিজয় ঠেকাতে পারবে না।

স্হানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বলেন,নারায়ণগঞ্জ ১ রূপগঞ্জ আসনে বিএনপি দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সকল সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে দুলাল হোসেন ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি। যার কোন দুর্নীতি , চাঁদাবাজি , টেন্ডারবাজি ,ভূমি দখল, অবৈধ পুকুর খননের কোন প্রকারের অভিযোগ নেই। এমনকি তার নাম ভাঙ্গিয়ে কোন অন্যায় কাজ কেউ করেনি, তিনি একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। বিএনপির আস্থা ও ভরসার প্রতীক তিনি।

তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ ১ আসনে যদি দল (বিএনপি) আমাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে তাহলে সকলকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে এই আসনে বিএনপির বিজয় সু-নিশ্চিত করব এবং দেশ গড়তে তারুণ্যের অহংকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ্।

নওগাঁ জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
নওগাঁ জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

নওগাঁ জেলা শাখা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।  এবারের নির্বাচন শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক পদে তিনটিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার (৩ আগষ্ট) রাতে তফসিল ঘোষণা করেন নওগাঁ জেলা বিএনপির নির্বাচন প্রধান সমন্বয়ক নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল করিম বাদশা।

নির্বাচনী তফসিলে জানানো হয়, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ৪ আগষ্ট, মনোনয়ন ফরম বিক্রি হবে ৪ আগষ্ট সকাল ১১টা থেকে দুপুর  ১টা।

জমা নেওয়া হবে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৩টা। মনোনয়ন ফরম যাচাই বাছাই হবে ৪ আগষ্ট বিকাল ৩ টা থেকে ৪টায়।

মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৪ আগষ্ট বিকেল ৪টা থেকে বিকাল ৫টা। প্রতীক বরাদ্দ সন্ধ্যা ৬টায়। ভোট গ্রহণের তারিখ ১১ আগষ্ট বেলা ২টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

তফসিলে আরও উল্লেখ করা হয়, একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী একটি পদে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন।

বিষয়টি ঢাকাপ্রকাশকে নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এসএম রেজাউল ইসলাম রেজু। তিনি জানান, কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছেন। তফসিল অনুযায়ী সবকিছু হবে।

প্রায় ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ কাউন্সিল। তাই কাউন্সিলকে ঘিরে রয়েছে ব্যাপক উদ্দীপনা। এরমধ্যে কাউন্সিলকে সফল করতে গঠন করা হয়েছে উপ-কমিটি। কাউন্সিলে ১৪১৪ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন ও বিভিন্ন ইউনিট এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১০০০ ডেলিগেট উপস্থিত থাকবেন।

কাউন্সিলে আমন্ত্রণ জানানো হবে- বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অন্তত ১০০ জন অতিথিকে।

এর আগে, ২০১০ সালে শহরের নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠে  দলের কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন সামসুজ্জোহা খান, সাধারণ সম্পাদক হন জাহিদুল ইসলাম ধলু।

সর্বশেষ ২০২২ সালে আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়। সেখানে আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু ও বায়েজিদ হোসেন পলাশকে সদস্য সচিব হিসেবে ৩১ সদস্য অনুমদিত হয় ।

এবারের কাউন্সিলকে ঘিরে লাখো নেতাকর্মীর সমাগম হবে বলে ধারণা আয়োজকদের।

গাইবান্ধায় ‘নৈতিকতার দেয়াল’ ও ‘ভালো কাজের খাতা’ উদ্বোধন

মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১০:১৯ পিএম
গাইবান্ধায় ‘নৈতিকতার দেয়াল’ ও ‘ভালো কাজের খাতা’ উদ্বোধন

গাইবান্ধা জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা উন্নয়নের মাধ্যমে আগামী দিনের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, গাইবান্ধার উদ্যোগে ‘নীতিবান শিশু, সুখী বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে আজ শনিবার (৩ আগস্ট ২০২৫) গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ‘নৈতিকতার দেয়াল’ স্থাপন এবং ‘ভালো কাজের খাতা’ বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা জেলার মান্যবর জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিশুকালেই নৈতিক শিক্ষা দেওয়া হলে ভবিষ্যতে তারা সৎ, মানবিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। ‘নৈতিকতার দেয়াল’-এ শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভালো কাজের অঙ্গীকার ও চর্চার সুযোগ পাবে, আর ‘ভালো কাজের খাতা’ হবে আত্মমূল্যায়নের একটি কার্যকরী হাতিয়ার।

এই কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ, সম্মান, দায়িত্ববোধ ও মানবিক গুণাবলির চর্চা উৎসাহিত করা হবে। জেলা প্রশাসনের এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে

নওগাঁয় ৩৬০ টাকার কর ৪২ হাজার, বর্ধিত কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ 

উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১০:১০ পিএম
নওগাঁয় ৩৬০ টাকার কর ৪২ হাজার, বর্ধিত কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ 

নওগাঁ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল বাশির। এক বছর আগেও তার বাসাবাড়ির কর ছিল ৯০০ টাকা। এখন পৌরসভা থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার টাকা।

পানির সুবিধার্থে বাসায় বসিয়েছেন সাবমারসিবল পানির পাম্প। তাতে কর দিতে হবে ১৫০০ টাকা। অথচ বাড়েনি কোন নাগরিক সুবিধা, হয়নি তেমন কোন রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন। তাই জানালেন তীব্র প্রতিবাদ।

একইভাবে পৌরসভার বাসিন্দা আকতারুন আগে কর দিতেন ৩৬০ টাকা। হঠাৎ করে ৪২ হাজার ১ টাকা কর নির্ধারণ করে নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাকে । এমন নোটিশ পেয়ে তার চোখ কপালে। মাথার উপর যেন আসমান ভেঙে পড়েছে। আজ কর দিতে এসে তিনিও ক্ষোভ নিয়ে প্রতিবাদ জানালেন।

তাদের মতো একই প্রতিবাদে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন ৩ ওয়ার্ডের রাশেদুজ্জামান ও জলিলুর রহমানসহ আরও অনেকে।

নওগাঁ প্রথম শ্রেনির পৌরসভা হিসেবে নাগরিক সেবার মানোন্নয়ন না করে অযৌতিক ভাবে কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার ৩ আগষ্ট বেলা সাড়ে ১১ টায় শহরের মুক্তির মোড় পৌরভবনের সামনে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচী পালন করা হয়।

মানববন্ধন চলাকালে সেখানে উপস্থিত হয়ে তারা ক্ষোভের সহিত বলেন, আগে যে কর নির্ধারণ করা ছিল, সেগুলো আমরা সঠিক সময়ে পরিশোধ করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে এমন অযৌক্তিক কর বৃদ্ধি করা হয়েছে, যেটা আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব না। যারা দিনমজুর হিসেবে কাজ করে দিন পার করছি, তাদের পক্ষে এমন অযৌক্তিক কর নির্ধারণ মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ। বৈষম্যহীন যে বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন আমরা দেখছি, জানিনা সেই স্বপ্ন কেমন ভাবে পুরণ হবে বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেন। তাই দ্রুত এমন কর নির্ধারণ বাতিল করে সামঞ্জস্য কর নির্ধারণের দাবি জানান তারা।

এসময় নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এস.এম আজাদ হোসেন মুরাদ এর সভাপতিত্বে শিক্ষক জাহিদ রব্বানি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এর সমন্বয়ক জয়নাল আবেদিন মুকুলসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। এসময় এক লাফে অযৌক্তিকভাবে বাড়ানো কর দিতে কষ্ট হবে এমন পৌরবাসীন্দাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন- ১৯৬৩ সালে স্থাপিত নওগাঁ পৌরসভা ১৯৮০ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এবং ১৯৮৯ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। প্রায় ৩৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের পৌরসভাটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় দুই লাখ। শহরের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে প্রধান সড়কের সংখ্যা ২০টি। এরমধ্যে পাকা রাস্তা হয়েছে ১৫০ কিলোমিটার আধা পাকা রয়েছে ৫০ কিলোমিটার এবং কাঁচা রাস্তা ১০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য ও খানাখন্দে ভরা।

তিন দশকেরও বেশি সময় আগে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হলেও বাস্তবে নওগাঁ শহরের চিত্র এখনও যেন মফস্বলেরও নিচে। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, অচল ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও অপ্রতুল নাগরিক সেবার কারণে দুই লাখ জনগণের এই শহরে প্রতিদিনের জীবন এক আতঙ্কের নাম। নাগরিক সেবা বঞ্চিত হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, ৩০ মিনিট বৃষ্টি হলে হাঁটু পানি জমে থাকে। সেই পানি নামতে লাগে ৫-৭ দিন। ভাঙা রাস্তায় চলাচলে জনদূর্ভোগ, সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকা ও সন্ধ্যার পর লাইটিং না থাকায় পৌরবাসীকে দীর্ঘদিন থেকে দূর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে।

নাগরিক সেবা বঞ্চিত হওয়ার পরও উল্টো পৌরবাসীর ওপর করের বোঝা চাপানো হচ্ছে। বর্ধিত কর প্রত্যাহার করে পূর্বের নিয়মে কর আদায়ের দাবী জানানো হয়। অন্যথায় আগামী ৭দিনের মধ্যে কর প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর কর্মসূচী পালন করা হবে বলে জানান বক্তারা।

জানতে চাইলে পৌরসভার প্রশাসক টি.এম.এ. মমিন মুঠোফোনে বলেন, অযৌক্তিক কর নির্ধারণ কথাটি ঠিক না। এটা অতিরিক্ত হতে পারে। আর এটা আমার সিদ্ধান্ত না, সরকারের সিদ্ধান্ত। তবে আমাদের কর নির্ধারণ মূল্যায়ন কমিটি আছে, সেখানে আবেদন করলে তারা পুনবিবেচনা করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, অল্প দিনের মধ্যে ৩০ টি রাস্তার কাজ শুরু হবে। এছাড়া অন্যান্য রাস্তাগুলোরও কাজ করা হবে। আমি আশা করি আগামী তিন বছরের মধ্যে একটি রাস্তাও খারাপ থাকবে না। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রতি সপ্তাহে পরিস্কার করার। সর্বোপরি এইগুলো অনেক পুরাতন সমস্যা, আমাকে সকলে মিলে সহযোগিতা করলে সমাধানের চেষ্টা করবো।

উল্লেখ, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স ও পানির বিল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নওগাঁ পৌরসভার কর্তৃপক্ষ।

error: Content is protected !!