মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

তারেক রহমান মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান এর কবর জেয়ারত করেছিলেন

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৩:৫০ পিএম | 82 বার পড়া হয়েছে
তারেক রহমান মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান এর কবর জেয়ারত করেছিলেন

তারেক রহমান যেদিন মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান এর কবর জেয়ারত করেছিলেন-

২০০৪ সালের জানুয়ারী মাস। ২৭ তারিখ। গভীর রাত।

টুঙ্গিপাড়ায় বিএনপির প্রতিনিধি সম্মেলন শেষে ক্লান্ত তারেক রহমান সার্কিট হাউজে গেলেন বিশ্রাম নেওয়ার জন্যে। একটু পরেই তাঁর ঢাকা ফেরার কথা। ফেরার প্রস্তুতি চলছে। তারেক রহমান গাড়িতে উঠে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। আচমকা সবাইকে অবাক করে দিয়ে গাড়িবহর উলটো দিকে চলা শুরু করলো। তারেক রহমানের সঙ্গে থাকা বিএনপির ততকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ গাড়িবহরের সাথে থাকা অন্যান্য নেতারা হকচকিয়ে গেলেন। তারা কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেননা। কোথায় যাচ্ছে কেউ জানেনা। প্রশ্নের জবাবে তারেক শুধু মুচকি হেসে বলেছিলেন, ‘আমরা এক জায়গায় যাবো’। ব্যাস এতটকুই। গভীর রাতে গাড়ি গিয়ে থামলো শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে। এতক্ষণের সাসপেন্সের অবসান হল। সবাইকে অবাক করে দিয়ে তারেক রহমান গাড়ি থেকে নেমে আসলেন। সমাধিস্থলের খাদেমকে ঢেকে তুললেন। সাথে থাকা নেতা কর্মীদের নিয়ে শেখ মুজিবর রহমানের কবর জিয়ারত করলেন তিনি।

বাংলাদেশের কদর্য আর কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যে কয়টা সুন্দর দৃশ্য আছে তার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরতম দৃশ্যটির জন্ম হলো তারেক রহমানের হাত ধরে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে ওই সময় এরকম প্রশংসনীয় একটি ঘটনা মিডিয়ায় সেইভাবে আসেনি। কারণ তখন ওই ঘটনাটি ছিলো টপ সিক্রেট। তারেক রহমান যখন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করতে যান তখন তাঁর সাথে এমনকি কোন মিডিয়াকর্মীও ছিলোনা। তারেক রহমান প্রচার চাননি, তিনি এমনকি এই ঘটনা নিয়ে কোন রাজনীতিও করতে চাননি।

এই হলেন জনাব তারেক রহমান।

“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

টঙ্গী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৪ পিএম
“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

২০১৫ সালে ইতালি পাঠানোর নামে বাংলাদেশ থেকে ৪২ জনের পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম শেখ নামের এক প্রতারক। প্রতারণার সেই অঙ্ক তখনই দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকায়। এরপর থেকেই ইব্রাহিম যেন হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারির ‘প্রতীক’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে হংকং পাড়ি জমান তিনি। হংকংয়ে পৌঁছেই সেখানে গড়ে তোলেন একাধিক প্রতারণার নেটওয়ার্ক। ইউরোপ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, নকল আইফোন ও সোনা বিক্রি, এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্য পাচার—সবই চলতে থাকে একই ছকের ভেতরে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, হংকং-এ অবস্থানকালে ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে করেছেন পরিচয় গোপন করে। তার প্রতিটি প্রতারণার পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত জালিয়াতি।

সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, হংকং থেকে বাংলাদেশে ফিরেও থেমে থাকেননি এই ‘ন্যাশনাল প্রতারক’। আনুমানিক ১২৩ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে লুকিয়ে রেখেছেন একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এমনকি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতারণা, মাদক, চোরাচালান—সবকিছুতে সম্পৃক্ত এই ইব্রাহিম এখন দেশের ভেতরেই অবস্থান করছেন ছদ্মবেশে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরেই তার অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো? প্রতারিত পরিবারগুলো চাইছেন দ্রুত এই চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।

কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো:স্বাধীন খান বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০১ পিএম
কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার কাহালুতে জমির ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কর্নিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। তাঁর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার।

কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

রুহুল আমিন, রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

কুড়িগ্রাম সদরের হরিম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বেতারাঘাতে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ ইং দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেনীর ক্লাসে হাসিনা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা বেতারাঘাত করেন। এ সময় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। এর পর বাড়িতে হাত ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় তার অভিভাবক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাকিব বলেন, হাসিনা আপা বড় বড় তিনটি প্রশ্ন লেখতে বলেন। আমি একটু পড়ে লেখতে চাইলেই বেত দিয়ে আমাকে খুব জোড়ে মারেন।এখন আমার হাতে অনেক ব্যাথা হচ্ছে। রাকিবের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে পড়া-লেখা শিখানোর জন্য স্কুলে দিয়েছি। শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে আসার জন্য নয়। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের বাহিরে ছিলাম। শুনেছি হাসিনা বেত দিয়ে মেরেছে এতেই রাকিব ব্যাথা পায়। হাসিনা বেগম বলেন, আমি তাকে পড়ার জন্য মারিনি,মেরেছি নির্দাশিকা লাঠি দিয়ে দুষ্টুমি করার জন্য। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ্ব বুলবুল হোসেন বলেন,আমি আমার অফিসের এক স্টাফ এর নিকট বিষয়টি শুনলাম। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে পাইনি। কাল ছুটি আছে অফিস খুললেই জেনে ব্যবস্তা নিবো।

error: Content is protected !!