রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

শেষ জেনারেশন

গাজী মনি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫, ৩:০৫ পিএম | 87 বার পড়া হয়েছে
শেষ জেনারেশন

আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা গরুর গাড়ি থেকে সুপার সনিক কনকর্ড জেট দেখেছি। পোস্টকার্ড, খাম, ইনল্যান্ড লেটার থেকে শুরু করে আজকের জি-মেইল, ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ পর্যন্তও করছি।
আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা টেলিগ্রাম এসেছে শুনলেই চৌদ্দগুষ্টির মুখ শুকিয়ে যেতে দেখেছি।
আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা পাটিতে বা পিঁড়িতে বসে ভাত খেয়েছি আর পিরিচে ঢেলে চা খেয়েছি সুরুৎ সুরুৎ শব্দে।
আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা
ছোটবেলায় বন্ধুদের সাথে কানামাছি, বাঘবন্দি, ডাঙ্গুলি, দাড়িয়াবাধ, গোল্লাছুট, মার্বেল, হামকে পুলিশকে খেলেছি, বউলার আঠা দিয়ে কাগজের ঘুড়ি বানিয়ে আকাশে উড়িয়েছি, নাড়া (খড়/বিচালি), জাম্বুরা ইত্যাদি দিয়ে ফুটবল বানিয়ে খেলেছি।
আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা হ্যারিকেন আর কুপি বাতির আলোতে পড়াশুনা করেছি, বেত থেকে শুরু করে পাখার ডাঁটির মার খেয়েছি, খাটের নিচে বা কাঁথার মধ্যে লুকিয়ে লুকিয়ে পড়েছি দস্যু বনহুর, কুয়াশা, মাসুদ রানা, স্বপন কুমারের সিরিজ।
আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা ফ্যান, এসি, হিটার, ফ্রিজ, গ্যাস, মাইক্রোওভেনের অস্থাবর সুখ ছাড়াই ছোটবেলা কাটিয়েছি।
আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা ঈগল, ইকোনো, রেডলিফ থেকে শুরু করে বমি করা সুলেখা কালি হাতে মেখে সেই হাত মাথায় মুছে ‘বাবরের যুদ্ধবৃত্তান্ত’ লিখেছি, বড়দের পকেটে বড় নিবের উইংসাং পেন দেখেছি আর নতুন বই-খাতার হাতে পেয়ে পাতা উল্টানোর আগে গন্ধ শুঁকেছি।
আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা বিনা টিফিনে স্কুলে গেছি, স্কুলে টিচারের হাতে বেতের বারি খেয়ে, বাড়ি এসে নালিশ করাতে সেকেন্ড রাউন্ড ফ্রি-স্টাইলে উত্তম মধ্যম সহ্য করেছি — দোষ তো আমাদের, নাহলে টিচার মারবেন কেন?
আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা বড়দের সন্মান করেছি এবং এখনো করে যাচ্ছি।
আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা জোৎস্না রাতে ছাদে ট্রানজিস্টরে বিবিসি, ভয়েস অফ আমেরিকার খবর, অনুরোধের আসর গানের ডালির শেষ সাক্ষী।
আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা টেলিভিশনে আলিফ লায়লা, ম্যাকগাইভার, টিপু সুলতান, মিস্টার বিন, টম এন্ড জেরি, রবিনহুড, সিন্দবাদ দেখার জন্য ছাদে উঠে অ্যান্টেনা ৩৬০° ঘুরিয়ে স্যিগনাল ধরার চেষ্টা করেছি। আমাদের ছিল বাঁশের আগায় অ্যান্টেনা, আর ছিল টিভি স্ক্রিনে পার্মানেন্ট ঝিরঝিরে ছবি, তাতে কোনো সমস্যাই হতো না, কারণ ওটা আমাদের জীবনের অঙ্গ হিসেবেই ধরা ছিল। গন্ডগোল যা পাকাতো তা হলো নিয়ম করে লোডশেডিং।
আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা আত্মীয়-স্বজন বাড়িতে আসার জন্য অপেক্ষা করেছি। ইচ্ছে করে একসাথে বৃষ্টিতে ভিজে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেছি, ঝিনুক দিয়ে কাটার বানিয়ে আম কেটে খেয়েছি, ম্যাচের বাক্স দিয়ে টেলিফোন বানিয়ে বন্ধুদের সাথে কথা বলেছি।

রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মোঃ আশিকুর সরকার (রাব্বি) প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৭ পিএম
রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ডিলার নিয়োগে বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ এবং পুনরায় তদন্ত পূর্বক শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় লটারির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে,অনিয়মের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পরা ব্যাক্তিদের সুকৌশলে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা না হয়েও অনেকেই এই নিয়োগপ্রাপ্ত হন।নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য অনেক ব্যক্তিকে সুকৌশলে বাদ দিয়ে নিয়ম বহি:ভূর্ত বাহিরের অনেক কে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।ডিলার নিয়োগে এহেন বৈষম্যরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় তদন্ত সাপেক্ষে লটারির আহবান জানান বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

রোববার দুপুরে ১২:০০ টা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের মেইন গেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন,আব্দুল মোত্তালেব,আজিজুল ইসলাম,ফখরুল ইসলাম, রাজু ইসলাম, আহসান, সহিদুল ইসলাম,রোকেয়া বেগম,দৌলত হোসেন,আব্দুল লতিফ,সেকেন্দার আলী লিমন,হান্নান মিয়া আব্দুল লতিফ বাবলুসহ আরও অনেকে।

হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

সিরাজুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৬ পিএম
হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মাঠের পাট কাটা। তবে খালবিলে ও মাঠে পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে সংকটে পড়েছেন চাষিরা। রাস্তার পাশে খাল ও পুকুরের পানি দিয়ে পাট জাগ দেওয়া শুরু হলেও আঁশের মান তেমন ভালো হচ্ছে না। এতেই বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

পাট চাষিরা জানান, হরিপুরে উপজেলায় দুটি বড় বিলের পাশে পানি না থাকার কারণে পাট পচানো সমস্যা হয়েছে । পানি সরাসরি বিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পাটের জাগ নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।

পাট চাষি মো. আবদুল মালেক ও সারোয়ার হোসেন বলেন খালবিলে, নদীনালায়, পুকুরে পানি নেই; পাট জাগ দেওয়ার জায়গাও নেই। এখন আমরা পাট নিয়ে সংকটে পড়েছি। এজন্য হরিপুর উপজেলায় পার্শ্ববর্তী বিলে আমরা পাট জাগ দিয়েছি।

সমির হোসেন নামে আরেকজন বলেন, বৃষ্টিতে পাটক্ষেতে অল্প পানি জমেছে, এতে পাটের গোড়া নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষেতে বেশি পানি হলে পাটের গোড়া পচন ধরত না। ক্ষেতের পাট ক্ষেতেই জাগ দেওয়া যেত। এখন পিকআপ ও ভ্যান ভাড়া করে পাট জাগ দিতে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

মিনাপুর গ্রামের সারোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের হরিপুর ইউনিয়নের মাঠে-ঘাটে কোথাও পানি নেই। পাট কেটে জাগ দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুবেল হুসেন জানান, এ বছর হরিপুরে ৪৭০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জায়গায় পাটের আবাদ হয়েছে। পানি না থাকায় পাটের জাগ দেওয়া নিয়ে সমস্যা পড়ছেন কৃষকরা। কেউ কেউ পুকুরে নদীতে পাটের জাগ দিচ্ছে।

সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৪ পিএম
সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

”আমার সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে”
যখন আশেপাশে শুনি —
“এটা তো সময়ের ব্যাপার, একটু ধৈর্য ধরো”
“তুমি কেন এত ভাবছো? সব ঠিক হয়ে যাবে”
“এটা তো সম্পর্কের অংশ, মানিয়ে নিতে হবে”
তখন সেই শূন্যতা কোথায় যাবে?
হুরায়রা কনসালটেন্সি এমন একটা জায়গা,
যেখানে আপনি আপনার সম্পর্কের টানাপোড়েন খুলে বলতে পারেন,
কেউ আপনাকে ছোট করবে না,
কেউ আপনাকে দোষী মনে করবে না।
আমরা জানি, সম্পর্কের মাঝে এই অনিশ্চয়তা অনেক সময় ভয়াবহ হতে পারে,
আপনি একা নন,
আমি হুরায়রা শিশির এবং আমার টিম পাশে আছি।
চলুন, একসাথে চেষ্টা করি কিভাবে একটু একটু করে ভালো থাকা যায়।

error: Content is protected !!