বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

রাজশাহী-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী “ক্লিন ইমেজে”র প্রার্থী নুরুজ্জামান খাঁন মানিক

তন্ময় দেবনাথ, রাজশাহী প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ১১:১৫ এএম | 85 বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী “ক্লিন ইমেজে”র প্রার্থী নুরুজ্জামান খাঁন মানিক

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী -৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ক্লিন ইমেজের প্রার্থী মো: নুরুজ্জামান খাঁন মানিক। দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এলাকার মানুষের কাছেও তিনি একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে সু-পরিচিত।

দলীয় সূত্র জানা যায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ক্লিন ইমেজ’ধারী প্রার্থীদের প্রাধান্য দেবে বিএনপি। অপকর্মে জড়িত বা বিতর্কিত কাউকে মনোনয়ন দেবে না দলটি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এটা নিয়ে আসনভিত্তিক কাজ শুরু করেছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দল থেকে যাদের চূড়ান্ত প্রার্থী করা হয়েছিল, যারা দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত, বিশেষ করে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর-পরবর্তী আন্দোলন-সংগ্রামে সম্পৃক্ত ত্যাগী ও ক্লিন ইমেজধারীদের দিয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার খসড়া তৈরি করা হবে। আগামী জুলাই-আগস্টের মধ্যে এই খসড়া তালিকা তৈরির কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।

তবে বিএনপি এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ না দিলেও দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বসে নেই। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই নির্বাচনী এলাকায় যোগাযোগ বাড়িয়েছেন তারা, আছেন গণসংযোগের মধ্যে। দলের নির্দেশনা মেনে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। শোডাউনের রাজনীতি না করলেও সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের এসব কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে দলের হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় ৫৭ রাজশাহী -৬ ( চারঘাট-বাঘা) আসনে ক্লিন ইমেজ প্রার্থী হিসেবে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত আদর্শে বিশ্বাসী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেড়ে উঠা মেধাবী নেতৃত্ব, বিগত ১৭ বছর বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত থেকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী, সরাসরি সহযোগিতার মাধ্যমে দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া রাজপথের লড়াকু সৈনিক,২০১৮ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত, রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি, বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি,রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ( বর্তমান), বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষা ও ক্রিয়ানুরাগী মোঃ নুরুজ্জামান খাঁন মানিক।

রাজশাহী -৬ আসনটির বিভিন্ন স্থান ঘুরে জানা যায়, চারঘাট-বাঘা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এবং পাড়া-মহল্লায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভাসহ বিভিন্ন কৌশলে আগাম প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন মো: নুরুজ্জামান খাঁন মানিক। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন সার্বক্ষণিক। নুরুজ্জামান খাঁন মানিক দলের সকল কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কর্মসূচী পালনে অংশ গ্রহণ করেন। দলের ভেতর একাধিক গ্রুপিং থাকলেও তিনি তা উপেক্ষা করে দলীয় কর্মসূচি গুলোতে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বাঘা উপজেলা বিএনপির সভাপতি থাকাকালীন সময়ে সুযোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে আ.লীগের কঠোর শাসনামলেও বাঘা উপজেলা বিএনপি’কে সু-সংগঠিত ও শক্তিশালী করে রেখেছিলেন।

বাঘা উপজেলা বিএনপির নিবেদিত কর্মী বাদশা জানান , ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে সারাদেশের ন্যায় চারঘাট-বাঘা উপজেলা বিএনপির সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা নির্যাতন ও নিপীড়নমূলক মামলা হয়েছে। এসময় নেতা-কর্মীদের মামলার সকল প্রকার তদারকি সহ নেতাকর্মীরা জেল হাজতে থাকাকালীন সময়ে তাদের পরিবারের সার্বিক দেখভাল করেছেন নুরুজ্জামান খাঁন মানিক। আমরা এমন নেতাই চাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে। তাকে যদি দল দলীয় মনোনয়ন দেয় তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।

বিএনপির একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মিদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী -৬ আসনটিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসাবে ক্লিন ইমেজের স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ নুরুজ্জামান খাঁন মানিককেই দেখতে চান দলের তৃণমূল নেতাকর্মিরা। তিনি তার কার্যক্রম দিয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় ও একজন নির্ভরযোগ্য প্রার্থী হিসেবে আস্থা অর্জন করেছেন। এছাড়াও নির্বাচনী আসনের বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়নমূলক সামাজিক কর্মকাণ্ড, অসহায় দুঃস্থদের সহযোগিতা, জেলা ও উপজেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন। তাকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হলে এ আসনে কেউ তার বিজয় ঠেকাতে পারবে না।

বাজু বাঘা ইউনিয়ন যুবদল নেতা খালিদুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী-৬ (চারঘাট- বাঘা) আসনে বিএনপি দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সকল সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে নুরুজ্জামান খাঁন মানিক ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি। যার কোন দুর্নীতি , চাঁদাবাজি , টেন্ডারবাজি ,ভূমি দখল, অবৈধ পুকুর খননের কোন প্রকারের অভিযোগ নেই। এমনকি তার নাম ভাঙ্গিয়ে কোন অন্যায় কাজ কেউ করেনি, তিনি একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তৃণমূল বিএনপির আস্থা ও ভরসার প্রতীক তিনি ।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৬ আসনে বিএনপি হতে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নুরুজ্জামান খাঁন মানিক এ প্রতিবেদককে বলেন- মনোনয়ন বিষয়টি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কর্তৃক নির্ধারিত একটি বিষয়। দীর্ঘদিন যাবত জাতীয়তাবাদী আদর্শের সাথে মিশে কাজ করে যাচ্ছি এবং সারা দেশব্যাপী বিএনপি’র দূর্দিনের সময় আমি দলের পাশে ছিলাম। দলের যে কোন প্রয়োজনে দলের সাথে যেভাবে সম্পৃক্ত রয়েছি। তাতে আগামী নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনয়ন পেতে আমি সম্পূর্ণ আশাবাদী।

তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৬ চারঘাট-বাঘা আসনে যদি দল (বিএনপি) আমাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে তাহলে সকলকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে এই আসনে বিএনপির বিজয় সু-নিশ্চিত করব এবং দেশ গড়তে তারুণ্যের অহংকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ্।

উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে রাজশাহী -৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে বিএনপি থেকে চূড়ান্তভাবে ভাবে দু’জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিলো। জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ও চারঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাইদ চাঁদ ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি, বাঘা থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুরুজ্জামান খাঁন মানিক কে । পরবর্তীতে চারঘাট উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান থাকায় আবু সাঈদ চাঁদের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।

নরসিংদীর রায়পুরা মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজ নুরুল ইসলাম, হারুন, হান্নানের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

তালাত মাহামুদ বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
নরসিংদীর রায়পুরা মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজ নুরুল ইসলাম, হারুন, হান্নানের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে , প্রতিবাদ ,মানববন্ধন, কর্মসূচি পালন করেন কিশোরগঞ্জের ভৈরবে । নৌপথে চলাচলকারী ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের উদ্যোগে এ মানববন্ধনে , অংশ নেন ভৈরব ও রায়পুরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মির্জাচরের আওয়ামী লীগের দোসর রসুনের ছেলে নুরুল ইসলাম, বাশগাড়ির যুবলীগ নেতা হারুন ও নিলক্কার হান্নান দীর্ঘদিন ধরে স্পোর্টস বোট ও ট্রলারে করে মেঘনা নদীতে , সশস্ত্র তাণ্ডব চালাচ্ছে। গরু ব্যবসায়ী ও মোদি ব্যবসায়ীদের মালামাল ছিনতাই, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি ,ও জনসাধারণের উপর গুলি চালানোর মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা।

এছাড়া ও নদীর চরাঞ্চলে অবৈধভাবে চুম্বুক , ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলনের অভিযোগ ইতিপূর্বে একাধিকবার করা হয়েছে। নদীপথে চলাচল কারী কার্গো ট্রলার থেকে চাঁদা আদায়ের মতো ঘটনা , প্রতিনিয়ত চালিয়েছে বলে জানায় বিশ্বস্ত সূত্র।

এ ব্যাপারে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে , বিএনপির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, বলেন“এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আমাদের দলের কেউ নয়।” রায়পুরা উপজেলার বিএনপির , সাধারণ সম্পাদক ,আব্দুর রহমান খোকন ,বলেন “নুরুল ইসলাম, হান্নান ও হারুন আওয়ামী লীগের দোসর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করছি, তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করুন।” সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিএনপি দলে কোন স্থান নেই । এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় । ইতি পর্বে নুরুল ইসলাম গং মির্জাচরে মানববন্ধনে গুলি বর্ষন করেন এবং গ্রামবাসীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রায়পুরা থানায় আছে । তৎকালীন সময়ের বহু ঘটনা জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সহ নরসিংদী জেলার বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় একাধিক নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে

এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।

সৌরভ চত্বরের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

  তৌহিদুর রহমান শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:০৪ পিএম
সৌরভ চত্বরের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ‘সৌরভ চত্বর’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিতর্কিত এক ব্যক্তির উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা দেখা দিয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

৫ আগস্ট, মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইগাতী থানা মোড়ে শহীদ ছাত্রনেতা সৌরভের নামে নির্মিত ‘সৌরভ চত্বর’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন, ইউএনও মো. আশরাফুল আলম রাসেল। এ সময় শহীদ সৌরভের পিতা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

তবে অনুষ্ঠান শেষে ফটোসেশনে ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামি সারোয়ার হোসেনের ছবি ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই অভিযোগ করেন, জনপ্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের পুনর্বাসনের কৌশল হিসেবে এমন আয়োজন করছেন।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হলে উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতায় ও পুলিশের বিশেষ উদ্যোগে বিতর্কিত ব্যক্তি সারোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিয়ে ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “আমি সারোয়ার হোসেন নামে কাউকে চিনি না, তাকে আমন্ত্রণ জানানো তো দূরের কথা। শহীদ সৌরভের বাবা তাঁকে আত্মীয় হিসেবে নিজেই সঙ্গে এনেছেন। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিংবা মামলার আসামি, এসব তথ্য আমার জানা ছিল না। আমি এই ভিত্তিহীন অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “স্মৃতিচারণমূলক এ অনুষ্ঠানটি ছিল সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং একটি শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর নিঃস্বার্থ প্রয়াস। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি উপস্থিত থাকলে সেটিকে প্রশাসনের অভিপ্রায় হিসেবে ব্যাখ্যা করা অনুচিত।”

সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইউএনও বলেন, “সত্যতা যাচাই না করে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও গুজব ছড়ানো সামাজিক দায়িত্বের পরিপন্থী। একজন শহীদের নামের সাথে জড়িত অনুষ্ঠানে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করাও অত্যন্ত দুঃখজনক।”

দশঘর মাদরাসা কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর নাসির সভাপতি হওয়ার পায়তারা:এলাকায় ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:০১ পিএম
দশঘর মাদরাসা কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর নাসির সভাপতি হওয়ার পায়তারা:এলাকায় ক্ষোভ

ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের রাজ্জাকীয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা,দশঘরের ম্যানেজিং কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর এমপি মানিকের ঘনিষ্টজন দশঘর গ্রামের মাষ্টার নাসির উদ্দীন সভাপতি হওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এতে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে প্রতিষ্টানের প্রধান উলামালীগের সদস্য মাও:মুশাহিদ আলী তাঁর বিগত দিনের নিজের অপকর্ম যাতে প্রকাশ না পায় এজন্য এই আওয়ামী ডেবিলকে সভাপতি করতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।

মাদরসার অভিভাবকদের বক্তব্য হচ্ছে ,আওয়ামীলীগের এই দোসরকে সভাপতি করলে মাদরাসা উন্নয়ন কাজ থেকে বঞ্চিত হবে।সরকারের নির্দেশনা রয়েছে।

বর্তমানে কোন শিক্ষা প্রতিষ্টানের কমিটিতে যেন নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের কোন দোসর সভাপতি হতে না পারে।মাষ্টার নাসির উদ্দিন যে আওয়ামীলীগের নেতা ও এমপি মানিকের একনিষ্ট সহযোগী ছিল, তা ছাতকের রাজনৈতিক মহলে সবার জানা।তাই নাসির উদ্দনীন সভাপতি হলে আগামী নির্বাচনে যারাই অত্র আসনে এমপি বা উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন স্বাভাবিক ভাবে এ কারণে অত্র মাদরাসা উন্নয়ন কাজে আগ্রহী হবেন না বলে আশংকা করা হচ্ছে।

তাই,দশঘর মাদরাসায় যাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের কোন ডেভিল সভাপতি হতে না পারে এজন্য এলাকাবাসী ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

error: Content is protected !!