সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

আতঙ্কে শত শত পরিবার

খাসিয়ামারা নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫, ৪:১৫ পিএম | 199 বার পড়া হয়েছে
খাসিয়ামারা নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নে খাসিয়ামারা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি, পুকুর ও জনপদ। ভাঙনের তীব্রতায় এখন এলাকাবাসী আতঙ্কে দিন পার করছেন। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলের তোড়ে খাসিয়ামারা নদী তার দিক পরিবর্তন করে গ্রাস করছে গ্রামের পর গ্রাম।
সাম্প্রতিক সময়ের তুলনায় এবার ভাঙনের মাত্রা অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর, টেংরাটিলা, টিলাগাঁওসহ একাধিক গ্রাম ইতিমধ্যেই নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথাও বসতঘর নদীতে ধসে পড়ছে, কোথাও আবার পুকুর, বাগান, ফসলি জমি হারিয়ে গেছে নদীর গর্ভে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙনের ফলে স্থানীয় একটি আলীপুর বাজার, নির্মানাধীন খাসিয়ামারা সেতু, আলীপুর নূরানী কিন্ডারগার্টেন, টেংরাটিলার আব্দুল করিম ও ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমের বসতভিটা, পুকুর ও ফসলি জমি ইতোমধ্যে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। ইতোমধ্যে আলীপুর গ্রামের কয়েকটি পরিবার বসতবাড়ি অন্যত্র স্থানান্তর করেছেন। তবে স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকায় ভাঙন আতঙ্ক নিয়েই বসবাস করছেন সাধারণ মানুষ।
টেংরাটিলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল করিম বলেন, ‘আমার বসতবাড়ির অর্ধেকটাই নদীতে চলে গেছে। এইভাবে আর ক’দিন চললে আমাদের ঘরবাড়ি আর থাকবে না।’
একই গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, আমার ফসলি জমির অর্ধেকই খাসিয়ামারা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন অবশিষ্ট পুকুর ও বসতবাড়িটুকু বিলীন হওয়ার পথে।’
আলীপুর গ্রামের ভানু বিবি বলেন, ‘আমার জমিজমা, দোকানপাট ও বসতবাড়ি সব নদী গর্ভে চলে গেছে। গত ৫ বছরে অন্তত কয়েকবার বাড়ি স্থানান্তর করেছি। এখন আর স্থানান্তর করার মতো জমি টুকুও নাই। ভাঙন অব্যাহত থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে পথে নামতে হবে।’
একই গ্রামের মফিজ মিয়া বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে চাষ করা জমিটা চোখের সামনে নদীতে ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে কেউ এখনো এসে খোঁজও নেয়নি।’
সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘খাসিয়ামারা নদী এখন একটি ভয়ংকর বিপদে পরিণত হয়েছে। স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে না তুললে অচিরেই পুরো জনপদ হুমকির মুখে পড়বে। ইতোমধ্যে বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) দোয়ারাবাজারের এসও সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।’
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুপ রতন সিংহ জানান, ‘ভাঙন কবলিত আলীপুর ও টেংরাটিলা এলাকা পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলবো।

MD. ABDUL AZIZ

ভাঙ্গুড়ায় প্রেমিকসহ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী প্রেমিকা

MD. ABDUL AZIZ প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:০০ পিএম
ভাঙ্গুড়ায় প্রেমিকসহ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী প্রেমিকা

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রেমিকসহ দলব্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোরী এক প্রেমিকা । উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামে গত শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে তার প্রেমিক বুলবুল ও তার বন্ধুরা। দলবদ্ধ ধর্ষেণর খবর পেয়ে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ ও সহকারি পুলিশ সুপার( চাটমোহর সার্কেল) ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দয়ের করেন। পুলিশ রবিবার(৭ ডিসেম্বর) প্রেমিক বুলবুল (১৯) নামের এক ধর্ষককে আটক করেছে এবং ভিক্টিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাবনা সদরে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে বুলবুলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল ও তার বন্ধু সোহানুজ্জামান এবং তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউকে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন দুপুরে ঘটনা জানাজানীর পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
দলবদ্ধ ধর্ঘণ মামলার পর রবিবার ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শফিকুল ইসলাম ও সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চারজনকে আসামী করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়েছে। চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে অভিযুক্ত বুলবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানাজা’ শব্দের অর্থ মরদেহ

জানাজার নামাজে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৫৭ এএম
জানাজার নামাজে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া

জানাজার নামাজ আদায় করা ফরজে কেফায়া। ফরজে কেফায়া হলো দু-একজন আদায় করলে মহল্লার সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যায়। আর কেউ আদায় না করলে সবাই গুনাহগার হয়।
প্রথম তাকবিরের পর সানা, দ্বিতীয় তাকবিরের পর দরুদ শরিফ পড়া। তারপর তৃতীয় তাকবিরের পর দোয়া পড়বেন। এরপর চতুর্থ তাকবির দিয়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হয়।
জানাজার নামাজে তৃতীয় তাকবির বলে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করবেন। তখনো হাত ওঠাবেন না। তারপর চতুর্থ তাকবির বলবেন। তখনো হাত ওঠাবেন না। এরপর ডান ও বাঁ দিকে সালাম ফেরাবেন। ইমাম তাকবির উচ্চ স্বরে বলবেন এবং বাকি দোয়া-দরুদ অনুচ্চ স্বরে পড়বেন। মুক্তাদিরা সবই অনুচ্চ স্বরে তাকবির ও দোয়া-দরুদ পড়বেন।
মৃত ব্যক্তি যদি বালেগ পুরুষ বা নারী হয়, তবে এই দোয়া পড়া—
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাগফির লি হাইয়্যিনা ওয়া মাইয়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গায়েবিনা ওয়া সগিরিনা ওয়া কাবিরিনা ওয়া জাকারিনা ওয়া উনছানা, আল্লাহুম্মা মান আহয়াইতাহু মিন্না ফাআহয়িহি আলাল ইসলাম ওয়া মান তাওয়াফফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফফাহু আলাল ইমান। আল্লাহুম্মা লা তাহরিমনা আজরাহু ওয়া আলা তুদিল্লানা বা-দাহু।’
অর্থ: হে আল্লাহ, আমাদের জীবিত এবং মৃতদের, উপস্থিত এবং গায়েবদের, ছোট ও বড়দের এবং আমাদের নারী-পুরুষ সবাইকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের মধ্য থেকে যাকে জীবিত রাখবেন, তাকে ইসলামের ওপরই জীবিত রাখুন। যাকে মৃত্যু দান করবেন, তাকে ইমানের সঙ্গেই মৃত্যু দিন। হে আল্লাহ! এর সওয়াব থেকে আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করবেন না। (আবু দাউদ ৩২০১, তিরমিজি ১০২৪)
মৃত যদি ছেলেশিশু হয়, তবে এই দোয়া পড়া—
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাজআলহু লানা ফারাতঁও ওয়াজআলহু লানা আজরাঁও ওয়া জুখরাঁও ওয়াজআলহু লানা শা-ফিআও ওয়া মুশাফ্ফাআ।
অর্থ: হে আল্লাহ! এই বাচ্চাকে আমাদের নাজাত ও আরামের জন্য আগে পাঠিয়ে দাও, তার জন্য যে দুঃখ, তা আমাদের প্রতিদান ও সম্পদের কারণ বানিয়ে দাও, তাকে আমাদের জন্য সুপারিশকারী বানাও, যা তোমার দরবারে কবুল হয়।
আর মেয়েশিশু হলে এই দোয়া পড়া—
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাজআলহা লানা ফারাতঁও ওয়াজআলহা লানা আজরাঁও ওয়া জুখরাঁও ওয়াজআলহা লানা শা-ফিআতাঁও ওয়া মুশাফ্ফাআহ।
অর্থ: হে আল্লাহ! এই বাচ্চাকে আমাদের নাজাত ও আরামের জন্য আগে পাঠিয়ে দাও, তার জন্য যে দুঃখ তা আমাদের প্রতিদান ও সম্পদের কারণ বানিয়ে দাও, তাকে আমাদের জন্য সুপারিশকারী বানাও, যা তোমার দরবারে কবুল হয়।
শিশুদের জন্য দোয়া
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা আইজহু মিন আজাবিল কবরি।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমি এই ছেলেটিকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করো।’ (মিশকাত ১৬৮৯)
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাজআলহু লানা সালাফান ওয়া ফারাতান ওয়া জুখরান ওয়া আজরান’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! এই ছেলেটিকে (কিয়ামতের দিন) আমাদের অগ্রবর্তী ব্যবস্থাপক, রক্ষিত ভান্ডার ও সওয়াবের কারণ বানাও)।’ (মিশকাত ১৬৯০)
দোয়া দুটি কারও জানা না থাকলে— উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফির লিলমুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি মুমিন নারী-পুরুষ উভয়কে ক্ষমা করে দিন।
চতুর্থ তাকবিরের পর সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা। প্রথম তাকবির ছাড়া হাত না ওঠানো। নামাজিদের কাতার তিন, পাঁচ, সাত এভাবে বিজোড় হওয়া। (সুনানে হাদিস: ৭২৩৮)

মো: রাজিবুল করিম রোমিও

বদলে গেছো

মো: রাজিবুল করিম রোমিও প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৫৫ এএম
বদলে গেছো

মেয়ে’কে ঘুম পাড়িয়ে বেড রুমে এসে দেখি আমার স্ত্রী “ঐশী” বালিশে মুখ গুঁজে কাঁদছে। জিজ্ঞেস করলাম,
“কি ব্যাপার কাঁদছো কেনো? শরীর খারাপ না-কি আম্মা কিছু বলেছে?”
ঐশী নাক টানতে টানতে বললো, “নাহ্! কিছু হয়নি।”
“তাহলে কাঁদছো কেন?”
আমার কথায় তার কান্নার বেগ বাড়লো। চিন্তায় পড়ে গেলাম। আমি কোথাও কোন ভুল করেছি? না-কি আজ কোনো স্পেশাল ডে? না কিছুতেই হিসাব মেলে না। আজ আমাদের কোনো স্পেশাল ডে ফে নাই? তাহলে, বউ কাঁদছে কেন? মিনিট পাঁচেক বসে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কারণ বের করলাম। আজ অফিস থেকে এসে বউকে তার পছন্দের কিটক্যাট চকলেট দেওয়া হয়নি। ইশ… ভুলেই গেছিলাম! পাগলীটায় হয়তো ভাবছে আমি বোধহয় তার চকলেট আনতে ভুলে গেছি। তাই কাঁদছে। আমি পকেট থেকে তাড়াহুড়ো করে চকলেটটা বের করলাম। বউ’কে এগিয়ে দিয়ে বললাম,
“এই এই তোমার চকলেট, তখন দিতে ভুলে গেছিলাম। কাঁদে না জান!”
বউ চকলেটা আমার মুখে ছুঁড়ে মেরে চিৎকার দিয়ে বললো,
“এই আমাকে তোমার বাচ্চা মনে হয়, বাচ্চা? আমি বাচ্চাদের মতো চকলেট না পেয়ে কাঁদছি, এটা তোমার ধারণা?”
পাশের রুম আব্বা-আম্মা। বউ চিৎকার করছে এটা শুনলে যা-তা ভাববে। রিস্ক নিলাম না..! আমি উপায় না পেয়ে বউকে দ্রুত জড়িয়ে তার ঠোঁটে আমার ঠোঁট ছুঁয়ে দিয়ে বললাম,
“তুমি বাচ্চা হবে কেনো জান? তুমি তো আমার বাচ্চার আম্মু..! এবার বলো, এতো রেগে আছো কেন?”
বউ আমার আদুরে স্পর্শ পেয়ে ঠান্ডা হলো কিছুটা। ফের অভিমান নিয়ে বললো,
“তুমি বদলে গেছো, রোহান। আমাকে আর আগের মতো ভালোবাসো না! বাচ্চা হওয়ার পর থেকে অবসরে সারাক্ষণ মেয়ে নিয়ে থাকো, আমাকে কখনো একটু সময় দেও না। কখনো এসে জিজ্ঞেস করো না, আমি খেয়েছি কিনা, আমার শরীর ভালো যাচ্ছে কি-না! একান্ত আমার দু’টো কথা শোনার মতো সময় আজকাল তোমার হয় না।”
বউ এসব মিথ্যা বলছে না। তাকে নিয়ে লাস্ট কবে ঘুরতে গিয়েছে বা সেভাবে কখন সময় দিয়েছি মনে পড়ছে না আমার। সারাক্ষণ অফিসে থাকি। রাতে বাসায় ফিরলে, বউ তখন রান্না করে। আমিও মেয়ে’র সাথে কাটাই। ছুটিরদিনে বাপ-মেয়ে বের হই ঐশী’কে নেওয়া হয় না সাথে। বউ অভিমান করে মুখ ফুটে কিছু বলে না। এক বেডে থেকেও অদৃশ্য এক দূরত্ব আমাদের মাঝে।আজ সকল দূরত্ব চুকিয়ে বউকে কাছে টেনে নিয়ে বললাম,
“আগামীকাল আমরা অনেক ঘুরবো, ভীষণ আনন্দ করবো। আমি ঠিক প্রথম দিনের প্রেমিক হবো আর তুমি হবে আমার প্রেমিকা। তুমি পড়বে নীল শাড়ী, আমি পড়বো নীল পাঞ্জাবি। স্যরি জান!”
বউ এতটুকুতেই খুশী। হেসে বললো,
“চা খাবে? চা বানিয়ে আনি তোমার জন্য? ”
“উঁহু! এখানে বসো। চুলের কি অবস্থা তোমার? সারাদিনেও মনে হচ্ছে আঁচড়াও নি। তেল নিয়ে এসো আমি চুলে লাগিয়ে দেই।”
বউ দ্রুত তেল আর চিরুনী নিয়ে আমার কোলের উপর বসলো। স্বামীর এতটুকু যত্নে মেয়েটার মুখের হাসি সরছে না। এতো দিনের জমানো কথা গুলো যেন দলা পাকিয়ে আসছে। সে বলছে, হাসছে। আমি মনযোগ দিয়ে শুনছি। পরমুহূর্তে বউ আগের মতো বায়না ধরলো, “আইসক্রিম এনে দেও।”
আমিও দূরন্ত বালকের ন্যায় তাকে নিয়ে রাতের আঁধারে হারিয়ে গেলাম। বউয়ের হাত ধরে জোছনা রাতে শহরের গলিতে, পায়ের সাথে পা মিলিয়ে হাঁটছি। বউ খিলখিল করে হাসছে। এখন মনে হলো, এতোদিনে দূরত্ব কেটে গিয়েছে আমাদের। অবশেষে বুঝলাম, সারাদিনের ক্লান্তির পর মেয়েরা তার প্রিয় মানুষের থেকে একটুখানি যত্ন আর একটুখানি একান্তই সময় পাওয়ার অপেক্ষা করে।