রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

ফ্রান্সের জার্সিই পগবার স্বপ্ন

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫, ১০:১১ এএম | 63 বার পড়া হয়েছে
ফ্রান্সের জার্সিই পগবার স্বপ্ন

বয়স পেরিয়ে গেছে ৩২। নিষেধাজ্ঞার পর মাঠে ফিরে নিজেকে আদৌ কতটা ফিরে পাবেন, সেই সংশয় আছে। তবু স্বপ্ন বুকে পুষে রেখেছেন পল পগবা। ক্লাব ফুটবলে ফেরার পথ ধরে তিনি ফিরতে চান জাতীয় দলেও। তবে বাস্তবতাও ভালো করেই জানেন এই মিডফিল্ডার। তাই নিজেই বললেন, ফ্রান্সের হয়ে ফেরার পথে এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছেন তিনি।
ফরাসি ক্লাব মোনাকোর সঙ্গে সম্প্রতি দুই বছরের চুক্তি করেছেন পগবা। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এই ক্লাবের হয়েই মাঠে ফিরবেন সামনের মৌসুমে।
ডোপিংয়ের দায়ে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল চার বছরের জন্য। তবে পরে তা কমিয়ে আনা হয় দেড় বছরে। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এখন ফুটবল ক্যারিয়ারে নতুন অধ্যায় শুরুর অপেক্ষায় তিনি।
CLUB ফুটবলে ফেরার পর তার ভাবনার সীমানায় আছে জাতীয় দলও। ফ্রান্স দলের অপরিহার্য সদস্য ছিলেন তিনি একসময়। ৯১টি ম্যাচ খেলেছেন দেশের হয়ে। বড় মঞ্চে দুর্দান্ত পারফর্মও করেছেন। ২০১৪ বিশ্বকাপে তিনি স্বীকৃতি পেয়েছিলেন আসরের সেরা তরুণ ফুটবলারের। ২০১৮ বিশ্বকাপে দলের শিরোপা জয়ে তার ছিল বড় অবদান।
গত বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি চোটের কারণে। দেশের হয়ে সবশেষ খেলেছেন সেই ২০২২ সালে। এখন তো তিনি জাতীয় দল থেকে অনেক দূরে।
সেই দূরত্ব POGBA ঘুচিয়ে ফেলতে চান। তবে বাস্তবতা মেনেই এগোতে চান ধাপে ধাপে, “প্রতিটি ফরাসি ফুটবলারের চাওয়া থাকে ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে খেলা। আমারও ইচ্ছে আছে ফেরার। তবে সবকিছুরই নানা পর্যায় আছে। আমি এখন আছি প্রথম পর্যায়ে। মাঠে ফিরছি, এরপর ভালো পারফর্ম করতে হবে।”
“জাতীয় দলে ফেরা সহজ নয়। জায়গা আদায় করে নিতে হবে, অর্জন করে নিতে হবে। কারণ আমাদের জাতীয় দলে দারুণ সব ফুটবলার আছে। দুর্দান্ত একটি দল এটি।”
পগবার পর গত সোমবার ইংলিশ ফুটবলার এরিক ডায়ারকে দলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মোনাকো। টটেনহাম হটস্পারের হয়ে প্রায় তিনশ ম্যাচ খেলা অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার রোমাঞ্চিত পগবাকে সতীর্থ হিসেবে পেয়ে।
“তার (পগবা) এখানে যোগ দেওয়া অবশ্যই এই ক্লাবের জন্য ও ফরাসি লিগের জন্য দারুণ রোমাঞ্চকর। পলের বিপক্ষে অনেকবার খেলেছি আমি এবং জানি, সে কতটা ভালো। সবাই জানে তা। তাকে আবার ফুটবল খেলতে দেখতে মুখিয়ে আছি আমি। কাছ থেকে সেটা দেখতে পারা হবে আরও দারুণ।”
বার্সেলোনা থেকে সম্প্রতি ধারে মোনাকোতে যোগ দেওয়া আনসু ফাতির জন্য তো পগবার সঙ্গে খেলতে পারা স্বপ্নের মতো ব্যাপার।
“সবাই জানে পল পগবা কেমন ফুটবলার। আমি খুবই খুশি যে তিনি মোনাকোয় নাম লিখিয়েছেন। আমার মনে হয়, গোটা ফুটবল বিশ্ব খুশি তাকে ফিরতে দেখে। তিনি যেখানেই খেলেছেন, সবসময় ছিলেন সেরাদের একজন। আশা করি, একসঙ্গে দারুণ একটি মৌসুম আমরা কাটাব ক্লাবকে সেখানে পৌঁছে দিতে, যেখানে থাকাটা প্রাপ্য।”
“তাকে এই ক্লাবে পাওয়াটা স্বপ্নের মতো। ছোট থেকেই তার অনুরক্ত আমি। যখন বার্সেলোনার একাডেমিতে ছিলাম, তিনি ছিলেন আমার ও আমার অনেক বন্ধুর আদর্শ। সবাই তাকে নিয়ে কথা বলত এবং তার সম্পর্কে জানতে চাইত। তার সঙ্গে এখন খেলতে পারা হবে অবিশ্বাস্য এবং যতটা সম্ভব তা উপভোগ করতে চাই।”

দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

মো: মেহেদী হাসান ফুয়াদ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম
দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

২ আগষ্ট শনিবার বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর নব নির্বাচিত কার্য্যকরী কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নব- নির্বাচিত সভাপতি- মোঃ আব্দুস সাত্তার, সহ সভাপতি- মোঃ শরিফুল ইসলাম সেলি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক, আবুল কালাম (১), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এনামুল হক, অর্থ সম্পাদক- আবুস সালাম ও কার্র্য্যনির্বাহী পরিষোধের সদস্য মোঃ কমর আলী শেখ ও মোঃ বিশালকে ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুর্যায়ী শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশান দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবিবর রহমান। উল্লেখ্য, বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২ জুলাই ‘২০২৫। নির্বাচনে উপরোক্ত ৮জন প্রার্থী বিজয়ী হন।

দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

বগুড়া থেকে মোঃ হাফিজুর রহমান প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ জানিয়েছেন —
আমাদের দেশ চলে মানুষের ঘাম আর পরিশ্রমের করের টাকায়। প্রতিটি রাস্তা, স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি সেবা ও অবকাঠামো জনগণের টাকায় গড়ে উঠেছে।
কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট শাসন আর আজকের কর্তৃত্ববাদী মনোভাব দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকারকে অবমূল্যায়ন করেছে — মানুষের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হয়েছে, গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতি, লুটপাট আর দুর্নীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিশ্বাস করে—গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট নয়, মানুষের কথা শোনা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
আমাদের আপোষহীন নেত্রী, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় আজও আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বিএনপি জনগণের অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সবসময়ই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি সরকারের সময় দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পথে ছিল, গণতন্ত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার সুরক্ষিত ছিল — যা আজ হরণ হয়েছে।
আগামী নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাই—আপনাদের শক্তি ও অধিকারকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিজয়ের প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিন, আপনার আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করুন।
বিএনপি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পক্ষে। দেশের প্রতিটি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করাই আমাদের অঙ্গীকার। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি।
আমরা বিশ্বাস করি—ধানের শীষে জনগণের এই আস্থা গণতন্ত্র, উন্নয়ন আর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে উঠবে।

মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

Masud Parves প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম
মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

মধ্যবয়সী নারীকে বাইরে থেকে দেখে কেউ বুঝতে পারে না, তার ভেতর কতটা জীবন বয়ে চলে। তার মুখে হয়তো একরাশ শান্তি, চোখে একটুখানি ক্লান্তি—কিন্তু এই চেহারার ভেতরে আছে এক গভীর নদী, যেটা ধীরে ধীরে বয়ে যায়। এই নদী যেন নীরব, তবে থেমে নেই। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা, ভালোবাসা, হারানো-বিলুপ্ত কিছু স্মৃতি—সব মিলে তার কামনা তৈরি হয় এক নতুন রূপে, এক অনন্য ভাষায়।
এই বয়সে সে আর কারো মন জেতার জন্য হাসে না। সে নিজেকে লুকিয়ে রাখে না, সাজিয়ে তোলে না কেবল কারো নজর কাড়ার জন্য। বরং সে নিজেকে ভালোবাসে গভীরভাবে। জানে—তার শরীর ঠিক যেমন, তেমনটাই সুন্দর। তার যৌনতা এখন আর দেহের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে বোঝাপড়ার, সম্মান আর সংবেদনের জায়গা।
তরুণ বয়সের কামনা হঠাৎ জ্বলে ওঠে, হঠাৎ নিভেও যায়। সেখানে থাকে আবেগের ঝড়, না বুঝে ফেলার এক উন্মাদনা। কিন্তু মধ্যবয়সী নারীর কামনা অনেক বেশি ধৈর্যের, অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের। সে জানে, কীভাবে তার শরীরের প্রতিটি প্রতিক্রিয়া বোঝে নিতে হয়। সে জানে, কখন আগলে রাখতে হয় নিজেকে, আর কখন খুলে দিতে হয় সমস্ত দরজা।
এই নারী কাউকে ছুঁতে চায়—কিন্তু ছোঁয়াটার আগে সে বোঝে নেয় সেই মানুষটার ভেতরটা। সে শুধু শরীর খোঁজে না—সে এমন একজন সঙ্গী খোঁজে, যার স্পর্শে থাকে শ্রদ্ধা, যার চোখে থাকে নিরাপত্তা। সে জানে কার পাশে ঘুমালে শান্তি নামে, আর কার পাশে থাকলে ভালোবাসা শুকিয়ে যায়।
তার কামনা আর শিশুর মতো নিষ্পাপ নয়। বরং তাতে এক ধরনের প্রাপ্তবয়স্ক মমতা থাকে, থাকে বোঝাপড়া। সে জানে কখন চাওয়া, কখন না বলা। সে জানে, ‘না’ বলাটাও নিজের প্রতি এক রকম ভালোবাসা। তার ভালোবাসা এখন আর পাগলামি নয়—তা গভীর, সযত্নে বাছাই করা, বোধসম্পন্ন।
সমাজ হয়তো ভাবে এই বয়সের নারী নিঃসাড়, নিঃস্পৃহ। কিন্তু তারা জানে না, তার ভেতরটায় প্রতিদিন ঢেউ খেলে যায়। তার চোখে জমে থাকা পুরনো গল্পের আলো ঝিলমিল করে, তার হাসিতে মিশে থাকে না বলা ভালোবাসার রেশ। এই নারী চাইলেই কারো জীবনে নীরবে ঢুকে যেতে পারে, আবার কাউকে বিদায়ও জানাতে পারে নিঃশব্দে—এক বিন্দু তিক্ততা ছাড়াই।
তার যৌনতা আজ আর কারো কাছ থেকে অনুমতি চায় না। সে নিজের শরীর, নিজের কামনা, নিজের মনের দায়িত্ব নিজেই নেয়। সে জানে—কে তার জলের গভীরে স্নান করার যোগ্য, আর কে কেবল পাথর ছুড়ে জল ঘোলা করতে চায়।
মধ্যবয়স মানে ক্ষয় নয়, সেটি এক নবজন্ম। একজন নারী এই বয়সে এসে হয়তো সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়—যেন সন্ধ্যার আলোয় জ্বলে ওঠা দীপ, যা সারা দিনের ক্লান্তিকে শান্ত করে। তার কামনা আগুন নয়—তা আলো। তা জ্বলিয়ে দেয় না, তা গায়ে মেখে থাকে।
এক নদী, যে জানে কখন কার দিকে পথ খুলে দিতে হয়, আর কখন নিজেকে আগলে রাখতে হয়।
যে জানে, ভালোবাসা মানে কারো হাত ধরা নয়—বরং কারো হাতে নিজের হাত রাখার মতো আত্মবিশ্বাস অর্জন করা।

error: Content is protected !!