বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে

মোঃ মেহেদী হাসান ফুয়াদ প্রকাশিত: শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫, ৯:৩৩ এএম | 69 বার পড়া হয়েছে
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে

জাতীয় নাগরিক পাটি (এনসিপি)র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, দিনাজপুরের অনেক সমস্যার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তার বাস্তবায় হয়নি। সিটি করর্পোরেশনের কথা বলা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। আমি যে রাস্তায় পদযাত্রা করলাম, এমন একটি রাস্তা, যে রাস্তায় বারবার পড়ে যেতে হয়েছে। এত ঐতিহ্যবাহী এত ঐতিহাসিক গুরুত্বপুর্ণ একটা শহর এমন হতে পারে এটা অকল্পনীয়। আমরা পুরনো রাজনীতিবিদদের মত আশ্বাস দিয়ে যাবনা। আমরা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে সফল হয়েছি এবারও আমরা সফল হব ইনশাল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে,বলা হচ্ছে জুলাই ঘোষণাপত্র হলে নাকি সাংবিধানিক ভিক্তি থাকবেনা। জুলাই ঘোষণাপত্র অবশ্যই সংবিধানে যুক্ত করতে হবে। এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা অংশগ্রহণ করেছে, যারা শহীদ হয়েছে, তাদের মর্যাদা, তাদের স্বীকৃতি, যারা আহত হয়েছে তাদের রাজনৈতিক নিরাপত্তার কথা থাকতে হবে এই জুলাই ঘোষণাপত্রে,বাংলাদেশের নতুন সংবিধানে। জাতীয় নাগরিক পাটি আগামী ৩রা আগষ্ট শহীদ মিনারে জুলাই ঘোষণাপত্র সংগ্রহের দাবীতে গত বছরের মত বিশাল জমায়েত হবে এবং আমাদের প্রাপ্য অধিকার অর্ন্তবর্তী সরকারের কাছে বুঝে নেব। আগামীর বাংলাদেশ তরুণদের হাতেই হবে, জাতীয় নাগরীক পাটির হাতেই হবে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় দিনাজপুর ইনষ্টিটিউট মাঠে পথযাত্রা শেষে পথ সভায় জাতীয় নাগরিক পাটি (এনসিপি)র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন,জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর হতে যাচ্ছে। এক বছরে আমাদের স্বপ্ন ছিল অনেক। আশা ছিল অনেক, আমরা বলেছিলাম দেশ পরিবর্তিত হবে, বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ স্বপ্ন নিয়ে মানুষ রাস্তায় নেমেছিল, দিনাজপুরের মানুষ যে স্বপ্ন দেখেছিল তা পুরণ হবে। দুঃখের বিষয় সে স্বপ্ন পুরণ হয়নাই। বাংলাদেশে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল নতুন কাঠামোর জন্য নতুন রাষ্টের জন্য নতুন দেশের জন্য, একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসানোর জন্য নয়। আমরা সেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে রাস্তায় নেমেছি।
তিনি বলেন, দিনাজপুরের মাটি ইতিহাসের স্বাক্ষী। বৃটিশ আমলের নীল বিদ্রোহ থেকে ২৪ এর গণ গণঅভ্যুত্থান। সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। দিনাজপুর খাদ্য শস্যের জন্য দিনাজপুর অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ। বাংলাদেশে উত্তরবঙ্গের অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক রাজধানী। যে কৃষক ধান উৎপাদন করে সেই কৃষক ধানের ন্যায্য মুল্য পায়না। ব্যবসাযীদের সিন্ডিকেট ও মধ্যসত্বভোগীদের জন্য কৃষক ধানের মুল্য পায়না। দুর্নীতির কৃষক তাদের ন্যায্যমূল পায়না , অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। যেই দিনাজপুরের মানুষ সারা দেশের মানুষকে খাওয়ানোর সক্ষমতা রাখে, সেই দিনাজপুরের কৃষকেরা তাদের নিজেদের ছাওয়ালদের(সন্তানদের) খাওয়াতে পারেনা। আমরা এই বাংলাদেশ চাইনা, যে দিনাজপুর উৎপাদন করবে ঢাকা ভোগ করবে, এই বৈষম্যের দেশ আমরা চাইনা। আমরা চাই যেখানে উৎপাদন হবে সেখানে সুসম বন্টন হবে। অর্থনৈতিক বৈষম্য বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিদায় তরতে চাই।
পথসভায় উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সম্বনয়ক সারজিম আলম বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী ক্ষমতা সম্পন্ন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন মেখ হাসিনা। তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আমরা আর এরকম ক্শমতা দেখতে চাইনা।
বক্তব্য রাখেন এনসিপির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা তাসনীম জারা,হান্নান মাসউদ আব্দুল্লাহ,ডাঃ আহাদ উদ্দিন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলে মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ সহ বিভিন্ন জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ।

নরসিংদীর রায়পুরা মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজ নুরুল ইসলাম, হারুন, হান্নানের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

তালাত মাহামুদ বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
নরসিংদীর রায়পুরা মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজ নুরুল ইসলাম, হারুন, হান্নানের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে , প্রতিবাদ ,মানববন্ধন, কর্মসূচি পালন করেন কিশোরগঞ্জের ভৈরবে । নৌপথে চলাচলকারী ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের উদ্যোগে এ মানববন্ধনে , অংশ নেন ভৈরব ও রায়পুরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মির্জাচরের আওয়ামী লীগের দোসর রসুনের ছেলে নুরুল ইসলাম, বাশগাড়ির যুবলীগ নেতা হারুন ও নিলক্কার হান্নান দীর্ঘদিন ধরে স্পোর্টস বোট ও ট্রলারে করে মেঘনা নদীতে , সশস্ত্র তাণ্ডব চালাচ্ছে। গরু ব্যবসায়ী ও মোদি ব্যবসায়ীদের মালামাল ছিনতাই, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি ,ও জনসাধারণের উপর গুলি চালানোর মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা।

এছাড়া ও নদীর চরাঞ্চলে অবৈধভাবে চুম্বুক , ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলনের অভিযোগ ইতিপূর্বে একাধিকবার করা হয়েছে। নদীপথে চলাচল কারী কার্গো ট্রলার থেকে চাঁদা আদায়ের মতো ঘটনা , প্রতিনিয়ত চালিয়েছে বলে জানায় বিশ্বস্ত সূত্র।

এ ব্যাপারে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে , বিএনপির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, বলেন“এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আমাদের দলের কেউ নয়।” রায়পুরা উপজেলার বিএনপির , সাধারণ সম্পাদক ,আব্দুর রহমান খোকন ,বলেন “নুরুল ইসলাম, হান্নান ও হারুন আওয়ামী লীগের দোসর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করছি, তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করুন।” সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিএনপি দলে কোন স্থান নেই । এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় । ইতি পর্বে নুরুল ইসলাম গং মির্জাচরে মানববন্ধনে গুলি বর্ষন করেন এবং গ্রামবাসীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রায়পুরা থানায় আছে । তৎকালীন সময়ের বহু ঘটনা জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সহ নরসিংদী জেলার বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় একাধিক নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে

এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।

সৌরভ চত্বরের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

  তৌহিদুর রহমান শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:০৪ পিএম
সৌরভ চত্বরের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ‘সৌরভ চত্বর’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিতর্কিত এক ব্যক্তির উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা দেখা দিয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

৫ আগস্ট, মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইগাতী থানা মোড়ে শহীদ ছাত্রনেতা সৌরভের নামে নির্মিত ‘সৌরভ চত্বর’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন, ইউএনও মো. আশরাফুল আলম রাসেল। এ সময় শহীদ সৌরভের পিতা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

তবে অনুষ্ঠান শেষে ফটোসেশনে ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামি সারোয়ার হোসেনের ছবি ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই অভিযোগ করেন, জনপ্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের পুনর্বাসনের কৌশল হিসেবে এমন আয়োজন করছেন।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হলে উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতায় ও পুলিশের বিশেষ উদ্যোগে বিতর্কিত ব্যক্তি সারোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিয়ে ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “আমি সারোয়ার হোসেন নামে কাউকে চিনি না, তাকে আমন্ত্রণ জানানো তো দূরের কথা। শহীদ সৌরভের বাবা তাঁকে আত্মীয় হিসেবে নিজেই সঙ্গে এনেছেন। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিংবা মামলার আসামি, এসব তথ্য আমার জানা ছিল না। আমি এই ভিত্তিহীন অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “স্মৃতিচারণমূলক এ অনুষ্ঠানটি ছিল সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং একটি শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর নিঃস্বার্থ প্রয়াস। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি উপস্থিত থাকলে সেটিকে প্রশাসনের অভিপ্রায় হিসেবে ব্যাখ্যা করা অনুচিত।”

সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইউএনও বলেন, “সত্যতা যাচাই না করে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও গুজব ছড়ানো সামাজিক দায়িত্বের পরিপন্থী। একজন শহীদের নামের সাথে জড়িত অনুষ্ঠানে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করাও অত্যন্ত দুঃখজনক।”

দশঘর মাদরাসা কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর নাসির সভাপতি হওয়ার পায়তারা:এলাকায় ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:০১ পিএম
দশঘর মাদরাসা কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর নাসির সভাপতি হওয়ার পায়তারা:এলাকায় ক্ষোভ

ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের রাজ্জাকীয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা,দশঘরের ম্যানেজিং কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর এমপি মানিকের ঘনিষ্টজন দশঘর গ্রামের মাষ্টার নাসির উদ্দীন সভাপতি হওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এতে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে প্রতিষ্টানের প্রধান উলামালীগের সদস্য মাও:মুশাহিদ আলী তাঁর বিগত দিনের নিজের অপকর্ম যাতে প্রকাশ না পায় এজন্য এই আওয়ামী ডেবিলকে সভাপতি করতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।

মাদরসার অভিভাবকদের বক্তব্য হচ্ছে ,আওয়ামীলীগের এই দোসরকে সভাপতি করলে মাদরাসা উন্নয়ন কাজ থেকে বঞ্চিত হবে।সরকারের নির্দেশনা রয়েছে।

বর্তমানে কোন শিক্ষা প্রতিষ্টানের কমিটিতে যেন নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের কোন দোসর সভাপতি হতে না পারে।মাষ্টার নাসির উদ্দিন যে আওয়ামীলীগের নেতা ও এমপি মানিকের একনিষ্ট সহযোগী ছিল, তা ছাতকের রাজনৈতিক মহলে সবার জানা।তাই নাসির উদ্দনীন সভাপতি হলে আগামী নির্বাচনে যারাই অত্র আসনে এমপি বা উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন স্বাভাবিক ভাবে এ কারণে অত্র মাদরাসা উন্নয়ন কাজে আগ্রহী হবেন না বলে আশংকা করা হচ্ছে।

তাই,দশঘর মাদরাসায় যাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের কোন ডেভিল সভাপতি হতে না পারে এজন্য এলাকাবাসী ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

error: Content is protected !!