মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

রাজাপুরের চর পালট খেয়াঘাটে যাত্রীছাউনি নির্মান এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী

আলমগীর শরীফ, ঝালকাঠি প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:১৩ পিএম | 72 বার পড়া হয়েছে
রাজাপুরের চর পালট খেয়াঘাটে যাত্রীছাউনি নির্মান এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার অন্তর্গত চল্লিশ কাহনিয়া লঞ্চঘাট ও খেয়াঘাটে যাত্রী ছাউনি না থাকায় বারিবর্ষণ ও প্রচন্ড রোদে চরম ভোগান্তিতে পরতে হয় বিষখালী নদীর এপার ওপারের দুই তিনটি উপজেলার সাধারন মানুষসহ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভিন্ন বাজারগামী ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

এমতাবস্থায় অতিব প্রয়োজন একটি যাত্রী ছাউনি। উল্লেখ্য যে, রাজাপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ও নলছিটি উপজেলার তেতুলবাড়িয়াসহ ১০ ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের যাওয়া আসার একমাত্র মাধ্যম বিষখালী নদীর খেয়া পারাপার। তবে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দ ইতোমধ্যে নিজ উদ্যোগে নদীর রাজাপুরের পারে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে দিয়েছেন। এখানে লঞ্চে যাতায়াতের ও খেয়াপারাপারের এক পারের যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসন হলেও দুর্ভোগ রয়েগেছে নলছিটির ওপারের যাত্রীদের। এই স্থান থেকে ঢাকা, বরিশাল, ঝালকাঠি, খুলনা, রাজাপুর, কাঠালিয়া, ভান্ডারীয়া ও বড়ইয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা যাত্রী সাধারণ এই লঞ্চঘাটে আসে এবং নির্মিত যাত্রী ছাউনির সুবিধা ভোগ করেন। বিশেষ করে নদীপথ বিলুপ্ত প্রায় তারপরও এখান থেকে চল্লিশ কাহনিয়া খেয়া পার হয়ে চরপালট খেয়াঘাট হয়ে তেতুলবাড়িয়া, মোল্লার হাট, নলছিটির, বাকেরগঞ্জ ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত শতশত মানুষ এবং অসংখ্য মটরসাইকেল খেয়া পারের মাধ্যেমে যাতায়াত করে থাকে। অপরদিকে চরপালট খেয়াঘাটের মাধ্যমে নলছিটি, মোল্লারহাটসহ তেঁতুলবাড়িয়ার বহু মানুষ প্রতিদিন বড়ইয়া বাজার, বড়ইয়া কলেজ, উত্তমপুর বাজার, বড়ইয়া ইউনিয়ন পরিষদ, পুটিয়াখালী বাজার, রাজাপুর উপজেলা, ঝালকাঠি, ভান্ডারিয়া ও খুলনায় যাতায়াত করে থাকেন।

এ অবস্থায় চল্লিশকাহনিয়া ঘাটে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক নির্মিত যাত্রী ছাউনিটিরন্যায় চরপালটেও একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য এলাকাবাসীর প্রানের দাবী।

তুলতুল: ভালোবেসে খাগড়াছড়ির পাঠকরা রাজকন্যা উপাধি দেন।

তুলতুল প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৮:৩৫ এএম
তুলতুল: ভালোবেসে খাগড়াছড়ির পাঠকরা রাজকন্যা উপাধি দেন।

লেখাপড়ায় চরম ফাঁকিবাজ ছিলেন।
টিচার এলে নানা অজুহাতে তাড়াতেন। কিন্তু অতি ভালো রেজাল্ট না করেও তিনি ভালো ফলাফল করে দেশ সেরা কলেজের ছাত্রী ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক।

বলছি চট্টগ্রামের মেয়ে তরুণ লেখক ও কথাসাহিত্যিক শাম্মী তুলতুল। তিনি একাধারে একজন লেখক. কবি. উপন্যাসিক.গল্পকার. শিশুসাহিত্যিক.নজরুল অনুরাগী.রেডিও অনুষ্ঠান পরিচালক. খবর পাঠিকা ও দাবা খেলোয়াড়।বাংলাদেশের জনপ্রিয় জাতীয় পত্রিকায় লিখছেন ছোটবেলা থেকেই । যেমন. কালের কন্ঠ. প্রথম আলো। বাংলাদেশ প্রতিদিন.ইত্তেফাক.খোলা কাগজ.প্রতিদিনের সংবাদ.এন টিভি অনলাইন. মানবকন্ঠ.আজাদী. পূর্বকোণ. সরকারী পত্রিকা শিশু.নবারুণ সহ অন্যান্য পত্রিকায়। তাছাড়া তিনি এপার বাংলা আর ওপার বাংলা দুই জায়গায় সমান তালে লেখনি দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাকে দুই বাংলার জনপ্রিয় লেখকও বলা হয়ে থাকে। লিখছেন জার্মানি, সিংগাপুর, অস্ট্রেলিয়ার. প্যারিসের বাংলা পত্রিকাগুলোতেও।

তার জন্ম একটি সাহিত্য.সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক. মুক্তিযোদ্ধা ও অভিজাত পরিবারে।
বুকের ভেতর রয়েছে অফুরন্ত গল্পের বাস
সে সব গল্প বলে যেতে চান তার লেখায়।জন্ম চট্টগ্রামে হলেও গ্রাম রাউজান। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে বিখ্যাত নদী হালদা।যার স্রোতের সাথে জুড়ে আছে একেক গল্প।তার মতে এসব গ্রামীণ গল্পই আমাদের প্রাণ.চলার পথে শেখার ভিত্তি।সে তার প্রতিটি লেখনীতে সমাজ পরিবর্তনের কোন না কোন ম্যাসেজ রাখেন।লেখালেখির হাতেখড়ি ছোট থেকেই পত্রিকাঅ দিয়ে শুরু।

একটি রক্ষনশীল পরিবার থেকে উঠে এসে নিজেকে সাহিত্যিক হিসেবে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন।।
।খুব অল্প বয়সেই তিনি দেশ ও দেশের বাইরে তার লেখনি দিয়ে জয় করছেন অজশ্র মানুষের ভালোবাসা।
দাদাও একজন লেখক. শিক্ষক.বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা ছিলেন। ।নানীও কাজী লতিফা হক বেগম পত্রিকার সুপরিচিত লেখক ছিলেন। উল্লেখ্য যে দাদা আব্দুল কুদ্দুস মাষ্টার কবি কাজী নজরুল ইসলামের বাল্যকালের বন্ধু ছিলেন। এর উপর ভিত্তি করে তিনি লিখেছেন উপন্যাস একজন কুদ্দুস ও কবি নজরুল।
এই পর্যন্ত বইয়ের সংখ্যা ১৬ টি। ভারতে প্রকাশিয় হয়েছে ২০২২ কলকাতা বইমেলায় তার গল্পের বই “নরকে আলিঙ্গন”।বইটি পুরাঅ ভারত জুড়ে
ফ্লিপকার্ট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।
স্বরচিত ছড়া পাঠ করে প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন শিশু বয়সেই।
একে একে লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস অ চোরাবালির বাসিন্দা,অ বাল্যবিবাহের ওপর লিখিত উপন্যাস পদ্মবু, এইডসের ওপর লিখিত প্রেমের উপন্যাস মনজুয়াড়ি এই বইগুলো যথেষ্ট পাঠকপ্রিয়তা পেয়ে বেস্ট সেলার হয়েছে । লেখালেখির জন্য পেয়েছেন অনেক জাতীয় আর আন্তর্জাতিক পুরস্কার। উল্লেখ্যযোগ্য হলো মাদার তেরেসা এওয়ার্ড /মহাত্মাগান্ধী পিস এওয়ার্ড / সাউথ এশিয়া গোল্ডেন পিস এওয়ার্ড /নজরুল অগ্নীবীনা সাহিত্য পুরস্কার /দাদা সাহেব ফালকে এওয়ার্ড ( ভারত)/সোনার বাংলা সাহিত্য সম্মাননা/ রোটারী সম্মাননা /নারী দিবসে নারী সম্মাননা/সুপারস্টার এওয়ার্ড সিলেট জাগো দুর্গা সম্মাননা (ভারত)/পর্যটন নগরী খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক সম্মাননা/ভালোবেসে খাছড়াছড়ির পাঠকরা তাকে রাজকন্যা উপাধি দিয়েছিলেন। স্বাধীবাংলা সাহিত্য সম্মাননা/নারী দিবসে পেয়েছেন উইমেন পাওয়ার লিডারশীপ এওয়ার্ড ২০২৫/ সাইথ এশিয়া গোলডেন পিস এওয়ার্ড /সাইথ এশিয়া গোল্ডেন সিনে স্টার এওয়ার্ড৷ ২০২৫ / ময়ূরপঙ্খী স্টার এওয়ার্ড ২০২৫/প্রকাশনা সংস্থা বাঙালি
সাহিত্য সম্মাননা.দৈনিক আজাদী প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক সম্মাননা.সাপ্রতিক দেশকাল পত্রিকা সম্মাননা
সহ আরও অসংখ্য পুরস্কার।

শিশু- কিশোরদের জন্য সফল একজন গল্পকার তুলতুল। বড়দের পাশাপাশি শিশুদের জন্য লিখছেন প্রচুর।
বাংলাদেশের সকল বই পাওয়া যাচ্ছে অনলাইন বইয়ের বাজার রকমারি ডট কম, প্রথম আলোর অনলাইন ওয়েবসাইট প্রথমা ডট কম, দারাজ ডট কমে। জনপ্রিয় ই বুক বইঘরে তার বই যেখোনো প্রান্ত থেকে তার পাঠক রা পড়তে পারবেন। তিনি চট্টগ্রাম টেলিভিশনে নিয়মিত আবৃত্তিও করে থাকেন।

তার লিখিত গল্প পিঁপড়ে ও হাতির যুদ্ধ জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল দিপ্ত টিভিতে নাটক হিসেবে প্রকাশিত হয়।।তাছাড়া তার রচনায় লাল শরবত নাটক প্রচারিত হয় সিটি এফ এম এ।
তিনি কিছুদিন আগে বেগম রোকেয়া চরিত্রে একটি ম্যাগাজিনের কাভার মডেল হন। তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া আমাদের আইডল। তাঁর চরিত্রে মডেল হতে পেরে একজন লেখক হিসেবে আমি গর্বিত। সব চেয়ে বড় কথা তিনিও লেখক ছিলেন। তিনি বলেন,লেখনি দিয়ে বিশ্বে নিজেকে তুলে ধরতে চান ।
চট্টগ্রামের মেয়ে হয়ে পুরো বাংলাদেশ ভারত এবং আন্তর্জাতিক অংগনে নিজ লেখা দিয়ে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। লেখালেখিকে আপন ঠিকানা করে আরও সামনে এগিয়ে যেতে চান তুলতুল।

লামা উপজেলায় পাহাড় কেটে ইটভাটা পরিচালনার অভিযোগে দুই ইটভাটাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা

শাহাদাত হোসেন বাপ্পি বান্দরবান প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৮:২৮ এএম
লামা উপজেলায় পাহাড় কেটে ইটভাটা পরিচালনার অভিযোগে দুই ইটভাটাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা

সোমবার (৩০ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ওয়াইএসবি ব্রিকস ও ইউবিএম ব্রিকস-এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিন। অভিযানে ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও অংশ নেন।

অভিযানকালে দেখা যায়, উল্লিখিত দুই ইটভাটা পাহাড় কেটে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। এ কারণে ওয়াইএসবি ব্রিকস ও ইউবিএম ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।ইউএনও মো. মঈন উদ্দিন জানান, বনাঞ্চল, পাহাড়ি ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ। এসব ভাটার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই এবং সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

রুবিনা শেখ

ভাসানী মোড় এলাকায় সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

রুবিনা শেখ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৮:২৪ এএম
ভাসানী মোড় এলাকায় সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ঢাকা উত্তর সি।টি কর্পোরেশনের মিরপুর-১১ নম্বর ভাসানী মোড় এলাকায় সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ।
সোমবার (৩০ জুন) সকাল ১১ টা নাগাদ পরিচালিত এই অভিযানে ৮ থেকে ১০ টি দোকান ভেঙে দেয়া হয়।
এ সময় স্থানীয় দোকান মালিক ও কর্মচারীরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নানা অভিযোগ ও নোটিশ ছাড়া এমন উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানান। পরবর্তীতে, মার্কেটের জন্য সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ দেয়া আছে, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের এমন দাবির মুখে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ,এসময় তিনি জানান বরাদ্দের কাগজপত্র পুনর্বিবেচনা করে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান
উল্লেখ্য, উক্ত এলাকায় ৫০ এর অধিক দোকান অবৈধভাবে সড়কের জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

error: Content is protected !!