মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

কোনাবাড়িতে চুরির অপবাদ দিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ৬:৩১ পিএম | 51 বার পড়া হয়েছে
কোনাবাড়িতে চুরির অপবাদ দিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
কোনাবাড়িতে চুরির অপবাদ দিয়ে কারখানার অফিসে জানালার সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শ্রমিকে বেঁধে মারধর করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এরপর থেকে কারখানাটি অনির্দিষ্টিকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত গ্রীনল্যান্ড লিমিটেড নামে একটি কারখানার ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হলেও মারধরে জড়িত কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রোববার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত শ্রমিক মো. হৃদয় (১৯) টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার শুকতার বাইদ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। তিনি গ্রীনল্যান্ড লিমিটেড কারখানায় মেকানিক্যাল মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন।
শ্রমিককে চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ১ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, শ্রমিক হৃদয়কে কারখানার ভেতরে একটি অফিস কক্ষে জানালার সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে পিটিয়ে হাত-পা বেঁধে অচেতন অবস্থায় টেনেহিঁচড়ে বের করছে এবং মারধর করছে কয়েকজন। তার মুখ ও নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে।
তাকে নির্দয়ভাবে পেটানোর পরেও দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে হৃদয় দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। এমন দৃশ্য অনেকেই দেখছেন, কেউ কেউ হাসছে। কয়েকজনকে বলতে শোনা গেছে, অনেক পেটানো হয়েছে, তারপরও কিছুই হয়নি, মরে যায়নি।
নিহত হৃদয়ের বড় ভাই লিটন মিয়া বাদী হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ি থানায় শনিবার দিবাগত রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ পরদিন অভিযান চালিয়ে হাসান মাহমুদ ওরফে মিঠুন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। হাসান মাহমুদ ওই কারখানারই শ্রমিক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হৃদয় গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকার গ্রীনল্যান্ড লিমিটেড কারখানার মেকানিক্যাল মিস্ত্রি (অনকল) হিসেবে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতোই গত ২৭ জুন সকালে কারখানায় যান। তবে ডিউটি শেষ করে বাসায় না ফেরায় নিহতের ভাই ও মা কারখানার দিকে যান।
সেখানে গিয়ে দেখতে পান কারখানার শ্রমিকরা হত্যার ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। তারা মরদেহের সন্ধান চাইলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে আছে বলে জানানো হয়। পরে তারা হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।
মামলার বাদী লিটন মিয়া বলেন, গ্রীনল্যান্ড লিমিটেড কারখানার ভেতরে আমার ভাইকে প্রচণ্ড মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। পরে এটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তার মরদেহ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়৷ আমরা ভাই হত্যার বিচার চাই৷
কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন বলেন, ওই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

কাঠালিয়ায় সরকারি পুকুরে মাছ অবমুক্ত করলো উপজেলা প্রশাসন

ফাতিমা আক্তার মিম কাঠালিয়া সংবাদদাতা প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:১৭ পিএম
কাঠালিয়ায় সরকারি পুকুরে মাছ অবমুক্ত করলো উপজেলা প্রশাসন

ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জলাশয়ের যথাযথ ব্যবহারের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।এদিন উপজেলার ১১টি সরকারি জলাশয়ে মাছ অবমুক্ত করা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:উপজেলা পরিষদের পুকুর (৩টি) – আয়তন ০.৪ হেক্টর,ঐতিহাসিক চর ডিসি লেক – আয়তন ২.৫ হেক্টর,কাঠালিয়া থানার পুকুর – আয়তন ০.০৮ হেক্টর,চিংড়াখালী মিয়াজী দরবার পুকুর – আয়তন ০.১২ হেক্টর,

আমুয়া তহসিল অফিসের পুকুর – আয়তন ০.০৮ হেক্টর,শৌলজালিয়ার সোনার বাংলা মৎস্য অবয়াশ্রম – আয়তন ১ হেক্টর,

এছাড়া আরও কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা, দরবার ও সরকারি স্থাপনার পুকুরেও মাছ অবমুক্ত করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম বলেন, “সরকারি জলাশয়গুলোতে মাছ অবমুক্তের মাধ্যমে মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং স্থানীয় জনগণের জন্য পুষ্টির উৎস নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মৎস্য কর্মকর্তা ও জনসাধারণ এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, এ উদ্যোগটি দেশের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারের সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ।

রাজাপুরের চর পালট খেয়াঘাটে যাত্রীছাউনি নির্মান এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী

আলমগীর শরীফ, ঝালকাঠি প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:১৩ পিএম
রাজাপুরের চর পালট খেয়াঘাটে যাত্রীছাউনি নির্মান এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার অন্তর্গত চল্লিশ কাহনিয়া লঞ্চঘাট ও খেয়াঘাটে যাত্রী ছাউনি না থাকায় বারিবর্ষণ ও প্রচন্ড রোদে চরম ভোগান্তিতে পরতে হয় বিষখালী নদীর এপার ওপারের দুই তিনটি উপজেলার সাধারন মানুষসহ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভিন্ন বাজারগামী ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

এমতাবস্থায় অতিব প্রয়োজন একটি যাত্রী ছাউনি। উল্লেখ্য যে, রাজাপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ও নলছিটি উপজেলার তেতুলবাড়িয়াসহ ১০ ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের যাওয়া আসার একমাত্র মাধ্যম বিষখালী নদীর খেয়া পারাপার। তবে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দ ইতোমধ্যে নিজ উদ্যোগে নদীর রাজাপুরের পারে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে দিয়েছেন। এখানে লঞ্চে যাতায়াতের ও খেয়াপারাপারের এক পারের যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসন হলেও দুর্ভোগ রয়েগেছে নলছিটির ওপারের যাত্রীদের। এই স্থান থেকে ঢাকা, বরিশাল, ঝালকাঠি, খুলনা, রাজাপুর, কাঠালিয়া, ভান্ডারীয়া ও বড়ইয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা যাত্রী সাধারণ এই লঞ্চঘাটে আসে এবং নির্মিত যাত্রী ছাউনির সুবিধা ভোগ করেন। বিশেষ করে নদীপথ বিলুপ্ত প্রায় তারপরও এখান থেকে চল্লিশ কাহনিয়া খেয়া পার হয়ে চরপালট খেয়াঘাট হয়ে তেতুলবাড়িয়া, মোল্লার হাট, নলছিটির, বাকেরগঞ্জ ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত শতশত মানুষ এবং অসংখ্য মটরসাইকেল খেয়া পারের মাধ্যেমে যাতায়াত করে থাকে। অপরদিকে চরপালট খেয়াঘাটের মাধ্যমে নলছিটি, মোল্লারহাটসহ তেঁতুলবাড়িয়ার বহু মানুষ প্রতিদিন বড়ইয়া বাজার, বড়ইয়া কলেজ, উত্তমপুর বাজার, বড়ইয়া ইউনিয়ন পরিষদ, পুটিয়াখালী বাজার, রাজাপুর উপজেলা, ঝালকাঠি, ভান্ডারিয়া ও খুলনায় যাতায়াত করে থাকেন।

এ অবস্থায় চল্লিশকাহনিয়া ঘাটে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক নির্মিত যাত্রী ছাউনিটিরন্যায় চরপালটেও একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য এলাকাবাসীর প্রানের দাবী।

জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন নীলফামারী পৌরসভা

নীলফামারী প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:০৭ পিএম
জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন নীলফামারী পৌরসভা

নীলফামারীতে আজ ৩০ জুন জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই ম্যাচে সৈয়দপুর উপজেলার মুখোমুখি হন নীলফামারী পৌরসভা।

ম্যাচ শুরু থেকেই দুই দলেই ছিলো বেশ ছন্দে। তবে কাজের কাজটি করতে পারেনি বিশ্রামে থাকার পর সৈয়দপুর দলটি,সেসময় ফলাফলটা ছিলো ০-১ ব্যবধনে।

দীপকের একমাত্র গোলে এগিয়ে যায় নীলফামারী পৌরসভা দলটি। ১-০ গোলেই মাঠ ছাড়তে হয় শক্তিশালী সৈয়দপুরকে। ম্যাচে গোলের দেখা মিলতো সৈয়দপুরের কিন্তু ভাগ্যক্রমে গোলের বারে লেগে ঘুরে চলে আসে বল। ভূবন মোহন রেফারির লম্বা বাঁশি বাজিয়ে জানিয়ে দেয় খেলা সমাপ্তি।

নীলফামারী পৌরসভা দলের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন এ সময়ের সেরা খেলোয়াড় আল আমিন সঙ্গে ছিলেন আরো আন্তর্জাতিক তারকা সাঈদ, দীপক সহ অনেকে। ম্যাচ সেরা হন দীপক। এই ম্যাচে তার একমাত্র গোল ছাড়াও গত ম্যাচে তার একায় আট গোলের দেখা।

error: Content is protected !!