তালতলীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, শহিদুল হকের প্রতিবাদ


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তালতলী উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক তাঁর বিরুদ্ধে পরিচালিত ‘মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সোমবার (৩০ জুন) এক লিখিত বিবৃতিতে শহিদুল হক এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে তালতলীতে দলীয় ও জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় রয়েছি। আমার জনপ্রিয়তা ও জনসম্পৃক্ততাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
লিখিত বিবৃতিতে শহিদুল হক উল্লেখ করেন, ২৯ জুন তালতলী উপজেলার হাটবাজার এলাকায় এক ভাসমান ব্যবসায়ীর সঙ্গে আরেকজনের সামান্য কথা-কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখেন। কিন্তু পরবর্তীতে তাঁকে জড়িয়ে পরিকল্পিতভাবে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হয়।
তিনি আরও দাবি করেন, এই অপপ্রচার চালানোর মূল হোতা হলেন বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক। তাঁর অভিযোগ, মোস্তাক অতীতে স্বৈরশাসকের সময় দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেন এবং পরে দল থেকে বহিষ্কৃত হন। শহিদুল হক আরও একজনের নাম উল্লেখ করেন— মাহবুবুল আলম মামুন, যিনি দীর্ঘদিন রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও এখন ব্যবসায়ী পরিচয়ে সক্রিয় হয়েছেন।
শহিদুল হক বলেন, ঘটনার সঙ্গে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। আমি একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে পরিস্থিতি শান্ত করেছি মাত্র। অথচ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তিনি এই অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তালতলীর মাটি ও মানুষের জন্য আমি রাজপথে ছিলাম, আছি, থাকব। কোনো ষড়যন্ত্র আমার জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক সততা ক্ষুণ্ন করতে পারবে না।